
ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর

ইরানের হামলায় তেলআবিবে প্রাণহানি অর্ধশতাধিক

যুক্তরাষ্ট্র কি ইরানের ফোর্দো পরমাণু স্থাপনা ধ্বংস করতে পারবে?

ইরানে ‘অপারেশন সিন্ধু’ শুরু করলো ভারত

ইরানের ‘পটকা ফাঁদে’ ধরাশায়ী ইসরায়েল

পাল্টা হামলা চালাতে তুরস্ক দেরি করবে না: এরদোয়ান

ইসরাইলে ফের হাইপারসোনিক ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাত হেনেছে ইরান

ইরানের পক্ষে এরদোয়ানের জোরালো অবস্থান
ট্রাম্পের পাকিস্তানপ্রীতি: ‘সাময়িক বন্ধুত্ব’ নাকি ‘নয়া কৌশল’?

দ্বিতীয়বার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর ডোনাল্ড ট্রাম্প ৪ মার্চ কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে ভাষণ দিতে গিয়ে একটি বিস্ময়কর তথ্য প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ২০২১ সালের আগস্টে কাবুল বিমানবন্দরের অ্যাবি গেটে প্রাণঘাতী বোমা হামলার পেছনের সন্দেহভাজন ব্যক্তি গ্রেফতার হয়েছে। তিনি এর কৃতিত্ব দেন পাকিস্তানকে।
‘এই দানবকে গ্রেফতারে সহযোগিতার জন্য আমি বিশেষভাবে পাকিস্তান সরকারকে ধন্যবাদ জানাতে চাই,’ বলেন ট্রাম্প।
এর মাত্র তিন মাস পর, ১৮ জুন ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে পাকিস্তানের সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনীরকে মধ্যাহ্নভোজের আমন্ত্রণ জানান। যুক্তরাষ্ট্রে এই প্রথম কোনো পাকিস্তানি সেনাপ্রধান, যিনি রাষ্ট্রপ্রধান নন, প্রেসিডেন্টের সঙ্গে এমন বৈঠকে অংশ নিলেন।
এটি ছিল যুক্তরাষ্ট্র-পাকিস্তান সম্পর্কে এক নাটকীয় মোড়। কারণ সাত বছর আগে এই ট্রাম্পই
পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ‘মিথ্যা ও প্রতারণা ছাড়া কিছু দেয়নি’ বলে অভিযোগ করেছিলেন। এমনকি জো বাইডেনও পাকিস্তানকে ‘বিশ্বের অন্যতম বিপজ্জনক দেশ’ বলে বর্ণনা করেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই সম্পর্ক পুনঃগঠনের প্রক্রিয়া চলছে ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদ শুরু হওয়ার পর থেকেই। আর গত মে মাসে ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে সংঘর্ষের সময় যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতা সেই সম্পর্ককে নতুন ভিত্তি দেয়। তবে বিশ্লেষক মারভিন ওয়েইনবাম সতর্ক করে বলেন, ‘ট্রাম্পের এই প্রশাসনের সিদ্ধান্ত প্রক্রিয়া একেবারে অনির্দেশ্য ও ব্যক্তিকেন্দ্রিক। এটি ঐতিহ্যবাহী মার্কিন পররাষ্ট্রনীতির ধারাকে প্রতিফলিত করে না’। অন্যদিকে বিশ্লেষক রেজা আহমেদ রুমি বলেন, ‘ট্রাম্পের আমন্ত্রণ কেবল প্রথা ভঙ্গই নয়, বরং প্রথা পুনঃনির্ধারণ। এতে পরিষ্কার বার্তা—ওয়াশিংটনের নজরে পাকিস্তান এখন শুধুই পেরিফেরি নয়, বরং অভ্যন্তরীণ বৃত্তের অংশ’। মধ্যপ্রাচ্যের
