 
                                                        
                                ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স                            
                        আরও খবর
 
                                সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানে ক্যাপ্টেনসহ ৬ পাকিস্তানি সেনা নিহত
 
                                অচিরেই শুরু হচ্ছে পরমাণু যুদ্ধ?
 
                                বছরে ৭৫০০ শরণার্থী আশ্রয় দেবে যুক্তরাষ্ট্র, অগ্রাধিকার পাবেন কারা?
 
                                গতি বাড়িয়ে ‘মেলিসা’ এগোচ্ছে বারমুডার দিকে, মৃত্যু বেড়ে ৪৯
 
                                বন্যায় প্লাবিত নিউ ইয়র্ক, ২ জনের মৃত্যু
 
                                পাকিস্তানের জেনারেলের লাগেজে ডামি অ্যাসল্ট রাইফেল, ঢাকা বিমানবন্দরে অস্বস্তি
 
                                আধুনিক ব্যালাস্টিক হেলমেটে সজ্জিত আরসা সদস্যরাঃ বৈদেশিক শক্তির সহয়তার আভাস
পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভায় ধর্ষণের দায়ে মৃত্যুদণ্ডের আইন পাস
 
                             
                                               
                    
                         কলকাতার মাল্টি সুপারস্পেশালিটি সরকারি হাসপাতাল আর জি করের ঘটনায় উত্তাল গোটা ভারত। এমন আবহের মধ্যেই মঙ্গলবার পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিধানসভায় বিশেষ অধিবেশনে পাস হয়ে গেল ধর্ষণবিরোধী ‘দ্য অপরাজিতা উইমেন অ্যান্ড চাইল্ড বিল ২০২৪’ (ওয়েস্ট বেঙ্গল ক্রিমিনাল ল’জ অ্যামেন্ডমেন্ট বিল ২০২৪)। সর্বসম্মতিক্রমে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন সরকারের উদ্যোগে ধর্ষণের শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে বিলটি পাস হলো। এর মধ্য দিয়ে পশ্চিমবঙ্গই ভারতের প্রথম কোনো রাজ্য, যারা ধর্ষণ, দলবদ্ধ ধর্ষণ ও শিশুদের যৌন নিপীড়নবিরোধী কেন্দ্রীয় আইনে সংশোধনীর উদ্যোগ নিয়েছে।
শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষে আনা এই ধর্ষণবিরোধী বিলকে পূর্ণ সমর্থন করেছে বিরোধী দল বিজেপিও। ধর্ষণ এবং নারী অত্যাচারের ঘটনায় ভারতীয় ন্যায় সংহিতায় কঠোর 
শাস্তির উল্লেখ রয়েছে। তবে সেই শাস্তিকেই আরও কঠোর করে বলা হয়েছে অপরাজিতা বিলে। রয়েছে, বেশ কিছু সংশোধন। সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় আর জি কর হাসপাতালে নারী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিলটি পাসের উদ্যোগ নেওয়া হয়। বিলটি এখন অনুমোদনের জন্য রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের কাছে পাঠানো হবে। তিনি অনুমোদন দেওয়ার পর এটি ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে পাঠানো হবে। রাষ্ট্রপতি অনুমোদন করলে তা আইনে পরিণত হবে। এদিন বিধানসভায় ধর্ষণের শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে বিলটি পেশ করেন রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক। এরপরেই বিল পাস নিয়ে দীর্ঘ বক্তব্য রাখেন মমতা। এদিন মুখ্যমন্ত্রী বক্তৃতার শুরুতেই এই বিলকে ঐতিহাসিক বলে উল্লেখ করেন। সেই সংশোধনী
ধারাই এদিন বিধানসভায় উল্লেখ করেছেন মমতা। তিনি বলেন, এ বিলের মধ্য দিয়ে কেন্দ্রীয় আইনে থাকা ফাঁকফোকরগুলো বন্ধ করার চেষ্টা করেছি আমরা। ধর্ষণ হলো মানবতাবিরোধী এক অভিশাপ। এ ধরনের অপরাধ ঠেকাতে সামাজিক সংস্কার প্রয়োজন। এই বিল আনার মূল উদ্দেশ্য তিনটি। বর্ধিত শাস্তি, দ্রুত শাস্তি, দ্রুত তদন্ত। নারীর প্রতি হিংসায় কঠোর থেকে কঠোরতম শাস্তির উল্লেখ রয়েছে। ভারতীয় ন্যায় সংহিতা আইনে যা উল্লেখ করা হয়েছে তা এ আইনে আরও বেশি কঠোর করা হয়েছে। ধর্ষণের ক্ষেত্রে ভারতীয় ন্যায় সংহিতায় বলা হয়েছে, ১০ থেকে ২০ বছরের জেল, কিছু ক্ষেত্রে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। সেখানে অপরাজিতা বিলে শাস্তি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ফাঁসির। ধর্ষণের ঘটনায়
ভারতীয় ন্যায় সংহিতা বিলে তদন্তের সময় দেওয়া হয়েছে দু’মাস। সেখানে অপরাজিতা বিলে সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে ২১ দিন। মূল আইনে এক বছরের মধ্যে শাস্তি দেওয়ার উল্লেখ রয়েছে। ইতোমধ্যে রাজ্য বিজেপি বিলটিকে স্বাগত জানিয়েছে। বিধানসভায় আলোচনা করতে গিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলের নেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, তিনি সাতটি সংশোধনী এনেছেন। তিনিও চান এই বিল পাস হোক। আইনে পরিণত হোক। আলোচনার পর শুভেন্দু অধিকারী আর জি কর কাণ্ড নিয়ে বিচারের দাবিতে স্লোগান দেন।
                    
