ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর
সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে সব রাজনৈতিক দলের ঐকমত্য
টানাপোড়েন : ঢাকায় আসছেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব
দু-একদিনের মধ্যে সুখবর আসছে: জামায়াতের আমির
সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে সব রাজনৈতিক দলের ঐকমত্য
রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক চলছে
ভারত ইস্যু গভীরভবে পর্যবেক্ষণ করছে বিএনপি
‘বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে রক্ষার আহ্বান’
শুধু ভোটের জন্য আন্দোলন হয়নি: মান্না
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, এই আন্দোলন শুধু ভোটের জন্য হয়নি। মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার, ভোটের অধিকার, ন্যায্যতার ভিত্তিতে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের হাতে ক্ষমতা দেওয়ার মতো একটা পরিবেশ তৈরি করার জন্য এই আন্দোলন হয়েছে।
বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে জনগণের প্রত্যাশা’ শীর্ষক আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
মান্না বলেন, যে দল সবচেয়ে বেশি দায়িত্বশীল, তাকে বলতে হবে এই সংস্কার আমি চাই। আপনার যদি মনে হয়, এ সংস্কার আমি ৬ মাসের মধ্যে করতে পারি, তাহলে বলবেন আমি এভাবে করতে পারি। নইলে যদি বলেন, আমিই বড় দল, আমিই বলছি, আমারই ক্ষমতার ওপর
অধিকার আছে...এটা ঠিক, ভোট যদি হয় হয়তো আপনারাই জিতবেন। কিন্তু আজকে যেই আন্দোলন হয়েছে, সেই আন্দোলন ওইরকম ভোটের জন্য হয়নি। সেই আন্দোলন মানুষের গণতান্ত্রিক, ভোটের অধিকার, ন্যায্যতার ভিত্তিতে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের হাতে ক্ষমতা দেওয়ার মতো একটা পরিবেশ তৈরির জন্য এ লড়াই করেছে। এ লড়াইয়ে যদি একাত্ম হয়ে আসতে পারেন, তাহলেই হবে। প্রথম পর্যায়ের বিজয় হয়েছে, এখন কী- এমন প্রশ্ন রেখে মান্না বলেন, আমরা তো শুধু স্বৈরাচার সরকার উৎখাত হয়ে যাক, সে লড়াই করিনি। আমরা বলেছি, সরকার ও দেশ বদলানোর লড়াই করছি। আমরা সরকার ও প্রশাসন বদলানোর লড়াই করছি। সরকার বদলেছে, এখন পরের কাজটা করতে হবে। যুবসমাজ, ছাত্রসমাজ-আমরা নতুন বাংলাদেশ গড়তে চাই। আমরা কেউ
বলি গণতান্ত্রিক দেশ, কেউ বলি মানবিক দেশ, কেউ বলি উন্নত রাষ্ট্র। একেকজন একেকভাবে বলি- এই আমাদের লক্ষ্য। কিন্তু ওরা যখন বলল, নতুন রাষ্ট্র গড়তে চাই, তখন সমগ্র জাতি আজ একত্রে লড়াই করেছে। নাগরিক ঐক্যের সভাপতি বলেন, সেই নতুন বাংলাদেশ কল্যাণকর রাষ্ট্র, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র, মানবিক রাষ্ট্র, যত সুন্দর রাষ্ট্র হতে পারে; যে রাষ্ট্রে বেঁচে থেকে আরাম পাব, স্বস্তি পাব। সেরকম দেশ গড়ার পথে বাধা স্বৈরাচার। তারা মানুষকে কথা বলতে দিত না, ভোটের অধিকার দিত না, গণতন্ত্র শেষ করে দিয়েছিল। আজ যদি সেই রাষ্ট্র গঠন করতে চাই, তাহলে সেরকম একটা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা লাগবে। সেই গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার জন্য নির্বাচনব্যবস্থা লাগবে। যে নির্বাচন সবার কাছে
গ্রহণযোগ্য হবে, প্রশ্নবিদ্ধ হবে না। মান্না বলেন, গত দুইটা নির্বাচন যদি দেখেন, সবচেয়ে বেশি ভোট ডাকাতি করেছে পুলিশ। সেই পুলিশ এখন কোথায়? জনগণের আক্রোশের সামনে দাঁড়িয়ে এখন তারা থানায় বসতে ভয় পায়। যদি কয়েকটা আইজি, ডিআইজি, বড় বড় অফিসার বদল করে দেন, তাহলেই কি পুলিশ বদলে যাবে? এই পুলিশ এখনো তলে তলে ঘুস খায়। এখন পর্যন্ত এই সরকার কোনো সংস্কারের কাজে হাত দেয়নি। আইজি বদলে নতুন আইজি এসেছে, এটাকে সংস্কার বলবেন? ডিআইজির বদলে ডিআইজি। এগুলো সংস্কার নয়। আমি গুণগত সংস্কার চাই। তিনি আরও বলেন, পুরো পুলিশব্যবস্থা, আমলাতন্ত্র, বিজিবি ঠিক করতে হবে। একই সঙ্গে জিনিসের দামও কমাতে হবে। জনগণের যত সংকট আছে,
