ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর
৫ আগস্টের মতো রাজপথে নামার আহ্বান মির্জা ফখরুলের
বিএনপির অফিসে আ. লীগের হামলা, কলারোয়ায় ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা
মানুষ সংস্কার বোঝে না, তারা বোঝে ভোট: মির্জা ফখরুল
সেই তাহেরীর বিরুদ্ধে পুলিশের মামলা
রাজপথে আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছে বিএনপি
আমাদের পাকঘরে উঁকি মারবেন না: ভারতকে ডা. শফিকুর রহমান
‘আওয়ামী লীগ দালাল না, ভারতেরই সরকার ছিল’
রাজনৈতিক দলগুলো ক্ষমতায় গেলে বদলে যেতে পারে
রাজনৈতিক দলগুলো এখন যতই ভালো কথা বলুক না কেন, ক্ষমতায় গেলে তারা হয়তো আবার বদলে যেতে পারে এমন আশঙ্কার কথা এসেছে সুজনের গোলটেবিল আলোচনায়। সে জন্য বক্তারা সংস্কারের দাবিতে সবাইকে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। সোমবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) আয়োজিত ‘সংস্কার কমিশনের অগ্রাধিকারভিত্তিক প্রতিবেদন পেশ: তারপর কী’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার বলেন, উচ্চ আদালতের রায়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফিরে এসেছে। প্রতিটি জাতীয় নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে হতে হবে এবং কাগজের ব্যালটে ভোট গ্রহণ সম্পন্ন করতে হবে। কোনো অবস্থাতেই ইভিএমে ভোট গ্রহণ করা যাবে না এবং
বিগত সময়ে যারা ইভিএম পদ্ধতি গ্রহণ করেছে, তাদের বিষয়ে তদন্ত হওয়া উচিত। তিনি বলেন, আমরা হয়তো কেউ কেউ ভুলে গেছি আবার কেউ কেউ বলার চেষ্টা করছে যে, সংস্কার আরও পরে হলেও হবে। হ্যা, পরে কিছু কিছু সংস্কার করতে হবে কিন্তু আমাদের ভুলে গেলে চলবে না, আমাদের অন্যতম দাবি ছিলো গভীর সংস্কার। যাতে পুরনো কর্তৃত্ববাদী, ফ্যাসিবাদী সরকারের আর পুনরাবৃত্তি না ঘটে। তাই সংস্কারের পক্ষে ব্যাপক জনমত সৃষ্টি করতে হবে। আমাদের গণমাধ্যম এখানে খুবই ভাল ভূমিকা পালন করছে। আবার যেন স্বৈরাচার ফিরে না আসে, নেভার-এভার এগেইন। বৈষম্যের অবসান এই অভ্যুত্থানের আরেক দাবি ছিলো জানিয়ে নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান বলেন, আমাদের বৈষম্য দিন দিন আকাশচুম্বী
হচ্ছে, অর্থনৈতিক বৈষম্য দিন দিন বেসামাল পর্যায়ে যাচ্ছে। এই বৈষম্যের অবসান করতে হবে। আমাদের এই অভ্যুত্থানের পেছনে আরও একটি কারণ ছিলো, যারা এইসব অপকর্ম করেছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি। যারা মানবতাবিরোধী অপরাধ, অর্থনৈতিক অপরাধ এবং অন্যান্য ফৌজদারি অপরাধ করেছে তাদের ন্যায়বিচারের মাধ্যমে শাস্তির আওতায় আনা। অনুষ্ঠানে সাবেক সচিব আব্দুল আউয়াল মজুমদার বলেন, সদিচ্ছা না থাকলে যতই আইন করা হোক, সংস্কার করা হোক তাতে লাভ হবে না। রাজনৈতিক দলগুলো অনেক ভালো কথা বলছে। দলগুলো এখন যতই ভালো কথা বলুক, কিছুটা শঙ্কা থেকে যায়, তারা হয়তো ক্ষমতায় গিয়ে বদলে যাবে। আবার আগের মতো আচরণ করার চেষ্টা করবে। এ জন্য সবাইকে সচেতন থাকার আহ্বান
জানান তিনি। স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের প্রধান তোফায়েল আহমেদ বলেন, স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের নির্বাচনে সংসদীয় পদ্ধতি অনুসরণ করা যেতে পারে। চেয়ারম্যান বা মেয়দ পদে সরাসরি কেউ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন না। সবাই সদস্য বা কাউন্সিলর পদে নির্বাচন করবেন। নির্বাচিত সদস্যরা পরে তাদের একজনকে চেয়ারম্যান বা মেয়র নির্বাচন করবেন। তিনি বলেন, এ ক্ষেত্রে সদস্য হিসেবে যারা নির্বাচন করবেন, তাদের মান উন্নয়ন করতে হবে। আরেকটি আশঙ্কা থাকে যে মেয়র বা চেয়ারম্যান নির্বাচনে সদস্যদের মাথা বিক্রি হয়ে যেতে পারে। এটি ঠেকাতে আইনে এমন ব্যবস্থা রাখতে হবে, যাতে কেউ এ ধরনের অপরাধ করলে তার পদ থাকবে না। বৈঠকে লিখিত প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সুজনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী দিলীপ কুমার সরকার।
