অপহরণ নয়, পুরোটাই নাটক! মুফতি মুহিব্বুল্লাহ নিজেই নিজের ‘অপহরণ’ সাজিয়েছেন, পুলিশ বলছে—অভিযুক্ত হবেন খতিবই – ইউ এস বাংলা নিউজ




ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আপডেটঃ ২৮ অক্টোবর, ২০২৫
     ৭:৪৩ পূর্বাহ্ণ

অপহরণ নয়, পুরোটাই নাটক! মুফতি মুহিব্বুল্লাহ নিজেই নিজের ‘অপহরণ’ সাজিয়েছেন, পুলিশ বলছে—অভিযুক্ত হবেন খতিবই

মুফতি মুহিব্বুল্লাহর দাবি করা অপহরণের ঘটনায় সিসিটিভি ফুটেজ, মোবাইল ট্র্যাকিং এবং চিকিৎসকের রিপোর্টে চরম অসঙ্গতি। তদন্ত শেষে এই খতিবের বিরুদ্ধেই অভিযোগপত্র দিতে চলেছে পুলিশ।

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ২৮ অক্টোবর, ২০২৫ | ৭:৪৩ 60 ভিউ
গাজীপুরের টঙ্গীর টিঅ্যান্ডটি কলোনি জামে মসজিদের খতিব মুফতি মোহাম্মদ মুহিব্বুল্লাহ মিয়াজীর ‘অপহরণের’ ঘটনাটি শেষ পর্যন্ত নাটক হিসেবেই প্রমাণিত হতে চলেছে। গত ২২ অক্টোবর সকাল ৭টায় তাকে টঙ্গী থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে পরদিন পঞ্চগড়ে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় উদ্ধারের চাঞ্চল্যকর দাবি করেছিলেন এই খতিব। তবে দেশকাল নিউজ ডটকমের অনুসন্ধানে প্রাপ্ত সিসিটিভি ফুটেজ, পুলিশের তদন্ত এবং পঞ্চগড়ের সিভিল সার্জনের বক্তব্য অনুযায়ী—মুহিব্বুল্লাহর অপহরণের দাবি মিথ্যা এবং পুরো ঘটনাটিই সাজানো। তদন্ত সংশ্লিষ্ট একাধিক পুলিশ কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন, ৬০ বছর বয়সী এই খতিবকে কেউ অপহরণ করেনি। এমনকি অপহরণের দাবি করে তিনি যে ধারায় মামলা করেছেন, সেই ধারায় তদন্ত শেষে খতিব মুহিব্বুল্লাহর বিরুদ্ধেই অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দেওয়া হবে। "তিনি নিজেই নিজের

পায়ে শিকল লাগিয়েছেন" ঘটনাটির তদন্তের সঙ্গে সম্পৃক্ত গাজীপুর পুলিশের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা দেশকাল নিউজ ডটকমকে নিশ্চিত করেছেন, মুহিব্বুল্লাহ মিয়াজী নিজেকে অপহরণের নাটক সাজিয়েছেন। ওই পুলিশ কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, “মুহিব্বুল্লাহ নিজেই নিজের পায়ের সঙ্গে শিকল লাগিয়ে শুয়ে ছিলেন। সেসব কিছু নিজে করেছে। তাকে পঞ্চগড় কেউ নেয় নাই। সে নিজের মামলায় নিজেই আসামি হবে।” তিনি আরও যোগ করেন, খতিব যে নির্যাতনের বর্ণনা দিয়েছেন, সেই অনুযায়ী তার শরীরে আঘাতের কোনো দাগ নেই। পুলিশ বলছে, এই ঘটনা সাজানোর সব ভিডিও প্রমাণ তাদের হাতে রয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজই প্রধান প্রমাণ মুহিব্বুল্লাহ মিয়াজী গত ২২ অক্টোবর সকাল ৭টায় টঙ্গীর শিলমুন এক্সিস লিংক সিএনজি ফিলিং অ্যান্ড কনভার্সন সেন্টারের সামনে