সংকটে পাকিস্তানের গুরুত্ব পাকিস্তানের সেনাপ্রধানের সঙ্গে ট্রাম্পের এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হলো এমন এক সময়ে, যখন মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা চরমে। গত ১৩ জুন থেকে ইসরাইল ইরানে হামলা শুরু করেছে এবং জবাবে ইরানও পাল্টা ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালাচ্ছে। ইসরাইলের হামলায় ইরানে ইতোমধ্যেই ৬০০ জনের বেশি নিহত হয়েছে। অন্যদিকে ইরানের পাল্টা হামলায় ইসরাইলে নিহতের সংখ্যা প্রায় ১০০। আসিম মুনীরের সঙ্গে বুধবার হোয়াইট হাউসে লাঞ্চের পর ট্রাম্প বলেন, ‘পাকিস্তানিরা ইরানকে খুব ভালো জানে। সম্ভবত অন্যদের চেয়ে ভালো—যদিও (বর্তমান পরিস্থিতিতে) তারা খুশি নয়’। ট্রাম্প আরও বলেন, গত মে মাসে ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে যুদ্ধ পরিস্থিতি এড়াতে আসিম মুনীর যে ভূমিকা রেখেছেন, তার জন্য ধন্যবাদ। এ সময় ট্রাম্প পাকিস্তানের সেনাপ্রধানকে দেখিয়ে
সাংবাদিকদের বলেন, ‘এই মানুষটিকে আমন্ত্রণ জানিয়েছি, কারণ তিনি যুদ্ধ থামাতে ভূমিকা রেখেছেন। একইসঙ্গে (ভারতের) প্রধানমন্ত্রী মোদিকেও ধন্যবাদ দিতে চাই—যিনি কিছুদিন আগে হোয়াইট হাউজে এসেছিলেন’। ভারত-পাকিস্তান সংঘর্ষ: এক ধাপ দূরে ছিল পারমাণবিক যুদ্ধ ভারত-পাকিস্তান সংঘর্ষের সূচনা হয় চলতি বছরের এপ্রিল মাসে, কাশ্মীরে এক হামলায় ২৬ জন ভারতীয় বেসামরিক নাগরিক নিহত হওয়ার পর। এ ঘটনার জন্য ভারত পাকিস্তানকে দায়ী করে, তবে পাকিস্তান তা অস্বীকার করে। এর জেরে গত ৭ মে ভারত পাকিস্তান এবং পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে বিমান হামলা চালায়। পাকিস্তানও প্রতিশোধ হিসেবে ৬টি ভারতীয় জেট ভূপাতিত করার দাবি করে। এরপর উভয়পক্ষ তিনদিন ড্রোন হামলা বিনিময় করে এবং ১০ মে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা পর্যন্ত গড়ায়। যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় শেষ
পর্যন্ত যুদ্ধ থামে। ট্রাম্প বলেন, ‘আমি পাকিস্তান-ভারতের যুদ্ধ থামিয়েছি। মুনীর ও মোদি—এই দুই ব্যক্তি খুব বুদ্ধিমানের মতো যুদ্ধ থামানোর সিদ্ধান্ত নেন। এটি ছিল একটি সম্ভাব্য পারমাণবিক যুদ্ধ’। ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদি যদিও যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা অস্বীকার করেছে। বলেছে, এটি ছিল দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা। তবে ট্রাম্প জোর দিয়ে বলেছেন, ‘আমিই পাকিস্তান-ভারতের যুদ্ধ থামিয়েছি’। যুক্তরাষ্ট্র-পাকিস্তান ‘কৌশলগত সম্পর্ক’ নাকি ‘গোপন চুক্তি’? এদিকে রাজনীতি বিশ্লেষক