
ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর
বুলডোজারের নিচে শত শত কোটি টাকার স্বাস্থ্যপণ্য

কভিড মহামারি চলাকালে স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষা সামগ্রীর বড় অংশ কেনাকাটা করা হয় সিএমএসডির (কেন্দ্রীয় ঔষধাগার) মাধ্যমে। এই সময়ে প্রায় ১ হাজার ২৯২ কোটি টাকার স্বাস্থ্য সরঞ্জাম কেনা হয়, যার মধ্যে একটি বড় অংশ ব্যবহার অযোগ্য হওয়ায় সম্প্রতি কনডেমনেশন (ব্যবহার অনুপযোগী ঘোষণা করা) করে বুলডোজার দিয়ে ধ্বংস করা হয়। ধ্বংস করা স্বাস্থ্য সুরক্ষা সরঞ্জামের আর্থিক মূল্য কয়েকশ কোটি টাকা।
২০২০ সালের জুন থেকে ২০২১ সালের অক্টোবর পর্যন্ত সময়ে সিএমএসডি কভিড মোকাবিলায় ২৮টি পৃথক পণ্য কেনাকাটা করে। যার মধ্যে ১৮টি পণ্য ছিল স্বাস্থ্য সুরক্ষা সরঞ্জাম, একটি ওষুধ এবং ৯টি চিকিৎসা যন্ত্র ও অনুষঙ্গ। সুরক্ষা সরঞ্জামের তালিকায় প্রথম যে চারটি পণ্য কেনা হয় (আরটি পিসিআর
টেস্ট কিট, ভিটিএম সোয়াব স্টিক, কভিড-১৯ এজি টেস্ট কিট এবং পিপিই), তার ক্রয়মূল্য ছিল ৮৩০ কোটি ৪৫ লাখ টাকার বেশি। প্রতিষ্ঠানের একটি সূত্র জানায়, এসব মালামালের প্রায় অর্ধেকই অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে ছিল। হাতে আসা একটি ছবিতে দেখা যায়, সিএমএসডির আঙিনার এক পাশে শত শত কার্টনে স্বাস্থ্য সুরক্ষা সরঞ্জাম রাখা হয়েছে। এর একটি অংশ বুলডোজার দিয়ে ধ্বংস করা হচ্ছে। তবে কত টাকার কী পরিমাণ পণ্য ধ্বংস করা হয়েছে, তার সঠিক হিসাব বলছে না কর্তৃপক্ষ। সংশ্লিষ্টরা জানান, এর মধ্যে কয়েকশ কোটি টাকার সুরক্ষা সরঞ্জাম অব্যবহৃত অবস্থায় সিএমএসডির গুদামে পড়ে ছিল, যা পর্যায়ক্রমে কনডেমনেশন ঘোষণা করে ধ্বংস করা হয়েছে। ক্রয়কৃত মালামালের ব্যয় নির্বাহের ক্ষেত্রে
রাজস্ব খাতের পাশাপাশি এডিবির (এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক) ঋণের অর্থও ছিল। অর্থাৎ ঋণের টাকায় কেনা শত শত কোটি টাকার পণ্যও ধ্বংস করা হয়েছে। এমনকি এসব পণ্য যারা সরবরাহ করেছেন তাদের অনেকের বকেয়া পাওয়া এখনো পরিশোধ করা হয়নি। এ প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় ঔষধাগারের উপপরিচালক (সিএমএসডি) ডা. তউহীদ আহমেদ বলেন, গত এক বছরে এরকম বেশ কিছু মালামাল কনডেম করা হয়েছে। এটা সিএমএসডির নিয়মিত কার্যক্রমের অংশ। প্রায় চারশ কোটি টাকার মালামাল কনডেম করে ধ্বংস করা হয়েছে কি না—জানতে চাইলে তিনি বলেন, টাকার পরিমাণ এত বেশি হওয়ার কথা নয়। তা ছাড়া আমরা ব্যবহার অনুপযোগী মালামালের পরিমাণ দেখি, টাকার অঙ্ক নয়। এ প্রসঙ্গে কথা হয় প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী
অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমানের সঙ্গে। তিনি বলেন, সিএমএসডিতে ক্রয়কৃত কিছু পণ্য কনডেম করা হয়েছে। কিন্তু সেগুলো কভিডকালীন পণ্য কি না এবং তার মূল্যমান সম্পর্কে আমার জানা নেই। অনুসন্ধানে জানা গেছে, ২০২০ সালের জুন থেকে ২০২১ সালের অক্টোবর পর্যন্ত সিএমএসডি কভিড-১৯ সংক্রান্ত স্বাস্থ্য সুরক্ষা সরঞ্জাম কেনে ১ হাজার ২৯২ কোটি ৮৫ লাখ ৬৯ হাজার ৮৮৩ টাকার। এর মধ্যে ৩৭ লাখ সেট আরটি পিসিআর কিট ইউথ সোয়াব স্টিক কেনা হয়, যার ক্রয়মূল্য ছিল ৬১৩ কোটি ৩১ লাখ টাকা। পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক সিএমএসডির একাধিক কর্মকর্তা বলেন, কিছু দিন ধরে প্রতিষ্ঠানের গুদামঘরে রক্ষিত প্রায় চারশ কোটি টাকার স্বাস্থ্য সুরক্ষা সরঞ্জাম বুলডোজার ও রোলার দিয়ে ধ্বংস