লিখিত প্রবন্ধে সংস্কার কমিশনের অগ্রাধিকার বিষয়ে বিভিন্ন আকাঙ্ক্ষার কথা তুলে ধরা হয়। তাতে বলা হয়, কোন সংস্কারগুলো অন্তর্বর্তী সরকার করবে এবং কোনগুলো নির্বাচিত সরকার করবে, তা নির্ধারণ করতে হবে। নির্বাচিত সরকার যেসব সংস্কার বাস্তবায়ন করবে, সে বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে একটি জাতীয় সনদ বা সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করতে হবে। যাতে যে দল সরকার গঠন করবে, তারা যেন সংস্কারের উদ্যোগ নিতে এবং বিরোধী দলগুলোও যেন তাতে সমর্থন দিতে বাধ্য হয়। গোলটেবিল বৈঠকে আরো বক্তৃতা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস, সাবেক সচিব আবু আলম খান, বিশিষ্ট সাংবাদিক ও কবি সোহরাব হাসান, বিশিষ্ট সাংবাদিক আবু সাঈদ খান প্রমুখ।
বিগত সময়ে যারা ইভিএম পদ্ধতি গ্রহণ করেছে, তাদের বিষয়ে তদন্ত হওয়া উচিত। তিনি বলেন, আমরা হয়তো কেউ কেউ ভুলে গেছি আবার কেউ কেউ বলার চেষ্টা করছে যে, সংস্কার আরও পরে হলেও হবে। হ্যা, পরে কিছু কিছু সংস্কার করতে হবে কিন্তু আমাদের ভুলে গেলে চলবে না, আমাদের অন্যতম দাবি ছিলো গভীর সংস্কার। যাতে পুরনো কর্তৃত্ববাদী, ফ্যাসিবাদী সরকারের আর পুনরাবৃত্তি না ঘটে। তাই সংস্কারের পক্ষে ব্যাপক জনমত সৃষ্টি করতে হবে। আমাদের গণমাধ্যম এখানে খুবই ভাল ভূমিকা পালন করছে। আবার যেন স্বৈরাচার ফিরে না আসে, নেভার-এভার এগেইন। বৈষম্যের অবসান এই অভ্যুত্থানের আরেক দাবি ছিলো জানিয়ে নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান বলেন, আমাদের বৈষম্য দিন দিন আকাশচুম্বী
হচ্ছে, অর্থনৈতিক বৈষম্য দিন দিন বেসামাল পর্যায়ে যাচ্ছে। এই বৈষম্যের অবসান করতে হবে। আমাদের এই অভ্যুত্থানের পেছনে আরও একটি কারণ ছিলো, যারা এইসব অপকর্ম করেছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি। যারা মানবতাবিরোধী অপরাধ, অর্থনৈতিক অপরাধ এবং অন্যান্য ফৌজদারি অপরাধ করেছে তাদের ন্যায়বিচারের মাধ্যমে শাস্তির আওতায় আনা। অনুষ্ঠানে সাবেক সচিব আব্দুল আউয়াল মজুমদার বলেন, সদিচ্ছা না থাকলে যতই আইন করা হোক, সংস্কার করা হোক তাতে লাভ হবে না। রাজনৈতিক দলগুলো অনেক ভালো কথা বলছে। দলগুলো এখন যতই ভালো কথা বলুক, কিছুটা শঙ্কা থেকে যায়, তারা হয়তো ক্ষমতায় গিয়ে বদলে যাবে। আবার আগের মতো আচরণ করার চেষ্টা করবে। এ জন্য সবাইকে সচেতন থাকার আহ্বান
জানান তিনি। স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের প্রধান তোফায়েল আহমেদ বলেন, স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের নির্বাচনে সংসদীয় পদ্ধতি অনুসরণ করা যেতে পারে। চেয়ারম্যান বা মেয়দ পদে সরাসরি কেউ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন না। সবাই সদস্য বা কাউন্সিলর পদে নির্বাচন করবেন। নির্বাচিত সদস্যরা পরে তাদের একজনকে চেয়ারম্যান বা মেয়র নির্বাচন করবেন। তিনি বলেন, এ ক্ষেত্রে সদস্য হিসেবে যারা নির্বাচন করবেন, তাদের মান উন্নয়ন করতে হবে। আরেকটি আশঙ্কা থাকে যে মেয়র বা চেয়ারম্যান নির্বাচনে সদস্যদের মাথা বিক্রি হয়ে যেতে পারে। এটি ঠেকাতে আইনে এমন ব্যবস্থা রাখতে হবে, যাতে কেউ এ ধরনের অপরাধ করলে তার পদ থাকবে না। বৈঠকে লিখিত প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সুজনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী দিলীপ কুমার সরকার।
লিখিত প্রবন্ধে সংস্কার কমিশনের অগ্রাধিকার বিষয়ে বিভিন্ন আকাঙ্ক্ষার কথা তুলে ধরা হয়। তাতে বলা হয়, কোন সংস্কারগুলো অন্তর্বর্তী সরকার করবে এবং কোনগুলো নির্বাচিত সরকার করবে, তা নির্ধারণ করতে হবে। নির্বাচিত সরকার যেসব সংস্কার বাস্তবায়ন করবে, সে বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে একটি জাতীয় সনদ বা সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করতে হবে। যাতে যে দল সরকার গঠন করবে, তারা যেন সংস্কারের উদ্যোগ নিতে এবং বিরোধী দলগুলোও যেন তাতে সমর্থন দিতে বাধ্য হয়। গোলটেবিল বৈঠকে আরো বক্তৃতা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস, সাবেক সচিব আবু আলম খান, বিশিষ্ট সাংবাদিক ও কবি সোহরাব হাসান, বিশিষ্ট সাংবাদিক আবু সাঈদ খান প্রমুখ।