
ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর

আরাকান আর্মির ওপর হামলায় বাংলাদেশের সম্পৃক্ততার অভিযোগ আরকান সেনাপ্রধানের

ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল পাকিস্তানের একাধিক এলাকা

সাত বছর ধরে যে শহরে ছিল গাড়ি ধোয়ায় নিষেধাজ্ঞা

ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা ছাড়া ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক হবে না, জানাল সৌদি আরব

মস্কোতে শুরু ওয়ার্ল্ড অ্যাটমিক উইক

জাতিসংঘে ট্রাম্পের বক্তৃতার সময় ‘নাশকতার’ অভিযোগ: তদন্তের দাবি

নিজ ভূখণ্ডে পাকি বিমানবাহিনীর বোমাবর্ষণ: নারী-শিশুসহ নিহত ৩০, অস্বীকার সরকারের
সাবেক ফরাসি প্রেসিডেন্ট সারকোজি লিবিয়া কেলেঙ্কারিতে পাঁচ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত

প্যারিসের একটি আদালত সাবেক ফরাসি প্রেসিডেন্ট নিকোলা সারকোজিকে (৭০) পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে। এর মধ্যে দু’বছর কঠোর কারাভোগের সাজা। বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫) এই রায় ঘোষণা করা হয়।
আদালত তাকে লিবিয়ার প্রয়াত নেতা কর্নেল মুয়াম্মার গাদ্দাফির কাছ থেকে অবৈধ অর্থ গ্রহণের ষড়যন্ত্রে দোষী সাব্যস্ত করেছে। তবে দুর্নীতি ও অবৈধ নির্বাচনী অর্থায়নের অন্যান্য অভিযোগ থেকে তিনি খালাস পান।
রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত অনেকে বিস্ময়ে শ্বাসরুদ্ধ হয়ে পড়েন। বিচারক নাথালি গাভারিনো বলেন, সারকোজি তার ঘনিষ্ঠ সহযোগীদের লিবিয়ার কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে অনুমতি দিয়েছিলেন, যাতে নির্বাচনী প্রচারণার জন্য আর্থিক সহায়তা জোগাড় করা যায়।
রায় ঘোষণার পর সারকোজি সাংবাদিকদের বলেন, “আজ যা ঘটল, তা আইনের শাসনের
জন্য অত্যন্ত গুরুতর বিষয়।” তিনি দাবি করেন, এই মামলাটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তিনি আরও বলেন, “যদি তারা আমাকে কারাগারে পাঠাতেই চায়, আমি মাথা উঁচু করেই যাব।” সারকোজিকে ১ লাখ ইউরো (প্রায় ১১৭,০০০ মার্কিন ডলার) জরিমানাও করা হয়েছে। আপিল করলেও তাকে কারাগারে যেতেই হতে পারে। ২০১৩ সালে এই তদন্ত শুরু হয়। এর দুই বছর আগে গাদ্দাফির ছেলে সাইফ আল-ইসলাম অভিযোগ করেন, সারকোজি তার বাবার কাছ থেকে কোটি কোটি ইউরো নিয়েছিলেন। পরে লেবানিজ ব্যবসায়ী জিয়াদ তাকিয়েদ্দিনও দাবি করেন, ত্রিপোলি থেকে সারকোজির প্রচারণায় বিপুল অর্থ গিয়েছিল। মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ক্লদ গ্যাঁ এবং ব্রিস অর্তুফোসহ আরও কয়েকজন অভিযুক্ত ছিলেন। গ্যাঁ দুর্নীতিতে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন এবং অর্তুফোকে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রে
দোষী বলা হয়েছে। সারকোজির স্ত্রী কার্লা ব্রুনি-সারকোজির বিরুদ্ধেও গত বছর প্রমাণ লুকানোর অভিযোগ আনা হয়েছিল, যদিও তিনি তা অস্বীকার করেছেন। ২০১২ সালে পুনর্নির্বাচনে হেরে যাওয়ার পর থেকে সারকোজির বিরুদ্ধে একাধিক মামলা হয়েছে। ২০২১ সালে তিনি বিচারক ঘুষ দেওয়ার দায়ে দোষী সাব্যস্ত হয়ে প্রথম ফরাসি প্রেসিডেন্ট হিসেবে কারাদণ্ড পান। ২০২৪ সালে নির্বাচনী ব্যয়ের সীমা লঙ্ঘনের অভিযোগেও তার এক বছরের সাজা হয়। সর্বশেষ রায়টি ফরাসি রাজনীতিতে বড় ধাক্কা হিসেবে দেখা হচ্ছে। সারকোজি আপিল করলেও ফ্রান্সের ইতিহাসে প্রথমবার কোনো সাবেক প্রেসিডেন্ট সরাসরি কারাগারে যেতে পারেন।
জন্য অত্যন্ত গুরুতর বিষয়।” তিনি দাবি করেন, এই মামলাটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তিনি আরও বলেন, “যদি তারা আমাকে কারাগারে পাঠাতেই চায়, আমি মাথা উঁচু করেই যাব।” সারকোজিকে ১ লাখ ইউরো (প্রায় ১১৭,০০০ মার্কিন ডলার) জরিমানাও করা হয়েছে। আপিল করলেও তাকে কারাগারে যেতেই হতে পারে। ২০১৩ সালে এই তদন্ত শুরু হয়। এর দুই বছর আগে গাদ্দাফির ছেলে সাইফ আল-ইসলাম অভিযোগ করেন, সারকোজি তার বাবার কাছ থেকে কোটি কোটি ইউরো নিয়েছিলেন। পরে লেবানিজ ব্যবসায়ী জিয়াদ তাকিয়েদ্দিনও দাবি করেন, ত্রিপোলি থেকে সারকোজির প্রচারণায় বিপুল অর্থ গিয়েছিল। মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ক্লদ গ্যাঁ এবং ব্রিস অর্তুফোসহ আরও কয়েকজন অভিযুক্ত ছিলেন। গ্যাঁ দুর্নীতিতে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন এবং অর্তুফোকে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রে
দোষী বলা হয়েছে। সারকোজির স্ত্রী কার্লা ব্রুনি-সারকোজির বিরুদ্ধেও গত বছর প্রমাণ লুকানোর অভিযোগ আনা হয়েছিল, যদিও তিনি তা অস্বীকার করেছেন। ২০১২ সালে পুনর্নির্বাচনে হেরে যাওয়ার পর থেকে সারকোজির বিরুদ্ধে একাধিক মামলা হয়েছে। ২০২১ সালে তিনি বিচারক ঘুষ দেওয়ার দায়ে দোষী সাব্যস্ত হয়ে প্রথম ফরাসি প্রেসিডেন্ট হিসেবে কারাদণ্ড পান। ২০২৪ সালে নির্বাচনী ব্যয়ের সীমা লঙ্ঘনের অভিযোগেও তার এক বছরের সাজা হয়। সর্বশেষ রায়টি ফরাসি রাজনীতিতে বড় ধাক্কা হিসেবে দেখা হচ্ছে। সারকোজি আপিল করলেও ফ্রান্সের ইতিহাসে প্রথমবার কোনো সাবেক প্রেসিডেন্ট সরাসরি কারাগারে যেতে পারেন।