আটকে আছে সীমানাসহ গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তুতি – ইউ এস বাংলা নিউজ




আটকে আছে সীমানাসহ গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তুতি

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ২৩ জানুয়ারি, ২০২৫ | ৭:০১ 6 ভিউ
সীমানা পুনর্নির্ধারণ ও রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের মতো জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের মৌলিক কিছু প্রস্তুতিমূলক কাজ শুরু করতে পারছে না নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার প্রস্তাব চূড়ান্ত না হওয়া পর্যন্ত এসব কাজে হাত না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। সংবিধান ও নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার প্রস্তাব চূড়ান্ত হওয়ার অপেক্ষা করছে ইসি। তবে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতির সম্ভাব্য সময়সীমার একটি কর্মপরিকল্পনা বা রোডম্যাপ তৈরি করছে কমিশন। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে ভোট হবে-এমন লক্ষ্য নিয়ে এ কর্মপরিকল্পনা তৈরি করা হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। ইসির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, এসব প্রস্তুতিমূলক কাজের সঙ্গে আইনের সরাসরি সম্পৃক্ততা রয়েছে। ইতোমধ্যে সংবিধান এবং নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশন যে

প্রস্তাব দিয়েছে সেখানে এসব বিষয়ে সংস্কারের সুপারিশ এসেছে। আইন সংশোধন হওয়ার পর এসব কাজ শুরু হবে। শেষ করতে পাঁচ থেকে সাত মাস সময়ের প্রয়োজন হবে। তারা আরও জানান, অন্তর্বর্তী সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্যের ওপর মূলত আইন ও বিধিমালাগুলোর সংশোধন নির্ভর করছে। আইন সংশোধন ছাড়া ওইসব প্রস্তুতিমূলক কাজ শুরু করলে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব কে, এম, আলী নেওয়াজ বলেন, জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতিমূলক কিছু কাজ আমরা শুরু করেছি। আর কিছু কাজ আইন সংশোধনের ওপর নির্ভর করছে। সেই কাজগুলোর জন্য আমরা সরকারের নির্দেশনার অপেক্ষায় আছি। সংস্কার কমিশনগুলো প্রতিবেদন দিয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সমঝোতার ভিত্তিতে যেসব সংস্কারের

সিদ্ধান্ত জানানো হবে, সেই আলোকে পরবর্তী ব্যবস্থা নেব। ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। এরপরই ভেঙে দেওয়া হয় জাতীয় সংসদ। দ্রুত নির্বাচনের দাবি জানিয়ে আসছে বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো। বিএনপির কয়েকজন নেতা আগামী জুন-জুলাইয়ে নির্বাচনের দাবিতে বক্তব্য দিয়েছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইসির কর্মকর্তারা মনে করেন, আইন সংশোধন করে জুন-জুলাইয়ে নির্বাচন করা সম্ভব নয়। তবে ডিসেম্বরের মধ্যে ভোট করা সম্ভব হবে। সূত্র আরও জানিয়েছে, ভোটার তালিকা হালনাগাদ ও নির্বাচনি মালামাল সংগ্রহের মতো কিছু কাজ চালিয়ে যাচ্ছে ইসি। আগামী জুনের মধ্যে বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহের মাধ্যমে ভোটার তালিকা হালনাগাদ শেষ করার লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। যদিও আগামী বছরের ২ জানুয়ারি পর্যন্ত

এ কার্যক্রম চালানোর আইনি সুযোগ রয়েছে ইসির। নির্বাচন কমিশন আগভাগেই তা শেষ করতে চায়। এছাড়া নির্বাচনি মালামাল সংগ্রহ শুরু করেছে কমিশন। জাতিসংঘ উন্নয়ন প্রোগ্রামের আওতায় (ইউএনডিপি) বিভিন্ন ধরনের নির্বাচনি মালামাল সরবরাহে আলোচনা চলছে। পাশাপাশি টেন্ডার করে ঠিকাদার নিয়োগের মাধ্যমে সংগ্রহের প্রস্তুতিও রাখা হচ্ছে। এদিকে নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশন সূত্র জানিয়েছে, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সঙ্গে সম্পৃক্ত কয়েকটি আইন ও বিধিমালা সংশোধনের খসড়া তৈরি করে দিচ্ছে এ কমিশন। সেগুলোর মধ্যে রয়েছে-জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের প্রধান আইন গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও), জাতীয় সংসদের নির্বাচনি এলাকার সীমানা পুনর্নির্ধারণ আইন, জাতীয় সংসদ (সংরক্ষিত) মহিলা আসন আইন, নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইন, নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালা, রাজনৈতিক দল নিবন্ধন বিধিমালা এবং

সংসদীয় নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা। ওইসব খসড়া অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে দেওয়া হবে। সরকার ওইসব খসড়ার ওপর রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত নেবে। ওই মতামতের ভিত্তিতে এসব আইন ও বিধিমালার সংশোধনী চূড়ান্ত হবে। এসব কাজে কতদিন লাগবে, তা জানাতে পারেনি ওই সূত্র। জানতে চাইলে নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কারে আমরা অনেকগুলো সুপারিশ করেছি। বেশ কিছু আইন ও বিধিমালার খসড়া তৈরি করছি। নির্বাচনের প্রস্তুতির সঙ্গে এসব আইন ও বিধিমালা একে অপরের পরিপূরক। জানা গেছে, জাতীয় নির্বাচনের তফশিল ঘোষণার আগে যেসব প্রস্তুতিমূলক কাজ রয়েছে, সেগুলো হচ্ছে-নির্বাচনি আইনের সংস্কার, সীমানা পুনর্নির্ধারণ, ভোটার তালিকা হালনাগাদ, নতুন রাজনৈতিক দল নিবন্ধন, ভোটকেন্দ্র

