ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর
কবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দল দেবে বাংলাদেশ, যা জানা গেল
তামিমের পর সাকিবও ঝরে গেলেন?
যত অর্জন ও কীর্তি নিয়ে থামলেন তামিম
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা তামিমের
মায়োর্কাকে হারিয়ে সুপার কাপের ফাইনালে রিয়াল মাদ্রিদ
‘পোস্ট ডিলিট করো, সমস্যা হবে’
নভেম্বরে ‘দক্ষিণ এশিয়ার অলিম্পিক’, জানেই না বাংলাদেশ!
সে ‘দূরত্ব’ আর ঘোচাতে চাইলেন না তামিম, কেন?
২০০৭ ওয়ানডে বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ। সেদিন এক তরুণ ব্যাটার ডাউন দ্য উইকেটে এসে জহির খানকে লং অন দিয়ে সীমানা ছাড়া করতেই বাংলাদেশ ক্রিকেটে নতুন মহাতারকার আলোকচ্ছটা দেখা যায়। সে মহাতারকার নাম তামিম ইকবাল। তর্কসাপেক্ষে বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসের সেরা ব্যাটার তিনি। অমন উজ্জ্বল শুরুর পর দীর্ঘসময় দেশের সেরা ব্যাটার হিসেবে দলে খেলেছেন। একসময় সব ফরম্যাটে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ছিলেন। দেশের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে ছুঁয়েছেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১৫ হাজার রানের মাইলফলক।
এতসব অর্জনের পরও তামিম ইকবালের ক্যারিয়ারের শেষটা সুন্দর হলো কই! ক্যারিয়ার সায়াহ্নে সতীর্থ ও বন্ধু সাকিব আল হাসানের সঙ্গে তার বিবাদের খবর প্রকাশ্যে এলো। শেষ দেড় বছর জাতীয় দলে খেলাই
হয়নি। তামিম দলে ফিরবেন কি ফিরবেন না, সেটা নিয়েই জল্পনা-কল্পনা চলেছে। অবশেষে শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) রাত ১১টার কাছাকাছি সময়ে এক ফেসবুক পোস্টে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে বিদায় নিয়ে নেন তামিম। বিদায়ের ঘোষণা দিয়ে ফেসবুক পোস্টে দেশসেরা ওপেনার লিখেছেন, ‘আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে দূরে আছি অনেক দিন ধরেই। সেই দূরত্ব আর ঘুচবে না। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আমার অধ্যায় শেষ।’ কেন দূরত্ব তৈরি হলো, কেন-ইবা সে দূরত্ব আর ঘোচাতে চাইলেন না তামিম–ফেসবুক পোস্টে তার ওপরের কথাগুলো পড়ার পর এই প্রশ্নগুলোই ঘুরেফিরে আসছে। নাজমুল হাসান পাপনের নেতৃত্বাধীন বোর্ডের আমলে ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপে খেলতে চেয়েছিলেন। প্রস্তুতি হিসেবে বিশ্বকাপের আগে নিউজিল্যান্ড সিরিজেও খেলেছিলেন। কিন্তু এরপরই বাংলাদেশ ক্রিকেটের এক ঘোলাটে অধ্যায়ের
শুরু। টিম ম্যানেজমেন্টের তরফে তামিমকে অনুরোধ করা হয়, যেন ওপেনিংয়ের জায়গা ছেড়ে দিয়ে ব্যাটিং অর্ডারের নিচের দিকে খেলেন তিনি। টিম ম্যানেজমেন্টের পক্ষ থেকে পাওয়া এমন প্রস্তাবে বড় আঘাত পান দেশের অন্যতম সেরা এই ব্যাটার। এমন নয় যে, জাতীয় দলে তখন এমন কোন অপরিহার্য ওপেনার ছিলেন, যাকে সরিয়ে তামিমকে জায়গা দেওয়ার সুযোগ ছিল না। সেসময়ের হেড কোচ চণ্ডিকা হাথুরুসিংহে, অধিনায়ক সাকিব আল হাসান এবং বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের সঙ্গে তামিমের দূরত্বটা তখন প্রকাশ্য। এ প্রসঙ্গে ‘দূরত্ব’ শব্দটির অবতারণা তখনই। বছর দেড়েকের ব্যবধানে সব বদলে গেছে। সাবেক বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন এখন ‘আত্মগোপনে’, অধিনায়ক সাকিব আল হাসান এখন রাজনৈতিক কারণে স্বেচ্ছা নির্বাসনে। আর
চণ্ডিকা হাথুরুসিংহেকে রীতিমত তাড়িয়ে দিয়েছেন নতুন বোর্ড সভাপতি ফারুক আহমেদের নেতৃত্বাধীন বোর্ড। বিসিবি এবং জাতীয় দলের লিডারশিপ গ্রুপে এমন পরিবর্তনের পর অনেকেই তামিমের জাতীয় দলে ফেরার সম্ভাবনা দেখেছিলেন। অন্তর্বর্তী সরকারের ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদকে তামিমের মিরপুর স্টেডিয়াম ঘুরে দেখানোর দৃশ্য ভক্তদের মনে আশার সঞ্চার করেছিল। তবে সেই যে ‘দূরত্ব’ তৈরি হয়েছিল তা আর শেষ পর্যন্ত ঘুচল না। নতুন চেহারার বোর্ড বরাবরই তামিমকে ফেরানোর ক্ষেত্রে ইতিবাচক বার্তা দিয়েছে। এমনকি আসন্ন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দলে তামিম চাইলেই দলে সুযোগ পেতে পারতেন, নির্বাচক এবং টিম ম্যানেজমেন্টের ‘গ্রিন সিগন্যাল’ ছিল। তামিম নিজেও ফেসবুকে সে কথা স্বীকার করে অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত এবং নির্বাচকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। তবে একবার
