১৫ মিনিটের সময় দিয়ে পুরো সিনেমা করে ফেললেন শাকিব – ইউ এস বাংলা নিউজ




১৫ মিনিটের সময় দিয়ে পুরো সিনেমা করে ফেললেন শাকিব

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ১৮ ডিসেম্বর, ২০২৪ | ৫:০৭ 75 ভিউ
সিনেমার কাজ প্রায় শেষের দিকে। গত অক্টোবর থেকে একমাস মুম্বাইয়ে চলেছে ‘বরবাদ’ ছবির শুটিং! যেখানে অংশ নেন শাকিব খান ও ইধিকা পালসহ অনেকে। আপাতত শুটিং বিরতি। আর এই ফাঁকে এল ছবির প্রথম পোস্টার। আজ রাজধানীতে বরবাদ ছবির পোস্টার উন্মোচন করা হয়। এই অনুষ্ঠানে শাকিব খান বলেন, সিনেমার গল্প শোনানোর জন্য নির্মাতাকে ১৫ মিনিট সময় দিয়েছিলেন তিনি। গল্পটা শুনে তার ভীষণ পছন্দ হয়। পরে পুরো সিনেমাই করে ফেলেন তিনি। ‘বরবাদ’ সিনেমার নির্মাতা মেহেদী হাসান হৃদয় প্রসঙ্গে শাকিব বলেন, ‘আমি মেহেদীকে চুজ করিনি, সেই আমাকে নিয়েছে। প্রথমদিন মেহেদী আমাকে বলে, ছবির গল্প শোনাবে। আমি বলি, তোমার হাতে সময় মাত্র ১৫ মিনিট। শুধু লাইনআপটা বললেই

হবে। আমি কোনো একটা কাজে যাচ্ছিলাম। শোনার পর আমার যেখানে যাওয়ার কথা ছিল সেখানে ফোন করে বললাম, আমি আসছি, অপেক্ষা করুন। এরপর গল্পটাও শুনলাম।’ তিনি আরও বলেন, ‘গল্প শোনার পর তাকে বললাম, তোমার কি প্রডিউসার আছে, নাকি আমি ইনভেস্ট করব? সে বলল, ভাইয়া আপনি এখন পর্যন্ত যত বড় বাজেটে কাজ করেছেন, তার চেয়ে যদি বড় বাজেটে কাজ করতে না পারি সিনেমাই করব না।’ সিনেমাটি নিয়ে ব্যাপক আশাবাদী শাকিব জানালেন, এটি সব ছবিকে ছাপিয়ে যাবে। তার কথায়, ‘একটা সময় বলেছিলাম, আমাদের ছবি আন্তর্জাতিকভাবে রিলিজ হবে; হলিউড, বলিউডের সঙ্গে। এখন আমাদের সিনেমা বিশ্বের ৭টি মহাদেশে মুক্তি পায়। এর আগে প্রিয়তমার ভালোবাসা পেয়েছি, তুফানি

