
ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর

ডাকসু নির্বাচন নিয়ে কোনো রিট শুনব না : হাইকোর্ট

বিদেশে বসে আদালতে ‘সশরীরে’ হাজিরা দেন আসামি

রিমান্ড শেষে মাই টিভির চেয়ারম্যান নাসির কারাগারে

সরকার উৎখাতের পরিকল্পনা: আরেক নেতার দায় স্বীকার

সুপ্রিম কোর্ট-প্রধান বিচারপতির বাসভবনের আশপাশে সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ

‘বাংলাদেশ সংস্কারে এগোলেও ধর্মীয় স্বাধীনতা নিয়ে উদ্বেগ কাটেনি’

স্ত্রীর মোবাইলের পাসওয়ার্ড চাইতে পারেন না স্বামী: হাইকোর্ট
সংশোধিত ওয়াক্ফ আইন খারিজ করেনি ভারতের সুপ্রিম কোর্ট, কয়েকটি ধারা স্থগিত

ভারতে বিজেপি সরকারের করা সংশোধিত ওয়াক্ফ আইন খারিজ করেনি সুপ্রিম কোর্ট। আইনের ওপর সম্পূর্ণ স্থগিতাদেশও দেয়া হলো না। তবে আইনের কয়েকটি ধারার ওপর স্থগিতাদেশ দেয়া হয়েছে। সবচেয়ে বড় কথা, ওই আইনে জেলা প্রশাসকদের হাতে যে বিপুল ক্ষমতা দেয়া হয়েছিল, সুপ্রিম কোর্ট তা কেড়ে নিয়েছেন।
সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সুপ্রিম কোর্ট ওয়াক্ফ মামলার অন্তর্বর্তী রায় ঘোষণা করেছে।
প্রধান বিচারপতি বি আর গাভাই ও বিচারপতি এ আর মসিহের ডিভিশন বেঞ্চ ২০২৫ সালের ওয়াক্ফ (সংশোধনী) আইনের কয়েকটি ধারা স্থগিত রাখার রায় শোনান। দীর্ঘ শুনানির পর গত ২২ মে ওই মামলার রায় স্থগিত রাখা হয়েছিল।
বিজেপির নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকার মুসলিম সম্প্রদায়ের ওয়াক্ফ সম্পত্তির ‘সঠিক রক্ষণাবেক্ষণ’ ও ‘অপব্যবহার’ রুখতে
আইন সংশোধন করে। ওই আইনের বিরুদ্ধে সারা দেশে মুসলিম সম্প্রদায় বিক্ষোভ দেখায়। ধর্মীয় বিষয়ে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের অভিযোগ ওঠে। সুপ্রিম কোর্টে একাধিক মামলা করা হয়। আইন বাতিলের দাবিও ওঠে। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট আইন বাতিল না করে কয়েকটি ধারার ওপর স্থগিতাদেশ দেন। নতুন আইনে বলা হয়েছিল, কোনো সম্পত্তি, তা সে জমি, বাড়ি যা–ই হোক না কেন—জরিপ শেষে ওয়াক্ফের কি না, বলার অধিকারী হবেন জেলা প্রশাসক। সুপ্রিম কোর্ট আজ অন্তর্বর্তী আদেশে বলেন, জেলা প্রশাসক সাধারণ মানুষের ব্যক্তিগত অধিকার নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন না। নতুন আইনে বলা হয়েছে, ওয়াক্ফে সম্পত্তি দান করতে হলে কোনো ব্যক্তিকে পাঁচ বছর ইসলাম ধর্ম পালন করতে হবে। তবেই তিনি সম্পত্তি দানের
অধিকারী হবেন। প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ ওই ধারাও স্থগিত রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। ভারতে কেন্দ্রীয় পর্যায়ে ওয়াক্ফ কাউন্সিল আছে। প্রতিটি রাজ্যে আছে ওয়াক্ফ বোর্ড। সেই কাউন্সিল ও বোর্ডের সব সদস্য এত দিন ধরে মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষই হতেন। নতুন আইনে অমুসলিমদেরও রাখার বিধান দেওয়া হয়েছে। নারীদেরও অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করা হয়। সুপ্রিম কোর্ট সে বিষয়েও হস্তক্ষেপ করেছেন। অন্তর্বর্তী রায়ে বলা হয়েছে, কেন্দ্রীয় ওয়াক্ফ কাউন্সিলে সর্বোচ্চ চার ও রাজ্যস্তরের ওয়াক্ফ বোর্ডে সর্বোচ্চ তিন অমুসলিম সদস্য রাখা যাবে। একই সঙ্গে সুপ্রিম কোর্ট বলেন, কেন্দ্রীয় ওয়াক্ফ কাউন্সিল ও রাজ্য ওয়াক্ফ বোর্ডের মুখ্য পরিচালক মুসলিম হওয়াই বাঞ্ছনীয়। ভারতে ওয়াক্ফের অধীনে ৮ লাখ ৭০ হাজার সম্পত্তি রয়েছে। ওয়াক্ফ বোর্ডগুলোর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে
৯ লাখ ৪০ হাজার একর জমি, যার আনুমানিক মূল্য ১ লাখ ২০ হাজার কোটি রুপি। তবে ওয়াক্ফের অধীনে থাকা জমি, বাড়ি বা স্থাপত্য বিক্রি করা যায় না। চিরকাল ইজারাও দেয়া যায় না। ভারতীয় রেল ও সশস্ত্র বাহিনীর পর ওয়াক্ফ বোর্ডগুলোই তৃতীয় বৃহত্তম জমির মালিক। ভারতে ওয়াক্ফ বোর্ডের সংখ্যা ৩০।
আইন সংশোধন করে। ওই আইনের বিরুদ্ধে সারা দেশে মুসলিম সম্প্রদায় বিক্ষোভ দেখায়। ধর্মীয় বিষয়ে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের অভিযোগ ওঠে। সুপ্রিম কোর্টে একাধিক মামলা করা হয়। আইন বাতিলের দাবিও ওঠে। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট আইন বাতিল না করে কয়েকটি ধারার ওপর স্থগিতাদেশ দেন। নতুন আইনে বলা হয়েছিল, কোনো সম্পত্তি, তা সে জমি, বাড়ি যা–ই হোক না কেন—জরিপ শেষে ওয়াক্ফের কি না, বলার অধিকারী হবেন জেলা প্রশাসক। সুপ্রিম কোর্ট আজ অন্তর্বর্তী আদেশে বলেন, জেলা প্রশাসক সাধারণ মানুষের ব্যক্তিগত অধিকার নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন না। নতুন আইনে বলা হয়েছে, ওয়াক্ফে সম্পত্তি দান করতে হলে কোনো ব্যক্তিকে পাঁচ বছর ইসলাম ধর্ম পালন করতে হবে। তবেই তিনি সম্পত্তি দানের
অধিকারী হবেন। প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ ওই ধারাও স্থগিত রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। ভারতে কেন্দ্রীয় পর্যায়ে ওয়াক্ফ কাউন্সিল আছে। প্রতিটি রাজ্যে আছে ওয়াক্ফ বোর্ড। সেই কাউন্সিল ও বোর্ডের সব সদস্য এত দিন ধরে মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষই হতেন। নতুন আইনে অমুসলিমদেরও রাখার বিধান দেওয়া হয়েছে। নারীদেরও অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করা হয়। সুপ্রিম কোর্ট সে বিষয়েও হস্তক্ষেপ করেছেন। অন্তর্বর্তী রায়ে বলা হয়েছে, কেন্দ্রীয় ওয়াক্ফ কাউন্সিলে সর্বোচ্চ চার ও রাজ্যস্তরের ওয়াক্ফ বোর্ডে সর্বোচ্চ তিন অমুসলিম সদস্য রাখা যাবে। একই সঙ্গে সুপ্রিম কোর্ট বলেন, কেন্দ্রীয় ওয়াক্ফ কাউন্সিল ও রাজ্য ওয়াক্ফ বোর্ডের মুখ্য পরিচালক মুসলিম হওয়াই বাঞ্ছনীয়। ভারতে ওয়াক্ফের অধীনে ৮ লাখ ৭০ হাজার সম্পত্তি রয়েছে। ওয়াক্ফ বোর্ডগুলোর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে
৯ লাখ ৪০ হাজার একর জমি, যার আনুমানিক মূল্য ১ লাখ ২০ হাজার কোটি রুপি। তবে ওয়াক্ফের অধীনে থাকা জমি, বাড়ি বা স্থাপত্য বিক্রি করা যায় না। চিরকাল ইজারাও দেয়া যায় না। ভারতীয় রেল ও সশস্ত্র বাহিনীর পর ওয়াক্ফ বোর্ডগুলোই তৃতীয় বৃহত্তম জমির মালিক। ভারতে ওয়াক্ফ বোর্ডের সংখ্যা ৩০।