
ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর

মুসলিম দেশগুলোকে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক না রাখার আহ্বান ইরানের

আমেরিকার সঙ্গে জোট কখনো এত শক্তিশালী ছিল না : নেতানিয়াহু

ইসরায়েলি অবরোধ ভাঙতে গাজা অভিমুখে রওনা দিয়েছে তিউনিসিয়ার প্রথম জাহাজ

নেপালের অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী ৬ মাসের মধ্যে ক্ষমতা হস্তান্তর করবেন

গাজায় ইসরায়েলের জাতিগত নিধন অভিযানে যুক্তরাষ্ট্র জড়িত

ইসরাইলের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে কাতারের প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান

ইউক্রেনের হামলায় রাশিয়ার অন্যতম বৃহৎ তেল শোধানাগারে আগুন
নেপালের নতুন প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ শুরু

নেপালে আবারও রাজপথে নেমেছে জেন-জি বিক্ষোভকারীরা। অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী সুশীলা কার্কির পদত্যাগ দাবি করে রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাতে রাজধানী কাঠমান্ডুর বালুওয়াটারের প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনের সামনে বিক্ষোভ করেছে আন্দোলনকারীদের একটি শক্তিশালী অংশ।
তরুণদের আইকন সুদান গুরুংয়ের নেতৃত্বে আয়োজিত এ বিক্ষোভ শুরু হয়েছিল মন্ত্রিসভার সদস্য নিয়োগ নিয়ে ক্ষোভ থেকে। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ—গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয় বণ্টনের আগে তাদের মতামত নেওয়া হয়নি, অথচ এই আন্দোলনের জোরেই কার্কি প্রধানমন্ত্রী পদে এসেছেন।
নেপালের ডিজিটাল ম্যাগাজিন সেতোপতির বরাত দিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যম জানায়, বিক্ষোভকারীরা ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া দেখায় এবং স্লোগান দিয়ে কার্কির পদত্যাগ দাবি করে। তাদের ভাষ্য, ‘আমাদের আন্দোলনের ফলেই এই সরকার গঠিত হয়েছে—তাহলে সিদ্ধান্তের সময় আমাদের পরামর্শ কেন নেওয়া হবে না?’
বিক্ষোভস্থলে উপস্থিত ছিলেন
গত সপ্তাহে আন্দোলনে নিহত ও আহতদের পরিবারের সদস্যরাও। তাদের উপস্থিতিতে উত্তেজনা আরও বাড়ে। নিহতদের পরিবারের পক্ষ থেকে দ্রুত বিচার নিশ্চিত করার আহ্বান জানানো হয়। গুরুং স্পষ্ট সতর্কতা উচ্চারণ করে বলেন, যদি তরুণদের উদ্বেগ উপেক্ষা করা হয়, তবে তারা আবারও রাস্তায় নামবে এবং আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করবে। তার কথায়, ‘আমরা চাইলে যেখান থেকে তুলেছি, সেখান থেকেই এই সরকারকে নামিয়ে আনব।’ রাজনৈতিক অস্থিরতা বাড়িয়ে দিয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পদে ওম প্রকাশ আরিয়ালের নিয়োগ। গুরুংসহ আন্দোলনকারীরা অভিযোগ করছেন, আরিয়াল ভেতরের খেলায় নিজেকে এই গুরুত্বপূর্ণ পদে বসানোর চেষ্টা করেছেন। শান্তি-নিরাপত্তার সঙ্গে সম্পর্কিত এই পদে নিয়োগের প্রশ্ন তাই এখন জনমতের কেন্দ্রে। এছাড়া সুশীলা কার্কি শপথ নিয়ে বিক্ষোভকারীদের বিচারের
