মিছিলে খালেদা জিয়ার উপস্থিতি ও শেখ হাসিনার ওপর প্রাণঘাতী হামলা – ইউ এস বাংলা নিউজ




ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আপডেটঃ ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৫
     ৪:৩৫ অপরাহ্ণ

আরও খবর

“যুদ্ধের আগেই বাঙালি সৈনিকদের মাঝে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাটা ছড়ায় গেছে, বঞ্চনাটা এত বেশি হয়েছে যে কোন বাঙালি সৈনিক এর (মুক্তিযুদ্ধের) বাইরে থাকেনি” –বীর মুক্তিযোদ্ধা মনিরুজ্জামান চৌধুরী

ডেভিল হান্টের নামে রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক মব সন্ত্রাস চালানো হচ্ছে

রাজনৈতিক ও ধর্মভিত্তিক সহিংসতার ঘটনায় উদ্বেগঃ বাংলাদেশে গুরুতর মানবিক সংকটের শঙ্কা মার্কিন থিংকট্যাংক সিএফআর-এর

একুশে ফেব্রুয়ারি-সরস্বতী পূজার ছুটি বাতিল, সরকারের সিদ্ধান্তে তীব্র বিতর্ক

জমি বিরোধে সন্ত্রাসী হামলা, কক্সবাজারে যুবদল নেতা খুন

বরগুনায় এয়ারগান দিয়ে কারারক্ষীর পাখি শিকার

কমিউনিটি ক্লিনিক ও প্রশ্নবিদ্ধ প্রশাসন,জবাবদিহি কোথায়?

মিছিলে খালেদা জিয়ার উপস্থিতি ও শেখ হাসিনার ওপর প্রাণঘাতী হামলা

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৫ | ৪:৩৫ 8 ভিউ
নিজস্ব প্রতিবেদক: সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সম্প্রতি একটি ছবি ও ক্যাপশন ছড়িয়ে দাবি করা হচ্ছে যে, এরশাদ সরকারের আমলে একটি মিছিলে খালেদা জিয়া নেতৃত্ব দিলেও শেখ হাসিনা সেখানে অনুপস্থিত ছিলেন কারণ তিনি নাকি তখন এরশাদের সাথে ‘আপোষের দেনদরবারে’ ব্যস্ত ছিলেন। ঐতিহাসিক দলিল ও ঘটনাপ্রবাহ বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, এই দাবিটি কেবল অসত্যই নয়, বরং এটি ১৯৮৮ সালের মর্মান্তিক লালদিঘী গণহত্যার ইতিহাসকে বিকৃত করার এক হীন রাজনৈতিক অপচেষ্টা। প্রকৃত ঘটনা এবং শেখ হাসিনার সেসময়ের অবস্থান নিয়ে একটি যৌক্তিক বিশ্লেষণ নিচে তুলে ধরা হলো: ১. লক্ষ্যবস্তু যখন স্বয়ং শেখ হাসিনা, তখন ‘আপোষ’র প্রশ্ন অবান্তর যে প্রেক্ষাপটের কথা বলে এই অপপ্রচার চালানো হচ্ছে, সেটি ছিল ১৯৮৮ সালের ২৪

জানুয়ারি। চট্টগ্রামের লালদিঘী ময়দানে শেখ হাসিনার জনসভাকে কেন্দ্র করে পুলিশি হামলা চালানো হয়। ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়, সেদিন পুলিশের নির্বিচার গুলিতে ২৪ জন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী নিহত হন। এই ২৪ জন শহীদ মূলত শেখ হাসিনাকে লক্ষ্য করে ছোড়া গুলি থেকে বাঁচাতে নিজেদের ‘মানববর্ম’ হিসেবে তৈরি করেছিলেন। যে নেত্রীকে হত্যা করার জন্য স্বৈরাচারী সরকার পাখির মতো গুলি চালায়, সেই নেত্রী একই সময়ে সেই সরকারের সাথে ‘আপোষের দেনদরবার’ করছিলেন—এমন দাবি পাগলের প্রলাপ ছাড়া আর কিছুই নয়। স্বৈরাচার এরশাদের মূল ভয়ের কারণ ছিলেন শেখ হাসিনা, আর তাই তাকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দেওয়ার এই জঘন্য প্রচেষ্টা চালানো হয়েছিল। ২. লাশের মিছিলে অনুপস্থিতি নয়, নিরাপত্তার বাস্তবতা ২৪শে জানুয়ারির