করা হয়। তারা বলেন, সিএমএসডির দীর্ঘদিনের দাপ্তরিক সংস্কৃতি গড়ে উঠেছিল একজন সামরিক কর্মকর্তা (ব্রিগেডিয়ার জেনারেল) প্রতিষ্ঠান পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। কিন্তু কভিডকালীন তৎকালীন পরিচালকের মৃত্যু হলে একজন অতিরিক্ত সচিবকে এই পদে পদায়ন করা হয়। তিনি দায়িত্ব গ্রহণের পর ‘নিড বেজ অ্যাসেসমেন্ট’ না করে ইচ্ছামতো কেনাকাটা শুরু করেন। যার বেশিরভাগই ছিল প্রয়োজনের অতিরিক্ত। ফলে শত শত কোটি টাকার সরঞ্জাম ধ্বংস করতে হলো।
টেস্ট কিট, ভিটিএম সোয়াব স্টিক, কভিড-১৯ এজি টেস্ট কিট এবং পিপিই), তার ক্রয়মূল্য ছিল ৮৩০ কোটি ৪৫ লাখ টাকার বেশি। প্রতিষ্ঠানের একটি সূত্র জানায়, এসব মালামালের প্রায় অর্ধেকই অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে ছিল। হাতে আসা একটি ছবিতে দেখা যায়, সিএমএসডির আঙিনার এক পাশে শত শত কার্টনে স্বাস্থ্য সুরক্ষা সরঞ্জাম রাখা হয়েছে। এর একটি অংশ বুলডোজার দিয়ে ধ্বংস করা হচ্ছে। তবে কত টাকার কী পরিমাণ পণ্য ধ্বংস করা হয়েছে, তার সঠিক হিসাব বলছে না কর্তৃপক্ষ। সংশ্লিষ্টরা জানান, এর মধ্যে কয়েকশ কোটি টাকার সুরক্ষা সরঞ্জাম অব্যবহৃত অবস্থায় সিএমএসডির গুদামে পড়ে ছিল, যা পর্যায়ক্রমে কনডেমনেশন ঘোষণা করে ধ্বংস করা হয়েছে। ক্রয়কৃত মালামালের ব্যয় নির্বাহের ক্ষেত্রে
রাজস্ব খাতের পাশাপাশি এডিবির (এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক) ঋণের অর্থও ছিল। অর্থাৎ ঋণের টাকায় কেনা শত শত কোটি টাকার পণ্যও ধ্বংস করা হয়েছে। এমনকি এসব পণ্য যারা সরবরাহ করেছেন তাদের অনেকের বকেয়া পাওয়া এখনো পরিশোধ করা হয়নি। এ প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় ঔষধাগারের উপপরিচালক (সিএমএসডি) ডা. তউহীদ আহমেদ বলেন, গত এক বছরে এরকম বেশ কিছু মালামাল কনডেম করা হয়েছে। এটা সিএমএসডির নিয়মিত কার্যক্রমের অংশ। প্রায় চারশ কোটি টাকার মালামাল কনডেম করে ধ্বংস করা হয়েছে কি না—জানতে চাইলে তিনি বলেন, টাকার পরিমাণ এত বেশি হওয়ার কথা নয়। তা ছাড়া আমরা ব্যবহার অনুপযোগী মালামালের পরিমাণ দেখি, টাকার অঙ্ক নয়। এ প্রসঙ্গে কথা হয় প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী
অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমানের সঙ্গে। তিনি বলেন, সিএমএসডিতে ক্রয়কৃত কিছু পণ্য কনডেম করা হয়েছে। কিন্তু সেগুলো কভিডকালীন পণ্য কি না এবং তার মূল্যমান সম্পর্কে আমার জানা নেই। অনুসন্ধানে জানা গেছে, ২০২০ সালের জুন থেকে ২০২১ সালের অক্টোবর পর্যন্ত সিএমএসডি কভিড-১৯ সংক্রান্ত স্বাস্থ্য সুরক্ষা সরঞ্জাম কেনে ১ হাজার ২৯২ কোটি ৮৫ লাখ ৬৯ হাজার ৮৮৩ টাকার। এর মধ্যে ৩৭ লাখ সেট আরটি পিসিআর কিট ইউথ সোয়াব স্টিক কেনা হয়, যার ক্রয়মূল্য ছিল ৬১৩ কোটি ৩১ লাখ টাকা। পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক সিএমএসডির একাধিক কর্মকর্তা বলেন, কিছু দিন ধরে প্রতিষ্ঠানের গুদামঘরে রক্ষিত প্রায় চারশ কোটি টাকার স্বাস্থ্য সুরক্ষা সরঞ্জাম বুলডোজার ও রোলার দিয়ে ধ্বংস
করা হয়। তারা বলেন, সিএমএসডির দীর্ঘদিনের দাপ্তরিক সংস্কৃতি গড়ে উঠেছিল একজন সামরিক কর্মকর্তা (ব্রিগেডিয়ার জেনারেল) প্রতিষ্ঠান পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। কিন্তু কভিডকালীন তৎকালীন পরিচালকের মৃত্যু হলে একজন অতিরিক্ত সচিবকে এই পদে পদায়ন করা হয়। তিনি দায়িত্ব গ্রহণের পর ‘নিড বেজ অ্যাসেসমেন্ট’ না করে ইচ্ছামতো কেনাকাটা শুরু করেন। যার বেশিরভাগই ছিল প্রয়োজনের অতিরিক্ত। ফলে শত শত কোটি টাকার সরঞ্জাম ধ্বংস করতে হলো।