ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর
ড. ইউনুসের নেতৃত্বে বিএনপি, জামায়াত ,এনসিপির দখলদার শাসন চলছে দেশের নিরাপত্তা অর্থনীতি আজ বিপন্ন
বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচন ঘিরে রাজনীতির মাঠে যে অস্থিরতা তৈরি হচ্ছে, তা আর বিচ্ছিন্ন কোন ঘটনাপ্রবাহ নয়
সংস্কারের ধোঁয়াশায় স্থবির উন্নয়ন: ড. ইউনূসের শাসনে শুধুই লাশের মিছিল আর মব-রাজত্ব
আইএএনএস-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে খালেদা জিয়ার অসুস্থতা নিয়ে শেখ হাসিনা বলেন,
‘বিজয়ের মাসে পশুটির কথা শুনলে মনে হয় ওকে টিক্কা খান জন্ম দিয়েছে’—সাংবাদিক ইলিয়াসকে নিয়ে গোলাম মাওলা রনির বিস্ফোরক মন্তব্য
কুষ্টিয়ায় মুক্তিযোদ্ধাদের বিজয় অগ্রযাত্রা, তরুণদের স্বেচ্ছাসেবী দলে যোগদানের ঢল
‘আওয়ামী লীগ’ ট্যাগ দিয়ে ব্ল্যাকমেইল: ২০ লাখ টাকা চাঁদা নিতে এসে ভুয়া সাংবাদিক গ্রেপ্তার
রেলপথ যখন মাদকের ‘নিরাপদ’ করিডর: নেপথ্যে এসপি শাকিলা ও তার সিন্ডিকেট
রাষ্ট্রীয় গণপরিবহন ব্যবস্থা রেলওয়ে এখন মাদক চোরাচালানকারীদের ‘সবচেয়ে বিশ্বস্ত’ বাহনে পরিণত হয়েছে। আর চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী এই রুটে মায়ানমার থেকে আসা ইয়াবা ও মরণনেশা ‘আইস’-এর অবাধ প্রবাহ নিশ্চিত করছে খোদ রেলওয়ে পুলিশেরই একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট। অনুসন্ধানে উঠে এসেছে, এই সিন্ডিকেটের নাটাই যার হাতে, তিনি আর কেউ নন—চট্টগ্রাম রেলওয়ে পুলিশের পুলিশ সুপার (এসপি) শাকিলা সোলতানা। তার প্রত্যক্ষ মদদ ও ‘ম্যানেজ’ প্রক্রিয়ায় চট্টগ্রাম স্টেশন এখন মাদক পাচারের ওপেন সিক্রেট রুটে পরিণত হয়েছে।
অভিযোগ রয়েছে, রেলওয়ে পুলিশের শীর্ষ এই কর্মকর্তার ছত্রছায়ায় গড়ে উঠেছে একটি সংঘবদ্ধ চক্র। মাদক ব্যবসায়ীদের জন্য ট্রেনকে ‘নিরাপদ জোন’ হিসেবে গড়ে তোলাই এই চক্রের মূল কাজ। কক্সবাজার ও টেকনাফ থেকে আসা
মাদকের বিশাল চালান চট্টগ্রাম স্টেশনের আশপাশের গোপন আস্তানায় মজুত করা হয়। এরপর এসপি শাকিলার অনুগত কতিপয় এসআই, এএসআই এবং কনস্টেবলের পাহারায় তা তুলে দেওয়া হয় ট্রেনের বগি, পার্সেল বা পণ্যবাহী ওয়াগনে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক রেলকর্মী জানান, “ম্যাডামের (শাকিলা সোলতানা) সিগন্যাল ছাড়া স্টেশনে একটা পাতাও নড়ে না। তল্লাশির নামে যা হয় তা আইওয়াশ মাত্র। আসল চালানগুলো পুলিশি প্রটোকলেই ঢাকায় যায়।” অভিযোগ রয়েছে, প্রতিটি চালানের লভ্যাংশের একটি বড় অংশ সরাসরি পৌঁছে যায় এসপি শাকিলার টেবিলে। এসপি শাকিলা সোলতানার বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ নতুন নয়। এর আগেও তিনি চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশে (সিএমপি) দায়িত্ব পালনকালে প্রবল সমালোচিত ছিলেন। ডিসি (বন্দর) থাকাকালে সেখানকার ব্যবসায়ী ও