আরিফ আনসার বলেন, ‘পাকিস্তান ভারতের তুলনায় সামরিকভাবে ছোট হলেও দেশটির দক্ষ কৌশলগত সাড়া ট্রাম্পকে প্রভাবিত করেছে। এটি দেখিয়েছে, রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক দুর্বলতা সত্ত্বেও পাকিস্তান বড় প্রতিপক্ষকে কৌশলগতভাবে চাপে ফেলতে সক্ষম’। সেইসঙ্গে পাকিস্তান ট্রাম্প প্রশাসনকে কিছু ‘আকর্ষণীয় অফারও’ দিয়েছে—শুল্কমুক্ত বাণিজ্য চুক্তি, রেয়ার আর্থ মিনারেলস, এমনকি ক্রিপ্টো বিনিয়োগও। এ
বিষয়ে সেন্টকম প্রধান জেনারেল কুরিল্লা বলেন, ‘অ্যাবি গেট বোমার সন্দেহভাজনের গ্রেফতারে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সরাসরি ভূমিকা ছিল। ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনীর আমাকে ফোনে বলেন, তারা ওই আইএস-কে সদস্যকে আটক করেছে’। ‘গণতন্ত্র না সামরিক দাপট?’ বিশ্লেষকরা বলেন, যুক্তরাষ্ট্র-পাকিস্তান সম্পর্ক ‘সামরিক থেকে সামরিক’ ট্র্যাকে এগোচ্ছে এবং বেসামরিক সরকারকে পাশে রেখেই হচ্ছে সবকিছু। রেজা আহমেদ রুমি বলেন, ‘এই মিটিং আসলে প্রমাণ করে দেয়—খাকি পোশাক এখনো ব্যালটকে ছাপিয়ে যাচ্ছে। যদি এটিই হয় সম্পর্ক পুনর্গঠন, তাহলে সেটি গণতান্ত্রিক শক্তির জন্য উদ্বেগজনক’। আরিফ আনসারও বলেন, এ ধরনের গোপন ও ব্যক্তিকেন্দ্রিক চুক্তি অতীতে পাকিস্তানে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও নিরাপত্তাজনিত ভয়াবহ পরিণতি ডেকে এনেছে। সাময়িক রোমান্স না কি দীর্ঘমেয়াদি সম্পর্ক? বিশেষজ্ঞরা বলেন, যুক্তরাষ্ট্র-পাকিস্তান সম্পর্ক বরাবরই ছিল
‘লেনদেনভিত্তিক’—প্রয়োজনে ঘনিষ্ঠতা, তারপর উপেক্ষা। রুমি বলেন, ‘যতদিন না এ সম্পর্ক নিরাপত্তার বাইরেও প্রাতিষ্ঠানিকভাবে গভীর হয়, ততদিন এটিকে শুধুই কৌশলগত রোমান্স বলা যেতে পারে—যা রাজনৈতিক বাতাস বদলালেই মিলিয়ে যেতে পারে’। পরিশেষে বলা হয়, ট্রাম্প-মুনীর বৈঠক নতুন কূটনৈতিক অধ্যায়ের সূচনা হতে পারে। তবে তা পাকিস্তানের গণতান্ত্রিক কাঠামোর জন্য সংকেত হতে পারে—যেখানে সেনাবাহিনীর ভূমিকা আবারও কেন্দ্রীয় হয়ে উঠছে। এই সম্পর্ক কতটা টিকবে, তা নির্ভর করবে ভূরাজনৈতিক সমীকরণ, চীন ও ইরান নীতির দিকনির্দেশনার ওপর। (আল-জাজিরার প্রতিবেদন অবলম্বনে)
পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ‘মিথ্যা ও প্রতারণা ছাড়া কিছু দেয়নি’ বলে অভিযোগ করেছিলেন। এমনকি জো বাইডেনও পাকিস্তানকে ‘বিশ্বের অন্যতম বিপজ্জনক দেশ’ বলে বর্ণনা করেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই সম্পর্ক পুনঃগঠনের প্রক্রিয়া চলছে ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদ শুরু হওয়ার পর থেকেই। আর গত মে মাসে ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে সংঘর্ষের