‘জয় বাংলা’বাঙালি ও বাংলাদেশ – ইউ এস বাংলা নিউজ




ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আপডেটঃ ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৪
     ১১:২৪ অপরাহ্ণ

‘জয় বাংলা’বাঙালি ও বাংলাদেশ

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৪ | ১১:২৪ 298 ভিউ
জয় বাংলা বাঙালি জাতির ইতিহাস হাজার বছরের পুরনো। একদিনে এই বাঙালি জাতি গড়ে উঠেনি। বহু পরিবর্তন, পরিমার্জন, সংযোজনের মাধ্যমে আজকে আমরা বাঙালি হয়ে উঠেছি।বাঙালি জাতির মত এর ভাষাও বহু পরিবর্তনের মাধ্যমে আজকের বর্তমান অবস্থায় এসেছে। বাঙালি কারা? বাঙালি হল দক্ষিণ এশিয়ার একটি ইন্দো- আর্য জাতি গোষ্ঠী। যাদের বসবাস ভারতীয় উপমহাদেশের একটি বৃহৎ এলাকা জুড়ে যা বঙ্গ বা বাংলা নামে পরিচিত। বর্তমানে স্বাধীন বাংলাদেশ, পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা, আসাম, বরাক উপত্যকা, ঝাড়খণ্ড সহ কয়েকটি রাজ্য বিভক্ত হয়ে এই জাতির বসবাস। বিভক্ত হয়ে বসবাস করলেও ভাষা, সংস্কৃতি, ঐতিহ্যে এদের মধ্যে কোন পার্থক্য নেই। বাঙালি হয়ে ওঠা আমাদের জন্য এত সহজ ছিলো না.. এমনি

এমনি আজ আমরা স্বাধীন বাঙালি বা স্বাধীন বাংলাদেশী হয়ে উঠিনি।বিভিন্ন সময় এই জাতি বিভিন্ন বিদেশি শক্তি দ্বারা আক্রান্ত, নির্যাতিত নিষ্পেষিত হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল বৃটিশ ও পাকিস্তান নামক শোষক শক্তি। সকল প্রতিকূল পরিবেশে এই জাতি.... ভাষা ও সংস্কৃতির প্রশ্নে একাত্মতা দেখিয়েছে, শত্রু পক্ষকে ঐক্য বদ্ধ ভাবে মোকাবেলা করেছে । একটি জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করার ক্ষেত্রে কবি সাহিত্যক, গায়ক, রাজনীতিবিদদের অবদান সবথেকে বেশি।কবিরা তাদের কবিতা, গায়করা তাদের গান, রাজনীতিবিদরা তাদের কাজের মাধ্যমে একটি জাতিকে সংগ্রামী হয়ে উঠতে উদ্বুদ্ধ করে। এক্ষেত্রে সংগ্রামী হতে সাধারণ জনগন আকৃষ্ট হয়ে কোন কোন গান, স্লোগান, বা শব্দ অন্তরে গ্রহণ করে নেই যা

পরবর্তিতে জাতীয়তাবাদের ক্ষেত্রে মুখ্য হয়ে ওঠে। তেমনি একটি স্লোগান হল জয় বাংলা যা এই জাতিকে ঐক্যবদ্ধ, সাহসী ও সংগ্রামী ও স্বাধীন হতে প্রেরণা যুগিয়েছিলো। ঔপনিবেশিক শাসনের বিরুদ্ধে জাতীয়বাদী আন্দোলন তুঙ্গে ওঠার সময় কবি নজরুল ইসলাম জাতীয়বাদ সৃষ্টিতে তার ' পূর্ণ অভিনন্দন' কবিতায় ' জয় বাংলা' এমন কিছু শব্দ ব্যবহার করেন। পরবর্তীতে ১৯২৪ সালে কবি নজরুল ইসলাম তার ভাঙার গানে এটি প্রকাশ করেন। ১৯৪২ সালে তার বাঙালির বাংলা, বাংলার জয় হোক, বাংলার জয় হোক যা পরিবর্তিত হয়ে জয় বাংলা রূপ নেয়। তখনও এই শব্দ দুটি স্লোগানে রূপ নেয় নি, না নিলেও বাঙালিরা এটিকে অস্তিত্বের অংশ হিসাবে গ্রহন করে।

১৯৪৭ সালে ভারত ও পাকিস্তান দুটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসাবে জন্ম নিলেও, পশ্চিম পাকিস্তানের শাসকদের অধীনে বাঙালি স্বাধীনতা না থাকায় জয় বাংলা শব্দ দুটি স্লোগান রূপে পুনরুত্থিত হয়। ১৯৬২ সালে এটি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে এবং ১৯৬৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হতে থাকে। জয় বাংলা স্লোগানটি প্রথম উচ্চারিত হয় ১৫ সেপ্টেম্বর, ১৯৬৯ এ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মধুর ক্যান্টিনে সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদে।ছাত্রলীগ নেতা আফতাব উদ্দীন আহমেদ এই স্লোগানটি দেন। ১৯৭০ সালের ৪ জানুয়ারি ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে এই স্লোগান ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। ৩ মার্চ ১৯৭১ স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম জয় বাংলা স্লোগান ঘোষণা করে। পরবর্তীতে ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু

শেখ মজিবুর রহমান তার ঐতিহাসিক ভাষনে জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে শেষ করেন। বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনা ২০১১ ও ২০১৫ সালে বলেন জাতির জনক কবি নজরুল ইসলামের কবিতা থেকেই এই স্লোগানটি নিয়েছিলেন। এই স্লোগানটিই বাঙালি জাতি জাতিও স্লোগান হিসাবে গ্রহন করে। জয় বাংলা স্লোগানটি প্রতিটি বাঙালির হৃদয়ে মিশে আছে একাকার হয়ে। বলা যেতে পারে এই স্লোগানের কারনেই গোটা জাতি ঐক্যবদ্ধ হয়ে লড়াই করে এই দেশ স্বাধীন করেছে। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে মূলমন্ত্র হিসাবে কাজ করেছে এই স্লোগান। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান স্বাধীনতা সংগ্রামে এই জয় বাংলা যে গতি ও শক্তির যোগান দিয়েছে তা পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল।

মাত্র দুটি শব্দই কিভাবে একটি জাতিকে স্বাধীনতা সংগ্রামে ঐক্যবদ্ধ করে, জাতি বর্ণ ধর্ম নির্বিশেষে সবাইকে একতাবদ্ধ হতে উদ্বুদ্ধ করে, এই স্লোগান তার বাস্তব উদাহরণ। এটি শুধুমাত্র একটি স্লোগান নয়, এটি জাতীয় চেতনার প্রতিফলনের একটি শক্তিশালী উপাদান যা বাঙালি জাতির অংশ। জয় বাংলা একক কোন দলের স্লোগান নয়,এটি মুক্তিকামী জনগনের স্লোগান, মুক্তিযোদ্ধাদের স্লোগান, বাঙালির ঐক্যের স্লোগান, বাঙালির অস্তিত্বের স্লোগান, বাংলা ভাষাভাষী মানুষের স্লোগান। সর্বোপরি এটি বাংলাদেশের জাতীয় স্লোগান যা ২০২২ সালের ২ মার্চ আওয়ামিলীগ সরকার এটিকে বাংলাদেশের জাতীয় স্লোগান হিসাবে ঘোষনা করে। কিন্তু ২০২৪ সালের ১০ ডিসেম্বর অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারী ইউনুস সরকার এটিকে জাতীয় স্লোগান