থেকে একটি অ্যাম্বুলেন্সে তুলে নেওয়ার দাবি করেছিলেন। কিন্তু দেশকাল নিউজ ডটকমের হাতে আসা একাধিক সিসিটিভি ফুটেজ তার সেই দাবিকে সরাসরি মিথ্যা প্রমাণ করেছে। ফুটেজে যা দেখা যায়: দ্রুত হেঁটে যাওয়া: সকাল ৭টা ১৮ মিনিটে মুহিব্বুল্লাহকে কথিত অপহরণের স্থান—শিলমুন সিএনজি ফিলিং স্টেশনের সামনে দিয়ে দ্রুত গতিতে হেঁটে যেতে দেখা যায়। তার সঙ্গে কেউ ছিল না। অ্যাম্বুলেন্স অনুপস্থিতি: তিনি যে সময়ের কথা বলেছেন, তার ১০ মিনিট পরেও ঘটনাস্থলে কোনো অ্যাম্বুলেন্সের দেখা মেলেনি। দীর্ঘ পথ অতিক্রম: সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, ৬টা ৫৪ মিনিটে মসজিদ থেকে রওনা হওয়ার পর তিনি হেঁটে প্রায় দুই কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে ফিলিং স্টেশনে পৌঁছান। এরপরও তিনি আরও প্রায় এক কিলোমিটার দ্রুত হেঁটে সিসিটিভি

ক্যামেরার আওতা পার হয়ে যান। পুলিশের এক কর্মকর্তা জানান, দীর্ঘ পথ হেঁটে সিসিটিভি ক্যামেরার আড়াল হয়ে মুহিব্বুল্লাহ নিজেই যানবাহনে উঠে চলে গেছেন। মোবাইল ফোন ট্র্যাকিং করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জানতে পেরেছে, তিনি প্রথমে সিরাজগঞ্জ এবং পরে সেখান থেকে পঞ্চগড় যান। ফিলিং স্টেশনের ব্যবস্থাপক মো. সোলেইমানও নিশ্চিত করেছেন, পুলিশকে তারা ফুটেজ দিয়েছেন এবং ফুটেজে হুজুরকে একাই হেঁটে যেতে দেখা গেছে, অপহরণের কোনো ঘটনা ঘটেনি। মারধরের চিহ্নও মিথ্যা মুহিব্বুল্লাহ তার বক্তব্যে দাবি করেছিলেন, তাকে টানা নির্যাতন করা হয়েছে এবং কাচের বোতলে পানি ভরে আঘাত করা হয়েছে। এই বিষয়েও অসঙ্গতি পাওয়া গেছে চিকিৎসকের বক্তব্যে। পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে তাকে চিকিৎসা দেওয়া হয়। জেলার সিভিল সার্জন মো. মিজানুর রহমান দেশকাল

নিউজ ডটকমকে বলেন, “আপনি যদি জানতে চান, শরীরে আঘাতের চিহ্ন ছিল কি না, যা থেকে নিশ্চিত হওয়া যায় যে উনাকে মারধর করা হয়েছে? না, তেমন কিছু আমরা পাইনি।” সিভিল সার্জন আরও জানান, ব্যথা অনুভব করার কথা বলায় তাকে ব্যথানাশক ওষুধ দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু দৃশ্যমান কোনো জখম বা আঘাতের চিহ্ন ছিল না। হুমকির চিঠি: নাটকের নেপথ্য কারণ? মুহিব্বুল্লাহ অপহরণের কারণ হিসেবে ১১ মাস ধরে আসা বেনামি চিঠির হুমকিকে দায়ী করেন। চিঠিতে তাকে ‘অখণ্ড ভারত মাতা’র পক্ষে কথা বলতে, ইসকনের পক্ষে জনমত গঠন করতে এবং ইসলামভিত্তিক দলগুলোর বিরুদ্ধে খুতবা দিতে বলা হয়। তদন্ত সংশ্লিষ্টরা ধারণা করছেন, এসব চিঠি আসার ঘটনাকে কেন্দ্র করে খতিব প্রচার পেতে বা