মন উঠে যাওয়ার পর আর জাতীয় দলমুখো হতে চাননি তামিম। নিজের ছোট্ট ছেলে তাকে আবার জাতীয় দলে দেখতে চেয়েছিলেন, সেটাও তামিমের মন বদলাতে পারেনি। জাতীয় দল থেকে মনস্তাত্ত্বিকভাবে এতটাই দূরে সরে গিয়েছিলেন দেশসেরা এই ওপেনার।
হয়নি। তামিম দলে ফিরবেন কি ফিরবেন না, সেটা নিয়েই জল্পনা-কল্পনা চলেছে। অবশেষে শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) রাত ১১টার কাছাকাছি সময়ে এক ফেসবুক পোস্টে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে বিদায় নিয়ে নেন তামিম। বিদায়ের ঘোষণা দিয়ে ফেসবুক পোস্টে দেশসেরা ওপেনার লিখেছেন, ‘আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে দূরে আছি অনেক দিন ধরেই। সেই দূরত্ব আর ঘুচবে না। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আমার অধ্যায় শেষ।’ কেন দূরত্ব তৈরি হলো, কেন-ইবা সে দূরত্ব আর ঘোচাতে চাইলেন না তামিম–ফেসবুক পোস্টে তার ওপরের কথাগুলো পড়ার পর এই প্রশ্নগুলোই ঘুরেফিরে আসছে। নাজমুল হাসান পাপনের নেতৃত্বাধীন বোর্ডের আমলে ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপে খেলতে চেয়েছিলেন। প্রস্তুতি হিসেবে বিশ্বকাপের আগে নিউজিল্যান্ড সিরিজেও খেলেছিলেন। কিন্তু এরপরই বাংলাদেশ ক্রিকেটের এক ঘোলাটে অধ্যায়ের
শুরু। টিম ম্যানেজমেন্টের তরফে তামিমকে অনুরোধ করা হয়, যেন ওপেনিংয়ের জায়গা ছেড়ে দিয়ে ব্যাটিং অর্ডারের নিচের দিকে খেলেন তিনি। টিম ম্যানেজমেন্টের পক্ষ থেকে পাওয়া এমন প্রস্তাবে বড় আঘাত পান দেশের অন্যতম সেরা এই ব্যাটার। এমন নয় যে, জাতীয় দলে তখন এমন কোন অপরিহার্য ওপেনার ছিলেন, যাকে সরিয়ে তামিমকে জায়গা দেওয়ার সুযোগ ছিল না। সেসময়ের হেড কোচ চণ্ডিকা হাথুরুসিংহে, অধিনায়ক সাকিব আল হাসান এবং বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের সঙ্গে তামিমের দূরত্বটা তখন প্রকাশ্য। এ প্রসঙ্গে ‘দূরত্ব’ শব্দটির অবতারণা তখনই। বছর দেড়েকের ব্যবধানে সব বদলে গেছে। সাবেক বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন এখন ‘আত্মগোপনে’, অধিনায়ক সাকিব আল হাসান এখন রাজনৈতিক কারণে স্বেচ্ছা নির্বাসনে। আর
চণ্ডিকা হাথুরুসিংহেকে রীতিমত তাড়িয়ে দিয়েছেন নতুন বোর্ড সভাপতি ফারুক আহমেদের নেতৃত্বাধীন বোর্ড। বিসিবি এবং জাতীয় দলের লিডারশিপ গ্রুপে এমন পরিবর্তনের পর অনেকেই তামিমের জাতীয় দলে ফেরার সম্ভাবনা দেখেছিলেন। অন্তর্বর্তী সরকারের ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদকে তামিমের মিরপুর স্টেডিয়াম ঘুরে দেখানোর দৃশ্য ভক্তদের মনে আশার সঞ্চার করেছিল। তবে সেই যে ‘দূরত্ব’ তৈরি হয়েছিল তা আর শেষ পর্যন্ত ঘুচল না। নতুন চেহারার বোর্ড বরাবরই তামিমকে ফেরানোর ক্ষেত্রে ইতিবাচক বার্তা দিয়েছে। এমনকি আসন্ন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দলে তামিম চাইলেই দলে সুযোগ পেতে পারতেন, নির্বাচক এবং টিম ম্যানেজমেন্টের ‘গ্রিন সিগন্যাল’ ছিল। তামিম নিজেও ফেসবুকে সে কথা স্বীকার করে অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত এবং নির্বাচকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। তবে একবার
মন উঠে যাওয়ার পর আর জাতীয় দলমুখো হতে চাননি তামিম। নিজের ছোট্ট ছেলে তাকে আবার জাতীয় দলে দেখতে চেয়েছিলেন, সেটাও তামিমের মন বদলাতে পারেনি। জাতীয় দল থেকে মনস্তাত্ত্বিকভাবে এতটাই দূরে সরে গিয়েছিলেন দেশসেরা এই ওপেনার।