আমার ছেলে হত্যার বিচার করবে কে – ইউ এস বাংলা নিউজ




ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আপডেটঃ ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
     ৭:০৮ পূর্বাহ্ণ

আরও খবর

“ড. ইউনূস উন্নয়ন করেনাই, ক্ষতি ছাড়া কোন লাভ হয় নাই; কামাইয়ের প্রচুর ক্ষতি হইছে, সংসার চলতেছে না” — জনতার ক্ষোভ

গণহত্যা ১৯৭১: হরিণাগোপাল-বাগবাটী

ইউনূসের অদক্ষতায় রূপপুরে ব্যয় বেড়েছে ২৬ হাজার কোটি, জনগণের ঘাড়ে বিশাল বোঝা

রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় শিক্ষার্থীদের সনদ বাতিল: ড. ইউনূসকে কঠোর বার্তা আন্তর্জাতিক সংগঠনের

ক্ষমতার মোহ নয়, সাধারণ মানুষের হৃদয়েই থাকতে চেয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু: ড. কামাল হোসেন

৫ ডিসেম্বর ১৯৬৯: ‘পূর্ব পাকিস্তান’ নাম মুছে যেভাবে ‘বাংলাদেশ’ নাম দিলেন বঙ্গবন্ধু

বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংকট ও মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে ইইউ পার্লামেন্ট সদস্যের সাথে ‘হ্যান্ড ইন হ্যান্ড ফাউন্ডেশন’-এর বৈঠক

আমার ছেলে হত্যার বিচার করবে কে

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ | ৭:০৮ 164 ভিউ
‘আমার ছেলে যোগ দিয়েছিল ছাত্র-জনতার আন্দোলনে। তার কোনো অপরাধ ছিল না, সে অপরাধীও নয়। সবার ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য সে আন্দোলন করছিল। কিন্তু পুলিশ আমার নির্দোষ ছেলেকে নির্মমভাবে গুলি করে মেরেছে। আমার ছেলে হত্যার বিচার করবে কে? কে দেবে ক্ষতিপূরণ?’ ছেলের ছবি বুকে নিয়ে আর্তনাদ করে জানতে চান শেখ রাকিবের (২৩) মা সুইটি আক্তার। বৃহস্পতিবার ছেলের একটি ছবি নিয়ে এসে কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন সন্তানহারা অসহায় মা সুইটি আক্তার। তিনি বলেন, ‘১৯ জুলাই যমুনা ফিউচার পার্কের সামনের রাস্তায় ছাত্র-জনতার মিছিলে রাকিবও যোগ দিয়েছিল। তখন বিকাল ৫টা। দুপুরের দিকে রাকিব ফোন করে বলেছিল, মা আন্দোলনে যাচ্ছি, চিন্তা করিও না-মরব না, বীরের মতো

বাঁচব।’ কিন্তু বিকাল ৫টার পর পরিবারের কেউ আর রাকিবের খোঁজ পাচ্ছিলেন না। তার মোবাইল ফোনও বন্ধ ছিল। বুক চাপড়ে মা বলেন, ‘আমার সন্তানসহ লাখ লাখ ছাত্র-জনতা অধিকার আদায়ে লড়াই করেছে। সেই লড়াইয়ে পাখির মতো গুলি করে তাদের মারা হয়েছে। আমার বুক খালি করা হয়েছে। আমার শূন্য বুক কে পূরণ করবে?’ এমন সব মায়ের আর্ত চিৎকারকে সম্বল করে বাংলাদেশের তরুণ কবি সাহাত হোসাইন লিখেছেন, ‘যে মায়ের চোখ, সমুদ্র শোক, কন্যার শ্বাস... সে মায়ের কোল, শূন্য আঁচল, ভরে যাবে কীসে?’ শেখ রাকিব রাজধানীর কুড়িল বিশ্বরোডস্থ যমুনা-বসুন্ধরা সড়কের পাশের একটি ওয়েল্ডিংয়ের দোকানে শ্রমিকের কাজ করতেন। তার গ্রামের বাড়ি ঢাকার নবাবগঞ্জের কামারখোলা চুড়াইন গ্রামে। তার বাবার নাম মো.

হুমায়ুন কবি ওরফে মিজানুর রহমান। অভাবের সংসারে রাকিব ছিলেন অন্যতম অবলম্বন। শ্রমিকের কাজ করে তিনি পরিবারকে আর্থিকভাবে সহযোগিতা করতেন। এখন রাকিব নেই, আর্থিক টানাপড়েনে চলছে তাদের সংসার। সুইটি আক্তার বলেন, ‘২৩ বছরের ছেলে আমার মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে আন্দোলনে শহিদ হয়েছে। কিন্তু ছেলেকে কি এ দেশ, দেশের মানুষ মনে রাখবে? রাকিবের গলায়-বুকে একাধিক গুলি করা হয়েছে। গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর বন্ধু-পথচারীরা মিলে তাকে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নিয়েছে। হাসপাতালে নেওয়ার কিছুক্ষণ পরই প্রাণ হারায় রাকিব। ওই দিন কিছুতেই রাকিবের লাশ পাওয়া গেল না। এক রকম জোর করেই তারা লাশ মর্গে ঢুকিয়ে ফেলে।’ তিনি বলেন, ‘একদিকে ছেলের লাশ পড়ে আছে মর্গে। অন্যদিকে রাজধানীজুড়ে আন্দোলন চলছে।

