ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর
অপারেশন নাট ক্র্যাক: আখাউড়া দখলের যুদ্ধ
বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ‘ফ্যাসিবাদ’ ও ‘সন্ত্রাসের রাজত্ব’ কায়েমের অভিযোগ: ফার্স্টপোস্টে ছাত্রলীগের সভাপতির নিবন্ধ
‘দেশের প্রশংসনীয় অগ্রগতি রাষ্ট্র পরিচালনায় শেখ হাসিনার যোগ্য নেতৃত্বের ফল’: মাহফুজ আনাম
জরিপে ধস: অন্তর্বর্তী সরকারের কার্যক্রমে ‘চরম অসন্তুষ্ট’ ৯২ শতাংশ মানুষ, তলানিতে জনপ্রিয়তা
রংপুরে মুক্তিযোদ্ধা দম্পতি হত্যা : নির্বাচিত সরকারকে উৎখাতের পর দেশে এখন কিসের রাজত্ব চলছে?
ঝিনাইদহ শত্রুমুক্ত: পশ্চিমাঞ্চলীয় রণাঙ্গনে যৌথবাহিনীর জয়যাত্রা অব্যাহত
চরম প্রতিকূলতাতেও অটুট জনসমর্থন: আওয়ামী লীগকে ছাড়া নির্বাচন চায় না দেশের ৬৯ শতাংশ মানুষ
‘স্বাধীনতা বিরোধী’ ও চীনপন্থীদের কবজায় দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য প্যানেল, বিতাড়িত সব ভারতীয় শিল্পগোষ্ঠী
ভারত ও বাংলাদেশের বাণিজ্যিক সম্পর্কের কফিনে কি শেষ পেরেকটি পোঁতা হলো? গত ৮ ডিসেম্বর ভারতীয় হাইকমিশনের সম্পূর্ণ অগোচরে একপ্রকার ‘নীরব অভ্যুত্থান’ ঘটে গেল ইন্ডিয়া-বাংলাদেশ চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিতে (আইবিসিসিআই)। ২১ বছরের পুরোনো এই গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক সংগঠনটির পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ এখন তথাকথিত ‘স্বাধীনতা বিরোধী’, চীনপন্থী এবং কট্টর ইসলামপন্থী শক্তির হাতে। এক ঝটকায় গভর্নিং বডি থেকে ছুড়ে ফেলা হয়েছে ভারতের শীর্ষস্থানীয় সব শিল্পগোষ্ঠীকে।
গত দুই দশক ধরে যে সংগঠনের গভর্নিং বডিতে ভারত ও বাংলাদেশের সমান অংশগ্রহণ (১২ জন করে সদস্য) ছিল, সেখান থেকে এবার ভারতীয় প্রতিনিধিদের কার্যত নিশ্চিহ্ন করে দেওয়া হয়েছে। স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (SBI), আদানি গ্রুপ, লার্সেন অ্যান্ড টুব্রো (L&T), অ্যাক্সিস
ব্যাঙ্ক, ম্যারিকো, হিমালয়া ওয়েলনেস এবং কলকাতার ইমামি গ্রুপের মতো জায়ান্টদের কমিটি থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। ভারত-বিদ্বেষী মনোভাব থেকেই এই পরিকল্পিত ছাঁটাই বলে মনে করা হচ্ছে। সংগঠনটির নতুন নেতৃত্ব নিয়ে ভারতের নিরাপত্তা ও বাণিজ্যিক মহলে চরম আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত নতুন কমিটিতে সহ-সভাপতির পদে এসেছেন মেহেরুন নেসা ইসলাম, যিনি চীন-বাংলাদেশ চেম্বারের নির্বাহী সদস্য এবং যার সঙ্গে বেইজিংয়ের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগের অভিযোগ রয়েছে। সবচেয়ে ভয়ের কারণ হলো দুই নতুন পরিচালক—হজ অ্যাসোসিয়েশনের মাওলানা ইয়াকুব শরফতি এবং হুমায়ুন রশিদ খান পাঠান। হুমায়ুন রশিদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের একটি নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত থাকার গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। এই ‘দখলদারি’ কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, বরং এটি অন্তর্বর্তী সরকারের পরিকল্পিত
পদক্ষেপের ফল। ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকার আইবিসিসিআই-এর নির্বাচনী বিধিতে এমনভাবে সংশোধন এনেছে, যা দীর্ঘদিনের পরীক্ষিত ভারতীয় বা বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের সরিয়ে কট্টরপন্থীদের প্রবেশের পথ সুগম করে দিয়েছে। পুরনো নিয়মে টানা দুই মেয়াদে থাকা সদস্যদের নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করার কৌশলেই এই পালাবদল ঘটানো হয়েছে। মাতলুব আহমাদের মতো উদারপন্থী ব্যবসায়ী নেতাদের সরিয়ে দিয়ে মসিউর রহমানের নেতৃত্বে যে নতুন কট্টরপন্থী বলয় তৈরি হয়েছে, তা দুই দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ককে তলানিতে নিয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ভারতীয় হাইকমিশনকে অন্ধকারে রেখে এই কমিটি গঠন দ্বিপাক্ষিক আস্থার সংকটের চূড়ান্ত বহিঃপ্রকাশ।
ব্যাঙ্ক, ম্যারিকো, হিমালয়া ওয়েলনেস এবং কলকাতার ইমামি গ্রুপের মতো জায়ান্টদের কমিটি থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। ভারত-বিদ্বেষী মনোভাব থেকেই এই পরিকল্পিত ছাঁটাই বলে মনে করা হচ্ছে। সংগঠনটির নতুন নেতৃত্ব নিয়ে ভারতের নিরাপত্তা ও বাণিজ্যিক মহলে চরম আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত নতুন কমিটিতে সহ-সভাপতির পদে এসেছেন মেহেরুন নেসা ইসলাম, যিনি চীন-বাংলাদেশ চেম্বারের নির্বাহী সদস্য এবং যার সঙ্গে বেইজিংয়ের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগের অভিযোগ রয়েছে। সবচেয়ে ভয়ের কারণ হলো দুই নতুন পরিচালক—হজ অ্যাসোসিয়েশনের মাওলানা ইয়াকুব শরফতি এবং হুমায়ুন রশিদ খান পাঠান। হুমায়ুন রশিদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের একটি নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত থাকার গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। এই ‘দখলদারি’ কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, বরং এটি অন্তর্বর্তী সরকারের পরিকল্পিত
পদক্ষেপের ফল। ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকার আইবিসিসিআই-এর নির্বাচনী বিধিতে এমনভাবে সংশোধন এনেছে, যা দীর্ঘদিনের পরীক্ষিত ভারতীয় বা বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের সরিয়ে কট্টরপন্থীদের প্রবেশের পথ সুগম করে দিয়েছে। পুরনো নিয়মে টানা দুই মেয়াদে থাকা সদস্যদের নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করার কৌশলেই এই পালাবদল ঘটানো হয়েছে। মাতলুব আহমাদের মতো উদারপন্থী ব্যবসায়ী নেতাদের সরিয়ে দিয়ে মসিউর রহমানের নেতৃত্বে যে নতুন কট্টরপন্থী বলয় তৈরি হয়েছে, তা দুই দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ককে তলানিতে নিয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ভারতীয় হাইকমিশনকে অন্ধকারে রেখে এই কমিটি গঠন দ্বিপাক্ষিক আস্থার সংকটের চূড়ান্ত বহিঃপ্রকাশ।



