চিকিৎসার অভাবে মারা গেছেন আমার বাবা – ইউ এস বাংলা নিউজ




চিকিৎসার অভাবে মারা গেছেন আমার বাবা

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ২৬ জুলাই, ২০২৫ | ৬:৩৬ 23 ভিউ
আমি ডাক্তারি পড়ার জন্য ২০১৯ সালে পরিবার ছেড়ে বাংলাদেশে আসি-এই আশায় যে একদিন আবার তাদের সঙ্গে দেখা হবে। কিন্তু ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গাজায় যুদ্ধ শুরুর পর থেকে সেই আশাগুলো একে একে নিঃশেষ হতে থাকে। প্রায় তিন বছর হতে চলল আমি বাড়ি যেতে পারি না। আমার পিতৃভূমির ছোঁয়া পাইনি! পরিবারে সঙ্গে দেখা হয়নি! আবার কবে তাদের দেখা পাব জানি না! ততদিনে আমার আম্মি, প্রিয় ভাইবোন, আত্মীয়-স্বজন, বন্ধুরা সবাই বেঁচে থাকবে কিনা তাও জানি না! গাজায় প্রতিটি দিক থেকেই মৃত্যুর মুখোমুখি হচ্ছে মানুষ। বোমা হামলা, অনাহার, চিকিৎসার অভাব আর খারাপ আবহাওয়া সবমিলিয়ে এক ভয়াবহ দুঃস্বপ্নে গাজা। মাত্র তিন সপ্তাহ আগে আমি আমার

বাবাকে হারিয়েছি। যার সঙ্গে যুদ্ধ শেষ হলেই দেখা করার আর বুকভরে জড়িয়ে ধরার স্বপ্ন দেখতাম। চিকিৎসার অভাবে মারা গেছেন তিনি। গাজা আরও অনেক আগেই ওষধ-পথ্য, চিকিৎসা সামগ্রী শূন্য বললেই চলে। আর এখন ভুগছে দুর্ভিক্ষে। ইসরাইল সৃষ্ট খাদ্য সংকটে। আপনি যদি এখন গাজার কোনো বাজারে তাকান তাহলে শুধু বালু ছাড়া আর কিছুই চোখে পড়বে না। খাবারের অভাবে দিন দিন কঙ্কাল হয়ে যাচ্ছে মানুষগুলো গত তিন মাস ধরে মানুষ অনাহারে দিন কাটাচ্ছে। তারা প্রতিদিন একটু একটু করে মরছে। আর আমি একজন চিকিৎসক হিসাবে বলছি, যদি দ্রুত কোনো পরিবর্তন না আসে, তাহলে খুব শিগগিরই মৃত্যুহার ভয়াবহ রূপ নেবে। আপনি যদি এখন গাজার কোনো বাজারে তাকান

তাহলে শুধু বালু ছাড়া আর কিছুই চোখে পড়বে না। খাবারের অভাবে দিন দিন কঙ্কাল হয়ে যাচ্ছে মানুষগুলো। কিন্তু তাদের হাতে কিছুই নেই। তারা এতটাই দুর্বল ও ক্ষুধার্ত যে চলাফেরা করতে পারছে না। অথচ এখনো ইসরাইলি সেনারা তাদের নিজ নিজ এলাকা ছেড়ে চলে যেতে বলছে। আমরা হারিয়েছি আমাদের সুন্দর স্মৃতি। আমরা সেখানে সবকিছু হারিয়েছি, আর এই দুনিয়া শুধু দেখছে। আমাদের দুর্দশা দূর করার জন্য কোনো প্রতিক্রিয়া নেই, কোনো পদক্ষেপ নেই তারা চরম কষ্টের মধ্যে আছে। দুর্ভাগ্যবশত, কেউই তাদের এই যন্ত্রণার গভীরতা বুঝতে পারছে না। এই পৃথিবীও নিশ্চুপ তাকিয়ে আছে। তাদের এক গ্লাস পানি দেওয়ার সামর্থ্যও যেন নেই। আমরা আমাদের ঘর, প্রিয়জন, আমাদের আত্মীয়-স্বজন

ও বন্ধুবান্ধব হারিয়েছি। আমরা হারিয়েছি আমাদের সুন্দর স্মৃতি। আমরা সেখানে সবকিছু হারিয়েছি, আর এই দুনিয়া শুধু দেখছে। আমাদের দুর্দশা দূর করার জন্য কোনো প্রতিক্রিয়া নেই, কোনো পদক্ষেপ নেই। ফিলিস্তিনিদের এখন সবাইকে দরকার, তাদের হয়ে আওয়াজ তোলার জন্য। তারা এই পৃথিবীর সবচেয়ে ক্ষুদ্রতম অধিকারটুকু চাইছে, খুঁজছে একটু শান্তি। শেষ কথা হলো, আমার মনে হয়, এই যন্ত্রণাকে কোনো শব্দ দিয়েই পুরোপুরি প্রকাশ করা সম্ভব নয়।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
বৃষ্টির অজুহাতে কাঁচা মরিচের কেজি এক লাফে ৩০০, চড়া সবজির দামও ভিয়েতনামে উল্টে গেল স্লিপার বাস, নিহত ১০ ভারতে মেডিকেল ছাত্রীর আত্মহনন, শিক্ষকদের বিরুদ্ধে হয়রানির অভিযোগ মার্কিন শুল্কনীতির প্রভাবে কমতে পারে দেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ‘বাংলাদেশ সংস্কারে এগোলেও ধর্মীয় স্বাধীনতা নিয়ে উদ্বেগ কাটেনি’ ইরানের আদালতে সন্ত্রাসী হামলা, নিহত ৬ কুবির ৪৭১ কোটির জমি প্রকল্পে দুর্নীতি, অনুসন্ধানে দুদক ইতালির রাস্তায় মুখ থুবড়ে পড়ল বিমান, প্রেমিক-প্রেমিকা নিহত ভারতে নিষিদ্ধ হলো ২৪টি ওটিটি প্ল্যাটফর্ম পাকিস্তানে টিকটকারের ‘রহস্যজনক’ মৃত্যু যুক্তরাষ্ট্রে একসঙ্গে সময় কাটাবেন শাকিব-শেহজাদ, থাকবেন বুবলীও দগ্ধ ৪ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক, দুজনকে ছাড়পত্র গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ৩ জনের মৃত্যু, ভর্তি ৩৩১ এবার ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার কথা ভাবছে রাশিয়া এআই উন্নয়ন ও নিরাপত্তার ভারসাম্য জরুরি: চীনের প্রধানমন্ত্রী ভারত ‘দক্ষিণ এশিয়ার ইসরাইলে’ পরিণত হয়েছে: সাদিক কায়েম ভারত-সমর্থিত ৩ জঙ্গিকে হত্যার দাবি পাকিস্তানের এবার ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার কথা ভাবছে রাশিয়া ইরানে বিচার বিভাগের ভবনে গ্রেনেড হামলা তুরস্কে মুসলিম ব্রাদারহুডের সদস্য আটক, মিশরের সঙ্গে সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ করার ইঙ্গিত