ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর
দ্য উইক-এ শেখ হাসিনার বিস্ফোরক নিবন্ধ: ‘অনির্বাচিত শাসকদের আগেও মোকাবেলা করেছি, দেশ এখন বারুদের স্তূপে’
হাসিনার বলিষ্ঠ বার্তা: দায় স্বীকারের সৎ সাহস ও প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে পাল্টা চ্যালেঞ্জে নতুন রাজনৈতিক অধ্যায়ের সূচনা
হেনস্তা ও আইফোন চুরির অভিযোগ, কিশোরগঞ্জ ছাড়ার ঘোষণা আইনজীবীর
ভারতের একটি ফোনেই রক্ষা পেয়েছিল শেখ হাসিনার প্রাণ! চাঞ্চল্যকর দাবি নতুন বইতে
ভারতের একটি ফোনেই রক্ষা পেয়েছিল শেখ হাসিনার প্রাণ! চাঞ্চল্যকর দাবি নতুন বইতে
চট্টগ্রাম ৮ আসনে রক্তাক্ত সংঘর্ষের ছায়া: নিহত সরোয়ার বাবলার রেখে যাওয়া অস্ত্রভাণ্ডার নিয়ে নতুন উত্তেজনা
শেখ হাসিনার গড়া উন্নয়নের অর্থনীতি আজ সংকটে, ইউনূসের দুর্বল ব্যবস্থাপনায় দিশেহারা ব্যাংকিং খাত
দেশের রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা-অস্থিতিশীলতায় বিদেশি বিনিয়োগ কমছেই
উচ্চ সুদ ও করহার, অস্থির রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং ব্যবসায়িক পরিবেশের অনিশ্চয়তায় দেশে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই) কমে যাচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে (জুলাই-এপ্রিল) দেশে এফডিআই এসেছে মাত্র ৯১ কোটি ডলার, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৩৬ কোটি ডলার কম।
অর্থনীতিবিদ ও ব্যবসায়ীদের মতে, বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ গড়ে তোলা, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা এবং উদ্যোক্তাদের অর্থায়নের সুযোগ বাড়ানো এখন জরুরি হয়ে পড়লেও সরকার এসব বাদ দিয়ে নিজেদের টিকিয়ে রাখার ফন্দি ফিকির করছে। যার ফলে শিল্পোৎপাদন হ্রাস, বেকারত্ব বৃদ্ধি এবং সামগ্রিকভাবে অর্থনীতিতে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে।
গত অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে দেশে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ এসেছিল মাত্র ২১ কোটি
ডলার, যেখানে আগের বছরের একই সময়ে তা ছিল ৩৩ কোটি ডলার। এই পরিসংখ্যান থেকেই স্পষ্ট, বিদেশি বিনিয়োগকারীরা এখন বাংলাদেশে বিনিয়োগ নিয়ে দ্বিধায় রয়েছেন। আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পরেই বিদেশি বিনিয়োগ ক্রমশ নিম্নমুখি হচ্ছে। বিটিএমএ সভাপতি শওকত আজিজ রাসেল বলেন, “গত ৮ মাসে কোনো চীনা গার্মেন্টস কারখানা, স্পিনিং মিল বা বিদেশি পার্টনারশিপ হয়েছে এমন উদাহরণ নেই। গ্যাস, বিদ্যুৎ সংকট এবং ক্রমবর্ধমান ব্যবসায়িক ব্যয় বিদেশি বিনিয়োগকারীদের নিরুৎসাহিত করছে। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি এবং রাজনৈতিক অস্থিরতা বিনিয়োগে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। এছাড়াও দেশের বিশিষ্টজনদের বাদ দিয়ে ইউনূস সরকার বিদেশি নাগরিকদের নিয়ে এসে দায়িত্ব দেওয়ায় তারা কেবল বিদেশিদের তোষণেরই চেষ্টা করছে। পলিসি এক্সচেঞ্জের চেয়ারম্যান মাসরুর রিয়াজ বলেন,
