
ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর

পাকিস্তানের যে ক্ষেপণাস্ত্র ইসরাইল পর্যন্ত পৌঁছাতে সক্ষম

ছেলের চেয়ে ৬ বছরের ছোট তরুণকে বিয়ে করলেন জাপানি নারী

সাইবার হামলায় ইউরোপজুড়ে শত শত ফ্লাইট বাতিল

‘জেন-জি’ ঝড় কি এবার ফিলিপাইনে

সুদানে মসজিদে ড্রোন হামলায় নিহত অন্তত ৭৮

এ যেন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের ভাগ্য নির্ধারণের বৈঠক

ভারতের আধাসামরিক বাহিনীর ওপর হামলা, দুই জওয়ান নিহত
সৌদি আরব কি পাকিস্তানের পারমাণবিক সহায়তা পেতে যাচ্ছে?

সৌদি আরবের সঙ্গে প্রতিরক্ষা চুক্তি করেছে পাকিস্তান। পারমাণবিক শক্তিধর একমাত্র মুসলিম দেশ পাকিস্তানের সঙ্গে এই চুক্তি মধ্যপ্রাচ্যের ভূরাজনীতির গতি-প্রকৃতি বদলে দেবে বলে অনেকে ধারণা করছেন। যদিও চুক্তিতে পারমাণবিক শক্তি বা প্রযুক্তি বিনিময়ের বিষয়ে কিছু স্পষ্ট করে বলা নেই।
পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা মোহাম্মদ আসিফ বলেছেন, দুই দেশের নতুন প্রতিরক্ষা চুক্তির অধীনে প্রয়োজনে পাকিস্তানের পারমাণবিক কর্মসূচি সৌদি আরবের জন্য ‘সহজলভ্য করা হবে’। ইসলামাবাদ যে রিয়াদকে তার পারমাণবিক সুরক্ষার অধীনে এনেছে—এই বক্তব্যই তার প্রথম কোনো সুনির্দিষ্ট স্বীকৃতি।
প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা মোহাম্মদ আসিফের এই মন্তব্য পাকিস্তান ও সৌদি আরবের মধ্যে কয়েক দশকের সামরিক সম্পর্কের গুরুত্বকে তুলে ধরে।
বিশ্লেষকেরা এই পদক্ষেপকে ইসরায়েলের প্রতি একটি বার্তা হিসেবে দেখছেন। ইসরাইলকে দীর্ঘদিন
ধরে মধ্যপ্রাচ্যে একমাত্র পারমাণবিক শক্তি হিসেবে মনে করা হয়। গত সপ্তাহে কাতারে হামাস নেতাদের লক্ষ্য করে ইসরাইলের হামলায় ছয়জন নিহত হওয়ার পর গাজা উপত্যকায় চলমান ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধের পরিপ্রেক্ষিতে উপসাগরীয় আরব দেশগুলোর মধ্যে নতুন করে নিরাপত্তা উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। গত বৃহস্পতিবার রাতে জিও টিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আসিফকে প্রশ্ন করা হয় যে ‘পাকিস্তান পারমাণবিক অস্ত্র থেকে যে প্রতিরোধক্ষমতা পায়’, তা কি সৌদি আরবের জন্যও সহজলভ্য করা হবে? এর জবাবে আসিফ বলেন, ‘পাকিস্তানের পারমাণবিক সক্ষমতা সম্পর্কে একটি বিষয় স্পষ্ট করে বলতে চাই: সেই সক্ষমতা অনেক আগেই প্রতিষ্ঠিত হয়েছে যখন আমরা পরীক্ষা চালিয়েছিলাম। এরপর থেকে আমাদের কাছে যুদ্ধক্ষেত্রের জন্য প্রশিক্ষিত বাহিনী রয়েছে।’ তিনি আরও
