ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর
স্বতন্ত্র প্রার্থী তাসনিম জারার মনোনয়ন জমায় বাধা: সার্ভার ডাউন দেখিয়ে জামাতী প্রসাশনের ইচ্ছাকৃত প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি!
খালেদা জিয়ার মৃত্যুর দিন রুমিনসহ ৯ নেতাকে বহিষ্কার করল বিএনপি
গণতন্ত্র নয়, লুটতন্ত্র, বিএনপির তারেক রহমানকে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ভয়ংকর অভিযোগ
দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড পরিচালনার অভিযোগে বিএনপির রুমিন ফারহানাকে বহিষ্কার করা হয়েছে
আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে, আওয়ামী লীগের নেতাদের বাড়িঘরে হামলা নিন্দা ও প্রতিবাদ
অবৈধ তফসিল মানি না, মানবো না।
তারেকের দেশে ফেরার আগে লন্ডনে জামায়াত আমির: সমঝোতা নাকি গোপন ষড়যন্ত্রের ছক?
‘হাসিনার পতন থেকে স্বৈরাচারী শাসকদের শিক্ষা নেওয়া উচিত’
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা শেখ হাসিনা ছিলেন বাংলাদেশের লৌহ মানবী শাসক। গত ১৫ বছর ধরে তিনি স্বৈরাচারের মতো দেশ শাসন করেছেন। শেখ হাসিনা চরম অহংকারের সঙ্গে দেশ শাসন করেছেন এবং তার দৃঢ় বিশ্বাস ছিল- তিনি অপরাজেয় এবং তিনি কেবল অপ্রতিদ্বন্দ্বীভাবে শাসন করার জন্যই জন্ম নিয়েছেন।
তবে শেষ পর্যন্ত তার এই দম্ভ, অহমিকা তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়েছে। সরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থার বিরুদ্ধে করা শিক্ষার্থীদের তীব্র গণআন্দোলনে শেষ পর্যন্ত তাকে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে হয়েছে।
ঢাকায় শাসনব্যবস্থার পরিবর্তনে অন্যান্য দেশের শাসকদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ কিছু শিক্ষা রয়েছে বলে জানিয়েছেন তারিক আকিল নামে পাকিস্তানের একজন ইতিহাসের অধ্যাপক।
দেশটির সংবাদমাধ্যম পাকিস্তান অবজারভারে লেখা
এক নিবন্ধে তিনি লিখেছেন, হাসিনার অধীনে বাংলাদেশ সবসময়ই ভারতের মোদি সরকারের সার্বিক সমর্থন ও সহযোগিতা পেয়েছিল এবং একপর্যায়ে বাংলাদেশ কার্যকরভাবে তার শক্তিশালী প্রতিবেশীর (ভারতের) একটি স্যাটেলাইট দেশে পরিণত হয়। আর এটাই বাংলাদেশি জনগণের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি করে। বাংলাদেশের সংবিধান দেশের জনগণকে বাক স্বাধীনতা, ধর্মীয় স্বাধীনতা এবং সংগঠনের স্বাধীনতার নিশ্চয়তা দিয়েছে। তবে হাসিনার দীর্ঘ শাসনামলে জনগণের মৌলিক ও অপরিহার্য সব অধিকারই পদদলিত হয়েছে। এর পরিবর্তে সন্ত্রাসের রাজত্ব, কঠোর কারফিউ, রাজনৈতিক বিরোধীদের গ্রেফতার, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম নিষিদ্ধ এবং শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ আন্দোলনকে দমন করার জন্য অতিরিক্ত ক্ষমতা প্রয়োগের জন্যও হাসিনা দায়ী ছিলেন। তিনি পার্লামেন্টে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতাও উপভোগ করছিলেন। আর তাই তার বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোট
আনা সম্ভব ছিল না। আর এ কারণে তাকে ক্ষমতা থেকে অপসারণের একমাত্র উপায় ছিল— হয় তাকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা, অথবা সেনাবাহিনীর মাধ্যমে সামরিক আইন জারি করা। তবে কেবল শিক্ষার্থীদের দৃঢ় শক্তি এবং বাংলাদেশের জনগণের ইচ্ছার ফলে বাংলাদেশে হাসিনা সরকারের পতন হয় এবং গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সামরিক হেলিকপ্টারে করে দ্রুত ঢাকা থেকে পলায়ন করেন এবং ভারতে আশ্রয় নেন। বিশ্বের স্বৈরাচারী শাসকদের বাংলাদেশের ঘটনা থেকে শিক্ষা নেওয়া উচিত। সূত্র: পাকিস্তান অবজারভার
এক নিবন্ধে তিনি লিখেছেন, হাসিনার অধীনে বাংলাদেশ সবসময়ই ভারতের মোদি সরকারের সার্বিক সমর্থন ও সহযোগিতা পেয়েছিল এবং একপর্যায়ে বাংলাদেশ কার্যকরভাবে তার শক্তিশালী প্রতিবেশীর (ভারতের) একটি স্যাটেলাইট দেশে পরিণত হয়। আর এটাই বাংলাদেশি জনগণের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি করে। বাংলাদেশের সংবিধান দেশের জনগণকে বাক স্বাধীনতা, ধর্মীয় স্বাধীনতা এবং সংগঠনের স্বাধীনতার নিশ্চয়তা দিয়েছে। তবে হাসিনার দীর্ঘ শাসনামলে জনগণের মৌলিক ও অপরিহার্য সব অধিকারই পদদলিত হয়েছে। এর পরিবর্তে সন্ত্রাসের রাজত্ব, কঠোর কারফিউ, রাজনৈতিক বিরোধীদের গ্রেফতার, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম নিষিদ্ধ এবং শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ আন্দোলনকে দমন করার জন্য অতিরিক্ত ক্ষমতা প্রয়োগের জন্যও হাসিনা দায়ী ছিলেন। তিনি পার্লামেন্টে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতাও উপভোগ করছিলেন। আর তাই তার বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোট
আনা সম্ভব ছিল না। আর এ কারণে তাকে ক্ষমতা থেকে অপসারণের একমাত্র উপায় ছিল— হয় তাকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা, অথবা সেনাবাহিনীর মাধ্যমে সামরিক আইন জারি করা। তবে কেবল শিক্ষার্থীদের দৃঢ় শক্তি এবং বাংলাদেশের জনগণের ইচ্ছার ফলে বাংলাদেশে হাসিনা সরকারের পতন হয় এবং গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সামরিক হেলিকপ্টারে করে দ্রুত ঢাকা থেকে পলায়ন করেন এবং ভারতে আশ্রয় নেন। বিশ্বের স্বৈরাচারী শাসকদের বাংলাদেশের ঘটনা থেকে শিক্ষা নেওয়া উচিত। সূত্র: পাকিস্তান অবজারভার



