কালোটাকা সাদার বিধান বাতিলের ভাবনা – ইউ এস বাংলা নিউজ




কালোটাকা সাদার বিধান বাতিলের ভাবনা

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ৪ জুন, ২০২৫ | ৫:১০ 13 ভিউ
প্রস্তাবিত (২০২৫-২৬) বাজেটে কালোটাকা সাদা করার যে সুযোগ রাখা হয়েছে সেই বিধানটি বাতিল করার বিষয়ে চিন্তাভাবনা চলছে। মঙ্গলবার বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ এ কথা বলেন। ‘আমরা বলছি না-কালোটাকা সাদা করার সুযোগ দিয়ে ভালো কিছু করে ফেলছি’-এমন মন্তব্যও করেন অর্থ উপদেষ্টা। তিনি বলেন, অনেকের বক্তব্য ঢালাওভাবে কালোটাকা সাদার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। তবে এটি ঠিক নয়। কালোটাকা পেলে বাজেট সহায়তার জন্য আইএমএফ’র কাছে যেতে হতো না। তিনি বলেন, টাকা পাচারকারীরা অনেক বুদ্ধিমান। তারা বিভিন্ন স্থান ঘুরিয়ে এসব টাকা পাচার করেছে। ইতোমধ্যে ১২টি মামলায় শনাক্ত হয়েছে, আরও একটু সময় লাগবে এসব অর্থ ফেরত আনতে। প্রস্তাবিত বাজেটে

কথার ফুলঝুরি নেই, এটি জনবান্ধব-ব্যবসাবান্ধব বাজেট বলে উল্লেখ করেন। অর্থ উপদেষ্টা বলেন, দেশ খাদের কিনারায় চলে গেছে, আর্থিক অবস্থা খুবই ভঙ্গুর, এমন ক্রান্তিকালে আমরা দেশের দায়িত্ব নিয়েছি, ক্ষমতা গ্রহণ করিনি। সংস্কার কার্যক্রম চলবে, এটি চলমান। পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, ঋণ নিয়ে ঋণ পরিশোধের দুষ্টচক্র থেকে বেরিয়ে আসা এক বাজেটে সম্ভব হবে না। এর জন্য কয়েকটি বাজেটের প্রয়োজন। আমরা শুরুটা করে যাচ্ছি। সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান অর্থ উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, যেহেতু কালোটাকা সাদা প্রসঙ্গে কথা উঠছে, আমরা আলাপ-আলোচনা করে এ বিষয়ে চিন্তা করতে পারি। তিনি বলেন, গত আগস্টে এ সংক্রান্ত একটি বিধান বাতিল করা

হয়েছে। একটি বিধানের মেয়াদ শেষ হবে ৩০ জুন। এর মেয়াদ বাড়ানো হয়নি। এর বাইরে ভিন্ন একটি বিধান আছে সেটাও দুভাগ করা হয়েছে। এরপরও যেহেতু এ বিষয়ে কথা উঠছে। আমরা আলাপ-আলোচনা করে চিন্তা করতে পারি। প্রসঙ্গত, প্রস্তাবিত বাজেটে অর্থ উপদেষ্টা জমি ও ফ্ল্যাট কেনায় কালোটাকা সাদা করার একটি বিধান রাখেন। গত সোমবার অর্থ উপদেষ্টা ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণা করেন। এরপর থেকে বিভিন্ন মহলে সমালোচনা শুরু হয়। বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনেও এ সংক্রান্ত নানা প্রশ্নের জবাব দিতে হয়েছে অর্থ উপদেষ্টা এবং এনবিআর চেয়ারম্যানকে। রাজধানীর ওসমানী মিলনায়তনে বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে অর্থ বিভাগ। প্রতিবছরই বাজেট ঘোষণার পরদিন এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে এবার

