
ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর

পাচার সম্পদ ফেরাতে কৌশলী সরকার

কালো টাকা সাদা করার সুযোগ বন্ধ হতে পারে

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন: নগদের মাধ্যমে সরকারি ভাতার ১৭১১ কোটি টাকা উধাও

ঈদুল আজহায় ৯১ লাখের বেশি পশু কোরবানি, অবিক্রিত ৩৩ লাখ

ছুটির মধ্যেও যেসব এলাকায় বুধ-বৃহস্পতিবার ব্যাংক খোলা

নতুন নোট নিচ্ছে না এটিএম বুথ

সরকার বাড়িয়ে দিলেও চামড়ায় এবারও কাঙ্ক্ষিত দাম মেলেনি
ইউনূস সরকারের মুদ্রানীতির ফল: ব্যাংক থেকে আমানত তুলে নিচ্ছেন গ্রাহকরা, নগদ অর্থের প্রবাহ বেড়েছে বাইরে

ইউনূস সরকারের মুদ্রানীতির প্রেক্ষাপটে দেশের ব্যাংকিং খাতে আস্থাহীনতা, অস্থিতিশীলতা বেড়েই চলছে। যার প্রত্যক্ষ প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে মানুষের হাতে নগদ টাকার পরিমাণ বৃদ্ধিতে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ প্রতিবেদনে দেখা গেছে, চলতি বছরের মার্চ মাসেই ব্যাংকের বাইরে নগদ টাকার পরিমাণ বেড়েছে প্রায় ২৫ হাজার কোটি টাকা। যা এক মাসের ব্যবধানে এক বড় ধরনের পরিবর্তন। সরকারের মুদ্রানীতির কারণেই ব্যাংক থেকে এই টাকা তুলে নিয়েছেন গ্রাহকরা। এই অবস্থায় সরকার টাকা ছাপিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছে।
সরকার কয়েকটি শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংককে একীভূত করার উদ্যোগ নেয়। এই সিদ্ধান্ত ঘিরে আতঙ্কে পড়ে সাধারণ মানুষ। অনেকেই ব্যাংক থেকে আমানত তুলে ঘরে নগদ রাখতে শুরু করেন। এছাড়া গত বছরের ৫ই আগস্টের
পর ব্যাংক দখল করে নানাভাবে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনায়ও গ্রাহকরা নিজেদের টাকা তুলে নিচ্ছেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, জানুয়ারিতে ব্যাংকের বাইরে নগদ টাকার পরিমাণ ছিল ২ লাখ ৭৪ হাজার ২৩০ কোটি টাকা, ফেব্রুয়ারিতে তা আরও কমে হয় ২ লাখ ৭১ হাজার ৪৯৫ কোটি টাকা। অথচ মার্চে এটি লাফিয়ে বেড়ে দাঁড়ায় ২ লাখ ৯৬ হাজার ৪৩১ কোটি টাকায়। এ সময়ে রিজার্ভ মানি বা ছাপানো টাকার পরিমাণও বেড়েছে। জানুয়ারিতে ছাপানো টাকা ছিল ৩ লাখ ৭৮ হাজার ৭০৮ কোটি টাকা, যা মার্চে দাঁড়ায় ৪ লাখ ২ হাজার ৭৩৩ কোটি টাকায়। বাজারে প্রচলিত টাকার পরিমাণও বেড়ে দাঁড়ায় ৩ লাখ ২১ হাজার ১৬০ কোটি টাকায়, যা
পূর্ববর্তী মাসগুলোর তুলনায় অনেক বেশি। বিশ্লেষকদের মতে, এই প্রবণতা একদিকে যেমন ব্যাংক খাতে মানুষের আস্থার ঘাটতির ইঙ্গিত দেয়, অন্যদিকে অর্থনীতির সংকট আরও ঘনীভূত করছে। কারণ, নগদ অর্থ ব্যাংকিং ব্যবস্থার বাইরে চলে গেলে তারল্য সংকট বাড়ে, বিনিয়োগ ব্যাহত হয় এবং মুদ্রানীতি বাস্তবায়ন কঠিন হয়ে পড়ে। যার সবকটিই বাংলাদেশের অর্থনীতিতে দেখা যাচ্ছে। বর্তমানে সরকার যে মুদ্রানীতি অনুসরণ করছে, তাকে অর্থনীতিবিদরা ‘নন প্রগ্রেসিভ’ বলছেন। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের অজুহাতে ঋণের সুদহার বৃদ্ধি, টাকা ছাপানোর ওপর নিয়ন্ত্রণ আরোপ এবং সমস্যা জর্জরিত ব্যাংকগুলোর একীভূতকরণের মতো পদক্ষেপ নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে এই মুদ্রানীতি অর্থনীতির ওপর একপ্রকার দ্বিমুখী চাপ সৃষ্টি করেছে। নতুন ব্যাংক গঠনের উদ্দেশ্যে পাঁচটি শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংক—ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, গ্লোবাল
ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক এবং এক্সিম ব্যাংককে একীভূত করা হচ্ছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি ব্যাংকের নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, “নগদ টাকার ওঠানামা বাজারের স্বাভাবিক বাস্তবতা হলেও আতঙ্ক থেকে মানুষ যখন হঠাৎ করে ব্যাংক থেকে টাকা তুলে নেয়, সেটা অর্থনীতির জন্য অশনিসংকেত। এ ক্ষেত্রে সরকার দায় এড়াতে পারেনা।” সরকারের এমন আর্থিক কৌশল ও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার মাঝে ব্যাংক খাতের সংকট আরও প্রকট হচ্ছে। একদিকে জনগণের হাতে নগদ টাকার প্রবাহ বাড়ছে, অন্যদিকে ব্যাংকের তারল্য সংকটও গভীর হচ্ছে—যা এক অস্থির অর্থনৈতিক ভবিষ্যতের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
পর ব্যাংক দখল করে নানাভাবে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনায়ও গ্রাহকরা নিজেদের টাকা তুলে নিচ্ছেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, জানুয়ারিতে ব্যাংকের বাইরে নগদ টাকার পরিমাণ ছিল ২ লাখ ৭৪ হাজার ২৩০ কোটি টাকা, ফেব্রুয়ারিতে তা আরও কমে হয় ২ লাখ ৭১ হাজার ৪৯৫ কোটি টাকা। অথচ মার্চে এটি লাফিয়ে বেড়ে দাঁড়ায় ২ লাখ ৯৬ হাজার ৪৩১ কোটি টাকায়। এ সময়ে রিজার্ভ মানি বা ছাপানো টাকার পরিমাণও বেড়েছে। জানুয়ারিতে ছাপানো টাকা ছিল ৩ লাখ ৭৮ হাজার ৭০৮ কোটি টাকা, যা মার্চে দাঁড়ায় ৪ লাখ ২ হাজার ৭৩৩ কোটি টাকায়। বাজারে প্রচলিত টাকার পরিমাণও বেড়ে দাঁড়ায় ৩ লাখ ২১ হাজার ১৬০ কোটি টাকায়, যা
পূর্ববর্তী মাসগুলোর তুলনায় অনেক বেশি। বিশ্লেষকদের মতে, এই প্রবণতা একদিকে যেমন ব্যাংক খাতে মানুষের আস্থার ঘাটতির ইঙ্গিত দেয়, অন্যদিকে অর্থনীতির সংকট আরও ঘনীভূত করছে। কারণ, নগদ অর্থ ব্যাংকিং ব্যবস্থার বাইরে চলে গেলে তারল্য সংকট বাড়ে, বিনিয়োগ ব্যাহত হয় এবং মুদ্রানীতি বাস্তবায়ন কঠিন হয়ে পড়ে। যার সবকটিই বাংলাদেশের অর্থনীতিতে দেখা যাচ্ছে। বর্তমানে সরকার যে মুদ্রানীতি অনুসরণ করছে, তাকে অর্থনীতিবিদরা ‘নন প্রগ্রেসিভ’ বলছেন। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের অজুহাতে ঋণের সুদহার বৃদ্ধি, টাকা ছাপানোর ওপর নিয়ন্ত্রণ আরোপ এবং সমস্যা জর্জরিত ব্যাংকগুলোর একীভূতকরণের মতো পদক্ষেপ নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে এই মুদ্রানীতি অর্থনীতির ওপর একপ্রকার দ্বিমুখী চাপ সৃষ্টি করেছে। নতুন ব্যাংক গঠনের উদ্দেশ্যে পাঁচটি শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংক—ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, গ্লোবাল
ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক এবং এক্সিম ব্যাংককে একীভূত করা হচ্ছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি ব্যাংকের নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, “নগদ টাকার ওঠানামা বাজারের স্বাভাবিক বাস্তবতা হলেও আতঙ্ক থেকে মানুষ যখন হঠাৎ করে ব্যাংক থেকে টাকা তুলে নেয়, সেটা অর্থনীতির জন্য অশনিসংকেত। এ ক্ষেত্রে সরকার দায় এড়াতে পারেনা।” সরকারের এমন আর্থিক কৌশল ও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার মাঝে ব্যাংক খাতের সংকট আরও প্রকট হচ্ছে। একদিকে জনগণের হাতে নগদ টাকার প্রবাহ বাড়ছে, অন্যদিকে ব্যাংকের তারল্য সংকটও গভীর হচ্ছে—যা এক অস্থির অর্থনৈতিক ভবিষ্যতের ইঙ্গিত দিচ্ছে।