যে ইঙ্গিত দিয়েছেন তা নিয়েও চলছে আলোচনা। কার্কিকে অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী করা হয়েছিল জেন-জি আন্দোলনের চাপের মুখে। নেপালের ইতিহাসে প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তিনি শপথ নেন এবং একই সঙ্গে সংসদ ভেঙে দিয়ে নতুন নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হয়। পরে তিনি ওম প্রকাশ আরিয়ালকে স্বরাষ্ট্র ও আইন, রমেশ্বর খানালকে অর্থ এবং কুলমান ঘিসিংকে জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেন। কিন্তু এই নিয়োগের সিদ্ধান্ত তরুণ সমাজে তীব্র অসন্তোষ সৃষ্টি করেছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, জেন-জি আন্দোলন ও অন্তর্বর্তী সরকারের এই দ্বন্দ্ব যদি সমাধান না হয়, তবে নেপালের রাজনীতি আরও অনিশ্চিত হয়ে উঠবে। একদিকে তরুণদের বিক্ষোভ তীব্র হতে পারে, অন্যদিকে সরকারও কঠোর অবস্থান নিতে পারে—যা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে
তুলবে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জনগণের দাবি পূরণ ও স্থিতিশীলতা রক্ষার একমাত্র পথ হলো দ্রুত সংলাপ ও সমঝোতা। তা না হলে নেপালের রাজনৈতিক অঙ্গনে অচিরেই নতুন ঝড় বইতে পারে।
গত সপ্তাহে আন্দোলনে নিহত ও আহতদের পরিবারের সদস্যরাও। তাদের উপস্থিতিতে উত্তেজনা আরও বাড়ে। নিহতদের পরিবারের পক্ষ থেকে দ্রুত বিচার নিশ্চিত করার আহ্বান জানানো হয়। গুরুং স্পষ্ট সতর্কতা উচ্চারণ করে বলেন, যদি তরুণদের উদ্বেগ উপেক্ষা করা হয়, তবে তারা আবারও রাস্তায় নামবে এবং আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করবে। তার কথায়, ‘আমরা চাইলে যেখান থেকে তুলেছি, সেখান থেকেই এই সরকারকে নামিয়ে আনব।’ রাজনৈতিক অস্থিরতা বাড়িয়ে দিয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পদে ওম প্রকাশ আরিয়ালের নিয়োগ। গুরুংসহ আন্দোলনকারীরা অভিযোগ করছেন, আরিয়াল ভেতরের খেলায় নিজেকে এই গুরুত্বপূর্ণ পদে বসানোর চেষ্টা করেছেন। শান্তি-নিরাপত্তার সঙ্গে সম্পর্কিত এই পদে নিয়োগের প্রশ্ন তাই এখন জনমতের কেন্দ্রে। এছাড়া সুশীলা কার্কি শপথ নিয়ে বিক্ষোভকারীদের বিচারের
যে ইঙ্গিত দিয়েছেন তা নিয়েও চলছে আলোচনা। কার্কিকে অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী করা হয়েছিল জেন-জি আন্দোলনের চাপের মুখে। নেপালের ইতিহাসে প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তিনি শপথ নেন এবং একই সঙ্গে সংসদ ভেঙে দিয়ে নতুন নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হয়। পরে তিনি ওম প্রকাশ আরিয়ালকে স্বরাষ্ট্র ও আইন, রমেশ্বর খানালকে অর্থ এবং কুলমান ঘিসিংকে জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেন। কিন্তু এই নিয়োগের সিদ্ধান্ত তরুণ সমাজে তীব্র অসন্তোষ সৃষ্টি করেছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, জেন-জি আন্দোলন ও অন্তর্বর্তী সরকারের এই দ্বন্দ্ব যদি সমাধান না হয়, তবে নেপালের রাজনীতি আরও অনিশ্চিত হয়ে উঠবে। একদিকে তরুণদের বিক্ষোভ তীব্র হতে পারে, অন্যদিকে সরকারও কঠোর অবস্থান নিতে পারে—যা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে
তুলবে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জনগণের দাবি পূরণ ও স্থিতিশীলতা রক্ষার একমাত্র পথ হলো দ্রুত সংলাপ ও সমঝোতা। তা না হলে নেপালের রাজনৈতিক অঙ্গনে অচিরেই নতুন ঝড় বইতে পারে।