যোগ করেন, ‘আমাদের যা আছে এবং যে সক্ষমতা আমাদের আছে, তা এই চুক্তি অনুযায়ী (সৌদি আরবের জন্য) প্রাপ্যতা নিশ্চিত করা হবে।’ গত বুধবার দুই দেশ একটি প্রতিরক্ষা চুক্তিতে স্বাক্ষর করে। চুক্তিতে ঘোষণা করা হয়, এক দেশের ওপর হামলা হলে তা অন্য দেশের ওপরও হামলা হিসেবে গণ্য হবে। ইন্টারন্যাশনাল অ্যাটমিক এনার্জি এজেন্সির (আইএইএ) পর্যবেক্ষণ চুক্তিতে দুই দেশই স্বাক্ষর করেছে। তবে তারা পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর মন্তব্যের বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি। আসিফ তার সাক্ষাৎকারে ইসরাইলের ‘সন্দেহজনক’ পারমাণবিক অস্ত্র কর্মসূচি আইএইএর কাছে পুরোপুরি প্রকাশ না করার সমালোচনা করেন। এই চুক্তির বিষয়ে ইসরাইল কোনো মন্তব্য করেনি। পাকিস্তান দীর্ঘদিন ধরে ফিলিস্তিনিদের প্রতি ইসরাইলের আচরণের সমালোচনা করে আসছে, তবে সরাসরি
কোনো যুদ্ধে কখনো জড়ায়নি। যদিও কোনো দেশেরই ইসরাইলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই, তবুও ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের আগে মার্কিন কর্মকর্তারা সৌদি আরবকে ইসরাইলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের জন্য মধ্যস্থতা করার চেষ্টা করছিলেন। আসিফ সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘আমরা কোনো দেশের নাম উল্লেখ করিনি, যার আক্রমণ স্বয়ংক্রিয়ভাবে একটি প্রতিশোধমূলক প্রতিক্রিয়া তৈরি করবে। সৌদি আরবও কোনো দেশের নাম উল্লেখ করেনি, আমরাও করিনি।’ তিনি আরও বলেন, ‘এটি উভয় পক্ষ কর্তৃক একে অপরের প্রতি দেওয়া একটি সুরক্ষাব্যবস্থা: যদি কোনো পক্ষের বিরুদ্ধে কোনো দিক থেকে আগ্রাসন হয়, তবে তা সম্মিলিতভাবে প্রতিরোধ করা হবে এবং আগ্রাসনের জবাব দেওয়া হবে।’ দোহায় ইসরাইলি হামলার এক সপ্তাহ পর এই চুক্তি হলো। এই হামলা
উপসাগরীয় আরব দেশগুলোকে নিজেদের প্রতিরক্ষার বিষয়ে নতুন করে ভাবতে উৎসাহিত করেছে। ৭ অক্টোবরের ঘটনার পর থেকে ইসরায়েলের বিমান হামলা ইরান, লেবানন, ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড, কাতার, সিরিয়া এবং ইয়েমেন পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছে। আসিফকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল যে অন্য দেশ এই চুক্তিতে যোগ দিতে পারবে কি না, উত্তরে তিনি বলেন, ‘আমি বলতে পারি যে অন্যদের জন্য দরজা বন্ধ নয়।’ পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ইসহাক দারও একই কথার প্রতিধ্বনি করেছেন। তিনি লন্ডনে সাংবাদিকদের বলেন, ‘এখন কিছু বলাটা খুব তাড়াহুড়ো হয়ে যাবে, তবে এরপর অন্য দেশগুলোও একই ধরনের ব্যবস্থার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছে।’ সৌদি আরবকে দীর্ঘদিন ধরে পাকিস্তানের পারমাণবিক কর্মসূচির সঙ্গে সম্পর্কিত বলে মনে করা হয়। অবসরপ্রাপ্ত পাকিস্তানি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল
ফিরোজ হাসান খান বলেন, সৌদি আরব পাকিস্তানের পারমাণবিক কর্মসূচি চালিয়ে যেতে উদার আর্থিক সহায়তা দিয়েছে, বিশেষ করে যখন দেশটি নিষেধাজ্ঞার অধীনে ছিল। সেখানে পারমাণবিক বোমা বানানোর কারণে পাকিস্তান বছরের পর বছর ধরে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার মুখোমুখি হয়েছে। পাকিস্তান ভারতের পারমাণবিক বোমার বিপরীতে তার পারমাণবিক অস্ত্র কর্মসূচি এগিয়ে নিয়েছে। প্রতিবেশী এ দুই দেশ একে অপরের বিরুদ্ধে একাধিক যুদ্ধে লড়েছে এবং সম্প্রতি ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে এপ্রিল মাসে পর্যটকদের ওপর হামলার পর আবারও যুদ্ধ পরিস্থিতির কাছাকাছি চলে যায়। যুক্তরাষ্ট্রের বুলেটিন অব অ্যাটমিক সায়েন্টিস্টসের মতে, ভারতের আনুমানিক ১৭২টি পারমাণবিক ওয়ারহেড রয়েছে, যেখানে পাকিস্তানের রয়েছে ১৭০টি। পাকিস্তানের নিজস্ব তৈরি শাহীন-৩ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রচলিত এবং পারমাণবিক উভয় ওয়ারহেড বহন করতে
সক্ষম। এটির সর্বোচ্চ পাল্লা ২ হাজার ৭৫০ কিলোমিটার। অর্থাৎ এই ক্ষেপণাস্ত্র ইসরাইল পর্যন্ত পৌঁছাতে সক্ষম।
ধরে মধ্যপ্রাচ্যে একমাত্র পারমাণবিক শক্তি হিসেবে মনে করা হয়। গত সপ্তাহে কাতারে হামাস নেতাদের লক্ষ্য করে ইসরাইলের হামলায় ছয়জন নিহত হওয়ার পর গাজা উপত্যকায় চলমান ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধের পরিপ্রেক্ষিতে উপসাগরীয় আরব দেশগুলোর মধ্যে নতুন করে নিরাপত্তা উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। গত বৃহস্পতিবার রাতে জিও টিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আসিফকে প্রশ্ন করা হয় যে ‘পাকিস্তান পারমাণবিক অস্ত্র থেকে যে প্রতিরোধক্ষমতা পায়’, তা কি সৌদি আরবের জন্যও সহজলভ্য করা হবে? এর জবাবে আসিফ বলেন, ‘পাকিস্তানের পারমাণবিক সক্ষমতা সম্পর্কে একটি বিষয় স্পষ্ট করে বলতে চাই: সেই সক্ষমতা অনেক আগেই প্রতিষ্ঠিত হয়েছে যখন আমরা পরীক্ষা চালিয়েছিলাম। এরপর থেকে আমাদের কাছে যুদ্ধক্ষেত্রের জন্য প্রশিক্ষিত বাহিনী রয়েছে।’ তিনি আরও
যোগ করেন, ‘আমাদের যা আছে এবং যে সক্ষমতা আমাদের আছে, তা এই চুক্তি অনুযায়ী (সৌদি আরবের জন্য) প্রাপ্যতা নিশ্চিত করা হবে।’ গত বুধবার দুই দেশ একটি প্রতিরক্ষা চুক্তিতে স্বাক্ষর করে। চুক্তিতে ঘোষণা করা হয়, এক দেশের ওপর হামলা হলে তা অন্য দেশের ওপরও হামলা হিসেবে গণ্য হবে। ইন্টারন্যাশনাল অ্যাটমিক এনার্জি এজেন্সির (আইএইএ) পর্যবেক্ষণ চুক্তিতে দুই দেশই স্বাক্ষর করেছে। তবে তারা পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর মন্তব্যের বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি। আসিফ তার সাক্ষাৎকারে ইসরাইলের ‘সন্দেহজনক’ পারমাণবিক অস্ত্র কর্মসূচি আইএইএর কাছে পুরোপুরি প্রকাশ না করার সমালোচনা করেন। এই চুক্তির বিষয়ে ইসরাইল কোনো মন্তব্য করেনি। পাকিস্তান দীর্ঘদিন ধরে ফিলিস্তিনিদের প্রতি ইসরাইলের আচরণের সমালোচনা করে আসছে, তবে সরাসরি
