ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর
বিশ্বাসঘাতকতা ও ইতিহাস অস্বীকারই ড. ইউনুসের কৌশল
ক্ষমতার নেশায় বুঁদ হয়ে যারা দেশকে জিম্মি করে রেখেছে
আলাদিনের প্রদীপ থেকে বেরিয়ে আসা জ্বীনের কবলে যখন খোদ আলাদিনেরাই!
ক্ষমতার দাবার চালে অসুস্থ খালেদা জিয়া: মানবিকতার চেয়ে যখন রাজনৈতিক স্বার্থই মুখ্য!
লাশ নিয়ে টালবাহানা করিও না’—মৃত্যুর আগে সন্তানদের প্রতি রফিকুল্লা আফসারীর আবেগঘন ভিডিও বার্তা
একুশে ফেব্রুয়ারি শহীদ মে দিবস শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ের দিন হিন্দু সম্প্রদায়ের বিশ্বাসমতে জ্ঞান ও বিদ্যার দেবী পূজার ছুটি বাতিল ছুটির এই তালিকা প্রকাশ করেছে
আইনশৃঙ্খলার অজুহাতে আবহমান বাংলার সংস্কৃতির ওপর পরিকল্পিত আঘাত—ফরিদপুরে বন্ধ ঐতিহ্যবাহী ঘুড়ি উৎসব!
অ-সরকারের সতেরো মাস : তিনগুণ খেলাপি ঋণ, শূন্য বিনিয়োগ
গত বছরের জুলাইয়ে যে রক্তাক্ত অভ্যুত্থানের মাধ্যমে একটি নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করা হয়েছিল, তার পেছনের শক্তিগুলো এখন দেশের অর্থনীতিকে এক অতল গহ্বরে ঠেলে দিয়েছে। বিদেশি অর্থায়নে পরিচালিত সেই ষড়যন্ত্র, জঙ্গি সংগঠনগুলোর মাঠ পর্যায়ের সহযোগিতা আর সামরিক বাহিনীর নীরব সমর্থনে যে ক্ষমতা দখল হয়েছিল, তার ফলাফল এখন প্রতিটি সাধারণ মানুষের জীবনে নেমে এসেছে ভয়াবহ দুর্ভোগ হয়ে। মাইক্রোক্রেডিটের মোড়কে সুদের ব্যবসা করে কোটি কোটি দরিদ্র মানুষকে ঋণের জালে আটকে রাখা সেই ইউনুস এবং তার তথাকথিত সরকার আজ দেশের অর্থনীতিকে এমন এক জায়গায় নিয়ে গেছে যেখান থেকে ফিরে আসা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ছে।
খেয়াল করার বিষয় হলো, যারা গণতন্ত্র ও মানুষের অধিকারের কথা বলে
ক্ষমতায় এসেছিলেন, তারাই এখন দেশের সাধারণ মানুষের জীবনে নিয়ে এসেছেন চরম অনিশ্চয়তা। মূল্যস্ফীতি কমেছে বলে যে পরিসংখ্যান দেখানো হচ্ছে, সেটা কাগজে-কলমেই সীমাবদ্ধ। বাস্তবে বাজারে গেলে, চালের দোকানে দাঁড়ালে, সবজি কিনতে গেলে কিংবা বাসভাড়া দিতে গেলে মানুষ টের পায় এই সরকারের দেওয়া পরিসংখ্যান আসলে কতটা মিথ্যা। একজন রিকশাচালক, একজন গার্মেন্টস কর্মী কিংবা একজন ছোট দোকানদার যখন তার পরিবারের খাবার জোগাড় করতে হিমশিম খান, তখন সরকারি হিসাবে মূল্যস্ফীতি কমার কথা শুনে তার কেমন লাগে, সেটা কি এই অবৈধ সরকারের কেউ ভেবে দেখেছেন? মজার ব্যাপার হলো, ইউনুস সাহেব যিনি গরিবের বন্ধু সেজে নোবেল পুরস্কার নিয়েছিলেন, তিনিই এখন দেশের লাখ লাখ গরিব মানুষের জীবনে নিয়ে
এসেছেন অসহনীয় দুর্ভোগ। মজুরি বৃদ্ধি থমকে গেছে, কিন্তু জীবনযাত্রার খরচ বাড়ছেই। একজন শ্রমিকের মাসিক আয় হয়তো দশ হাজার টাকা বেড়েছে, কিন্তু তার পরিবারের মাসিক খরচ বেড়েছে পনেরো হাজার টাকা। এই সহজ হিসাবটা বুঝতে কি অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার লাগে? নাকি শুধু সাধারণ মানুষের জীবন সম্পর্কে একটুখানি সহানুভূতি থাকলেই চলে, যা এই সরকারের কারো মধ্যে নেই? যুবসমাজের অবস্থা আরো করুণ। যে তরুণরা রাস্তায় নেমেছিল স্বপ্ন নিয়ে, যাদের বুকের রক্ত ঝরেছিল একটি সুন্দর ভবিষ্যতের আশায়, তারাই এখন দেখছে তাদের সামনে কোনো ভবিষ্যত নেই। বিশ শতাংশের বেশি তরুণ এখন না পড়াশোনা করছে, না কোনো চাকরি করছে, না কোনো প্রশিক্ষণে যুক্ত। এরা কী করবে? কোথায় যাবে?