অর্থ উপদেষ্টা বাজেটের নানা বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছেন। সংবাদ সম্মেলনে পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর, এনবিআর চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান, অর্থসচিব ড. মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদার বক্তব্য রাখেন। কালোটাকা সাদার সুযোগ দেওয়ার ব্যাখ্যা দিয়ে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, এর দুটি দিক আছে। একটি হচ্ছে এসব অর্থ ফ্ল্যাট ও জমিতে বিনিয়োগ হলে এর থেকে সরকার কর পাবে। অপরটি হচ্ছে বৈধ আয় প্রদর্শনের সুযোগ পেলে সেটি অর্থনীতিতে যোগ হবে। ব্যাংক খাত ভঙ্গুরতার কথা তুলে ধরে সালেহউদ্দিন বলেন, পৃথিবীর কোনো দেশে দেখেছেন আমানতকারীদের ৭০ শতাংশ টাকা নিয়ে চলে গেছে ব্যাংকের

মালিক। এ ধরনের লুটপাট বিশ্বে কমই হয়েছে। এগুলো প্রতিরোধ করতে আইন করার চেষ্টা করছি। তবে আমানতকারীদের অর্থ খেয়ানত হবে না এর নিশ্চয়তা ইতোমধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর দিয়েছেন। প্রস্তাবিত বাজেটে কথার ফুলঝুরি নেই উলে­খ করে তিনি বলেন, এটি জনবান্ধব-ব্যবসাবান্ধব বাজেট। ব্যাংক খাতের নাজুক অবস্থা, ঊর্ধ্বমুখী মূল্যস্ফীতি, রাজস্ব খাত, পুঁজিবাজার, অস্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও আইনশৃঙ্খলা অবনতির মতো চ্যালেঞ্জ মাথায় নিয়ে বাজেট প্রণয়ন করা হয়েছে। বাস্তবমুখী, বাস্তবায়নযোগ্য যেন হয় সেভাবে বাজেট প্রণয়ন করা হয়েছে। এত শুনেছি প্রবৃদ্ধি হচ্ছে, কিন্তু এর সুফলটা কে পেয়েছে পালটা প্রশ্ন তোলেন অর্থ উপদেষ্টা বলেন, এর সুফল কারও কাছে পৌঁছেনি। প্রবৃদ্ধি দরকার থাকলেও সেখান থেকে বেরিয়ে মানুষের জীবনযাত্রার মান

উন্নয়ন ও সহজ, ক্রয়ক্ষমতা বাড়ে সেভাবে বাজেট দেওয়া হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে ড. সালেহউদ্দিন তার বক্তব্যে বলেন, দেশ খাদের কিনারায় চলে গেছে, আর্থিক অবস্থা খুবই ভঙ্গুর-এমন ক্রান্তিকালে আমরা দেশের দায়িত্ব নিয়েছি, ক্ষমতা গ্রহণ করিনি। সংস্কার কার্যক্রম চলবে, এটি চলমান। সীমিত সম্পদ ও বেশি চাহিদার মধ্যে বাজেট প্রণয়ন করা হয়েছে। আমরা বাজেটের মাধ্যমে পদচিহ্ন রেখে যাচ্ছি-আগামীতে যারা আসবে তারা অনুসরণ করবে। ওই সময় না অনুসরণ করলে জবাবদিহিতার মধ্যে পড়বে। সংবাদ সম্মেলনে পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, ভঙ্গুর অর্থনীতি থেকে তুলে এনে স্থিতিশীল অর্থনীতির জন্য প্রস্তাবিত বাজেট একটি বাস্তবমুখী মিতব্যয়ী বাজেট। তিনি বলেন, ঋণ নিয়ে ঋণ পরিশোধের দুষ্টচক্র থেকে বেরিয়ে আসা এক বাজেটে হবে