সেই ভয়াবহ হামলায় শেখ হাসিনা প্রাণে বেঁচে গেলেও তিনি চরম নিরাপত্তাহীনতা এবং ট্রমার মধ্য দিয়ে যাচ্ছিলেন। চোখের সামনে সহযোদ্ধাদের মৃত্যু এবং নিজের ওপর হওয়া হত্যাচেষ্টার পরপরই তাৎক্ষণিক নিরাপত্তার কারণে তাকে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় সরিয়ে নেওয়া হয়। ঢাকায় অনুষ্ঠিত পরবর্তী প্রতিবাদ মিছিলে তার শারীরিক উপস্থিতি না থাকাটা ছিল কৌশলগত ও নিরাপত্তাজনিত সিদ্ধান্ত। যিনি নিজেই হামলার শিকার এবং যাকে হত্যা করাই ছিল স্বৈরাচারের মূল এজেন্ডা, তার পক্ষে তাৎক্ষণিকভাবে প্রকাশ্যে রাজপথে নামা ছিল আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত। একে ‘আপোষ’ বলে চালিয়ে দেওয়া চরম ধৃষ্টতা। ৩. সংসদ থেকে পদত্যাগ ও আপোষহীন সংগ্রাম সমালোচকরা ১৯৮৬ সালের নির্বাচনে যাওয়ার প্রসঙ্গ টেনে আনলেও, ১৯৮৭ সালের ঘটনা সযত্নে এড়িয়ে যান। ১৯৮৭ সালের

৬ ডিসেম্বর শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ স্বৈরাচারের প্রতিবাদে সংসদ থেকে পদত্যাগ করে। এর মাত্র এক বছরের মাথায় ১৯৮৮ সালে লালদিঘীর ঘটনা ঘটে। অর্থাৎ, শেখ হাসিনা তখন রাজপথে এরশাদবিরোধী সর্বাত্মক অসহযোগ আন্দোলনের নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন। যিনি সংসদ ছেড়ে রাজপথে নেমে এসেছেন, তার বিরুদ্ধে গোপন আঁতাতের অভিযোগ ঐতিহাসিক সত্যের অপলাপ। ৪. খালেদা জিয়ার উপস্থিতি ও বিএনপির দ্বিমুখী নীতি স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে আটদলীয় জোট ও সাতদলীয় জোটের যুগপৎ কর্মসূচি ছিল। ঢাকার মিছিলে খালেদা জিয়ার অংশগ্রহণ এবং নেতৃত্ব দেওয়া নিঃসন্দেহে সেই সময়ের রাজনৈতিক ঐক্যের বহিঃপ্রকাশ এবং প্রশংসনীয়। কিন্তু একটি দলের অংশগ্রহণের ছবি দিয়ে অন্য দলের নেত্রীর ওপর মিথ্যা অপবাদ দেওয়া রাজনৈতিক শিষ্টাচারবর্জিত। সবচেয়ে বড় পরিহাসের বিষয় হলো, যে

পুলিশ কমিশনার মির্জা রকিবুল হুদার নির্দেশে সেদিন শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি চালানো হয়েছিল এবং ২৪ জন নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়েছিল, ১৯৯১ সালে বিএনপি সরকার ক্ষমতায় আসার পর সেই খুনি পুলিশ কর্মকর্তাকে বিচারের বদলে পদোন্নতি দিয়ে পুরস্কৃত করা হয়। একদিকে মিছিলে সংহতি প্রকাশ, অন্যদিকে ক্ষমতায় গিয়ে হত্যাকারীকে পুরস্কৃত করা—ইতিহাসের এই অংশটুকু প্রমাণ করে কারা আসলে স্বৈরাচারের দোসরদের তোষণ করেছিল। ১৯৮৮ সালের ২৪ জানুয়ারি শেখ হাসিনা আপোষ করেননি, বরং রক্ত দিয়ে গণতন্ত্রের পথ তৈরি করেছিলেন। তার ওপর হওয়া হামলা এবং ২৪ জন সহযোদ্ধার আত্মত্যাগই প্রমাণ করে তিনি ছিলেন স্বৈরাচারের প্রধান প্রতিপক্ষ। একটি খণ্ডিত ছবি বা মিথ্যা ক্যাপশন দিয়ে শেখ হাসিনার সেই ত্যাগের