দেশের জন্য যে তরুণরা জীবন বাজি রেখেছিল, তাদের এই পুরস্কার দিচ্ছে ইউনুস সরকার। কত বড় নিষ্ঠুরতা এটা! একটি প্রজন্মকে ধ্বংস করে দেওয়া হচ্ছে সুপরিকল্পিতভাবে। বিনিয়োগ খাতের চিত্র দেখলে মনে হয় দেশকে ইচ্ছাকৃতভাবে পঙ্গু করে দেওয়া হচ্ছে। বেসরকারি খাতে ঋণপ্রবাহ নেমে এসেছে সর্বনিম্নে। ব্যবসায়ীরা নতুন উদ্যোগ নিতে ভয় পাচ্ছেন কারণ তারা জানেন না আগামীকাল কী হবে। যে অনিশ্চয়তা এই অবৈধ সরকার তৈরি করেছে, তাতে কোনো বিচক্ষণ ব্যবসায়ী টাকা বিনিয়োগ করবেন কেন? ঢাকা চেম্বারের সাবেক সভাপতি শামস মাহমুদের কথাগুলো খুবই স্পষ্ট। কেউ নতুন প্রকল্প নিচ্ছে না, সরকার কারো সঙ্গে আলোচনায়ও বসছে না। এটা কি কোনো সরকারের লক্ষণ? নাকি একটা দখলদার গোষ্ঠীর বৈশিষ্ট্য যারা
জনগণের কাছে জবাবদিহি করতে বাধ্য নয়? ব্যাংকিং খাতে যা ঘটেছে, সেটা তো একেবারে ভয়াবহ। খেলাপি ঋণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ছয় লাখ চুয়াল্লিশ হাজার কোটি টাকা। ভাবা যায়? এই বিশাল অঙ্কের টাকা মানুষের আমানত, মানুষের কষ্টের উপার্জন, যেটা ব্যাংকে রাখা হয়েছিল নিরাপত্তার জন্য। আর সেই টাকা এখন কোথায়? হাতে গোনা কিছু ব্যবসায়ীর পকেটে, যারা এই সরকারের ঘনিষ্ঠ। গত জুনে খেলাপি ঋণ ছিল দুই লাখ এগারো হাজার কোটি টাকা। মাত্র কয়েক মাসে এই ঋণ তিনগুণ হয়ে গেছে। এটা কি দুর্ঘটনা? নাকি সুপরিকল্পিত লুটপাট? যে সরকার নিজেই অবৈধভাবে ক্ষমতায় এসেছে, তাদের কাছে আর কী আশা করা যায়? সবচেয়ে হাস্যকর ব্যাপার হলো, ইউনুস সাহেব নিজে সুদের ব্যবসায়ী।
তিনি দরিদ্র মানুষদের কাছ থেকে চড়া সুদে টাকা আদায় করে নিজের সাম্রাজ্য গড়েছেন। আর এখন তিনি দেশের অর্থনীতি চালাচ্ছেন? এটা তো এমন যেন একজন চোরকে ব্যাংকের রক্ষক বানানো হয়েছে। মাইক্রোক্রেডিটের নামে যে শোষণ তিনি চালিয়েছেন দশকের পর দশক ধরে, সেই একই নীতি এখন পুরো দেশের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। গরিব মানুষ আরো গরিব হচ্ছে, মধ্যবিত্ত টিকে থাকার জন্য লড়ছে, আর কিছু সুবিধাভোগী গোষ্ঠী এই সংকটকে কাজে লাগিয়ে নিজেদের পকেট ভারী করছে। যে বিদেশি শক্তিগুলো এই ক্যু ঘটিয়েছে, তাদের উদ্দেশ্য এখন পরিষ্কার। তারা চায় বাংলাদেশ একটি দুর্বল, নির্ভরশীল রাষ্ট্র হয়ে থাকুক। একটি শক্তিশালী অর্থনীতি তাদের ভূরাজনৈতিক স্বার্থের জন্য হুমকি। তাই তারা এমন
