ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর
‘ঢাকা লকডাউন’ কর্মসূচিতে ভীত ইউনুস সরকার: রাজধানীতে ধরপাকড়, গ্রেফতার আতঙ্কে সাধারণ মানুষ
‘জয় বাংলা’ স্লোগান শুনে আতঙ্কগ্রস্ত এনসিপির মিছিল
লীগ আহূত লকডাউনে, পেছানো হলো জাপান অ্যাম্বাসির অনুষ্ঠান
ইউনূসের ‘জঙ্গি শাসনের’ বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলুন: শেখ হাসিনা
পিটিআইকে শেখ হাসিনা: ‘আন্তর্জাতিক আদালতে বিচার চাই, কিন্তু ইউনূস সরকারের সৎ সাহস নেই, তারা ভয় পাচ্ছে’
লকডাউন শুরুর আগেই বিএনপি-জামায়াত-এনসিপির ষড়যন্ত্রে অটো সফল হচ্ছে লকডাউন
“ইউনূসের পতন না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে”: দেশব্যাপী কর্মসূচির ডাক দিলেন শেখ হাসিনা
সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী আর নেই
শিল্পোদ্যোক্তা, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা এবং এপেক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী (৮৩) আর নেই (ইন্নালিল্লাহি...রাজিউন)। বুধবার সকালে সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তার লাশ রাতেই ঢাকায় আনা হয়েছে।
তার মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস, অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদসহ দেশের ব্যবসায়ী সংগঠনগুলোর নেতারা শোক প্রকাশ করেছেন। শোক প্রকাশ করেছে ঢাকা চেম্বার ও মেট্রোপলিটন চেম্বারও।
এপেক্স গ্রুপের এক কর্মকর্তা জানান, বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে ৭টায় সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালে সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী ইন্তেকাল করেন। তার মৃত্যুতে এপেক্স পরিবার গভীরভাবে শোকাহত। তার লাশ বুধবার রাতেই সিঙ্গাপুর থেকে ঢাকায় এনে গুলশানের বাসায় রাখা হয়েছে।
আজ সকাল ১০টায় সৈয়দ মঞ্জুর এলাহীর
লাশ ইস্টওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানেই তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর বাদ জোহর গুলশান আজাদ মসজিদে দ্বিতীয় জানাজা শেষে তার লাশ বনানী কবরস্থানে স্ত্রী নিলুফার মঞ্জুরের কবরে দাফন করা হবে। সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী বেশ কিছুদিন ধরে বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন। চিকিৎসার জন্য তাকে সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তার পাশে ছিলেন ছেলে সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর ও মেয়ে মুনিজে মঞ্জুর। এর আগে ২০২০ সালের ২৬ মে সৈয়দ মঞ্জুর এলাহীর স্ত্রী ও সানবিমস স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ নিলুফার মঞ্জুর করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এপেক্স গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান ছিলেন। এছাড়াও
তিনি মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের উদ্যোক্তা। গ্রে অ্যাডভারটাইজিং বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি ব্যাংকের উদ্যোক্তা পরিচালকদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকসের চেয়ারম্যান ছিলেন। মঞ্জুর এলাহী ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো কোম্পানিতে চাকরি করতেন। ১৯৭২ সালে চাকরি ছেড়ে মঞ্জুর ইন্ডাস্ট্রিজ নামে কোম্পানি করে চামড়া ব্যবসায় নামেন। চার বছর পর ১৯৭৬ সালে ১২ লাখ ২২ হাজার টাকায় রাষ্ট্রমালিকানাধীন ওরিয়েন্ট ট্যানারি কিনে নিয়ে প্রতিষ্ঠা করেন এপেক্স ট্যানারি। তারও ১৪ বছর পর যাত্রা শুরু করা এপেক্স ফুটওয়্যার এখন দেশের শীর্ষস্থানীয় জুতা রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান। সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী ১৯৯৬ সালে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ছিলেন। তখন তিনি যোগাযোগ, নৌপরিবহণ, বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন, ডাক ও টেলিযোগাযোগ এবং
গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেন। ২০০১ সালেও তিনি সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করেন। তখন তিনি কৃষি, নৌপরিবহণ, মৎস্য ও পশুসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। এসবের বাইরে সংগঠক হিসাবেও অনেক কাজ করেছেন সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী। তিনি মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এমসিসিআই) ঢাকার সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০০৪ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ছিলেন। বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিপিডির ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্যও ছিলেন তিনি। ১৯৪২ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী। তার বাবা স্যার সৈয়দ নাসিম আলী (১৮৮৭-১৯৪৬) কলকাতা হাইকোর্টের বিচারক ছিলেন। তার এক যুগ পর তিনি প্রধান বিচারপতি হয়েছিলেন। সৈয়দ