ইতিহাস মুছে ফেলা সম্ভব নয়। মিথ্যা ন্যারেটিভের বিপরীতে সত্য ইতিহাসই শেখ হাসিনার আপোষহীন নেতৃত্বের বড় প্রমাণ।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
নিউ-জার্সিতে হাসপাতালের পানিতে মরণঘাতী ব্যাকটেরিয়া, মৃত ২ প্রেমের প্রস্তাবে ‘না’, অতঃপর বন্দুক হামলা ইউনুস সরকারের অধীনে সংখ্যালঘু হওয়া মানেই মৃত্যুর অপেক্ষা। গুম কমিশনে সাক্ষ্যদাতা জঙ্গিরাই আবার বোমা বানাচ্ছে, যাদের সাক্ষ্যে জঙ্গিবিরোধী পুলিশ কর্মকর্তারা গ্রেপ্তার বাঙালী নারীদের উপর পাক হানাদারদের বর্বরতার ইতিহাস ও পরবর্তীতে হানাদারদের ক্যাম্প উড়িয়ে দেবার বিরত্ব গাঁথা শোনালেন একাত্তরের বীর মুক্তিযোদ্ধা শিশু মিয়া যে দুইদিনই বাঁচি দেশটাত যেনো শান্তিতে থাকতে পারি” – বীর মুক্তিযোদ্ধা ফিরোজা বেগম — “যুদ্ধের আগেই বাঙালি সৈনিকদের মাঝে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাটা ছড়ায় গেছে, বঞ্চনাটা এত বেশি হয়েছে যে কোন বাঙালি সৈনিক এর (মুক্তিযুদ্ধের) বাইরে থাকেনি” –বীর মুক্তিযোদ্ধা মনিরুজ্জামান চৌধুরী ডেভিল হান্টের নামে রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক মব সন্ত্রাস চালানো হচ্ছে মিছিলে খালেদা জিয়ার উপস্থিতি ও শেখ হাসিনার ওপর প্রাণঘাতী হামলা রাজনীতির বাঁকবদল: শেখ হাসিনার মানবিকতা বনাম ঐতিহাসিক তিক্ততা—একটি বিশ্লেষণধর্মী পর্যালোচনা রাজনৈতিক ও ধর্মভিত্তিক সহিংসতার ঘটনায় উদ্বেগঃ বাংলাদেশে গুরুতর মানবিক সংকটের শঙ্কা মার্কিন থিংকট্যাংক সিএফআর-এর স্বতন্ত্র প্রার্থী তাসনিম জারার মনোনয়ন জমায় বাধা: সার্ভার ডাউন দেখিয়ে জামাতী প্রসাশনের ইচ্ছাকৃত প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি! একুশে ফেব্রুয়ারি-সরস্বতী পূজার ছুটি বাতিল, সরকারের সিদ্ধান্তে তীব্র বিতর্ক অপ্রতিরোধ্য এক দেয়ালের অবসান ঘটল খালেদা জিয়ার মৃত্যুর দিন রুমিনসহ ৯ নেতাকে বহিষ্কার করল বিএনপি জমি বিরোধে সন্ত্রাসী হামলা, কক্সবাজারে যুবদল নেতা খুন বরগুনায় এয়ারগান দিয়ে কারারক্ষীর পাখি শিকার ইউনুস সরকারের অধীনে সংখ্যালঘু হওয়া মানেই মৃত্যুর অপেক্ষা। কমিউনিটি ক্লিনিক ও প্রশ্নবিদ্ধ প্রশাসন,জবাবদিহি কোথায়? হাদী হত্যা: দুবাই থেকে ভিডিও বার্তায় নিজেকে নির্দোষ দাবি মাসুদের, দায় চাপালেন জামায়াতের ওপর