চিকিৎসা সংকটে রংপুরে গুলিবিদ্ধ বাবু মিয়া – ইউ এস বাংলা নিউজ




চিকিৎসা সংকটে রংপুরে গুলিবিদ্ধ বাবু মিয়া

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ | ৭:০৯ 45 ভিউ
সবজি ব্যবসায়ী বাবু মিয়া। এ ব্যবসার আয়ে চলত তার সংসার। ১৯ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গিয়ে পায়ে গুলিবিদ্ধ হন। এর পর থেকে সেই ক্ষত নিয়ে নিজ বাড়িতে চিকিৎসা নিচ্ছেন। যদিও তা যথেষ্ট নয়। তার উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন। কিন্তু অর্থাভাবে তা করতে পারছেন না। তাই পঙ্গুত্ব বরণ করতে চলেছেন তিনি। এখন নিজের ও পরিবারের অজানা ভবিষ্যৎ নিয়ে দিন কাটছে তার। রংপুর মহানগরীর জুম্মাপাড়ার বাসিন্দা বাবু মিয়া। এখনো তার পায়ে একাধিক রাবার বুলেটের স্পি­ন্টার রয়েছে। ক্ষতস্থানে সংক্রমন বেড়েছে। দিনভর স্ত্রী, ছেলে, ছেলের বউ সেবা দিয়ে আসছেন আহত বাবু মিয়াকে। বর্তমানে ঠিকভাবে হাঁটাচলা করতে পারছেন না। অন্যের কাঁধে ভর দিয়ে হাঁটাহাঁটির চেষ্টা করেন। যে

সবজি ব্যবসার ওপর ভর করে বাবু মিয়ার সংসার চলত, তা এখন বন্ধ হয়ে গেছে। আর্থিক সংকটে তার চিকিৎসা হচ্ছে না বলে জানান এ প্রতিবেদককে। ১৯ জুলাই বিকালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে রংপুর সিটি বাজার এলাকায় পুলিশের সঙ্গে ছাত্র-জনতার সংঘর্ষ হয়। এতে পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও পুলিশের সঙ্গে ছাত্র-জনতার দফায় দফায় ধাওয়া-পালটা ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ চলে। ছাত্র-জনতাকে মোকাবিলায় পুলিশ ছররা গুলি, রাবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে। এ পরিস্থিতিতে তড়িঘড়ি করে দোকান বন্ধ করে দেন সিটি বাজারের সবজি বিক্রেতা বাবু মিয়া। এ সময় তিনি হঠাৎ পায়ে আঘাত অনুভব করেন এবং দেখেন পা থেকে রক্ত ঝরছে। পুলিশের

হাত থেকে বাঁচতে তিনি সেই আঘাত নিয়েই দৌড়ে পালিয়ে যান। এরপর বাবু মিয়া বাসায় এসে দেখতে পান তার পায়ে গুলি লেগেছে। পরদিন তিনি রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন। চিকিৎসক তার পা থেকে দুটি স্পি­ন্টার বের করে ওষুধ লিখে দেন। বাবু মিয়ার পায়ের গভীরে আরও কয়েকটি বুলেট রয়েছে, যা বড় ধরনের অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে অপসারণ করা সম্ভব বলে জানান চিকিৎসক। হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফেরার পর দীর্ঘ ৪৬ দিন বিছানায় শুয়ে দিন কাটছে বাবু মিয়ার। পরিবারের সদস্যরা এলাকার কিছু বিত্তবানদের কাছ থেকে সহযোগিতা নিয়ে তাকে ওষুধ কিনে খাওয়াচ্ছেন। বাবু মিয়ার ছেলে আশরাফুল হোসেন বলেন, বাবার পা থেকে দুটি গুলি বের করা হয়েছে। বাকীগুলো

পায়ের বেশি গভীরে থাকায় চিকিৎসকরা বের করেননি। মেডিকেল থেকে বলেছিল, যেসব ওষুধ লেখা হয়েছে, সেগুলো খেলে গুলিগুলো পা থেকে বের হয়ে যাবে। কিন্তু গুলি তো বের হয়নি বরং এখন পায়ের অবস্থা আরও খারাপ হয়েছে। চিকিৎসকরা বলছেন, দেশের বাইরে বাবার অস্ত্রোপচার করালে ক্ষত ভালো হয়ে যাবে। কিন্তু এ চিকিৎসা ব্যয়বহুল হওয়ায় তা সম্ভব হচ্ছে না। এ ব্যাপারে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. আ. ম. আখতারুজ্জামান বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহতদের চিকিৎসায় বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রায় সবাই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। এরপরও কোনো আহত ব্যক্তি হাসপাতালে ভর্তি হলে তাকে সাধ্যমতো চিকিৎসাসেবা দেওয়া হবে।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী পাসপোর্ট সিঙ্গাপুরের, দুর্বল বাংলাদেশের যুক্তরাষ্ট্র কী ইসরাইলের লাগাম টেনে ধরতে অক্ষম? একদফা দাবিতে ‘শাহবাগ ব্লকেড’ কর্মসূচি সাবেক বিডিআর সদস্যদের সুনামগঞ্জ সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে যুবক নিহত তাঁবুর ভেতর গর্ত খুঁড়ে থাকছেন গাজার বাসিন্দারা সেদিন রংপুরে মুহুর্মুহু গুলিবর্ষণ করেন এসপি শাহজাহান চীনে প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করেও অনিশ্চয়তায় ১৭ মেরিন ক্যাডেট মসজিদের খতিবকে ‘হত্যাচেষ্টা’, আলেম-ওলামাদের বিক্ষোভ ইতালীয় সাংবাদিককে মুক্তি দিয়েও সমালোচিত ইরান অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্নকালে হামলায় আহত ৫ হরিণের মাংসসহ চোরাচালানকারী আটক ফের সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া,মুখোমুখি বিজিবি-বিএসএফ সমন্বয়ক রাফির বিরুদ্ধে কোটি টাকার অবৈধ লেনদেনের অভিযোগ নতুন মামলায় কামরুল-পলকসহ গ্রেপ্তার ৫ ব্যারিস্টার আরমানের স্ত্রীকে হেনস্তা করান টিউলিপ মিথ্যা বিয়ের সিন্ডিকেট অবশেষে ঢাকার সঙ্গে সম্পর্ক সহজ করতে চাচ্ছে ভারত? গাজায় ইসরাইলের বর্বর হামলায় আরো ৪৯ জন নিহত জুয়ার টাকা জোগাড় করতে গিয়ে গৃহকর্মীকে খুন দুঃসংবাদ, আসছে শৈত্যপ্রবাহ!