ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর
নেট দুনিয়ায় ভাসছে শিল্পা শেঠিকে জড়িয়ে তারেকের নাম
‘হাসিনা সঠিক, এরা সবাই রাজাকার’—ফেসবুকে বিস্ফোরক মন্তব্য নীলা ইসরাফিলের
ধানমন্ডি ৩২-এর বাড়ি ভাঙচুরকারী বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ২ নেতাকে গণপিটুনি
গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও নির্বাচনে অংশগ্রহণের দাবি শেখ হাসিনার: ড. ইউনূসকে ভোটের মাঠে চ্যালেঞ্জ
ব্রিগেডিয়ার ‘বন্ধু’র দাপট আর আঞ্চলিকতার দায়ে অডিশনে বাদ: সেই ‘বিতর্কিত’ মিতুই আজ জাতির নসিহতকারী!
গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও নির্বাচনে অংশগ্রহণের দাবি শেখ হাসিনার: ড. ইউনূসকে ভোটের মাঠে চ্যালেঞ্জ
গরিবের বন্ধু’র আড়ালে ইউরোপে ড. ইউনূসের হাজার কোটি টাকার গুপ্ত সাম্রাজ্য: নথিপত্রে ফাঁস চাঞ্চল্যকর তথ্য
ডিএমপির দাবি খারিজ: মেঘালয়ে শরীফ ওসমান হত্যায় কেউ গ্রেপ্তার হয়নি
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ওসমান গনি ওরফে শরীফ ওসমান হাদীর ওপর গুলিবর্ষণের ঘটনায় জড়িত মূল আসামিদের সহায়তাকারী হিসেবে মেঘালয় থেকে কোনো ভারতীয় নাগরিককে গ্রেপ্তার করা হয়নি। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার দাবির বিপরীতে আজ শনিবার এমনটাই জানিয়েছে মেঘালয়ের তোরা (Tura) জেলা পুলিশ।
এর আগে বাংলাদেশী গণমাধ্যমের খবরে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) নজরুল ইসলামকে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছিল যে, ডিএমপি গোয়েন্দারা "অনানুষ্ঠানিক" সূত্রে জানতে পেরেছেন—তোরা পৌরসভা এলাকা থেকে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, এই দুজন ব্যক্তি মূল অভিযুক্ত ফয়সাল করিম মাসুদ এবং আলমগীর হোসেনকে সীমান্ত পার হয়ে মেঘালয়ে প্রবেশ করতে সহায়তা করেছিলেন।
গত ১২ ডিসেম্বর গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর দুই
সপ্তাহ মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালে মারা যান ওসমান গনি। এই ঘটনার তদন্তে ডিএমপির দাবির সত্যতা নিয়ে আজ প্রশ্ন তুলেছে মেঘালয় পুলিশ। ‘নর্থইস্ট নিউজ’-এর পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হলে মেঘালয়ের অন্তত চারটি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন যে, তাদের আওতাধীন এলাকায় এমন কোনো গ্রেপ্তারের ঘটনা ঘটেনি। ঢাকার গণমাধ্যমে এর আগে প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছিল, গত ১৩ ডিসেম্বর অভিযুক্তরা ভারতে পালিয়ে যান। সেখানে তাদের সহায়তা করেন 'পুত্তি' নামের এক নারী এবং 'সমীর' নামের এক ট্যাক্সি চালক। তবে তোরা থানার সাব-ইন্সপেক্টর টি জে সাংমা বলেন, তিনি ঢাকার ঘটনাটি সম্পর্কে অবগত থাকলেও, তার থানা এলাকা থেকে কাউকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি জোর দিয়ে অস্বীকার করেন। একই
সুর শোনা গেছে ফুলবাড়ির সাব-ইন্সপেক্টর এস এন যাদব, দাদেনগ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ত্রিদিব সাংমা এবং তিকরিকিল্লা থানার পুলিশের কণ্ঠে। তোরা মেঘালয়ের পশ্চিম গারো হিলস জেলার অন্তর্ভুক্ত, যেখানে মোট ১১টি থানা রয়েছে। সাব-ইন্সপেক্টর যাদব জানান, "এমন কোনো গ্রেপ্তারের ঘটনা ঘটলে তোরা জেলা পুলিশের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে অবশ্যই উল্লেখ থাকত, কিন্তু সেখানে এমন কোনো তথ্য দেওয়া হয়নি।" তোরা জেলার পুলিশ সুপার আব্রাহাম টি সাংমা প্রশিক্ষণের কারণে স্টেশনের বাইরে রয়েছেন এবং অতিরিক্ত এসপি প্রিয়াঙ্কা ওয়াত্রে সাংমার ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে। অন্যদিকে, হোয়াটসঅ্যাপে যোগাযোগ করা হলে ডিএমপির ডেপুটি কমিশনার তালেবুর রহমান জানান, মেঘালয়ে গ্রেপ্তারের বিষয়ে তার কোনো "ব্যক্তিগত জ্ঞান" নেই। তবে তিনি উল্লেখ করেন, অতিরিক্ত কমিশনার (নজরুল ইসলাম)