একটি সরকার বসিয়েছে যে সরকার দেশের স্বার্থ রক্ষা করার চেয়ে বিদেশি প্রভুদের খুশি রাখতেই বেশি আগ্রহী। জঙ্গি সংগঠনগুলোকে যারা মাঠে ব্যবহার করেছে, তাদেরও এখন পুরস্কৃত করা হচ্ছে বিভিন্নভাবে। আর সামরিক বাহিনী, যাদের দায়িত্ব ছিল দেশ রক্ষা করা, তারা নীরবে এই ধ্বংসযজ্ঞ দেখে যাচ্ছে। সিপিডির প্রফেসর মোস্তাফিজুর রহমান যখন বলেন বেসরকারি বিনিয়োগ দীর্ঘদিন ধরে একই জায়গায় আটকে আছে এবং সরকার কোনো দৃশ্যমান উদ্যোগ নিচ্ছে না, তখন প্রশ্ন জাগে এই সরকার আসলে কী করছে? তারা কি শুধু ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য লড়ছে? নাকি দেশকে উন্নত করার কোনো পরিকল্পনা আদৌ আছে? বাস্তবতা হলো, এই সরকারের কাছে কোনো পরিকল্পনা নেই, কারণ তারা জানে তারা অস্থায়ী। তারা এসেছে একটি নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য পূরণ করতে, আর সেটা হলো দেশকে দুর্বল করে রাখা। সবচেয়ে বেদনাদায়ক হলো, সাধারণ মানুষ এই সবকিছুর মূল্য দিচ্ছে নীরবে। তারা দেখছে তাদের সন্তানদের ভবিষ্যত অন্ধকার হয়ে যাচ্ছে, তাদের সঞ্চয় মূল্যহীন হয়ে পড়ছে, তাদের স্বপ্নগুলো ভেঙে টুকরো টুকরো হচ্ছে। কিন্তু তারা কিছু করতে পারছে না কারণ যারা ক্ষমতায় আছে, তাদের পেছনে আছে বিদেশি শক্তি, আছে সশস্ত্র জঙ্গি গোষ্ঠী, আছে সামরিক সমর্থন। একটি নির্বাচিত সরকারকে সরিয়ে যে অবৈধ শাসন কায়েম করা হয়েছে, সেটার বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের কণ্ঠস্বর কতটা শক্তিশালী হতে পারে? ইউনুস এবং তার তথাকথিত সরকার যদি সত্যিই দেশের মঙ্গল চায়, তাহলে তাদের উচিত অবিলম্বে ক্ষমতা ছেড়ে দেওয়া এবং একটি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় জনগণকে তাদের সরকার বেছে নেওয়ার সুযোগ দেওয়া। কিন্তু সেটা হবে না, কারণ তারা জানে যে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচনে জনগণ তাদের প্রত্যাখ্যান করবে। তাই তারা আঁকড়ে ধরে আছেন ক্ষমতা, আর প্রতিদিন ধ্বংস করে চলেছেন দেশের অর্থনীতি, দেশের ভবিষ্যত, দেশের স্বপ্ন।
ক্ষমতায় এসেছিলেন, তারাই এখন দেশের সাধারণ মানুষের জীবনে নিয়ে এসেছেন চরম অনিশ্চয়তা। মূল্যস্ফীতি কমেছে বলে যে পরিসংখ্যান দেখানো হচ্ছে, সেটা কাগজে-কলমেই সীমাবদ্ধ। বাস্তবে বাজারে গেলে, চালের দোকানে দাঁড়ালে, সবজি কিনতে গেলে কিংবা বাসভাড়া দিতে গেলে মানুষ টের পায় এই সরকারের দেওয়া পরিসংখ্যান আসলে কতটা মিথ্যা। একজন রিকশাচালক, একজন গার্মেন্টস কর্মী কিংবা একজন ছোট দোকানদার যখন তার পরিবারের খাবার জোগাড় করতে হিমশিম খান, তখন সরকারি হিসাবে মূল্যস্ফীতি কমার কথা শুনে তার কেমন লাগে, সেটা কি এই অবৈধ সরকারের কেউ ভেবে দেখেছেন? মজার ব্যাপার হলো, ইউনুস সাহেব যিনি গরিবের বন্ধু সেজে নোবেল পুরস্কার নিয়েছিলেন, তিনিই এখন দেশের লাখ লাখ গরিব মানুষের জীবনে নিয়ে