করেছি। বরবাদ সবকিছুকে ছাড়িয়ে যাবে। সেদিন আর বেশি দূরে নয়, আমাদের ছবি ১০০/২০০ কোটির ক্লাবেও যাবে।’ এরপর ছবিটির মোশন পোস্টার প্রকাশ করা হয়। যেখানে দেখা যায়, রক্তাক্ত মুখে পিস্তল হাতে গাড়ির ওপরে বসে আছেন শাকিব। বলেন, ‘সাইলেন্স’। প্রসঙ্গত, বরবাদ ছবির মাধ্যমে আবারও পর্দায় ফিরছেন শাকিব ও ইধিকা পাল। পশ্চিমবঙ্গের জনপ্রিয় অভিনেতা যীশু সেনগুপ্তও রয়েছেন গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে। এছাড়া মিশা সওদাগর, মামুনুর রশীদসহ বাংলাদেশের আরও অনেক তারকা। ঈদে ছবিটি মুক্তি পাওয়ার কথা আছে।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
জন্মদিনে ‘ধুরন্ধর’ রূপে দেখা দিলেন রণবীর গাজায় ইসরাইলি হামলায় প্রাণ গেল আরও ৮২ ফিলিস্তিনির টেক্সাসে বন্যায় মৃত বেড়ে ৭৮, নিখোঁজ ৪১ আজ ১১ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না ঢাকার যেসব এলাকায় লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজে হামলা ইলন মাস্ককে রাজনীতির বিষয়ে যে পরামর্শ দিলেন মার্কিন অর্থমন্ত্রী হামাস ক্ষমতায় থাকলে যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে সম্মত হবেন না ইসরাইল: নেতানিয়াহু ইসরাইলকে গণহত্যাকারী আখ্যা দিয়ে ব্রিকস সম্মেলন শুরু করলেন লুলা গত ২৪ ঘণ্টায় তিনজনের শরীরে করোনা শনাক্ত ৫ বিভাগে ভারি বৃষ্টির আভাস রিটার্ন জমা দিলে পাবেন যেসব ছাড় নেতানিয়াহুর ওপর খেপলেন ইসরায়েলের অর্থমন্ত্রী ৩২ নম্বর ভাঙার ঘটনাকে বীভৎস মববাজি বললেন রুমিন ফারহানা খোঁজ মিলল সেই ডিজিএমের, কোথায় ছিলেন তিনি সুখবর পাচ্ছেন প্রাথমিকের ৩০ হাজার প্রধান শিক্ষক সাইফ পাওয়ার টেকের অধ্যায় শেষ, চট্টগ্রাম বন্দরের দায়িত্বে নৌবাহিনী গাজীপুর মহানগর বিএনপির চার নেতা বহিষ্কার ‘পাগল তত্ত্ব’ ব্যবহার করে বিশ্বকে বদলে দেওয়ার চেষ্টা করছেন ট্রাম্প রকেট চালিত গ্রেনেড দিয়ে লোহিত সাগরে জাহাজে হামলা টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে প্রথম ইনিংসেই ডাবল সেঞ্চুরি? এমন কীর্তি ক্রিকেট ইতিহাসে হয়েছে মাত্র তিনবার। আর এখন সে তালিকার শীর্ষে উইয়ান মুল্ডার। দক্ষিণ আফ্রিকার এই অলরাউন্ডার বুলাওয়েতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টে অধিনায়কত্বের অভিষেকে অপরাজিত ২৬৪ রানে দিন শেষ করেছেন—যা এ ধরনের ম্যাচে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস। এর আগে ১৯৬৮ সালে ভারতের বিপক্ষে ক্রাইস্টচার্চে ২৩৯ রান করেছিলেন নিউজিল্যান্ডের গ্রাহাম ডাউলিং। সেটাই এতদিন ছিল অধিনায়কত্বে অভিষেক টেস্টে সর্বোচ্চ ইনিংসের রেকর্ড। আরও আগে ২০০৫ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের শিবনারায়ণ চন্দরপল দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে করেছিলেন ২০৩*। ২৭ বছর বয়সী মুল্ডারের এই অধিনায়কত্ব আসলে অনেকটাই আকস্মিক। নিয়মিত অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা হ্যামস্ট্রিং চোটে জিম্বাবুয়ে সফরে যাননি। সহ-অধিনায়ক এইডেন মার্করাম ও অভিজ্ঞ পেসার কাগিসো রাবাদাকেও বিশ্রামে রাখা হয়। এর ফলে প্রথম টেস্টে নেতৃত্ব পান স্পিনার কেশব মহারাজ। কিন্তু ব্যাটিংয়ের সময় কুঁচকিতে চোট পেয়ে দ্বিতীয় টেস্ট থেকে ছিটকে যান তিনিও। তখনই দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয় মুল্ডারের কাঁধে। আর সেই সুযোগের সর্বোত্তম ব্যবহারই করেছেন তিনি। ৩৪টি চার ও ৩টি ছক্কার মাধ্যমে দুর্দান্ত ইনিংস গড়ে প্রথম দিন শেষ করেছেন ২৬৪* রানে। দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর দাঁড়ায় ৯০ ওভারে ৪ উইকেটে ৪৬৫। এটাই প্রথম নয়। সিরিজের প্রথম টেস্টেও দারুণ ব্যাটিং করেছিলেন মুল্ডার, করেছিলেন ১৪৭ রান। ফলে তার ফর্ম বলছে, তিনি শুধু স্ট্যান্ড-ইন অধিনায়ক নন, দক্ষিণ আফ্রিকার টেস্ট ভবিষ্যতের অন্যতম বড় ভরসাও বটে। রেকর্ড বইয়ে নাম উঠলো যাদের অধিনায়কত্বের অভিষেকে ডাবল সেঞ্চুরি: উইয়ান মুল্ডার (দ.আফ্রিকা) – ২৬৪* বনাম জিম্বাবুয়ে, বুলাওয়ে ২০২৫ গ্রাহাম ডাউলিং (নিউজিল্যান্ড) – ২৩৯ বনাম ভারত, ১৯৬৮ শিবনারায়ণ চন্দরপল (ওয়েস্ট ইন্ডিজ) – ২০৩* বনাম দ.আফ্রিকা, ২০০৫ এছাড়া, মুল্ডার হলেন দক্ষিণ আফ্রিকার ইতিহাসে অধিনায়কত্বের অভিষেকে সেঞ্চুরি করা দ্বিতীয় ক্রিকেটার—১৯৫৫ সালে জ্যাকি ম্যাকগ্লু প্রথম এই কীর্তি করেছিলেন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। বিভিন্ন নিয়মিত তারকার অনুপস্থিতিতে হঠাৎ নেতৃত্ব পাওয়া মুল্ডার ব্যাট হাতে যা করে দেখিয়েছেন, তা শুধু রেকর্ড নয়—একটি বার্তাও। হয়তো ভবিষ্যতের নিয়মিত অধিনায়ক হওয়ার দিকেও তাকিয়ে আছেন তিনি। আর এমন অভিষেকের পর দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেট বিশ্বও নিশ্চয় তার নামটি একটু আলাদা করে মনে রাখবে।