ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর
সরকারি অ্যাম্বুলেন্স রোগীর বদলে ভাড়ায় বস্ত্র টানছে
জসিমকে ১১ টুকরা করেন রুমা, সহায়তায় বান্ধবী
স্কুলছাত্রকে অস্ত্র দিয়ে ফাঁসানোর অভিযোগ ওসির বিরুদ্ধে
এবার চিন্ময় প্রভুকে ওষুধ দিতে গিয়ে ২ সন্ন্যাসী আটকের অভিযোগ
রূপগঞ্জে বাবুল হত্যায় গ্রেফতার ৫
চট্টগ্রাম আদালতের ক্লার্ক অফিসের নথিপত্রে আগুন
ঢাকার সমাবেশে যাওয়ার পথে নারীসহ আটক ১৬, জানা গেল নাম
বিয়ের চাপ দেওয়ায় অন্তঃসত্ত্বা প্রেমিকাকে খুন করে প্রেমিক
মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে ঢাকা-মাওয়া মহাসড়ক থেকে লাশ উদ্ধার করা সেই তরুণী অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। বিয়ের জন্য চাপ দেওয়ায় প্রেমিক তৌহিদ শেখ তন্ময় তাকে গুলি করে হত্যা করেছেন বলে জানিয়েছেন মুন্সীগঞ্জের পুলিশ সুপার (এসপি) শামসুল আলম সরকার।
মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান পুলিশ সুপার।
শামসুল আলম সরকার জানান, গুলিতে নিহত সাহিদা ইসলাম রাফা আড়াই মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। এক মাস আগে বিষয়টি জেনে যান তার প্রেমিক তৌহিদ শেখ তন্ময়। অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পর মেয়েটি বিয়ে করতে তন্ময়কে চাপ দেয়। কিন্তু ওই সন্তান নিজের কিনা এ নিয়ে সাহিদার সঙ্গে তন্ময়ের তর্কাতর্কি হয়। এর একপর্যায়ে তন্ময় তার প্রেমিকাকে খুন করেন বলে পুলিশকে
জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে। গত শনিবার সকালে মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলায় ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে ২৪ বছর বয়সী তরুণী সাহিদার গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। রাতে ওই ঘটনায় মামলা হয়। নিহতের মা জরিনা বেগম বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে মামলাটি করেন। সেন্টমার্টিনকে বর্জ্য মুক্ত করতে সরকারি-বেসরকারি সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি দেশব্যাপী আলোড়ন সৃষ্টি হলে নড়েচড়ে বসে পুলিশ। এরই অংশ হিসেবে সোমবার ভোরে ভোলার ইলিশা থেকে প্রেমিক শেখ তন্ময়কে গ্রেফতার করার কথা জানান মুন্সীগঞ্জ ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ইশতিয়াক আশফাক। মনপুরা দ্বীপে পালাতে গিয়ে তিনি গ্রেফতার হন। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ঢাকার কেরাণীগঞ্জের বটতলী বেইলি ব্রিজের নিচ থেকে হত্যকাণ্ডে ব্যবহৃত অস্ত্রও উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতার অভিযানে অংশ নেওয়া
ডিবির একটি সূত্র তন্ময়কে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে জানায়, উদ্ধারকৃত বিদেশি পিস্তলটি ৫ আগস্ট রাজধানীর ওয়ারী থানা থেকে লুটকৃত। ইউটিউবে ভিডিও দেখে পিস্তল চালানো আয়ত্ব করেন তিনি। এছাড়া প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে উদ্ধারকৃত অস্ত্র দিয়ে ম্যাগজিনে থাকা ৬ রাউন্ড গুলি করে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন অভিযুক্ত যুবক। ডিবির সূত্রটি আরও জানায়, নিহত সাহিদার একাধিক সম্পর্ক নিয়ে তন্ময়ের (২৩) সঙ্গে দ্বন্দ্ব ছিল। ঘটনার আগের দিন রাতে (২৯ নভেম্বর) সাহিদাকে ফোন করে ঘুরতে যাওয়ার কথা বলে বাসা থেকে বের হতে বলেন তন্ময়। পরে লোকাল বাসে করে দুজনেই চলে যান মুন্সীগঞ্জের মাওয়া ঘাটে। রাতভর ঘোরাঘুরির পর গত শনিবার ভোরে খানবাড়ি সিএনজি স্ট্যান্ড এলাকায় আসেন তারা। সেখানে