অন্য কোনো উদ্দেশ্যে এই অপহরণের নাটক সাজিয়ে থাকতে পারেন। এদিকে অভিযোগ আর সিসিটিভি ফুটেজ ও বক্তব্যে ধারাবাহিকতার অভাবের বিষয়টি সামনে আসার পর পুলিশ মুহিব্বুল্লাহকে জিজ্ঞাসাবাদও করেছে। বর্তমানে তিনি অসুস্থতার কথা বলে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি আছেন এবং পুলিশের নজরদারিতে রয়েছেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা জানিয়েছে, তিনি যেকোনো সময় গ্রেপ্তার হতে পারেন।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
মসজিদের শহর ঢাকা থেকে লাশের শহরের অভিমুখে যাত্রা ভুক্তভোগীকে অপরাধী বানানোর নতুন ফর্মুলা: অবৈধ সরকারের নৈতিক দেউলিয়াত্ব ড. ইউনুস দীর্ঘমেয়াদে ক্ষমতায় থাকতে কূটনৈতিক দৌড়ঝাপ এবার বাংলাদেশ পুলিশকে পুলিশিং শেখাতে আসছে পাকিস্তান অবৈধ দখলদার ইউনূসের আজ্ঞাবহ সুপ্রিম কোর্ট আজ দেশে জাতীয় নির্বাচন পরিচালনার জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহাল করেছে কারা অভ্যন্তরে লাগাতার পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড, স্লো পয়জনিংয়ের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ এবং আন্তর্জাতিক তদন্তের দাবি জানিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিবৃতি সশস্ত্র বাহিনী দিবসে সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর সদস্যদের প্রতি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের শুভেচ্ছা বার্তা জননেতা তোফায়েল আহমেদ এর সহধর্মিণী আনোয়ারা বেগমের মৃত্যুতে কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের শোক ২০১৭ সালে মৃত ব্যক্তিও মামলার আসামি! ফেসবুকে ছেলের স্ট্যাটাস ‘সাজানো নির্বাচনের’ লক্ষ্যেই তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা এখনই কার্যকর হচ্ছে না: জয় বাংলাদেশের এলজিবিটি কমিউনিটিকে ব্যবহার করে আওয়ামী লীগ সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র: পর্ব-৩ “আমার কোনো অভিভাবক নেই, তোমরাই আমার অভিভাবক” – জেনারেল ওয়াকার প্রোফাইল লাল করে রাবি ছাত্রলীগের প্রথম পদত্যাগকারীকেই ‘ছাত্রলীগ’ ট্যাগে পেটালো শিবির হেফাজত আমির: জামায়াত সাহাবাদের দুষমন, মওদুদীর ইসলাম আর আমাদের ইসলাম এক নয় শেখ হাসিনার রায় ও জঙ্গিবাদ নিয়ে ভারতের কঠোর আল্টিমেটাম এক নজরে গুরুত্বপূর্ণ কারণ দর্শানো ছাড়াই চাকরিচ্যুত বিসিএস (নিরীক্ষা ও হিসাব) ক্যাডারের দুই কর্মকর্তা ট্র্যাইব্যুনালের রায়ের নিন্দা জানাল ৫ ইইউ সংগঠন সাংবাদিকের পরে উদ্যোক্তা ‘অপহরণ’ ডিবির: দেশের সব মোবাইল ফোনের দোকান বন্ধের ঘোষণা ইউনূস সরকারের অদক্ষতা-অব্যবস্থাপনায় উদ্বেগজনকভাবে বাড়ছে অর্থপাচার ট্রাম্পের নতুন শুল্কনীতির ধাক্কা: যুক্তরাষ্ট্রে উল্লেখযোগ্য হারে কমছে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি