
ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর

নির্বাচনে বড় ধাক্কা খেলেও পদত্যাগে রাজি নন জাপানের প্রধানমন্ত্রী

গাজায় ত্রাণের অপেক্ষায় থাকা ৬৭ জনকে গুলি করে মারল ইসরায়েল

ইউক্রেনের ড্রোন হামলা, বন্ধ মস্কোর বিমানবন্দর

দক্ষিণ কোরিয়ায় বন্যা ও ভূমিধসে অন্তত ১৪ জনের মৃত্যু

ইউক্রেনের ড্রোন হামলায় মস্কোজুড়ে বিমানবন্দর বন্ধ

রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনার প্রস্তাব জেলেনস্কির, প্রস্তুত পুতিন

সিরিয়ায় দ্রুজ সম্প্রদায়ের আধ্যাত্মিক নেতা কে এই হিকমাত আল হিজরি
পর্যটন খাতে অবহেলা, ক্ষুব্ধ কাশ্মীর ও গিলগিট-বালতিস্তানের বাসিন্দারা

মনোমুগ্ধকর প্রাকৃতিক পরিবেশ, নদী ও পর্বত থাকা সত্ত্বেও পর্যটন অবকাঠামো এবং স্থানীয় উন্নয়নের ক্ষেত্রে দশকের পর দশক ধরে রাষ্ট্রীয় উদাসীনতার সম্মুখীন হচ্ছে পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীর ও গিলগিট-বালতিস্তান।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, ছবির মত সুন্দর এই অঞ্চল দুটি যদি পাকিস্তান সরকার পর্যটনের উপযোগী করে তুলতো, তাহলে স্থানীয় বাসিন্দারা এর থেকে লাভবান হতে পারতো। কিন্তু এসব অঞ্চলের উন্নয়নের জন্য কোনও কাজ করেছে না সরকার। খবর দ্য ট্রিবিউনের।
সম্প্রতি পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে স্থানীয়দের অর্থায়নে নির্মিত একটি জলপ্রপাত সরকার ভেঙে দিয়েছে। যা স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ সৃষ্টি করেছে।
কাশ্মীরের বাসিন্দা লাল মানসুর বলেন, ভূমিকম্পের পর আমরা নিজেরাই এই জলপ্রপাত নির্মাণ করেছিলাম।
এই এলাকাটি পুরোপুরি দুর্গম ছিল, পড়ে যাওয়া পাথর দিয়ে আটকে ছিল। আমরা নিজেদের অর্থ এবং শারীরিক শ্রম ব্যয় করে এটিকে একটি পর্যটন স্থানে পরিণত করেছিলাম। তবুও, আদালতের স্থগিতাদেশ সত্ত্বেও, স্থানটি বুলডোজার দিয়ে ভেঙে ফেলা হয়েছে, পুলিশ আমাদেরকে ধরে নিয়ে গেছে। এমনকি আমাদের জিনিসপত্রগুলোও নিয়ে সরিয়ে নিতে দেওয়া হয়নি। এদিকে গিলগিট-বালতিস্থানের বাসিন্দা ও পর্যটকরাও ওই অঞ্চলের পর্যটন ব্যবস্থা নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন। সংকীর্ণ রাস্তা ও প্রাথমিক সুযোগ-সুবিধার অভাব অঞ্চলটির মনোরম স্থানগুলোতে পৌঁছানো ও উপভোগ করা কঠিন করে তুলেছে। একজন পর্যটক বলেন, এখানে পর্যটকদের জন্য দোকান, খাবারের কোন ব্যবস্থা নেই। সবকিছু শহর থেকে নিয়ে আসতে হয়। ভঙ্গুর পাহাড়ি রাস্তা আর
পর্যটন নির্দেশনা না থাকায় ভ্রমণপ্রিয় মানুষদের এখানে এসে বিপাকেই পড়তে হয়। পর্যটন খাতে অব্যবস্থাপনা সরকারের চরম উদাসীনতার প্রতিফলন। স্থানীয় বাসিন্দা ও পর্যটকরা মনোমুগ্ধকর প্রাকৃতিক পরিবেশ সমৃদ্ধ এ অঞ্চল দুটি পর্যটকবান্ধব করতে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। গিলগিট-বালতিস্তান পাকিস্তানের সবচেয়ে উত্তরের প্রশাসনিক অঞ্চল। এর এক পাশে রয়েছে ভারতের জম্মু ও কাশ্মীর। অন্যদিকে চীন, আর আফগানিস্তান। একের পর এক পর্বতশৃঙ্গে সজ্জিত গিলগিট-বালতিস্তান অত্যন্ত সুন্দর ও মনোরম। ‘স্বর্গের দরজা’ও বলা হয় গিলগিট-বালতিস্তানকে। একের পর এক পাহাড়, স্বচ্ছ পানির হ্রদ ও গ্লেসিয়ারের পানির ঝর্নাতে মন কুড়াবে যে কোনো মানুষের। এ ছাড়া কে-২ এর মতো সু-উচ্চ পাহাড় মানুষকে টেনে নেয়। সম্প্রতি ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি ২০২৫ সালের জন্য ভ্রমণ