সময় যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতা সেই সম্পর্ককে নতুন ভিত্তি দেয়। তবে বিশ্লেষক মারভিন ওয়েইনবাম সতর্ক করে বলেন, ‘ট্রাম্পের এই প্রশাসনের সিদ্ধান্ত প্রক্রিয়া একেবারে অনির্দেশ্য ও ব্যক্তিকেন্দ্রিক। এটি ঐতিহ্যবাহী মার্কিন পররাষ্ট্রনীতির ধারাকে প্রতিফলিত করে না’। অন্যদিকে বিশ্লেষক রেজা আহমেদ রুমি বলেন, ‘ট্রাম্পের আমন্ত্রণ কেবল প্রথা ভঙ্গই নয়, বরং প্রথা পুনঃনির্ধারণ। এতে পরিষ্কার বার্তা—ওয়াশিংটনের নজরে পাকিস্তান এখন শুধুই পেরিফেরি নয়, বরং অভ্যন্তরীণ বৃত্তের অংশ’। মধ্যপ্রাচ্যের
সংকটে পাকিস্তানের গুরুত্ব পাকিস্তানের সেনাপ্রধানের সঙ্গে ট্রাম্পের এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হলো এমন এক সময়ে, যখন মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা চরমে। গত ১৩ জুন থেকে ইসরাইল ইরানে হামলা শুরু করেছে এবং জবাবে ইরানও পাল্টা ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালাচ্ছে। ইসরাইলের হামলায় ইরানে ইতোমধ্যেই ৬০০ জনের বেশি নিহত হয়েছে। অন্যদিকে ইরানের পাল্টা হামলায় ইসরাইলে নিহতের সংখ্যা প্রায় ১০০। আসিম মুনীরের সঙ্গে বুধবার হোয়াইট হাউসে লাঞ্চের পর ট্রাম্প বলেন, ‘পাকিস্তানিরা ইরানকে খুব ভালো জানে। সম্ভবত অন্যদের চেয়ে ভালো—যদিও (বর্তমান পরিস্থিতিতে) তারা খুশি নয়’। ট্রাম্প আরও বলেন, গত মে মাসে ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে যুদ্ধ পরিস্থিতি এড়াতে আসিম মুনীর যে ভূমিকা রেখেছেন, তার জন্য ধন্যবাদ। এ সময় ট্রাম্প পাকিস্তানের সেনাপ্রধানকে দেখিয়ে
সাংবাদিকদের বলেন, ‘এই মানুষটিকে আমন্ত্রণ জানিয়েছি, কারণ তিনি যুদ্ধ থামাতে ভূমিকা রেখেছেন। একইসঙ্গে (ভারতের) প্রধানমন্ত্রী মোদিকেও ধন্যবাদ দিতে চাই—যিনি কিছুদিন আগে হোয়াইট হাউজে এসেছিলেন’। ভারত-পাকিস্তান সংঘর্ষ: এক ধাপ দূরে ছিল পারমাণবিক যুদ্ধ ভারত-পাকিস্তান সংঘর্ষের সূচনা হয় চলতি বছরের এপ্রিল মাসে, কাশ্মীরে এক হামলায় ২৬ জন ভারতীয় বেসামরিক নাগরিক নিহত হওয়ার পর। এ ঘটনার জন্য ভারত পাকিস্তানকে দায়ী করে, তবে পাকিস্তান তা অস্বীকার করে। এর জেরে গত ৭ মে ভারত পাকিস্তান এবং পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে বিমান হামলা চালায়। পাকিস্তানও প্রতিশোধ হিসেবে ৬টি ভারতীয় জেট ভূপাতিত করার দাবি করে। এরপর উভয়পক্ষ তিনদিন ড্রোন হামলা বিনিময় করে এবং ১০ মে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা পর্যন্ত গড়ায়। যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় শেষ