“ফেব্রুয়ারি থেকে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা বাড়ছিল, নির্বাচন নিয়ে সংশয় ছিল। যদিও এক্সচেঞ্জ রেট কিছুটা স্থিতিশীলতা দেখিয়েছে, তবে মূল্যস্ফীতির দিক থেকে এখনো আশাব্যঞ্জক অগ্রগতি হয়নি।” সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)-এর গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম জানান, রাজনৈতিক অস্থিরতা ও নিরাপত্তার অভাবের কারণে ব্যবসায়ীদের মধ্যে অনিশ্চয়তা ছিল, যার প্রভাব পড়েছে নতুন বিনিয়োগে, দেশি ও বিদেশি উভয় ক্ষেত্রেই। বিশ্লেষকদের মতে, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ফিরলে বিনিয়োগ বাড়বে এবং বিদেশি বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আস্থা ফিরে আসবে। তবে তার জন্য প্রয়োজন দীর্ঘমেয়াদি নীতিনির্ধারণ, অবকাঠামোগত উন্নয়ন এবং একটি স্বচ্ছ ও নিরাপদ ব্যবসায়িক পরিবেশ নিশ্চিত করা।
ডলার, যেখানে আগের বছরের একই সময়ে তা ছিল ৩৩ কোটি ডলার। এই পরিসংখ্যান থেকেই স্পষ্ট, বিদেশি বিনিয়োগকারীরা এখন বাংলাদেশে বিনিয়োগ নিয়ে দ্বিধায় রয়েছেন। আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পরেই বিদেশি বিনিয়োগ ক্রমশ নিম্নমুখি হচ্ছে। বিটিএমএ সভাপতি শওকত আজিজ রাসেল বলেন, “গত ৮ মাসে কোনো চীনা গার্মেন্টস কারখানা, স্পিনিং মিল বা বিদেশি পার্টনারশিপ হয়েছে এমন উদাহরণ নেই। গ্যাস, বিদ্যুৎ সংকট এবং ক্রমবর্ধমান ব্যবসায়িক ব্যয় বিদেশি বিনিয়োগকারীদের নিরুৎসাহিত করছে। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি এবং রাজনৈতিক অস্থিরতা বিনিয়োগে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। এছাড়াও দেশের বিশিষ্টজনদের বাদ দিয়ে ইউনূস সরকার বিদেশি নাগরিকদের নিয়ে এসে দায়িত্ব দেওয়ায় তারা কেবল বিদেশিদের তোষণেরই চেষ্টা করছে। পলিসি এক্সচেঞ্জের চেয়ারম্যান মাসরুর রিয়াজ বলেন,
“ফেব্রুয়ারি থেকে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা বাড়ছিল, নির্বাচন নিয়ে সংশয় ছিল। যদিও এক্সচেঞ্জ রেট কিছুটা স্থিতিশীলতা দেখিয়েছে, তবে মূল্যস্ফীতির দিক থেকে এখনো আশাব্যঞ্জক অগ্রগতি হয়নি।” সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)-এর গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম জানান, রাজনৈতিক অস্থিরতা ও নিরাপত্তার অভাবের কারণে ব্যবসায়ীদের মধ্যে অনিশ্চয়তা ছিল, যার প্রভাব পড়েছে নতুন বিনিয়োগে, দেশি ও বিদেশি উভয় ক্ষেত্রেই। বিশ্লেষকদের মতে, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ফিরলে বিনিয়োগ বাড়বে এবং বিদেশি বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আস্থা ফিরে আসবে। তবে তার জন্য প্রয়োজন দীর্ঘমেয়াদি নীতিনির্ধারণ, অবকাঠামোগত উন্নয়ন এবং একটি স্বচ্ছ ও নিরাপদ ব্যবসায়িক পরিবেশ নিশ্চিত করা।