মঞ্জুর এলাহী কলকাতাতেই স্কুল ও কলেজজীবন পার করেন। ১৯৬২ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক ডিগ্রি নেন। তারপর স্নাতকোত্তর করতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। ১৯৬৪ সালে অর্থনীতিতে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। তিনি সলিমুল্লাহ মুসলিম (এসএম) হলে থাকতেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় ছাত্র ইউনিয়নের রাজনীতি করতেন মঞ্জুর এলাহী।
লাশ ইস্টওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানেই তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর বাদ জোহর গুলশান আজাদ মসজিদে দ্বিতীয় জানাজা শেষে তার লাশ বনানী কবরস্থানে স্ত্রী নিলুফার মঞ্জুরের কবরে দাফন করা হবে। সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী বেশ কিছুদিন ধরে বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন। চিকিৎসার জন্য তাকে সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তার পাশে ছিলেন ছেলে সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর ও মেয়ে মুনিজে মঞ্জুর। এর আগে ২০২০ সালের ২৬ মে সৈয়দ মঞ্জুর এলাহীর স্ত্রী ও সানবিমস স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ নিলুফার মঞ্জুর করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এপেক্স গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান ছিলেন। এছাড়াও
তিনি মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের উদ্যোক্তা। গ্রে অ্যাডভারটাইজিং বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি ব্যাংকের উদ্যোক্তা পরিচালকদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকসের চেয়ারম্যান ছিলেন। মঞ্জুর এলাহী ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো কোম্পানিতে চাকরি করতেন। ১৯৭২ সালে চাকরি ছেড়ে মঞ্জুর ইন্ডাস্ট্রিজ নামে কোম্পানি করে চামড়া ব্যবসায় নামেন। চার বছর পর ১৯৭৬ সালে ১২ লাখ ২২ হাজার টাকায় রাষ্ট্রমালিকানাধীন ওরিয়েন্ট ট্যানারি কিনে নিয়ে প্রতিষ্ঠা করেন এপেক্স ট্যানারি। তারও ১৪ বছর পর যাত্রা শুরু করা এপেক্স ফুটওয়্যার এখন দেশের শীর্ষস্থানীয় জুতা রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান। সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী ১৯৯৬ সালে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ছিলেন। তখন তিনি যোগাযোগ, নৌপরিবহণ, বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন, ডাক ও টেলিযোগাযোগ এবং
গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেন। ২০০১ সালেও তিনি সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করেন। তখন তিনি কৃষি, নৌপরিবহণ, মৎস্য ও পশুসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। এসবের বাইরে সংগঠক হিসাবেও অনেক কাজ করেছেন সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী। তিনি মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এমসিসিআই) ঢাকার সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০০৪ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ছিলেন। বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিপিডির ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্যও ছিলেন তিনি। ১৯৪২ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী। তার বাবা স্যার সৈয়দ নাসিম আলী (১৮৮৭-১৯৪৬) কলকাতা হাইকোর্টের বিচারক ছিলেন। তার এক যুগ পর তিনি প্রধান বিচারপতি হয়েছিলেন। সৈয়দ
মঞ্জুর এলাহী কলকাতাতেই স্কুল ও কলেজজীবন পার করেন। ১৯৬২ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক ডিগ্রি নেন। তারপর স্নাতকোত্তর করতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। ১৯৬৪ সালে অর্থনীতিতে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। তিনি সলিমুল্লাহ মুসলিম (এসএম) হলে থাকতেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় ছাত্র ইউনিয়নের রাজনীতি করতেন মঞ্জুর এলাহী।