পুত্তি ও সমীরের গ্রেপ্তারের বিষয়ে "অনানুষ্ঠানিক তথ্য" পেয়েছিলেন। উল্লেখ্য, গত ১২ থেকে ২৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত ডিএমপি গোয়েন্দা ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) যৌথভাবে ময়মনসিংহ সীমান্তে ব্যাপক তল্লাশি চালালেও কোনো হদিস মেলেনি। কিছুদিন আগেই ডিএমপির এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছিলেন, আসামিরা যে ভারতে পালিয়েছে, এমন কোনো প্রমাণ পুলিশের কাছে নেই। তোরা পুলিশের আজকের বক্তব্যের পর ডিএমপির দাবি নিয়ে নতুন করে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনার পর পরই সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া কিছু তথ্যের কারণে বিষয়টি আরও জটিল আকার ধারণ করেছে। ঘটনার ১২ ঘণ্টার কম সময়ের মধ্যে একজন বাংলাদেশী সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার দাবি করেছিলেন যে, অভিযুক্তরা ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট দিয়ে ভারতে প্রবেশ করে গুয়াহাটির দিকে গেছে। ওই
পোস্টে আরও দাবি করা হয়, তারা একটি ভারতীয় নম্বর (+৯১৬০০**) থেকে বাংলাদেশের অন্তত পাঁচটি নম্বরে কল করেছে। ভারতীয় মোবাইল নেটওয়ার্ক থেকে করা কলগুলোর তথ্য এবং আসামিদের পালিয়ে যাওয়ার খবর এত দ্রুত কীভাবে জানা গেল, তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।
সপ্তাহ মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালে মারা যান ওসমান গনি। এই ঘটনার তদন্তে ডিএমপির দাবির সত্যতা নিয়ে আজ প্রশ্ন তুলেছে মেঘালয় পুলিশ। ‘নর্থইস্ট নিউজ’-এর পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হলে মেঘালয়ের অন্তত চারটি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন যে, তাদের আওতাধীন এলাকায় এমন কোনো গ্রেপ্তারের ঘটনা ঘটেনি। ঢাকার গণমাধ্যমে এর আগে প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছিল, গত ১৩ ডিসেম্বর অভিযুক্তরা ভারতে পালিয়ে যান। সেখানে তাদের সহায়তা করেন 'পুত্তি' নামের এক নারী এবং 'সমীর' নামের এক ট্যাক্সি চালক। তবে তোরা থানার সাব-ইন্সপেক্টর টি জে সাংমা বলেন, তিনি ঢাকার ঘটনাটি সম্পর্কে অবগত থাকলেও, তার থানা এলাকা থেকে কাউকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি জোর দিয়ে অস্বীকার করেন। একই
সুর শোনা গেছে ফুলবাড়ির সাব-ইন্সপেক্টর এস এন যাদব, দাদেনগ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ত্রিদিব সাংমা এবং তিকরিকিল্লা থানার পুলিশের কণ্ঠে। তোরা মেঘালয়ের পশ্চিম গারো হিলস জেলার অন্তর্ভুক্ত, যেখানে মোট ১১টি থানা রয়েছে। সাব-ইন্সপেক্টর যাদব জানান, "এমন কোনো গ্রেপ্তারের ঘটনা ঘটলে তোরা জেলা পুলিশের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে অবশ্যই উল্লেখ থাকত, কিন্তু সেখানে এমন কোনো তথ্য দেওয়া হয়নি।" তোরা জেলার পুলিশ সুপার আব্রাহাম টি সাংমা প্রশিক্ষণের কারণে স্টেশনের বাইরে রয়েছেন এবং অতিরিক্ত এসপি প্রিয়াঙ্কা ওয়াত্রে সাংমার ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে। অন্যদিকে, হোয়াটসঅ্যাপে যোগাযোগ করা হলে ডিএমপির ডেপুটি কমিশনার তালেবুর রহমান জানান, মেঘালয়ে গ্রেপ্তারের বিষয়ে তার কোনো "ব্যক্তিগত জ্ঞান" নেই। তবে তিনি উল্লেখ করেন, অতিরিক্ত কমিশনার (নজরুল ইসলাম)
পুত্তি ও সমীরের গ্রেপ্তারের বিষয়ে "অনানুষ্ঠানিক তথ্য" পেয়েছিলেন। উল্লেখ্য, গত ১২ থেকে ২৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত ডিএমপি গোয়েন্দা ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) যৌথভাবে ময়মনসিংহ সীমান্তে ব্যাপক তল্লাশি চালালেও কোনো হদিস মেলেনি। কিছুদিন আগেই ডিএমপির এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছিলেন, আসামিরা যে ভারতে পালিয়েছে, এমন কোনো প্রমাণ পুলিশের কাছে নেই। তোরা পুলিশের আজকের বক্তব্যের পর ডিএমপির দাবি নিয়ে নতুন করে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনার পর পরই সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া কিছু তথ্যের কারণে বিষয়টি আরও জটিল আকার ধারণ করেছে। ঘটনার ১২ ঘণ্টার কম সময়ের মধ্যে একজন বাংলাদেশী সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার দাবি করেছিলেন যে, অভিযুক্তরা ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট দিয়ে ভারতে প্রবেশ করে গুয়াহাটির দিকে গেছে। ওই
পোস্টে আরও দাবি করা হয়, তারা একটি ভারতীয় নম্বর (+৯১৬০০**) থেকে বাংলাদেশের অন্তত পাঁচটি নম্বরে কল করেছে। ভারতীয় মোবাইল নেটওয়ার্ক থেকে করা কলগুলোর তথ্য এবং আসামিদের পালিয়ে যাওয়ার খবর এত দ্রুত কীভাবে জানা গেল, তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।