পর্যন্ত যুদ্ধ থামে। ট্রাম্প বলেন, ‘আমি পাকিস্তান-ভারতের যুদ্ধ থামিয়েছি। মুনীর ও মোদি—এই দুই ব্যক্তি খুব বুদ্ধিমানের মতো যুদ্ধ থামানোর সিদ্ধান্ত নেন। এটি ছিল একটি সম্ভাব্য পারমাণবিক যুদ্ধ’। ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদি যদিও যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা অস্বীকার করেছে। বলেছে, এটি ছিল দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা। তবে ট্রাম্প জোর দিয়ে বলেছেন, ‘আমিই পাকিস্তান-ভারতের যুদ্ধ থামিয়েছি’। যুক্তরাষ্ট্র-পাকিস্তান ‘কৌশলগত সম্পর্ক’ নাকি ‘গোপন চুক্তি’? এদিকে রাজনীতি বিশ্লেষক আরিফ আনসার বলেন, ‘পাকিস্তান ভারতের তুলনায় সামরিকভাবে ছোট হলেও দেশটির দক্ষ কৌশলগত সাড়া ট্রাম্পকে প্রভাবিত করেছে। এটি দেখিয়েছে, রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক দুর্বলতা সত্ত্বেও পাকিস্তান বড় প্রতিপক্ষকে কৌশলগতভাবে চাপে ফেলতে সক্ষম’। সেইসঙ্গে পাকিস্তান ট্রাম্প প্রশাসনকে কিছু ‘আকর্ষণীয় অফারও’ দিয়েছে—শুল্কমুক্ত বাণিজ্য চুক্তি, রেয়ার আর্থ মিনারেলস, এমনকি ক্রিপ্টো বিনিয়োগও। এ
বিষয়ে সেন্টকম প্রধান জেনারেল কুরিল্লা বলেন, ‘অ্যাবি গেট বোমার সন্দেহভাজনের গ্রেফতারে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সরাসরি ভূমিকা ছিল। ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনীর আমাকে ফোনে বলেন, তারা ওই আইএস-কে সদস্যকে আটক করেছে’। ‘গণতন্ত্র না সামরিক দাপট?’ বিশ্লেষকরা বলেন, যুক্তরাষ্ট্র-পাকিস্তান সম্পর্ক ‘সামরিক থেকে সামরিক’ ট্র্যাকে এগোচ্ছে এবং বেসামরিক সরকারকে পাশে রেখেই হচ্ছে সবকিছু। রেজা আহমেদ রুমি বলেন, ‘এই মিটিং আসলে প্রমাণ করে দেয়—খাকি পোশাক এখনো ব্যালটকে ছাপিয়ে যাচ্ছে। যদি এটিই হয় সম্পর্ক পুনর্গঠন, তাহলে সেটি গণতান্ত্রিক শক্তির জন্য উদ্বেগজনক’। আরিফ আনসারও বলেন, এ ধরনের গোপন ও ব্যক্তিকেন্দ্রিক চুক্তি অতীতে পাকিস্তানে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও নিরাপত্তাজনিত ভয়াবহ পরিণতি ডেকে এনেছে। সাময়িক রোমান্স না কি দীর্ঘমেয়াদি সম্পর্ক? বিশেষজ্ঞরা বলেন, যুক্তরাষ্ট্র-পাকিস্তান সম্পর্ক বরাবরই ছিল
‘লেনদেনভিত্তিক’—প্রয়োজনে ঘনিষ্ঠতা, তারপর উপেক্ষা। রুমি বলেন, ‘যতদিন না এ সম্পর্ক নিরাপত্তার বাইরেও প্রাতিষ্ঠানিকভাবে গভীর হয়, ততদিন এটিকে শুধুই কৌশলগত রোমান্স বলা যেতে পারে—যা রাজনৈতিক বাতাস বদলালেই মিলিয়ে যেতে পারে’। পরিশেষে বলা হয়, ট্রাম্প-মুনীর বৈঠক নতুন কূটনৈতিক অধ্যায়ের সূচনা হতে পারে। তবে তা পাকিস্তানের গণতান্ত্রিক কাঠামোর জন্য সংকেত হতে পারে—যেখানে সেনাবাহিনীর ভূমিকা আবারও কেন্দ্রীয় হয়ে উঠছে। এই সম্পর্ক কতটা টিকবে, তা নির্ভর করবে ভূরাজনৈতিক সমীকরণ, চীন ও ইরান নীতির দিকনির্দেশনার ওপর। (আল-জাজিরার প্রতিবেদন অবলম্বনে)