না। এর জন্য কয়েকটি বাজেটের প্রয়োজন হবে। আমরা শুরুটা করে যাচ্ছি। উন্নয়ন কাজের দুর্নীতির উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, সড়ক-মহাসড়কের উন্নয়ন ও নির্মাণকাজ সব সময় তিন থেকে চারটি কোম্পানির কাছে যাচ্ছে। কারণ এমনভাবে দরপত্র প্রক্রিয়া করেছে ফলে ঘুরেফিরে তারাই কাজ পাচ্ছে। এখন চলমান প্রকল্পে দুর্নীতি ও অপচয়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সিস্টেম দাঁড় করানো হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, ব্যয়বহুল হলেও এলএনজি আমদানি করার পাশাপাশি গ্যাসক‚প খননে কোনো গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। গ্যাসক‚প খননের অনেক প্রকল্প ধরে রাখা হয়েছে। প্রস্তাবিত বাজেটে বৈষম্য কমাতে শিক্ষা, স্বাস্থ্য বাজেটের দিকে নজর দেওয়া হয়েছে। প্রকল্প প্রসঙ্গে তিনি বলেন, চলতি অর্থবছরও প্রস্তাবিত বাজেটে ১১১৩টি উন্নয়ন প্রকল্পের মধ্যে ২০ থেকে ৩০টি বাদে সবগুলো আগের সরকারের নেওয়া। অধিকাংশই রাজনৈতিক বিবেচনায় নেওয়া হয়। ওই সময় অর্থ সংস্থানের বিষয়টি বিবেচনায় নেওয়া হয়নি। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, ৬৫ টাকায় গ্যাস আমদানি করে বিক্রি করছি ৩০ টাকায়। এখানে একটি অপ্রয়োজনীয় কর ছিল সেটি সংস্কার করা হয়েছে। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে এলপিজি গ্যাস, জ্বালানি তেলের মূল্য কমানোকে আমরা সমর্থন করছি। কারণ এর ফলে পণ্য পরিবহণ ভাড়া কমবে। সড়ক ও মহাসড়কে চাঁদাবাজি বন্ধের পদক্ষেপ নিচ্ছি। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে কোনো পদক্ষেপ দৃর্শ্যমান নেই বাজেটে-এমন প্রশ্নের জবাবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেন, মুদ্রাবিনিয়ম হার স্থিতিশীল রাখা প্রধান চ্যালেঞ্জ ছিল যা এখন হয়েছে। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের যুদ্ধে হেরেই যেতাম যদি এটি করা না হতো। গত সাত থেকে আট মাস ডলারের মূল্য ১২২ ও ১২৩ টাকার মধ্যে থাকায় একটি স্বস্তি আছে। এর মাধ্যমে একটি আস্থা তৈরি হয়েছে যে, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আসবে। বিশ্ববাজারে নিত্যপণ্য, তেল ও গ্যাসের মূল্য কমছে। এর ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। সব মিলে আশাবাদী অর্থনীতির চালিকাশক্তি বৈদেশিক মুদ্রা সরবরাহ ঠিক থাকবে, সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি থাকবে। মূল্যস্ফীতি ৭ শতাংশের মধ্যে নেমে এলে সুদহার কমিয়ে আনা হবে। আগামী জুলাই বা সেপ্টেম্বরের মধ্যে সেখানে যেতে পারব বলে প্রত্যাশা করছি। কালোটাকা সাদা করার বিধান কতটা যুক্তিসঙ্গত হয়েছে সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাব দিতে অর্থ উপদেষ্টা নির্দেশ দেন এনবিআর চেয়ারম্যানকে। ফ্লোর নিয়ে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ১৫ শতাংশ কর দিয়ে যে বিধান ছিল কালোটাকা সাদা করার সেটি গত আগস্টেই বাতিল করা হয়। এর বাইরে ৩০ জুন পর্যন্ত কালোটাকা সাদা করার আরও একটি বিধানের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। সেটি নতুন করে সময় বাড়ানো