শিল্পমালিকদের কাছে তিনি ছিলেন এক আতঙ্কের নাম। মাসোহারা আদায় ও ক্ষমতার অপব্যবহারের বিস্তর অভিযোগ ছিল তার বিরুদ্ধে। পরবর্তীতে তৎকালীন সিএমপি কমিশনার হাসিব আজিজের সঙ্গে বিশেষ সখ্যতা ও ঘনিষ্ঠতার সুবাদে তিনি সিএমপির অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ‘ডিসি দক্ষিণ’ পদে আসীন হন বলে জনশ্রুতি রয়েছে। সেখানেও বিতর্ক তার পিছু ছাড়েনি। অবশেষে নানা সমালোচনার মুখে তাকে রেলওয়ে পুলিশে বদলি করা হয়। কিন্তু সেখানে গিয়ে তিনি যেন আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠেন। রেলওয়ের মতো স্পর্শকাতর জায়গায় বসে তিনি মাদক পাচারের এক অভয়ারণ্য তৈরি করেছেন বলে অভিযোগ। শাকিলা সোলতানার পেশাগত জীবনের মতো ব্যক্তিগত জীবন নিয়েও প্রশাসনের অন্দরমহলে রয়েছে নানা গুঞ্জন। তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, চাকরিজীবনের শুরুতে ফেনীতে পোস্টিং থাকাকালে তিনি স্থানীয়
এক সোনালী ব্যাংক কর্মকর্তার সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। কিন্তু পুলিশের চাকরিতে প্রভাব প্রতিপত্তি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তার উচ্চাভিলাষও বাড়তে থাকে। অভিযোগ রয়েছে, ক্ষমতার মোহ ও সামাজিক অবস্থান পরিবর্তনের নেশায় তিনি সেই সংসার ভেঙে দেন এবং পরবর্তীতে একজন প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাকে বিয়ে করেন। তার এই সুবিধাবাদী চরিত্র পেশাগত দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রেও প্রতিফলিত হচ্ছে বলে মনে করেন অনেকে। ‘আইস’ সন্ত্রাসে ধ্বংসের মুখে তরুণ সমাজ এসপি শাকিলার নেতৃত্বাধীন এই সিন্ডিকেটের কারণে শুধু ইয়াবা নয়, বর্তমানে রেলপথ দিয়ে ঢাকায় ঢুকছে ভয়ংকর মাদক ‘ক্রিস্টাল মেথ’ বা আইস। উচ্চবিত্ত ও তরুণ সমাজের মধ্যে দ্রুত ছড়িয়ে পড়া এই মাদক স্নায়ুতন্ত্রকে ধ্বংস করে দেয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রেলওয়ে পুলিশের এমন দায়িত্বজ্ঞানহীন
ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড পুরো জাতিকে এক ভয়াবহ পরিণতির দিকে ঠেলে দিচ্ছে। রেলপথে মাদক পাচার নিয়ে এর আগেও একাধিকবার গোয়েন্দা প্রতিবেদন জমা পড়লেও, শাকিলা সোলতানার অদৃশ্য খুঁটির জোরে তা ধামাচাপা পড়ে যায়। অধস্তন কোনো কর্মকর্তা মুখ খুললে বা তদন্তের সাহস দেখালে তাকে তাৎক্ষণিক বদলি বা হয়রানির শিকার হতে হয়। ফলে পুরো স্টেশনজুড়ে এখন এক ভয়ের রাজত্ব কায়েম হয়েছে। রাষ্ট্রীয় পোশাকে থেকে যারা মাদক কারবারিদের দোসর হিসেবে কাজ করছে, তাদের বিরুদ্ধে এখনই কঠোর ব্যবস্থা না নিলে রেলওয়ে ব্যবস্থা অচিরেই পুরোপুরি মাফিয়াদের নিয়ন্ত্রণে চলে যাবে—এমনটাই আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
মাদকের বিশাল চালান চট্টগ্রাম স্টেশনের আশপাশের গোপন আস্তানায় মজুত করা হয়। এরপর এসপি শাকিলার অনুগত কতিপয় এসআই, এএসআই এবং কনস্টেবলের পাহারায় তা তুলে দেওয়া হয় ট্রেনের বগি, পার্সেল বা পণ্যবাহী ওয়াগনে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক রেলকর্মী জানান, “ম্যাডামের (শাকিলা সোলতানা) সিগন্যাল ছাড়া স্টেশনে একটা পাতাও নড়ে না। তল্লাশির নামে যা হয় তা আইওয়াশ মাত্র। আসল চালানগুলো পুলিশি প্রটোকলেই ঢাকায় যায়।” অভিযোগ রয়েছে, প্রতিটি চালানের লভ্যাংশের একটি বড় অংশ সরাসরি পৌঁছে যায় এসপি শাকিলার টেবিলে। এসপি শাকিলা সোলতানার বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ নতুন নয়। এর আগেও তিনি চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশে (সিএমপি) দায়িত্ব পালনকালে প্রবল সমালোচিত ছিলেন। ডিসি (বন্দর) থাকাকালে সেখানকার ব্যবসায়ী ও
