চিকিৎসা সংকটে রংপুরে গুলিবিদ্ধ বাবু মিয়া – ইউ এস বাংলা নিউজ




চিকিৎসা সংকটে রংপুরে গুলিবিদ্ধ বাবু মিয়া

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ | ৭:০৯ 122 ভিউ
সবজি ব্যবসায়ী বাবু মিয়া। এ ব্যবসার আয়ে চলত তার সংসার। ১৯ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গিয়ে পায়ে গুলিবিদ্ধ হন। এর পর থেকে সেই ক্ষত নিয়ে নিজ বাড়িতে চিকিৎসা নিচ্ছেন। যদিও তা যথেষ্ট নয়। তার উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন। কিন্তু অর্থাভাবে তা করতে পারছেন না। তাই পঙ্গুত্ব বরণ করতে চলেছেন তিনি। এখন নিজের ও পরিবারের অজানা ভবিষ্যৎ নিয়ে দিন কাটছে তার। রংপুর মহানগরীর জুম্মাপাড়ার বাসিন্দা বাবু মিয়া। এখনো তার পায়ে একাধিক রাবার বুলেটের স্পি­ন্টার রয়েছে। ক্ষতস্থানে সংক্রমন বেড়েছে। দিনভর স্ত্রী, ছেলে, ছেলের বউ সেবা দিয়ে আসছেন আহত বাবু মিয়াকে। বর্তমানে ঠিকভাবে হাঁটাচলা করতে পারছেন না। অন্যের কাঁধে ভর দিয়ে হাঁটাহাঁটির চেষ্টা করেন। যে

সবজি ব্যবসার ওপর ভর করে বাবু মিয়ার সংসার চলত, তা এখন বন্ধ হয়ে গেছে। আর্থিক সংকটে তার চিকিৎসা হচ্ছে না বলে জানান এ প্রতিবেদককে। ১৯ জুলাই বিকালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে রংপুর সিটি বাজার এলাকায় পুলিশের সঙ্গে ছাত্র-জনতার সংঘর্ষ হয়। এতে পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও পুলিশের সঙ্গে ছাত্র-জনতার দফায় দফায় ধাওয়া-পালটা ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ চলে। ছাত্র-জনতাকে মোকাবিলায় পুলিশ ছররা গুলি, রাবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে। এ পরিস্থিতিতে তড়িঘড়ি করে দোকান বন্ধ করে দেন সিটি বাজারের সবজি বিক্রেতা বাবু মিয়া। এ সময় তিনি হঠাৎ পায়ে আঘাত অনুভব করেন এবং দেখেন পা থেকে রক্ত ঝরছে। পুলিশের

হাত থেকে বাঁচতে তিনি সেই আঘাত নিয়েই দৌড়ে পালিয়ে যান। এরপর বাবু মিয়া বাসায় এসে দেখতে পান তার পায়ে গুলি লেগেছে। পরদিন তিনি রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন। চিকিৎসক তার পা থেকে দুটি স্পি­ন্টার বের করে ওষুধ লিখে দেন। বাবু মিয়ার পায়ের গভীরে আরও কয়েকটি বুলেট রয়েছে, যা বড় ধরনের অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে অপসারণ করা সম্ভব বলে জানান চিকিৎসক। হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফেরার পর দীর্ঘ ৪৬ দিন বিছানায় শুয়ে দিন কাটছে বাবু মিয়ার। পরিবারের সদস্যরা এলাকার কিছু বিত্তবানদের কাছ থেকে সহযোগিতা নিয়ে তাকে ওষুধ কিনে খাওয়াচ্ছেন। বাবু মিয়ার ছেলে আশরাফুল হোসেন বলেন, বাবার পা থেকে দুটি গুলি বের করা হয়েছে। বাকীগুলো

পায়ের বেশি গভীরে থাকায় চিকিৎসকরা বের করেননি। মেডিকেল থেকে বলেছিল, যেসব ওষুধ লেখা হয়েছে, সেগুলো খেলে গুলিগুলো পা থেকে বের হয়ে যাবে। কিন্তু গুলি তো বের হয়নি বরং এখন পায়ের অবস্থা আরও খারাপ হয়েছে। চিকিৎসকরা বলছেন, দেশের বাইরে বাবার অস্ত্রোপচার করালে ক্ষত ভালো হয়ে যাবে। কিন্তু এ চিকিৎসা ব্যয়বহুল হওয়ায় তা সম্ভব হচ্ছে না। এ ব্যাপারে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. আ. ম. আখতারুজ্জামান বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহতদের চিকিৎসায় বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রায় সবাই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। এরপরও কোনো আহত ব্যক্তি হাসপাতালে ভর্তি হলে তাকে সাধ্যমতো চিকিৎসাসেবা দেওয়া হবে।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
জিমে ঘাম ঝরাচ্ছেন ৭০ বছরের বৃদ্ধা, জানালেন ফিট থাকার রহস্য ঢাবির হলে প্রকাশ্য ও গুপ্ত রাজনীতি বন্ধ ঘোষণা কর্তৃপক্ষের নীরবতায় ক্ষুব্ধ তিস্তাপাড়বাসী, নদী গর্ভে শত শত বিঘা জমি অসুস্থ স্ত্রীকে কবর দেওয়ার চেষ্টা স্বামীর, ভিডিও ভাইরাল গাজীপুরে সাংবাদিক তুহিন হত্যায় গ্রেপ্তার ৪ সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে যেসব অঞ্চলে ফাইনালের আগে যুবাদের দুর্দান্ত জয় ডেঙ্গুতে টালমাটাল চট্টগ্রাম মধ্যরাতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভে উত্তাল ঢাবি জুলাইয়ে আবারও বেড়েছে মূল্যস্ফীতি স্ত্রী-সন্তানকে অস্বীকার, কারাগারে ভুয়া ডাক্তার শুল্ক ইস্যুতে বিশ্ববাজারে বাড়ল সোনার দাম মাদুরোকে ধরিয়ে দিলে ৫ কোটি ডলার দেবে যুক্তরাষ্ট্র পোশাক রপ্তানি কমেছে ১২ শতাংশ বিমান থেকে ফেলা ত্রাণ বাক্স মাথায় পড়ে শিশুর মৃত্যু প্রবাসীদের জন্য সুখবর গরম নিয়ে দুঃসংবাদ আবহাওয়া অফিসের এস আলমের ২০০ কোটি টাকার সম্পদ ক্রোক রাখার নির্দেশ মেঘনায় নিখোঁজের ১৯ ঘণ্টা পর শিশুর লাশ উদ্ধার ২২ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠাল ভারত