নির্ধারণ ও ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্যানেল তৈরি, পর্যবেক্ষক সংস্থার নিবন্ধন এবং সাংবাদিক নীতিমালা হালনাগাদ করা, নির্বাচনি মালামাল সংগ্রহ এবং নির্বাচনে ব্যবহৃত বিভিন্ন ফরম, প্যাকেট, ম্যানুয়াল, নির্দেশিকা ও পোস্টার মুদ্রণ। এর মধ্যে সীমানা পুনর্নির্ধারণ, ভোটার তালিকা হালনাগাদ, নতুন রাজনৈতিক দল নিবন্ধন ও টেন্ডারের মাধ্যমে নির্বাচনি মালামাল সংগ্রহ-এই চার ধরনের প্রস্তুতি নিতে পাঁচ থেকে সাত মাস লাগবে। বাকি প্রস্তুতিমূলক কাজগুলো শুরুর ২-৩ মাসের মধ্যে শেষ করা সম্ভব। ইসি সূত্র জানায়, সীমানা পুনর্নির্ধারণ, আইন সংস্কার ও রাজনৈতিক দল নিবন্ধনে পৃথক কমিটি রয়েছে। নির্বাচন কমিশনারদের নেতৃত্বে গঠিত এসব কমিটি ধীরগতিতে কাজ করছে। সীমানা পুনর্নির্ধারণ কমিটি ইতোমধ্যে আসনভিত্তিক জনসংখ্যা ও ভোটার সংখ্যার তথ্য সংগ্রহ করেছে। ২০০১ সালের

পর থেকে অনুষ্ঠিত নির্বাচনগুলোতে যেসব আসনের সীমানা পরিবর্তন করা হয়েছিল, সেগুলো পর্যালোচনা করছে। জিপিএসভিত্তিক আসন বিন্যাসে একটি বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠানকে এ কাজে সম্পৃক্ত করা হয়েছে। তবে আইন সংস্কার না হওয়ায় মাঠ পর্যায়ের কাজ শুরু করেনি। নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশন সীমানা পুনর্নির্ধারণে পরিবর্তনের সুপারিশ করেছে। একইভাবে আইন সংস্কার কমিটির সদস্যরা একাধিক বৈঠক করেছেন। নির্বাচনসংক্রান্ত আইন ও বিধিমালায় কী ধরনের সংশোধনী হবে-সেই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়নি। এ কমিটিও সরকারের নির্দেশনার অপেক্ষা করছে। ওই কমিটির একজন সদস্য বলেন, নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কারে সংবিধান ও আইন সংশোধনের সুপারিশ করেছে দুটি কমিশন। ওইসব সুপারিশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে আমাদের আসলে কোনো কিছুই করার নেই। তবে বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে নেওয়া ভোটকেন্দ্র নির্ধারণ নীতিমালা বাতিলের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এছাড়া ভোটকেন্দ্র নির্ধারণ ও ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্যানেল তৈরি, পর্যবেক্ষক সংস্থার নিবন্ধন এবং সাংবাদিক নীতিমালা হালনাগাদ করার কাজ এখনো শুরু হয়নি।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
কেন বয়সে বড় বউ বিয়ে করবেন! ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে উত্তর কোরিয়ার ১ হাজার সেনা নিহত অতিরিক্ত ভাত খেলে শরীরে কী প্রভাব পড়ে? বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার শীত ও ঘন কুয়াশায় স্বাভাবিক জীবন ব্যাহত, হাসপাতালে রোগীর চাপ এবার যাকাত দেওয়া যাবে ক্রিপ্টোকারেন্সিতে! রাজধানীর যেসব মার্কেট আজ বন্ধ, আপনি জানেন কি ? গাজায় ধ্বংসস্তূপ থেকে উদ্ধার ১২০টি মানব কঙ্কাল মার্কিন শুল্ক হুমকি, কানাডার অর্থনীতি রক্ষায় কে আসছে? বন্ধু ভারতীয়দের কেন বের করে দেবেন ট্রাম্প? চীন কি সত্যিই পানামা খাল পরিচালনা করে? মালয়েশিয়ায় প্রতারিত ৮ বাংলাদেশিকে উদ্ধার দাবির মুখে সিদ্ধান্ত বদল এনবিআরের ভাঙা ঘরে শতকোটি টাকার সম্পদ কচ্ছপের পিঠে স্বপ্নের যাত্রা সাবেক ২ নির্বাহী প্রকৌশলীসহ ১৩ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা রাজশাহীতে বিএনপি নেতাদের দখল ও চাঁদাবাজি লাগাম টানা হচ্ছে ক্যাপাসিটি চার্জে আটকে আছে সীমানাসহ গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তুতি স্বপ্ন ভাঙছে অনেকের, ফিরতে হবে দেশে