কোনো যুদ্ধে কখনো জড়ায়নি। যদিও কোনো দেশেরই ইসরাইলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই, তবুও ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের আগে মার্কিন কর্মকর্তারা সৌদি আরবকে ইসরাইলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের জন্য মধ্যস্থতা করার চেষ্টা করছিলেন। আসিফ সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘আমরা কোনো দেশের নাম উল্লেখ করিনি, যার আক্রমণ স্বয়ংক্রিয়ভাবে একটি প্রতিশোধমূলক প্রতিক্রিয়া তৈরি করবে। সৌদি আরবও কোনো দেশের নাম উল্লেখ করেনি, আমরাও করিনি।’ তিনি আরও বলেন, ‘এটি উভয় পক্ষ কর্তৃক একে অপরের প্রতি দেওয়া একটি সুরক্ষাব্যবস্থা: যদি কোনো পক্ষের বিরুদ্ধে কোনো দিক থেকে আগ্রাসন হয়, তবে তা সম্মিলিতভাবে প্রতিরোধ করা হবে এবং আগ্রাসনের জবাব দেওয়া হবে।’ দোহায় ইসরাইলি হামলার এক সপ্তাহ পর এই চুক্তি হলো। এই হামলা
উপসাগরীয় আরব দেশগুলোকে নিজেদের প্রতিরক্ষার বিষয়ে নতুন করে ভাবতে উৎসাহিত করেছে। ৭ অক্টোবরের ঘটনার পর থেকে ইসরায়েলের বিমান হামলা ইরান, লেবানন, ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড, কাতার, সিরিয়া এবং ইয়েমেন পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছে। আসিফকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল যে অন্য দেশ এই চুক্তিতে যোগ দিতে পারবে কি না, উত্তরে তিনি বলেন, ‘আমি বলতে পারি যে অন্যদের জন্য দরজা বন্ধ নয়।’ পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ইসহাক দারও একই কথার প্রতিধ্বনি করেছেন। তিনি লন্ডনে সাংবাদিকদের বলেন, ‘এখন কিছু বলাটা খুব তাড়াহুড়ো হয়ে যাবে, তবে এরপর অন্য দেশগুলোও একই ধরনের ব্যবস্থার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছে।’ সৌদি আরবকে দীর্ঘদিন ধরে পাকিস্তানের পারমাণবিক কর্মসূচির সঙ্গে সম্পর্কিত বলে মনে করা হয়। অবসরপ্রাপ্ত পাকিস্তানি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল
ফিরোজ হাসান খান বলেন, সৌদি আরব পাকিস্তানের পারমাণবিক কর্মসূচি চালিয়ে যেতে উদার আর্থিক সহায়তা দিয়েছে, বিশেষ করে যখন দেশটি নিষেধাজ্ঞার অধীনে ছিল। সেখানে পারমাণবিক বোমা বানানোর কারণে পাকিস্তান বছরের পর বছর ধরে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার মুখোমুখি হয়েছে। পাকিস্তান ভারতের পারমাণবিক বোমার বিপরীতে তার পারমাণবিক অস্ত্র কর্মসূচি এগিয়ে নিয়েছে। প্রতিবেশী এ দুই দেশ একে অপরের বিরুদ্ধে একাধিক যুদ্ধে লড়েছে এবং সম্প্রতি ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে এপ্রিল মাসে পর্যটকদের ওপর হামলার পর আবারও যুদ্ধ পরিস্থিতির কাছাকাছি চলে যায়। যুক্তরাষ্ট্রের বুলেটিন অব অ্যাটমিক সায়েন্টিস্টসের মতে, ভারতের আনুমানিক ১৭২টি পারমাণবিক ওয়ারহেড রয়েছে, যেখানে পাকিস্তানের রয়েছে ১৭০টি। পাকিস্তানের নিজস্ব তৈরি শাহীন-৩ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রচলিত এবং পারমাণবিক উভয় ওয়ারহেড বহন করতে
সক্ষম। এটির সর্বোচ্চ পাল্লা ২ হাজার ৭৫০ কিলোমিটার। অর্থাৎ এই ক্ষেপণাস্ত্র ইসরাইল পর্যন্ত পৌঁছাতে সক্ষম।