হয়নি। সেটি হলো যদি কেউ জমি, ফ্ল্যাট বা বাড়ি ক্রয় করে তাকে এনবিআর বা অন্য কোনো কর্তৃপক্ষ প্রশ্ন করবে না। এর বাইরে ভিন্ন একটি বিধান আছে একটি নির্দিষ্ট অঙ্কের কর দিয়ে ফ্ল্যাট বা জমি কিনলে এনবিআর প্রশ্ন করত না। সেটি এবার দুটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। যারা নিজের জমিতে বাড়ি করবে তারা একটি নির্দিষ্ট অঙ্কের কর দিলে তাদের ক্ষেত্রে প্রদর্শিত অর্থের ব্যাপারে এনবিআর মেনে নেবে। এর মানে এনবিআরের বাইরে অন্য কোনো কর্তৃপক্ষও প্রশ্ন করতে পারে না। অবশ্য প্রশ্ন তুলতে পারবে। এক্ষেত্রে কর পরিশোধের হার দ্বিগুণ করে দেওয়া হয়েছে। দ্বিতীয় পদক্ষেপ ফ্ল্যাট ও প্লট ক্রয়ের ক্ষেত্রে করহার পাঁচগুণ করে দিয়েছি যা আগে ছিল না। এনবিআর চেয়ারম্যান আরও বলেন, প্রস্তাবিত বাজেটে নিত্যপণ্যে করের বোঝা কমানো হয়েছে। রাজস্ব আদায় বাড়ানোর জন্য কর শুধু নয়, স্থানীয় শিল্প সুরক্ষা দিতেও পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। অর্থসচিব ড. মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদার বলেন, ব্যাংক খাত থেকে পর্যায়ক্রমে কমিয়ে বিকল্প খাত থেকে ঋণ নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। নন-ব্যাংকিং খাত থেকে ঋণ নেওয়ার চেষ্টা করছি। কর্মসংস্থান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বর্তমান সরকার অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছে। ইতোমধ্যে সরকারের সব শূন্য পদ পূরণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিশেষ বিসিএসসের উদ্যোগ, কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে স্টার্টআপ ফান্ডে একশ কোটি টাকা বরাদ্দ, নারীদের কর্মসংস্থানে ১২৫ কোটি টাকা, উদ্যোক্তা তৈরিতে একশ কোটি টাকা ফান্ড বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
প্রস্তুত জাতীয় ঈদগাহ, ঈদের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৭টায় ‘বিচারকদের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ ছিল ষোড়শ সংশোধনী মামলার মূল উদ্দেশ্য’ প্রস্তুত ২০ হাজার কর্মী, কুরবানির বর্জ্য দিনেই সরাতে চায় ঢাকার দুই সিটি গণতান্ত্রিক রূপান্তর ও সংস্কার প্রক্রিয়া নিয়ে এনসিপি ও চীনা রাষ্ট্রদূতের মধ্যে সংলাপ পবিত্র হজের খুতবা দিলেন ড. সালেহ আল হুমাইদ গাজার পথে গ্রেটা, যা বলল ইসরাইল কুরবানির পশু কেনার পর শরিকের সংখ্যা বাড়ানো যাবে কি? যে কারণে কুরবানি না করার আদেশ দিল মরক্কো সরকার শরিকি কুরবানিতে কেউ হারাম টাকায় অংশ নিলে কুরবানি হবে কি? ‘স্বপ্ন যাবে বাড়ি আমার’, হয় না সত্যি সবার দুই ভাতিজিকে কুপিয়ে হত্যা, ঘাতক চাচা গ্রেপ্তার খোলা ট্রাক-পিকআপে ঝুঁকি নিয়ে বাড়ি ফিরছে মানুষ জেনেভা ক্যাম্প থেকে ৪ বস্তা টাকা উদ্ধার ফিরতি ঈদযাত্রায় আজ মিলবে ১৫ জুনের টিকিট আজ যেমন থাকবে ঢাকার আবহাওয়া নেতানিয়াহু ও ইসরায়েল এখন বিশ্বদৃষ্টিতে বিতর্কিত : জরিপ যে নফল রোজা মুছে দেয় দুই বছরের গুনাহ পাকিস্তানে যৌথ অভিযানে খতম ১৪ ‘ভারতীয় মদতপুষ্ট’ সন্ত্রাসী শাহজালালে বিশৃঙ্খলা, যাত্রীর ক্ষোভ নিয়ে মুখ খুলল বেবিচক ১৬ জেলায় সতর্কতা