১৪ ডিসেম্বর: বুদ্ধিজীবী হত্যার রক্তাক্ত ইতিহাসে আজও উদাস বাংলা – ইউ এস বাংলা নিউজ




ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আপডেটঃ ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫
     ৫:১৯ অপরাহ্ণ

১৪ ডিসেম্বর: বুদ্ধিজীবী হত্যার রক্তাক্ত ইতিহাসে আজও উদাস বাংলা

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ | ৫:১৯ 22 ভিউ
বছর ঘুরে আবারও আমাদের দুয়ারে এসে দাঁড়ায় ১৪ ডিসেম্বর—শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। এ দেশ আমাদের মায়ের মতো নয়, এই দেশটাই আমাদের মা। সেই বাংলা মায়ের বুকেই ইতিহাসের তিনটি ভয়াবহ গণহত্যা একে অপরের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে— ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের কালরাত, ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ড এবং ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারকে হত্যার নৃশংস অধ্যায়। এই তিনটি হত্যাকাণ্ডের উদ্দেশ্য ছিল এক ও অভিন্ন—বাঙালি জাতিকে নেতৃত্বহীন করা, মেধাশূন্য করা এবং ভবিষ্যতে যেন “বাংলা” নামক শব্দটি উচ্চারণ করার শক্তিও না থাকে। সেই লক্ষ্য বাস্তবায়নে কখনো জেনারেল ইয়াহিয়া, কখনো জুলফিকার আলী ভুট্টো, কখনো জেনারেল নিয়াজী প্রকাশ্যেই ঘোষণা করেছিল—বাংলার সবুজ

মাঠ বাঙালির রক্তে লাল করে দিতে হবে, বাংলা উচ্চারণকারীকে হত্যা করতে হবে, এমনকি বাঙালি নারীদের গর্ভে পাকিস্তানি সেনাদের সন্তান জন্ম দেওয়ার মধ্য দিয়ে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে বিভ্রান্ত করার নীলনকশাও আঁকা হয়েছিল। এই দীর্ঘ ষড়যন্ত্রের সর্বশেষ ও ভয়াবহ ধাপ ছিল ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর। স্বাধীনতার ঠিক পূর্ব মুহূর্তে একটি আন্তর্জাতিক চক্রান্তের অংশ হিসেবে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সহযোগী আলবদর বাহিনী সারা দেশে বুদ্ধিজীবী ও উচ্চশিক্ষিত শ্রেণিকে নির্মূলের অভিযান চালায়। রাজধানী ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সাংবাদিক, সাহিত্যিক, শিক্ষাবিদ, চিকিৎসক, চলচ্চিত্রকার, বিজ্ঞানী ও লেখকদের ধরে নিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। ইতিহাসে এমন পরিকল্পিত ও নিষ্ঠুর হত্যাযজ্ঞ বিরল। ২৭ ডিসেম্বর ১৯৭১ সালে দৈনিক আজাদ পত্রিকার শিরোনামে লেখা

হয়েছিল— “আর এক সপ্তাহ সময় পেলে তারা সকল বাঙালি বুদ্ধিজীবীকে হত্যা করত।” ১৯৭২ সালের ২ জানুয়ারি দৈনিক আজাদে প্রকাশিত অধ্যাপিকা হামিদা রহমানের লেখা “কাটাসূরের বধ্যভূমি” প্রবন্ধে উঠে আসে সেই হত্যাযজ্ঞের ভয়াবহ চিত্র। চোখ বাঁধা, নাক-কান কাটা, শরীর থেকে মাংস ছিঁড়ে নেওয়া লাশ—মানবসভ্যতার জন্য যা ছিল অকল্পনীয়। শহীদ সেলিনা পারভীনের মতো সাহসী নারী সাংবাদিক, ডা. আলীম চৌধুরীর মতো চক্ষু বিশেষজ্ঞ কিংবা মুনীর চৌধুরীর মতো মনীষীরা এক দিনে তৈরি হননি—তাদের হত্যা মানে ছিল একটি জাতির ভবিষ্যৎকে হত্যা করা। বাংলা মায়ের কোলে তাঁরা এক দিনে বড় হয়ে ওঠেননি। তাই তাঁদের হারিয়ে আজও বাংলা শোকাহত, উদাস। এই গণহত্যায় পাকিস্তানি বাহিনীর সহযোগী হিসেবে জামায়াতে ইসলামী ও তাদের গঠিত আলবদর