সাহিদা বিয়ের জন্য চাপ দিলে প্রেমিক তন্ময়ের সঙ্গে তার তর্কাতর্কি হয়। আশপাশের লোকজন তাদের চিৎকার শুনে এগিয়ে এলে তন্ময় মেয়েটিকে নিয়ে ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কের সার্ভিস লেন ধরে পদ্মা সেতু উত্তর টোল প্লাজা থেকে ২০০ মিটার অদূরে দোগাছি ফুটওভার ব্রিজ পার হন। পথে সাহিদাকে কয়েক দফা চড়-থাপ্পড় মারেন। একপর্যায়ে রাগ নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে থানা থেকে লুট করা পিস্তল দিয়ে প্রথমে এক রাউন্ড গুলি ছোড়েন। সেটি লক্ষ্যভ্রষ্ট হলে পরে আরও পাঁচ রাউন্ড গুলি ছোড়েন। এতে ঘটনাস্থলেই সাহিদার মৃত্যু হয়। এরপর প্রেমিকার লাশ ফেলে খানবাড়ি এলাকায় গিয়ে লোকাল বাসে চড়ে ঢাকার উদ্দেশ্য রওনা হয়। যাওয়ার পথে পিস্তলটি কেরাণীগঞ্জ বেইলি ব্রিজের নিচে ফেলে দেয়। ঢাকায়
বিভিন্ন জায়গায় আত্মগোপনের চেষ্টা করেন তন্ময়। একপর্যায়ে আঁটিবাজার এলাকায় বোনের বাড়িতে ওঠেন। পরে বোন জামাই,,বোন ও মা লঞ্চে করে মনপুরা দ্বীপে আত্মগোপনে যাওয়ার পরামর্শ দিলে রোববার সন্ধ্যায় ঢাকা-ভোলা-মনপুরা রুটের লঞ্চে উঠেন। সাহিদা হত্যার বিষয়টি সারাদেশে আলোড়ন সৃষ্টি করলে আটঘাট বেঁধে মাঠে নামে গোয়েন্দা পুলিশ। তন্ময়কে প্রধান সন্দেহভাজন চিহ্নিত করে তার মোবাইল নাম্বারের সর্বশেষ লোকেশন নিশ্চিত করে ডিবি। তখন দেখা যায়, তৌহিদের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি শুক্রবার রাতে সবশেষ ঢাকার ওয়ারী এলাকায় চালু ছিল। এরপর থেকে সেটি বন্ধ আছে। এরইমধ্যেই আরেকটি সূত্র খুঁজে পায় ডিবি। তৌহিদের মোবাইল কলের সূত্র ধরে উদঘাটন হয় পরিবারের সকল সদস্যের নম্বর। গত রোববার ডিবির দলটি যখন ঢাকার আঁটিবাজারে তৌহিদের
বোনের বাড়িতে অভিযানে যায়, তখন তারা একসঙ্গে তৌহিদের মা, বোন ও বোন জামাইয়ের মোবাইলের লোকেশন সদরঘাটে দেখতে পায়। এরপর অভিযান কার্যক্রম আরও জোরদার করে ডিবি। গোয়েন্দা দল ছুটে যায় সদরঘাটে। সেখানে সিসিটিভি ক্যামেরায় তন্ময়ের লঞ্চে উঠার দৃশ্য শনাক্ত করেন তারা। গ্রেফতারের পর ডিবির কাছে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তন্ময় জানায়, গ্রেফতার এড়াতে মাওয়া আসার আগেই ঢাকার ওয়ারীতে থাকতে মোবাইলটি বন্ধ করে দেয় সে। যাতে হত্যার পর লুকালেও পুলিশ কোনো ক্লু বের করতে না পারে। অভিযানের অংশ হিসেবে সোমবার ভোরে মুন্সীগঞ্জ ডিবি পুলিশের ৫ সদস্যের একটি টিম ভোলার ইলিশা লঞ্চঘাটে অবস্থান নেয়। টার্গেট করা লঞ্চে অনুসন্ধানে ডিবির হাতে ধরা পড়ে তন্ময়।
জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে। গত শনিবার সকালে মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলায় ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে ২৪ বছর বয়সী তরুণী সাহিদার গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। রাতে ওই ঘটনায় মামলা হয়। নিহতের মা জরিনা বেগম বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে মামলাটি করেন। সেন্টমার্টিনকে বর্জ্য মুক্ত করতে সরকারি-বেসরকারি সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি দেশব্যাপী আলোড়ন সৃষ্টি হলে নড়েচড়ে বসে পুলিশ। এরই অংশ হিসেবে সোমবার ভোরে ভোলার ইলিশা থেকে প্রেমিক শেখ তন্ময়কে গ্রেফতার করার কথা জানান মুন্সীগঞ্জ ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ইশতিয়াক আশফাক। মনপুরা দ্বীপে পালাতে গিয়ে তিনি গ্রেফতার হন। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ঢাকার কেরাণীগঞ্জের বটতলী বেইলি ব্রিজের নিচ থেকে হত্যকাণ্ডে ব্যবহৃত অস্ত্রও উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতার অভিযানে অংশ নেওয়া