সেই আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর নির্বিচারে গুলি চালাচ্ছিল হাসিনা সরকার।’ ছেলের লাশ কিছুতেই দিচ্ছিল না হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ছেলের লাশ পেতে দিশেহারা হয়ে পড়েন মাসহ পরিবারের লোকজন। কোনো উপায় না পেয়ে অবশেষে তারা লাশ পেতে যোগাযোগ করেন যমুনা গ্রুপের চেয়ারম্যান সাবেক মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট সালমা ইসলামের সঙ্গে। পারিবারিক জীবনে যে কোনো আপদ-বিপদে পড়লে-তার সঙ্গেই তারা যোগাযোগ করেন। রাকিবের ভাই শেখ সাকিব বলেন, ‘হাসপাতাল থেকে যখন আমরা কোনোভাবেই লাশ বের করতে পারছিলাম না-তখন আমাদের এমপি অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম ম্যাডামের সঙ্গে যোগাযোগ করি। ওই সময় ম্যাডামসহ তার বড় মেয়ে দ্রুত কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক এবং ক্যান্টনমেন্ট থানা পুলিশকে বলে দেন। পরে ওই

দিনই রাকিবের লাশ দ্রুত সময়ের মধ্যে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল থেকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য নেওয়া হয়। ওই হাসপাতাল মর্গ থেকে রাকিরের লাশ হস্তান্তর করে ২২ জুলাই।’ মা সুইটি আক্তার বললেন, ‘ছেলেকে সারা জীবনের মতো আমার বুক থেকে কেড়ে নিয়েছে খুনিরা। আমার মতো শত শত মা-বাবা সন্তানহারা হয়েছেন। অপেক্ষায় আছি, হয়তো কোনো এক ভোরে কোনো উপদেষ্টা বা রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে কেউ ডেকে বলবে, ‘শহিদ রাকিবের মা কি ঘরে আছেন-আমরা এসেছি।’ নতুন সরকারের কাছে আবেদন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমার ছেলের হত্যাকারীকে যেন ফাঁসি দেওয়া হয়।’ ছেলে হত্যার জন্য তিনি যথাযথ ক্ষতিপূরণও দাবি করেছেন।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
“ড. ইউনূস উন্নয়ন করেনাই, ক্ষতি ছাড়া কোন লাভ হয় নাই; কামাইয়ের প্রচুর ক্ষতি হইছে, সংসার চলতেছে না” — জনতার ক্ষোভ গণহত্যা ১৯৭১: হরিণাগোপাল-বাগবাটী ইউনূসের অদক্ষতায় রূপপুরে ব্যয় বেড়েছে ২৬ হাজার কোটি, জনগণের ঘাড়ে বিশাল বোঝা রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় শিক্ষার্থীদের সনদ বাতিল: ড. ইউনূসকে কঠোর বার্তা আন্তর্জাতিক সংগঠনের ক্ষমতার মোহ নয়, সাধারণ মানুষের হৃদয়েই থাকতে চেয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু: ড. কামাল হোসেন ৫ ডিসেম্বর ১৯৬৯: ‘পূর্ব পাকিস্তান’ নাম মুছে যেভাবে ‘বাংলাদেশ’ নাম দিলেন বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংকট ও মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে ইইউ পার্লামেন্ট সদস্যের সাথে ‘হ্যান্ড ইন হ্যান্ড ফাউন্ডেশন’-এর বৈঠক ‘বালের বিজয় দিবস’ মন্তব্যের জেরে ইলিয়াসকে ‘স্টুপিড’, ‘শুয়োরের বাচ্চা’, ‘বেজন্মা’ বললেন আম জনতা দলের তারেক ক্ষমতার মোহ নয়, সাধারণ মানুষের হৃদয়েই থাকতে চেয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু: ড. কামাল হোসেন শাসক বঙ্গবন্ধু: ধ্বংসস্তূপের ওপর দাঁড়িয়ে এক রাষ্ট্রনির্মাতার উপাখ্যান শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড ‘সাংবিধানিক প্রহসন’, সংবিধানের ওপর আঘাত: ফার্স্টপোস্টের প্রতিবেদন তারেক জিয়ার হাত ধরেই বাংলাদেশে প্রতিহিংসার রাজনীতির উত্থান: একটি অন্ধকার অধ্যায়ের বিশ্লেষণ গৃহকর্মীর পেটে বাবার ‘অবৈধ সন্তান’: ব্যারিস্টার শাহরিয়ার কবিরের কলঙ্কিত জন্মরহস্য ফাঁস! বিজয় দিবসের আনন্দ ম্লান করতেই কি ‘মেটিকুলাস ডিজাইন’? খালেদা জিয়ার মৃত্যুর গুঞ্জন ও ১৬ই ডিসেম্বরের নেপথ্য বিশ্লেষণ ব্রাসেলসে ইউরোপীয় কমিশনের সঙ্গে বৈঠক: বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি ও জাতিসংঘের প্রতিবেদন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ ব্রাসেলসে ইউরোপীয় কমিশনের সঙ্গে বৈঠক: বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি ও জাতিসংঘের প্রতিবেদন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ মালাইকার বিস্ফোরক মন্তব্য ২০২৬ বিশ্বকাপের ড্র অনুষ্ঠিত: দেখে নিন কোন গ্রুপে কোন দল যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার পরিধি বাড়ছে, তালিকায় ৩০টির বেশি দেশ ২০২৬ বিশ্বকাপে কবে মুখোমুখি হতে পারে আর্জেন্টিনা-ব্রাজিল?