এসেছেন অসহনীয় দুর্ভোগ। মজুরি বৃদ্ধি থমকে গেছে, কিন্তু জীবনযাত্রার খরচ বাড়ছেই। একজন শ্রমিকের মাসিক আয় হয়তো দশ হাজার টাকা বেড়েছে, কিন্তু তার পরিবারের মাসিক খরচ বেড়েছে পনেরো হাজার টাকা। এই সহজ হিসাবটা বুঝতে কি অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার লাগে? নাকি শুধু সাধারণ মানুষের জীবন সম্পর্কে একটুখানি সহানুভূতি থাকলেই চলে, যা এই সরকারের কারো মধ্যে নেই? যুবসমাজের অবস্থা আরো করুণ। যে তরুণরা রাস্তায় নেমেছিল স্বপ্ন নিয়ে, যাদের বুকের রক্ত ঝরেছিল একটি সুন্দর ভবিষ্যতের আশায়, তারাই এখন দেখছে তাদের সামনে কোনো ভবিষ্যত নেই। বিশ শতাংশের বেশি তরুণ এখন না পড়াশোনা করছে, না কোনো চাকরি করছে, না কোনো প্রশিক্ষণে যুক্ত। এরা কী করবে? কোথায় যাবে?
দেশের জন্য যে তরুণরা জীবন বাজি রেখেছিল, তাদের এই পুরস্কার দিচ্ছে ইউনুস সরকার। কত বড় নিষ্ঠুরতা এটা! একটি প্রজন্মকে ধ্বংস করে দেওয়া হচ্ছে সুপরিকল্পিতভাবে। বিনিয়োগ খাতের চিত্র দেখলে মনে হয় দেশকে ইচ্ছাকৃতভাবে পঙ্গু করে দেওয়া হচ্ছে। বেসরকারি খাতে ঋণপ্রবাহ নেমে এসেছে সর্বনিম্নে। ব্যবসায়ীরা নতুন উদ্যোগ নিতে ভয় পাচ্ছেন কারণ তারা জানেন না আগামীকাল কী হবে। যে অনিশ্চয়তা এই অবৈধ সরকার তৈরি করেছে, তাতে কোনো বিচক্ষণ ব্যবসায়ী টাকা বিনিয়োগ করবেন কেন? ঢাকা চেম্বারের সাবেক সভাপতি শামস মাহমুদের কথাগুলো খুবই স্পষ্ট। কেউ নতুন প্রকল্প নিচ্ছে না, সরকার কারো সঙ্গে আলোচনায়ও বসছে না। এটা কি কোনো সরকারের লক্ষণ? নাকি একটা দখলদার গোষ্ঠীর বৈশিষ্ট্য যারা
জনগণের কাছে জবাবদিহি করতে বাধ্য নয়? ব্যাংকিং খাতে যা ঘটেছে, সেটা তো একেবারে ভয়াবহ। খেলাপি ঋণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ছয় লাখ চুয়াল্লিশ হাজার কোটি টাকা। ভাবা যায়? এই বিশাল অঙ্কের টাকা মানুষের আমানত, মানুষের কষ্টের উপার্জন, যেটা ব্যাংকে রাখা হয়েছিল নিরাপত্তার জন্য। আর সেই টাকা এখন কোথায়? হাতে গোনা কিছু ব্যবসায়ীর পকেটে, যারা এই সরকারের ঘনিষ্ঠ। গত জুনে খেলাপি ঋণ ছিল দুই লাখ এগারো হাজার কোটি টাকা। মাত্র কয়েক মাসে এই ঋণ তিনগুণ হয়ে গেছে। এটা কি দুর্ঘটনা? নাকি সুপরিকল্পিত লুটপাট? যে সরকার নিজেই অবৈধভাবে ক্ষমতায় এসেছে, তাদের কাছে আর কী আশা করা যায়? সবচেয়ে হাস্যকর ব্যাপার হলো, ইউনুস সাহেব নিজে সুদের ব্যবসায়ী।