শিল্পমালিকদের কাছে তিনি ছিলেন এক আতঙ্কের নাম। মাসোহারা আদায় ও ক্ষমতার অপব্যবহারের বিস্তর অভিযোগ ছিল তার বিরুদ্ধে। পরবর্তীতে তৎকালীন সিএমপি কমিশনার হাসিব আজিজের সঙ্গে বিশেষ সখ্যতা ও ঘনিষ্ঠতার সুবাদে তিনি সিএমপির অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ‘ডিসি দক্ষিণ’ পদে আসীন হন বলে জনশ্রুতি রয়েছে। সেখানেও বিতর্ক তার পিছু ছাড়েনি। অবশেষে নানা সমালোচনার মুখে তাকে রেলওয়ে পুলিশে বদলি করা হয়। কিন্তু সেখানে গিয়ে তিনি যেন আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠেন। রেলওয়ের মতো স্পর্শকাতর জায়গায় বসে তিনি মাদক পাচারের এক অভয়ারণ্য তৈরি করেছেন বলে অভিযোগ। শাকিলা সোলতানার পেশাগত জীবনের মতো ব্যক্তিগত জীবন নিয়েও প্রশাসনের অন্দরমহলে রয়েছে নানা গুঞ্জন। তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, চাকরিজীবনের শুরুতে ফেনীতে পোস্টিং থাকাকালে তিনি স্থানীয়
এক সোনালী ব্যাংক কর্মকর্তার সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। কিন্তু পুলিশের চাকরিতে প্রভাব প্রতিপত্তি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তার উচ্চাভিলাষও বাড়তে থাকে। অভিযোগ রয়েছে, ক্ষমতার মোহ ও সামাজিক অবস্থান পরিবর্তনের নেশায় তিনি সেই সংসার ভেঙে দেন এবং পরবর্তীতে একজন প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাকে বিয়ে করেন। তার এই সুবিধাবাদী চরিত্র পেশাগত দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রেও প্রতিফলিত হচ্ছে বলে মনে করেন অনেকে। ‘আইস’ সন্ত্রাসে ধ্বংসের মুখে তরুণ সমাজ এসপি শাকিলার নেতৃত্বাধীন এই সিন্ডিকেটের কারণে শুধু ইয়াবা নয়, বর্তমানে রেলপথ দিয়ে ঢাকায় ঢুকছে ভয়ংকর মাদক ‘ক্রিস্টাল মেথ’ বা আইস। উচ্চবিত্ত ও তরুণ সমাজের মধ্যে দ্রুত ছড়িয়ে পড়া এই মাদক স্নায়ুতন্ত্রকে ধ্বংস করে দেয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রেলওয়ে পুলিশের এমন দায়িত্বজ্ঞানহীন
ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড পুরো জাতিকে এক ভয়াবহ পরিণতির দিকে ঠেলে দিচ্ছে। রেলপথে মাদক পাচার নিয়ে এর আগেও একাধিকবার গোয়েন্দা প্রতিবেদন জমা পড়লেও, শাকিলা সোলতানার অদৃশ্য খুঁটির জোরে তা ধামাচাপা পড়ে যায়। অধস্তন কোনো কর্মকর্তা মুখ খুললে বা তদন্তের সাহস দেখালে তাকে তাৎক্ষণিক বদলি বা হয়রানির শিকার হতে হয়। ফলে পুরো স্টেশনজুড়ে এখন এক ভয়ের রাজত্ব কায়েম হয়েছে। রাষ্ট্রীয় পোশাকে থেকে যারা মাদক কারবারিদের দোসর হিসেবে কাজ করছে, তাদের বিরুদ্ধে এখনই কঠোর ব্যবস্থা না নিলে রেলওয়ে ব্যবস্থা অচিরেই পুরোপুরি মাফিয়াদের নিয়ন্ত্রণে চলে যাবে—এমনটাই আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।



