সরাসরি চাঁদে আঘাত হানতে পারে গ্রহাণু, মহাজাগতিক বিস্ফোরণের শঙ্কা – ইউ এস বাংলা নিউজ




সরাসরি চাঁদে আঘাত হানতে পারে গ্রহাণু, মহাজাগতিক বিস্ফোরণের শঙ্কা

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ২৯ জুলাই, ২০২৫ | ৬:৫৯ 25 ভিউ
পৃথিবীর খুব কাছ দিয়ে ছুটে যাবে ভয়ংকর এক গ্রহাণু (অ্যাস্টেরয়েড)। গ্রহাণুটির নাম ‘২০২৪ ওয়াইআর৪’। এর আকার প্রায় ১৫ তলা ভবনের সমান, অর্থাৎ প্রায় ২০০ ফুট চওড়া। পৃথিবীকে পাশ কাটিয়ে গেলেও এটি সরাসরি চাঁদের বুকে আঘাত হানতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিজ্ঞানীরা। যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা জানিয়েছে, যদি এই গ্রহাণুটি সত্যিই চাঁদের গায়ে আছড়ে পড়ে, তাহলে এটা হবে এই দশকের সবচেয়ে নাটকীয় ও দৃশ্যমান মহাজাগতিক ঘটনা—যা সাধারণ টেলিস্কোপ দিয়েও খালি চোখে দেখা যাবে। বিশাল এই সংঘর্ষে চাঁদের পৃষ্ঠে এক কিলোমিটার চওড়া গর্ত তৈরি হতে পারে এবং ঘটতে পারে বিশাল এক বিস্ফোরণ। বিজ্ঞানীরা বলছেন, মহাজাগতিক এই ঘটনা ঘটতে পারে ২০৩২ সালের ২২ ডিসেম্বর।

নাসার সর্বশেষ হিসাব বলছে, এর চাঁদের সঙ্গে সংঘর্ষের আশঙ্কা রয়েছে প্রায় ৪.৩ শতাংশ। তবে আশঙ্কার কিছু নেই—এই ধাক্কা চাঁদের কক্ষপথে বা পৃথিবীর ওপর সরাসরি কোনো প্রভাব ফেলবে না। কিন্তু এতে চাঁদের কিছু ধ্বংসাবশেষ (মেটিওর) বুলেটের মতো গতিতে পৃথিবীর দিকে ছুটে আসতে পারে। যদিও বেশিরভাগ টুকরো বায়ুমণ্ডলে ঢুকে পুড়ে যাবে, তবে কিছু অংশ স্যাটেলাইট ও জিপিএস, ইন্টারনেট, আবহাওয়া পূর্বাভাসের মতো গুরুত্বপূর্ণ যোগাযোগ ব্যবস্থা ও প্রযুক্তির জন্য হুমকি হয়ে উঠতে পারে। নাসার প্ল্যানেটারি ডিফেন্স ইউনিটের মলি ওয়াসার জানান, এই গ্রহাণুটি এখন সূর্যের চারপাশে ঘুরছে এবং এর গতি ও কক্ষপথ বিশ্লেষণ করা হচ্ছে জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপের সাহায্যে। এর আগে ধাক্কা লাগার সম্ভাবনা ধরা হয়েছিল

৩.৮ শতাংশ, যা এখন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪.৩ শতাংশে। নাসা ছাড়াও ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি এবং আরও কিছু আন্তর্জাতিক মহাকাশ সংস্থা এখন এই পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, যদি ‘নিউমির’ নামের ইনফ্রারেড টেলিস্কোপটি আগে থেকেই সচল থাকত, তাহলে এই গ্রহাণুটি আরও এক মাস আগে শনাক্ত করা যেত। বিষয়টি ভবিষ্যতের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা হয়ে থাকবে। এটি আমাদের স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে, মহাকাশে আমাদের অবস্থান কতটা অনিশ্চিত এবং ঝুঁকিপূর্ণ। পৃথিবী সরাসরি এই সংঘর্ষের শিকার না হলেও, এটি হতে পারে এক যুগান্তকারী বৈজ্ঞানিক পর্যবেক্ষণের সুযোগ—যা গ্রহ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার সক্ষমতা যাচাই করার ক্ষেত্রেও একটি পরীক্ষা হয়ে উঠতে পারে। গ্রহাণুটি যদি শেষ পর্যন্ত চাঁদের গায়ে আঘাত হানে, তাহলে তা

হবে একদিকে মহাজাগতিক সৌন্দর্যের এক অনন্য দৃশ্য, অন্যদিকে পৃথিবীর কক্ষপথে ঘুরে বেড়ানো উপগ্রহগুলোর জন্য বড় ধরনের প্রযুক্তিগত হুমকি। ফলে ২০৩২ সালের ২২ ডিসেম্বর দিনটি এখন থেকেই মহাকাশপ্রেমীদের ক্যালেন্ডারে লাল কালি দিয়ে চিহ্নিত করে রাখাই যথাযথ।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
নারী এশিয়ান কাপে কঠিন গ্রুপে বাংলাদেশ নিউ ইয়র্ক সিটির অফিসে গুলি: বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত পুলিশ কর্মকর্তাসহ ৪ জন নিহত মুজিবকে ছোট করে তাজউদ্দিনকে কি বড় করা যায়, নাকি সেটা সম্ভব? টাঙ্গাইলে এনসিপির পাহারায় ৯ শতাধিক পুলিশ, গোয়েন্দা ও বিভিন্ন বাহিনীর অজানা সংখ্যক সদস্য রাজশাহীতে ছড়িয়ে পড়েছে ১২৩ চাঁদাবাজের তালিকা, বিএনপি-জামায়াতের অর্ধশতাধিক নেতা যুক্ত ইউনূস সরকার ব্যস্ত দমন-পীড়নে: বাজারে আগুন, ভোগান্তি চরমে দেশে বিনিয়োগে ধস: থমকে যাওয়া শিল্প খাতের উদ্যোক্তারা হতাশ দলীয় নেতার যৌন কুপ্রস্তাবের পর এবার দুর্ণীতির অভিযোগে এনসিপি ছাড়লেন নীলা ইসরাফিল সমাজের সবচেয়ে খারাপ নারী হিসেবে চিহ্নিত হয়েছি আমি চাঁদা না পেয়ে ব্যবসায়ীদের নিপীড়ন: সভাপতিসহ জামায়াতের ৪ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার জয় বাংলার মোড়ে ভুয়া র‍্যাব বনাম আসল র‍্যাব দুই টিমকেই কনফিউজড জনতার ধোলাই ধার দেওয়া টাকা চাওয়ায় মেয়েকে অপহরণ লিজ দলিলে গণভবন হস্তান্তর করল পূর্ত মন্ত্রণালয় ওষুধ কোম্পানির উপঢৌকনে সর্বনাশ হচ্ছে রোগীর গাজায় একদিনে ইসরাইলি হামলায় নিহত ৮০, অনাহারে ১৪ নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু তিন ঝুঁকিতে কমাচ্ছে না ডলারের দাম দুপুরের মধ্যে সাত অঞ্চলে ঝড়ের আভাস মাইলস্টোনে বিমান বিধ্বস্তে নিহত প্রিয়ার কবরে বিমানবাহিনীর শ্রদ্ধা চাঁদা তুলে রিয়াদের পড়ার খরচ মেটাতেন স্থানীয়রা