                                                          
                    
                    
                                    শাস্তির উল্লেখ রয়েছে। তবে সেই শাস্তিকেই আরও কঠোর করে বলা হয়েছে অপরাজিতা বিলে। রয়েছে, বেশ কিছু সংশোধন। সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় আর জি কর হাসপাতালে নারী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিলটি পাসের উদ্যোগ নেওয়া হয়। বিলটি এখন অনুমোদনের জন্য রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের কাছে পাঠানো হবে। তিনি অনুমোদন দেওয়ার পর এটি ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে পাঠানো হবে। রাষ্ট্রপতি অনুমোদন করলে তা আইনে পরিণত হবে। এদিন বিধানসভায় ধর্ষণের শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে বিলটি পেশ করেন রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক। এরপরেই বিল পাস নিয়ে দীর্ঘ বক্তব্য রাখেন মমতা। এদিন মুখ্যমন্ত্রী বক্তৃতার শুরুতেই এই বিলকে ঐতিহাসিক বলে উল্লেখ করেন। সেই সংশোধনী
ধারাই এদিন বিধানসভায় উল্লেখ করেছেন মমতা। তিনি বলেন, এ বিলের মধ্য দিয়ে কেন্দ্রীয় আইনে থাকা ফাঁকফোকরগুলো বন্ধ করার চেষ্টা করেছি আমরা। ধর্ষণ হলো মানবতাবিরোধী এক অভিশাপ। এ ধরনের অপরাধ ঠেকাতে সামাজিক সংস্কার প্রয়োজন। এই বিল আনার মূল উদ্দেশ্য তিনটি। বর্ধিত শাস্তি, দ্রুত শাস্তি, দ্রুত তদন্ত। নারীর প্রতি হিংসায় কঠোর থেকে কঠোরতম শাস্তির উল্লেখ রয়েছে। ভারতীয় ন্যায় সংহিতা আইনে যা উল্লেখ করা হয়েছে তা এ আইনে আরও বেশি কঠোর করা হয়েছে। ধর্ষণের ক্ষেত্রে ভারতীয় ন্যায় সংহিতায় বলা হয়েছে, ১০ থেকে ২০ বছরের জেল, কিছু ক্ষেত্রে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। সেখানে অপরাজিতা বিলে শাস্তি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ফাঁসির। ধর্ষণের ঘটনায়
ভারতীয় ন্যায় সংহিতা বিলে তদন্তের সময় দেওয়া হয়েছে দু’মাস। সেখানে অপরাজিতা বিলে সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে ২১ দিন। মূল আইনে এক বছরের মধ্যে শাস্তি দেওয়ার উল্লেখ রয়েছে। ইতোমধ্যে রাজ্য বিজেপি বিলটিকে স্বাগত জানিয়েছে। বিধানসভায় আলোচনা করতে গিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলের নেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, তিনি সাতটি সংশোধনী এনেছেন। তিনিও চান এই বিল পাস হোক। আইনে পরিণত হোক। আলোচনার পর শুভেন্দু অধিকারী আর জি কর কাণ্ড নিয়ে বিচারের দাবিতে স্লোগান দেন।