বাহিনীর ভূমিকা ছিল সবচেয়ে ঘৃণ্য। তারা শুধু স্বাধীনতার বিরোধিতা করেনি, বরং বাঙালি জাতিকে মেধাশূন্য করার মিশনে সক্রিয় অংশ নিয়েছে। স্বাধীনতার পর আলবদর বাহিনীর সদর দপ্তরে পাওয়া যায় বস্তাভর্তি মানুষের চোখ—যারা এ দেশের মানুষের চোখের চিকিৎসা করতেন, সেই চিকিৎসকদের চোখ উপড়ে ফেলা হয়েছিল। প্রবীণ রাজনীতিক মওলানা আব্দুর রশীদ তর্কবাগীশ এক আলোচনায় বলেন, তথাকথিত “বদর বাহিনী” নামটি ছিল ইসলামের ইতিহাসের সাথে এক নির্মম প্রতারণা—কারণ তারা ছিল ইসলাম ও মানবতার শত্রু, জালেমদের বাহিনী। অত্যন্ত শ্রদ্ধার সঙ্গে তাই প্রতি বছর ১৪ ডিসেম্বর আমরা স্মরণ করি জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের। তাঁরা বেঁচে থাকলে হয়তো স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাস অন্যরকম হতো। আমাদের অর্জিত স্বাধীনতা হতো আরও অর্থবহ, আরও দুর্নিবার। মরণ সাগর

পাড়ে তোমরা অমর—আমরা তোমাদের স্মরি। ------- মোতাহার হোসেন প্রিন্স সাবেক সাধারণ সম্পাদক বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
পেঁয়াজের দাম দ্বিগুণ, ইউনুস সরকার নিখোঁজ ১৯৭১, নীলফামারীর গোলাহাট গণহত্যা PBI Findings: 56% of July–August 2024 Cases Were “False & Baseless” ‘৭১ এর রণাঙ্গনের ৩ জন বীর নারী মুক্তিযোদ্ধা। জনগণের ঘাড়ে নতুন করে চাপছে অন্তর্বর্তী সরকারের কর্তৃত্ববাদী খড়্গ দেশ আবার সারের জন্য ফেটে পড়ছে—এই হলো বিদেশিদের পোষ্য জামাতি ইউনুস সরকারের আসল চেহারা! মুক্তিযোদ্ধাদের সহায়তা করতে এসে প্রাণ হারায় দেড় হাজার ভারতীয় সেনা সাঈদীকে ‘জিন্দা কাফের’ ও ‘বিশ্ব টাউট’ আখ্যা দিলেন বনি আমিন: ওয়াজে ভুয়া ধর্মান্তরের নাটক সাজানোর অভিযোগ ভোলায় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতার ছোট ভাইকে ‘ হত্যার উদ্দেশ্যে’ ছাত্রদল-শিবিরের হামলার অভিযোগ সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় সাংবাদিক আনিস আলমগীরকে আদালতে তোলা হচ্ছে ওসমান হাদিকে গুলি : সন্দেহভাজন ফয়সলের স্ত্রীসহ আটক ৩ খুলনায় দুর্বৃত্তদের গু‌লিতে যুবক নিহত ‘আমাকে শোরুমে নিয়ে যান, সব সত্য বেরিয়ে আসবে’ রাজধানীতে যাত্রীবাহী বাসে আগুন সিডনিতে হামলায় নিহত বেড়ে ১২ শান্তিরক্ষী মিশনে সুদানে ড্রোন হামলায় আহত ঘিওরের চুমকি সেন্টমার্টিন যাত্রায় সক্রিয় জালিয়াতি চক্র, টিকিট যেন সোনার হরিণ প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভে উত্তাল ইউরোপের এক দেশ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কুকুর ছানাকে বাঁচালেন তরুণী সিডনিতে হামলায় নিহত বেড়ে ১২