
ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর

আওয়ামী লীগের ৭৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে শেখ হাসিনার বাণী: গণতন্ত্র ও স্বাধীনতার প্রতি অটল প্রতিশ্রুতি

মুখ খুললেন নিলা ইসরাফিল, ১৬ জনের স্ক্রিনশট ‘ফাঁস’

সংবিধানের ‘মুজিববাদী’ মূলনীতি বাতিল চায় এনসিপি

ট্রাকভরে কাগজপত্র নিয়ে ইসিতে এনসিপি

স্ক্রিনশট ‘ফাঁস’ করে যা বললেন নিলা ইসরাফিল

বিএনপি মহাসচিবের সঙ্গে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ

জনগণ জামায়াতের ওপর আস্থা রাখতে চায় : এটিএম মাসুম
বিবিসিকে ইউনূস: শেখ হাসিনার ফিরে আসার ঘোষণা উত্তেজনা ছড়াচ্ছে

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে ফিরে আসতে চান—এমন ঘোষণায় দেশে নতুন করে উত্তেজনার জন্ম দিয়েছে। লন্ডনে বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ইউনূস বলেন, শুধু যদি তার ভারতে অবস্থানের কথা বলি, সেটা নিয়ে বাংলাদেশিদের খুব একটা চিন্তা নেই। কিন্তু সমস্যা তৈরি করছে তার বক্তব্য। তিনি সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার করে দেশের জনগণের প্রতি বক্তব্য রাখছেন। এটি অনেক উত্তেজনা ও ঘৃণার জন্ম দিচ্ছে।
তিনি বলেন, আমরা হঠাৎ অভ্যুত্থান থেকে শিখেছি যে, হত্যাকাণ্ডগুলোর কারণে যে ক্রোধের জন্ম নিয়েছিল, তা ৫ই আগস্ট শেখ হাসিনা চলে যাওয়ার পর অবসান ঘটেছে। এখন সামনে এগিয়ে চলার সময়। কিন্তু মনে হচ্ছে আওয়ামী
লীগ এটাকে শেষ মনে করছে না। তারা এটা চালিয়ে যেতে চায় এবং এটি গোটা দেশে একটি উত্তেজনা তৈরি করেছে। সাক্ষাৎকারে ইউনূস অভিযোগ করেন, তারা (আওয়ামী লীগ) যা করেছে, সেদিকে ফিরে তাকাতে চাইছে না—মানুষ হত্যা, গুম করা, দেশ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ সরিয়ে নেওয়া, একটির পর আরেকটি নৃশংসতা করেছে। আমরা একটার পর একটা বিষয় নিয়ে কাজ করতে চাইছি। কিন্তু তিনি থেমে থাকতে চাইছেন না—‘আমি ফিরে আসতে চাই’। গত বছরের আগস্টে সহিংসতার মাধ্যমে অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় বসে। তারপর থেকেই আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধ, দুর্নীতি ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে বিচারের নামে উল্টো প্রহসন এবং নিপীড়ন শুরু করা হয়েছে বলে অভিযোগ আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলোর।
এই প্রেক্ষাপটে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ এবং নির্বাচন থেকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্তে দেশ-বিদেশে তীব্র বিতর্ক চলছে। নির্বাচন, নিষেধাজ্ঞা ও অন্তর্ভুক্তি বিতর্ক গত ১০ই মে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচার সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগের যাবতীয় কার্যক্রম সন্ত্রাসবিরোধী আইনের আওতায় নিষিদ্ধ থাকবে। এরপর সরকার গেজেট জারি করে দলটির সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধের ঘোষণা দেয়। একই দিনে নির্বাচন কমিশন দলটির নিবন্ধন স্থগিত করে। এ নিয়ে বিবিসির উপস্থাপক রাজনী বৈদ্যনাথন প্রশ্ন রাখেন— আওয়ামী লীগকে নির্বাচনে অংশ নিতে দেওয়া হবে কি না। উত্তরে ইউনূস বলেন, বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত। তবে তিনি জোর দেন জনগণের স্বাধীন ভোটাধিকারের ওপর। এক প্রশ্নের জবাবে ইউনূস
বলেন, “সম্প্রতি ঢাকায় জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধি বলেছেন অন্তর্ভুক্তিমূলক বলতে কোনো একটি দলকে বোঝায় না, বোঝায় সব জনগণের অংশগ্রহণ।” আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ কি না, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, “দল হিসেবে নিষিদ্ধ নয়, তাদের কর্মকাণ্ড সাময়িকভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনই সিদ্ধান্ত নেবে তারা ব্যালটে থাকবে কি না।” বিবিসির উপস্থাপক প্রশ্ন করেন, “আওয়ামী লীগের পতনের পরও হাজারো সমর্থক খুনের মামলায় গ্রেপ্তার হচ্ছেন। সমালোচকরা বলছেন, অতীতের দমননীতি এখনো চলছে। আপনি কী একই কাজ করছেন?” উত্তরে ইউনূস বলেন, “এটা বলা লজ্জাজনক হবে। আপনি যদি অন্তর্বর্তী সরকারকে আওয়ামী লীগ সরকারের সঙ্গে তুলনা করেন, তাহলে আমি বলব, আপনি বাংলাদেশের বাস্তবতা চেনেননি।” ভারতে অবস্থানরত শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে
ইউনূস বলেন, “বিচার ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। এটি আইনি প্রক্রিয়ায় চলবে। আমরা আন্তর্জাতিক পদ্ধতিগুলোও কাজে লাগানোর চেষ্টা করছি। আমাদের তো তাকে ধরে আনার ক্ষমতা নেই।” রাজনী প্রশ্ন করেন, “মোদী তাঁকে (শেখ হাসিনা) ভারতে আতিথেয়তা দিচ্ছেন—এটা নিয়ে আপনি হতাশ?” ইউনূস বলেন, “আমরা আশা করি, আন্তর্জাতিক সহযোগিতায় তাকে দেশে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে।”
লীগ এটাকে শেষ মনে করছে না। তারা এটা চালিয়ে যেতে চায় এবং এটি গোটা দেশে একটি উত্তেজনা তৈরি করেছে। সাক্ষাৎকারে ইউনূস অভিযোগ করেন, তারা (আওয়ামী লীগ) যা করেছে, সেদিকে ফিরে তাকাতে চাইছে না—মানুষ হত্যা, গুম করা, দেশ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ সরিয়ে নেওয়া, একটির পর আরেকটি নৃশংসতা করেছে। আমরা একটার পর একটা বিষয় নিয়ে কাজ করতে চাইছি। কিন্তু তিনি থেমে থাকতে চাইছেন না—‘আমি ফিরে আসতে চাই’। গত বছরের আগস্টে সহিংসতার মাধ্যমে অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় বসে। তারপর থেকেই আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধ, দুর্নীতি ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে বিচারের নামে উল্টো প্রহসন এবং নিপীড়ন শুরু করা হয়েছে বলে অভিযোগ আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলোর।
এই প্রেক্ষাপটে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ এবং নির্বাচন থেকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্তে দেশ-বিদেশে তীব্র বিতর্ক চলছে। নির্বাচন, নিষেধাজ্ঞা ও অন্তর্ভুক্তি বিতর্ক গত ১০ই মে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচার সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগের যাবতীয় কার্যক্রম সন্ত্রাসবিরোধী আইনের আওতায় নিষিদ্ধ থাকবে। এরপর সরকার গেজেট জারি করে দলটির সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধের ঘোষণা দেয়। একই দিনে নির্বাচন কমিশন দলটির নিবন্ধন স্থগিত করে। এ নিয়ে বিবিসির উপস্থাপক রাজনী বৈদ্যনাথন প্রশ্ন রাখেন— আওয়ামী লীগকে নির্বাচনে অংশ নিতে দেওয়া হবে কি না। উত্তরে ইউনূস বলেন, বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত। তবে তিনি জোর দেন জনগণের স্বাধীন ভোটাধিকারের ওপর। এক প্রশ্নের জবাবে ইউনূস
বলেন, “সম্প্রতি ঢাকায় জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধি বলেছেন অন্তর্ভুক্তিমূলক বলতে কোনো একটি দলকে বোঝায় না, বোঝায় সব জনগণের অংশগ্রহণ।” আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ কি না, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, “দল হিসেবে নিষিদ্ধ নয়, তাদের কর্মকাণ্ড সাময়িকভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনই সিদ্ধান্ত নেবে তারা ব্যালটে থাকবে কি না।” বিবিসির উপস্থাপক প্রশ্ন করেন, “আওয়ামী লীগের পতনের পরও হাজারো সমর্থক খুনের মামলায় গ্রেপ্তার হচ্ছেন। সমালোচকরা বলছেন, অতীতের দমননীতি এখনো চলছে। আপনি কী একই কাজ করছেন?” উত্তরে ইউনূস বলেন, “এটা বলা লজ্জাজনক হবে। আপনি যদি অন্তর্বর্তী সরকারকে আওয়ামী লীগ সরকারের সঙ্গে তুলনা করেন, তাহলে আমি বলব, আপনি বাংলাদেশের বাস্তবতা চেনেননি।” ভারতে অবস্থানরত শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে
ইউনূস বলেন, “বিচার ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। এটি আইনি প্রক্রিয়ায় চলবে। আমরা আন্তর্জাতিক পদ্ধতিগুলোও কাজে লাগানোর চেষ্টা করছি। আমাদের তো তাকে ধরে আনার ক্ষমতা নেই।” রাজনী প্রশ্ন করেন, “মোদী তাঁকে (শেখ হাসিনা) ভারতে আতিথেয়তা দিচ্ছেন—এটা নিয়ে আপনি হতাশ?” ইউনূস বলেন, “আমরা আশা করি, আন্তর্জাতিক সহযোগিতায় তাকে দেশে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে।”