ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর
যুবককে নির্যাতনের পর মাথা ন্যাড়া, ভিডিও ভাইরাল
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে যুবদলের সাবেক সভাপতিকে গুলি
ইয়াবা-ককটেল দিয়ে ফাঁসাতে গিয়ে ফাঁসলেন তিন বন্ধু
উপদেষ্টা রিজওয়ানার প্রভাবে পিতা ‘মন্দির কমিটির সভাপতি’ হওয়ায় চাকরি হয়নি হিন্দুপ্রার্থীর
ফরিদপুরে ‘ইসলাম পরিপন্থী’ আখ্যায় ঐতিহ্যবাহী বিচারগানের আসর বন্ধ, প্রশাসনের হস্তক্ষেপে ক্ষোভ
‘তোমার রব কে?’ প্রশ্নের উত্তর না দেওয়ায় দাদির শিরশ্ছেদ করল উগ্রবাদী নাতি
পাবনার ফরিদপুরে চায়না দুয়ারী জাল জব্দ করে পোড়ানো হল
একই মাদ্রাসার ৫ শিক্ষার্থীকে বলাৎকার, জানাজানি হতেই পালালেন হাফেজ
ঢাকার নবাবগঞ্জের মুসলিহুল উম্মাহ মাদানী মাদ্রাসার ৫ শিশু শিক্ষার্থীকে বলাৎকারের ঘটনায় থানায় মামলা করেছে এক অভিভাবক। ঘটনা জানাজানি হতেই পালিয়ে গেছেন অভিযুক্ত শিক্ষক।
গতকাল ২৪শে অক্টোবর, শুক্রবার রাত ১২টার দিকে নবাবগঞ্জ থানায় ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে বলাৎকারের ঘটনায় ধর্ষণের মামলা দায়ের হয়।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ওই মাদ্রাসা শিক্ষক হাজেফ মো. ওয়াসিমের বিরুদ্ধে আরো কয়েকজন শিশুকে বলাৎকার করা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
অভিযুক্ত শিক্ষকের নাম মো. ওয়াসিম। তিনি উপজেলার যন্ত্রাইল গ্রামের হাজী মুকবুলের ছেলে। ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর থেকেই ওই শিক্ষক পলাতক।
মামলার এজাহার ও ভুক্তভোগীর পরিবার সূত্রে জানা যায়, মুসলিহুল উম্মাহ মাদানী মাদ্রাসার শিক্ষক হাজেফ মো. ওয়াসিম মাঝে মাঝেই শিশু শিক্ষার্থীকে নিজের
শয়নকক্ষে ডেকে নিয়ে জোরপূর্বক বলাৎকার করতেন। রাজি না হলে ভয়-ভীতি দেখানো হতো এবং শারীরিক নির্যাতন করা হতো। গত ১৫ই অক্টোবর প্রথম শ্রেণির এক শিশু এ কারণে মাদ্রাসায় যেতে চায়নি। তখন তার মা বারবার জানতে চায় কেন যেতে চাইছে না। পরে শিশুটি কান্না করে ওই শিক্ষকের অনৈতিক কাজ সম্পর্কে তার মাকে জানায়। এ ঘটনা এলাকায় জানাজানি হলে একই গ্রামের আরো ৪ শিশুর পরিবার একই অভিযোগ করে। তাদেরকে শিশুদেরও ওই শিক্ষক বলাৎকার করেছে বলে জানান অভিভাবকরা। এ নিয়ে এলাকায় বেশ আলোড়ন সৃষ্টি হলে উত্তেজিত লোকজন মাদ্রাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেন। ঘটনা টের পেয়ে অভিযুক্ত হাজেফ মো. ওয়াসিম গত ২০শে অক্টোবর রাতে পালিয়ে যান। সরেজমিনে দেখা
যায়, ঘটনার পর থেকে মাদ্রাসাটি বন্ধ রয়েছে। কয়েকজন শিশু প্রতিবেদককে জানান, এসব ঘটনা কাউকে না বলতে হুজুর নিষেধ করেছে। বললে মারবে বলে ভয় দেখানো হয়েছে। এ ঘটনায় নবাবগঞ্জ থানার ওসি মমিনুল ইসলাম বলেন, এক শিক্ষার্থীর মায়ের অভিযোগ পেয়ে শুক্রবার রাতে মামলা নেয়া হয়েছে। ওই মাদ্রাসা শিক্ষককে ধরতে পুলিশ কাজ করছে। তবে একই প্রতিষ্ঠানের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে অপরাধের ঘটনা বিধায় অন্য ঘটনাগুলোর জন্য পৃথক মামলা নেয়া হয়নি বলে জানান তিনি।
শয়নকক্ষে ডেকে নিয়ে জোরপূর্বক বলাৎকার করতেন। রাজি না হলে ভয়-ভীতি দেখানো হতো এবং শারীরিক নির্যাতন করা হতো। গত ১৫ই অক্টোবর প্রথম শ্রেণির এক শিশু এ কারণে মাদ্রাসায় যেতে চায়নি। তখন তার মা বারবার জানতে চায় কেন যেতে চাইছে না। পরে শিশুটি কান্না করে ওই শিক্ষকের অনৈতিক কাজ সম্পর্কে তার মাকে জানায়। এ ঘটনা এলাকায় জানাজানি হলে একই গ্রামের আরো ৪ শিশুর পরিবার একই অভিযোগ করে। তাদেরকে শিশুদেরও ওই শিক্ষক বলাৎকার করেছে বলে জানান অভিভাবকরা। এ নিয়ে এলাকায় বেশ আলোড়ন সৃষ্টি হলে উত্তেজিত লোকজন মাদ্রাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেন। ঘটনা টের পেয়ে অভিযুক্ত হাজেফ মো. ওয়াসিম গত ২০শে অক্টোবর রাতে পালিয়ে যান। সরেজমিনে দেখা
যায়, ঘটনার পর থেকে মাদ্রাসাটি বন্ধ রয়েছে। কয়েকজন শিশু প্রতিবেদককে জানান, এসব ঘটনা কাউকে না বলতে হুজুর নিষেধ করেছে। বললে মারবে বলে ভয় দেখানো হয়েছে। এ ঘটনায় নবাবগঞ্জ থানার ওসি মমিনুল ইসলাম বলেন, এক শিক্ষার্থীর মায়ের অভিযোগ পেয়ে শুক্রবার রাতে মামলা নেয়া হয়েছে। ওই মাদ্রাসা শিক্ষককে ধরতে পুলিশ কাজ করছে। তবে একই প্রতিষ্ঠানের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে অপরাধের ঘটনা বিধায় অন্য ঘটনাগুলোর জন্য পৃথক মামলা নেয়া হয়নি বলে জানান তিনি।