পিপাসুদের জন্য ২৫টি ডেস্টিনেশনের কথা জানিয়েছে, সেখানে রয়েছে পাকিস্তানের এই অঞ্চলটি। সেখানকার পরিবেশ ও প্রাকৃতিক দৃশ্য ভ্রমণকারীদের আনন্দ দেবে বলে দাবি করছে বিবিসি। গিলগিট-বালতিস্তানে রয়েছে হুনজা উপজাতির মানুষ, যাদের গড় আয়ু ১০০-১২০ বছর। তারাই নাকি এই গ্রহের সবচেয়ে স্বাস্থ্যকর ও সুখী মানুষ। কেন এই সম্প্রদায়ের লোকদের গড় আয়ু বেশি তা জনতে প্রতিবছর সেখানে ভিড় করে হাজার হাজার পর্যটক। এমনকি, গবেষণা চালায় বিজ্ঞানীরাও।
এই এলাকাটি পুরোপুরি দুর্গম ছিল, পড়ে যাওয়া পাথর দিয়ে আটকে ছিল। আমরা নিজেদের অর্থ এবং শারীরিক শ্রম ব্যয় করে এটিকে একটি পর্যটন স্থানে পরিণত করেছিলাম। তবুও, আদালতের স্থগিতাদেশ সত্ত্বেও, স্থানটি বুলডোজার দিয়ে ভেঙে ফেলা হয়েছে, পুলিশ আমাদেরকে ধরে নিয়ে গেছে। এমনকি আমাদের জিনিসপত্রগুলোও নিয়ে সরিয়ে নিতে দেওয়া হয়নি। এদিকে গিলগিট-বালতিস্থানের বাসিন্দা ও পর্যটকরাও ওই অঞ্চলের পর্যটন ব্যবস্থা নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন। সংকীর্ণ রাস্তা ও প্রাথমিক সুযোগ-সুবিধার অভাব অঞ্চলটির মনোরম স্থানগুলোতে পৌঁছানো ও উপভোগ করা কঠিন করে তুলেছে। একজন পর্যটক বলেন, এখানে পর্যটকদের জন্য দোকান, খাবারের কোন ব্যবস্থা নেই। সবকিছু শহর থেকে নিয়ে আসতে হয়। ভঙ্গুর পাহাড়ি রাস্তা আর
পর্যটন নির্দেশনা না থাকায় ভ্রমণপ্রিয় মানুষদের এখানে এসে বিপাকেই পড়তে হয়। পর্যটন খাতে অব্যবস্থাপনা সরকারের চরম উদাসীনতার প্রতিফলন। স্থানীয় বাসিন্দা ও পর্যটকরা মনোমুগ্ধকর প্রাকৃতিক পরিবেশ সমৃদ্ধ এ অঞ্চল দুটি পর্যটকবান্ধব করতে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। গিলগিট-বালতিস্তান পাকিস্তানের সবচেয়ে উত্তরের প্রশাসনিক অঞ্চল। এর এক পাশে রয়েছে ভারতের জম্মু ও কাশ্মীর। অন্যদিকে চীন, আর আফগানিস্তান। একের পর এক পর্বতশৃঙ্গে সজ্জিত গিলগিট-বালতিস্তান অত্যন্ত সুন্দর ও মনোরম। ‘স্বর্গের দরজা’ও বলা হয় গিলগিট-বালতিস্তানকে। একের পর এক পাহাড়, স্বচ্ছ পানির হ্রদ ও গ্লেসিয়ারের পানির ঝর্নাতে মন কুড়াবে যে কোনো মানুষের। এ ছাড়া কে-২ এর মতো সু-উচ্চ পাহাড় মানুষকে টেনে নেয়। সম্প্রতি ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি ২০২৫ সালের জন্য ভ্রমণ
পিপাসুদের জন্য ২৫টি ডেস্টিনেশনের কথা জানিয়েছে, সেখানে রয়েছে পাকিস্তানের এই অঞ্চলটি। সেখানকার পরিবেশ ও প্রাকৃতিক দৃশ্য ভ্রমণকারীদের আনন্দ দেবে বলে দাবি করছে বিবিসি। গিলগিট-বালতিস্তানে রয়েছে হুনজা উপজাতির মানুষ, যাদের গড় আয়ু ১০০-১২০ বছর। তারাই নাকি এই গ্রহের সবচেয়ে স্বাস্থ্যকর ও সুখী মানুষ। কেন এই সম্প্রদায়ের লোকদের গড় আয়ু বেশি তা জনতে প্রতিবছর সেখানে ভিড় করে হাজার হাজার পর্যটক। এমনকি, গবেষণা চালায় বিজ্ঞানীরাও।