সেটা ঠিক করতে হবে। হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশনের চেয়ারম্যান ওসমান গণির সভাপতিত্বে আলোচনাসভায় আরও বক্তৃতা করেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, বাংলাদেশ বিজেপির চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আন্দালিভ রহমান পার্থ, বিএনপির যুগ্মসম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স প্রমুখ।
অধিকার আছে...এটা ঠিক, ভোট যদি হয় হয়তো আপনারাই জিতবেন। কিন্তু আজকে যেই আন্দোলন হয়েছে, সেই আন্দোলন ওইরকম ভোটের জন্য হয়নি। সেই আন্দোলন মানুষের গণতান্ত্রিক, ভোটের অধিকার, ন্যায্যতার ভিত্তিতে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের হাতে ক্ষমতা দেওয়ার মতো একটা পরিবেশ তৈরির জন্য এ লড়াই করেছে। এ লড়াইয়ে যদি একাত্ম হয়ে আসতে পারেন, তাহলেই হবে। প্রথম পর্যায়ের বিজয় হয়েছে, এখন কী- এমন প্রশ্ন রেখে মান্না বলেন, আমরা তো শুধু স্বৈরাচার সরকার উৎখাত হয়ে যাক, সে লড়াই করিনি। আমরা বলেছি, সরকার ও দেশ বদলানোর লড়াই করছি। আমরা সরকার ও প্রশাসন বদলানোর লড়াই করছি। সরকার বদলেছে, এখন পরের কাজটা করতে হবে। যুবসমাজ, ছাত্রসমাজ-আমরা নতুন বাংলাদেশ গড়তে চাই। আমরা কেউ
বলি গণতান্ত্রিক দেশ, কেউ বলি মানবিক দেশ, কেউ বলি উন্নত রাষ্ট্র। একেকজন একেকভাবে বলি- এই আমাদের লক্ষ্য। কিন্তু ওরা যখন বলল, নতুন রাষ্ট্র গড়তে চাই, তখন সমগ্র জাতি আজ একত্রে লড়াই করেছে। নাগরিক ঐক্যের সভাপতি বলেন, সেই নতুন বাংলাদেশ কল্যাণকর রাষ্ট্র, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র, মানবিক রাষ্ট্র, যত সুন্দর রাষ্ট্র হতে পারে; যে রাষ্ট্রে বেঁচে থেকে আরাম পাব, স্বস্তি পাব। সেরকম দেশ গড়ার পথে বাধা স্বৈরাচার। তারা মানুষকে কথা বলতে দিত না, ভোটের অধিকার দিত না, গণতন্ত্র শেষ করে দিয়েছিল। আজ যদি সেই রাষ্ট্র গঠন করতে চাই, তাহলে সেরকম একটা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা লাগবে। সেই গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার জন্য নির্বাচনব্যবস্থা লাগবে। যে নির্বাচন সবার কাছে
গ্রহণযোগ্য হবে, প্রশ্নবিদ্ধ হবে না। মান্না বলেন, গত দুইটা নির্বাচন যদি দেখেন, সবচেয়ে বেশি ভোট ডাকাতি করেছে পুলিশ। সেই পুলিশ এখন কোথায়? জনগণের আক্রোশের সামনে দাঁড়িয়ে এখন তারা থানায় বসতে ভয় পায়। যদি কয়েকটা আইজি, ডিআইজি, বড় বড় অফিসার বদল করে দেন, তাহলেই কি পুলিশ বদলে যাবে? এই পুলিশ এখনো তলে তলে ঘুস খায়। এখন পর্যন্ত এই সরকার কোনো সংস্কারের কাজে হাত দেয়নি। আইজি বদলে নতুন আইজি এসেছে, এটাকে সংস্কার বলবেন? ডিআইজির বদলে ডিআইজি। এগুলো সংস্কার নয়। আমি গুণগত সংস্কার চাই। তিনি আরও বলেন, পুরো পুলিশব্যবস্থা, আমলাতন্ত্র, বিজিবি ঠিক করতে হবে। একই সঙ্গে জিনিসের দামও কমাতে হবে। জনগণের যত সংকট আছে,
সেটা ঠিক করতে হবে। হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশনের চেয়ারম্যান ওসমান গণির সভাপতিত্বে আলোচনাসভায় আরও বক্তৃতা করেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, বাংলাদেশ বিজেপির চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আন্দালিভ রহমান পার্থ, বিএনপির যুগ্মসম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স প্রমুখ।