ডিবির একটি সূত্র তন্ময়কে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে জানায়, উদ্ধারকৃত বিদেশি পিস্তলটি ৫ আগস্ট রাজধানীর ওয়ারী থানা থেকে লুটকৃত। ইউটিউবে ভিডিও দেখে পিস্তল চালানো আয়ত্ব করেন তিনি। এছাড়া প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে উদ্ধারকৃত অস্ত্র দিয়ে ম্যাগজিনে থাকা ৬ রাউন্ড গুলি করে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন অভিযুক্ত যুবক। ডিবির সূত্রটি আরও জানায়, নিহত সাহিদার একাধিক সম্পর্ক নিয়ে তন্ময়ের (২৩) সঙ্গে দ্বন্দ্ব ছিল। ঘটনার আগের দিন রাতে (২৯ নভেম্বর) সাহিদাকে ফোন করে ঘুরতে যাওয়ার কথা বলে বাসা থেকে বের হতে বলেন তন্ময়। পরে লোকাল বাসে করে দুজনেই চলে যান মুন্সীগঞ্জের মাওয়া ঘাটে। রাতভর ঘোরাঘুরির পর গত শনিবার ভোরে খানবাড়ি সিএনজি স্ট্যান্ড এলাকায় আসেন তারা। সেখানে
সাহিদা বিয়ের জন্য চাপ দিলে প্রেমিক তন্ময়ের সঙ্গে তার তর্কাতর্কি হয়। আশপাশের লোকজন তাদের চিৎকার শুনে এগিয়ে এলে তন্ময় মেয়েটিকে নিয়ে ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কের সার্ভিস লেন ধরে পদ্মা সেতু উত্তর টোল প্লাজা থেকে ২০০ মিটার অদূরে দোগাছি ফুটওভার ব্রিজ পার হন। পথে সাহিদাকে কয়েক দফা চড়-থাপ্পড় মারেন। একপর্যায়ে রাগ নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে থানা থেকে লুট করা পিস্তল দিয়ে প্রথমে এক রাউন্ড গুলি ছোড়েন। সেটি লক্ষ্যভ্রষ্ট হলে পরে আরও পাঁচ রাউন্ড গুলি ছোড়েন। এতে ঘটনাস্থলেই সাহিদার মৃত্যু হয়। এরপর প্রেমিকার লাশ ফেলে খানবাড়ি এলাকায় গিয়ে লোকাল বাসে চড়ে ঢাকার উদ্দেশ্য রওনা হয়। যাওয়ার পথে পিস্তলটি কেরাণীগঞ্জ বেইলি ব্রিজের নিচে ফেলে দেয়। ঢাকায়
বিভিন্ন জায়গায় আত্মগোপনের চেষ্টা করেন তন্ময়। একপর্যায়ে আঁটিবাজার এলাকায় বোনের বাড়িতে ওঠেন। পরে বোন জামাই,,বোন ও মা লঞ্চে করে মনপুরা দ্বীপে আত্মগোপনে যাওয়ার পরামর্শ দিলে রোববার সন্ধ্যায় ঢাকা-ভোলা-মনপুরা রুটের লঞ্চে উঠেন। সাহিদা হত্যার বিষয়টি সারাদেশে আলোড়ন সৃষ্টি করলে আটঘাট বেঁধে মাঠে নামে গোয়েন্দা পুলিশ। তন্ময়কে প্রধান সন্দেহভাজন চিহ্নিত করে তার মোবাইল নাম্বারের সর্বশেষ লোকেশন নিশ্চিত করে ডিবি। তখন দেখা যায়, তৌহিদের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি শুক্রবার রাতে সবশেষ ঢাকার ওয়ারী এলাকায় চালু ছিল। এরপর থেকে সেটি বন্ধ আছে। এরইমধ্যেই আরেকটি সূত্র খুঁজে পায় ডিবি। তৌহিদের মোবাইল কলের সূত্র ধরে উদঘাটন হয় পরিবারের সকল সদস্যের নম্বর। গত রোববার ডিবির দলটি যখন ঢাকার আঁটিবাজারে তৌহিদের
বোনের বাড়িতে অভিযানে যায়, তখন তারা একসঙ্গে তৌহিদের মা, বোন ও বোন জামাইয়ের মোবাইলের লোকেশন সদরঘাটে দেখতে পায়। এরপর অভিযান কার্যক্রম আরও জোরদার করে ডিবি। গোয়েন্দা দল ছুটে যায় সদরঘাটে। সেখানে সিসিটিভি ক্যামেরায় তন্ময়ের লঞ্চে উঠার দৃশ্য শনাক্ত করেন তারা। গ্রেফতারের পর ডিবির কাছে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তন্ময় জানায়, গ্রেফতার এড়াতে মাওয়া আসার আগেই ঢাকার ওয়ারীতে থাকতে মোবাইলটি বন্ধ করে দেয় সে। যাতে হত্যার পর লুকালেও পুলিশ কোনো ক্লু বের করতে না পারে। অভিযানের অংশ হিসেবে সোমবার ভোরে মুন্সীগঞ্জ ডিবি পুলিশের ৫ সদস্যের একটি টিম ভোলার ইলিশা লঞ্চঘাটে অবস্থান নেয়। টার্গেট করা লঞ্চে অনুসন্ধানে ডিবির হাতে ধরা পড়ে তন্ময়।