থেকে বাদ দেয় যা বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছে।যে স্লোগান একটি রাষ্ট্রের জন্ম দিয়েছে, একটি জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করেছে, একটি জাতির অংশ হয়ে গেছে তাকে যতই যড়যন্ত্র করে সরিয়ে দেয়া হোক না কেনো তা বাঙালির হৃদয় থেকে কখনও মুছে যাবে না। এমন কোনো বাঙালি বুকে হাত দিয়ে বলতে পারবেনা যে সে কোনোদিন একবার হলেও মুখে জয় বাংলা উচ্চারণ করেনি..এমনি অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারীদেরও অন্তরে এই স্লোগান গেথে আছে যা তারা শত চেষ্টা করলেও মুছতে পারবে না। বাংলা, বাঙালি ও বাংলাদেশের সমন্বিত রূপ হল জয় বাংলা। যে স্লোগান বাঙালির দেশপ্রেম আকাঙ্ক্ষার প্রতীক, বাঙালির স্বাধীনতা এনে দিয়েছে তাকে বাদ দিয়ে বাঙালি বা বাংলাদেশ কল্পনা করা যায়নি যাবে না। ' জয় বাংলা' আব্দুল হামিদ প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
ইউনুস সরকারের কাউন্টডাউন শুরু, পদত্যাগ না করা পর্যন্ত আন্দোলন চলবে নেদারল্যান্ডের হেগে আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালতের সামনে প্রবাসী বাংলাদেশীদের মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ লকডাউন সফল করায় শেখ হাসিনার বিবৃতি “১৬ ও ১৭ নভেম্বর সারাদেশে আওয়ামী লীগের কমপ্লিট শাটডাউন” বাংলাদেশি এমপিদের ‘অধিকার লঙ্ঘন হওয়ায়’ আইপিইউয়ের উদ্বেগ লকডাউন কর্মসূচি সফল ও সার্থক করায় দেশবাসীকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি জননেত্রী শেখ হাসিনার বিবৃতি উগ্রবাদী স্লোগানে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আগুন দিল শিবির-ইনকিলাব মঞ্চ আওয়ামী লীগকে ফাঁসাতে মেট্রো রেলে সম্ভাব্য নাশকতার পরিকল্পনার গোপন তথ্য ফাঁস ঢাকা লকডাউন: গণপরিবহন সংকটে যাত্রীদের ভোগান্তি রামপুরা থানা যুবলীগের আহ্বায়ক রইজ উদ্দিন আটক – রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অভিযোগ যুবলীগের, ট্রাইব্যুনালকে ব্যবহার করে রায় ঘোষণার তারিখ নির্ধারণের প্রতিবাদে ইউনুসের শাসনামলে গণতন্ত্রের নামে সহিংসতা! আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে আগুন, রাষ্ট্রের নীরবতা নিয়ে প্রশ্ন আটক স্কুলছাত্রের বিজয় চিহ্ন: ‘দাবায়া রাখতে পারবা না’ রাজপথের আওয়ামী লীগ অধিক শক্তিশালী ও জনপ্রিয় : রিচি সোলায়মান ‘ঢাকা লকডাউন’ কর্মসূচিতে ভীত ইউনুস সরকার: রাজধানীতে ধরপাকড়, গ্রেফতার আতঙ্কে সাধারণ মানুষ ‘জয় বাংলা’ স্লোগান শুনে আতঙ্কগ্রস্ত এনসিপির মিছিল লীগ আহূত লকডাউনে, পেছানো হলো জাপান অ্যাম্বাসির অনুষ্ঠান ইউনূসের ‘জঙ্গি শাসনের’ বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলুন: শেখ হাসিনা পিটিআইকে শেখ হাসিনা: ‘আন্তর্জাতিক আদালতে বিচার চাই, কিন্তু ইউনূস সরকারের সৎ সাহস নেই, তারা ভয় পাচ্ছে’ বাংলাদেশে অংশগ্রহণমূলক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন নিশ্চিতের আহ্বান ব্রিটিশ এমপি বব ব্ল্যাকম্যানের লকডাউন শুরুর আগেই বিএনপি-জামায়াত-এনসিপির ষড়যন্ত্রে অটো সফল হচ্ছে লকডাউন