তিনি দরিদ্র মানুষদের কাছ থেকে চড়া সুদে টাকা আদায় করে নিজের সাম্রাজ্য গড়েছেন। আর এখন তিনি দেশের অর্থনীতি চালাচ্ছেন? এটা তো এমন যেন একজন চোরকে ব্যাংকের রক্ষক বানানো হয়েছে। মাইক্রোক্রেডিটের নামে যে শোষণ তিনি চালিয়েছেন দশকের পর দশক ধরে, সেই একই নীতি এখন পুরো দেশের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। গরিব মানুষ আরো গরিব হচ্ছে, মধ্যবিত্ত টিকে থাকার জন্য লড়ছে, আর কিছু সুবিধাভোগী গোষ্ঠী এই সংকটকে কাজে লাগিয়ে নিজেদের পকেট ভারী করছে। যে বিদেশি শক্তিগুলো এই ক্যু ঘটিয়েছে, তাদের উদ্দেশ্য এখন পরিষ্কার। তারা চায় বাংলাদেশ একটি দুর্বল, নির্ভরশীল রাষ্ট্র হয়ে থাকুক। একটি শক্তিশালী অর্থনীতি তাদের ভূরাজনৈতিক স্বার্থের জন্য হুমকি। তাই তারা এমন
একটি সরকার বসিয়েছে যে সরকার দেশের স্বার্থ রক্ষা করার চেয়ে বিদেশি প্রভুদের খুশি রাখতেই বেশি আগ্রহী। জঙ্গি সংগঠনগুলোকে যারা মাঠে ব্যবহার করেছে, তাদেরও এখন পুরস্কৃত করা হচ্ছে বিভিন্নভাবে। আর সামরিক বাহিনী, যাদের দায়িত্ব ছিল দেশ রক্ষা করা, তারা নীরবে এই ধ্বংসযজ্ঞ দেখে যাচ্ছে। সিপিডির প্রফেসর মোস্তাফিজুর রহমান যখন বলেন বেসরকারি বিনিয়োগ দীর্ঘদিন ধরে একই জায়গায় আটকে আছে এবং সরকার কোনো দৃশ্যমান উদ্যোগ নিচ্ছে না, তখন প্রশ্ন জাগে এই সরকার আসলে কী করছে? তারা কি শুধু ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য লড়ছে? নাকি দেশকে উন্নত করার কোনো পরিকল্পনা আদৌ আছে? বাস্তবতা হলো, এই সরকারের কাছে কোনো পরিকল্পনা নেই, কারণ তারা জানে তারা অস্থায়ী। তারা এসেছে একটি নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য পূরণ করতে, আর সেটা হলো দেশকে দুর্বল করে রাখা। সবচেয়ে বেদনাদায়ক হলো, সাধারণ মানুষ এই সবকিছুর মূল্য দিচ্ছে নীরবে। তারা দেখছে তাদের সন্তানদের ভবিষ্যত অন্ধকার হয়ে যাচ্ছে, তাদের সঞ্চয় মূল্যহীন হয়ে পড়ছে, তাদের স্বপ্নগুলো ভেঙে টুকরো টুকরো হচ্ছে। কিন্তু তারা কিছু করতে পারছে না কারণ যারা ক্ষমতায় আছে, তাদের পেছনে আছে বিদেশি শক্তি, আছে সশস্ত্র জঙ্গি গোষ্ঠী, আছে সামরিক সমর্থন। একটি নির্বাচিত সরকারকে সরিয়ে যে অবৈধ শাসন কায়েম করা হয়েছে, সেটার বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের কণ্ঠস্বর কতটা শক্তিশালী হতে পারে? ইউনুস এবং তার তথাকথিত সরকার যদি সত্যিই দেশের মঙ্গল চায়, তাহলে তাদের উচিত অবিলম্বে ক্ষমতা ছেড়ে দেওয়া এবং একটি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় জনগণকে তাদের সরকার বেছে নেওয়ার সুযোগ দেওয়া। কিন্তু সেটা হবে না, কারণ তারা জানে যে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচনে জনগণ তাদের প্রত্যাখ্যান করবে। তাই তারা আঁকড়ে ধরে আছেন ক্ষমতা, আর প্রতিদিন ধ্বংস করে চলেছেন দেশের অর্থনীতি, দেশের ভবিষ্যত, দেশের স্বপ্ন।



