
ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর

গোপালগঞ্জের পরিস্থিতি নিয়ে আইএসপিআরের বিজ্ঞপ্তি

শাস্তির খড়গে এনবিআরের ৩৪৬ কর্মকর্তা-কর্মচারী

জাতির পিতার সমাধি ধ্বংসের ডাক দেওয়া দুর্বৃত্তদের রক্ষায় জনতার ওপর সেনার গুলি

এনসিপি’র ‘মুজিববাদ মূর্দাবাদ’ স্লোগানে গোপালগঞ্জে জনবিস্ফোরণ, বিক্ষোভে সেনার গুলি-নিহত ৪

বুটের শব্দে নির্ঘুম রাত পার গোপালগঞ্জবাসীর: এ যেন একাত্তরের এক যুদ্ধবিধস্থ জনপদ

গোপালগঞ্জে বঙ্গবন্ধুর সমাধি রক্ষায় গিয়ে সেনার গুলিতে শহিদ ৪, আহত শতাধিক

গত জুলাইয়ে জনতার পাশে দাঁড়ানো সেনার এই জুলাইয়ে গোপালগঞ্জে জনতার ওপর বর্বরতা, নির্বিচার গুলি-হত্যা
‘শাহবাগ কোর্টের’ রায়কে ভুয়া বলেছিল ব্রিটিশ সুপ্রিমকোর্ট

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায় নিয়ে ব্রিটিশ সুপ্রিমকোর্ট যে রায় দিয়েছিল সে বিষয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি এসএম ফরহাদ।
তার স্ট্যাটাসটি পাঠকের জন্য হুবহু তুলে ধরে হলো-
শাহবাগের ভিকটিম চৌধুরী মুঈনুদ্দিনের প্রসঙ্গে ব্রিটিশ সুপ্রিমকোর্ট রায় দিয়েছে শাহবাগের কোর্টের কোনো রায় গ্রহণযোগ্য না-ওটা ভুয়া বিচার। এই আইনটাই ভুয়া। পেপার কাটিং এবং লোকমুখে শোনা কথার ওপর ভিত্তিতে রাজবন্দিদের হত্যা করার বন্দোবস্ত ছিল শাহবাগের আইন।
সম্প্রতি Alliance for Witness Transparency-AWT ঘুরে ঘুরে সাক্ষাতকার নিচ্ছে ওইসব ভিকটিমের; যাদের জোর করে নিজামী, সাঈদীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা সাক্ষী দিতে বাধ্য করা হয়েছিল। এই মিথ্যা সাক্ষ্যের ওপর ভিত্তি করে ফাঁসি দেওয়া হয়েছিল রাজবন্দি ও
আলেমদের। ওই সময়ে বিচারপতি ও জাতীয় রাজবন্দিদের হত্যার আদেশ দেওয়া সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা নিজে স্বীকারোক্তি দিয়েছিলেন যে, মামলাগুলো ভুয়া ছিল। যদি রাজবন্দিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের কোনো প্রমাণ থেকেই থাকে, তাহলে আপনারা সুষ্ঠু বিচার করুন। কিন্তু সবার আগে স্বীকৃতি দিন যে, মিথ্যা মামলায় ও ভুয়া বিচারে তাদের হত্যা করা হয়েছে- তারা মজলুম। এটা বেয়ার মিনিমাম। ট্রাইব্যুনাল হত্যাযজ্ঞের বিরোধিতা শুধু জামায়াত নয়, বেগম খালেদা জিয়াও করেছেন। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর করেছেন। টিক্কা-ভুট্টো চক্র নিজেদের অপরাধের দায় বাংলাদেশের রাজবন্দিদের ওপর চাপিয়ে দিতে চেয়েছে। দেশের আপামর ছাত্র-জনতা এই চক্রান্তের প্রতিবাদ করেছে নিজেদের রক্ত ও জীবন দিয়ে। আমরা আধিপত্যবাদবিরোধী শহিদ নেতৃবৃন্দকে ভুলে যাব না। স্রেফ রাজনৈতিক
স্বার্থে শহিদদের ওপর অপবাদ দেওয়া মেনে নেব না। আজকে যদি রাজনৈতিক কারণে আমাদের কোনো সাবেক সাথীও আধিপত্যবাদের শিকার শহিদ নেতৃবৃন্দকে যুদ্ধাপরাধের সহযোগী বলে, কালকে নতুন কেউ জুলাইয়ের শহিদদেরও রাজনৈতিক কারণে ‘জুলাই ষড়যন্ত্রকারী’ সম্বোধন করবার যথেষ্ট আশঙ্কা থেকে যায়। শহিদরা আমাদের শ্রেষ্ঠ সম্পদ। আমাদের মাথার তাজ। শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি শহিদ সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে, আজ তার জন্মদিন। হ্যাঁ, শাহবাগি মবে কেউ কেউ ভুল বুঝে গিয়েছেন, না বুঝে গিয়েছেন। শাহবাগি প্রোপাগান্ডায় না বুঝেই শহিদদের ভিলেন ভেবেছেন। বোধোদয় হওয়া এসব মানুষ আমাদের দীর্ঘদিনজুড়ে ফ্যাসিবাদীবিরোধী লড়াইয়ের সাথি। তাদেরকে আমরা ভালোভাবেই চিনি। তাদের প্রতি আমাদের কোনো অভিযোগ-অনুযোগ নাই। কিন্তু তাই বলে শাহবাগের বিচারের দাবি বন্ধ হবে না। শহিদদের রক্ত হালাল
হয়ে যাবে না। একাত্তরের যুদ্ধাপরাধের বিচার হতে হবে। সব ধরনের গণহত্যার বিচার হতে হবে। কিন্তু বিচারের নামে নিরপরাধ মানুষকে হত্যা আমরা মেনে নেই নাই, নিচ্ছি না, নেব না। ২৮ ফেব্রুয়ারি সাঈদী হত্যাদেশ পরবর্তী গণহত্যা, শাপলা গণহত্যা, মোদিবিরোধীদের গণহত্যা, জুলাই গণহত্যা, অজস্র গুম-খুন-ক্রসফায়ার, জেল-জুলুম, আবরার ফাহাদ, ক্যাম্পাসগুলিতে টর্চার সেল, জঙ্গি নাটক, গণতন্ত্র হত্যা, ইসলামবিদ্বেষ, সামাজিক পোলারাইজেশন সবকিছুর মূলে শাহবাগ। ভারতীয় আধিপত্যবাদবিরোধী কয়েকজন রাজবন্দিকে হত্যা করার খায়েশ থেকে দেশের আপামর জনতার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ছিল এ শাহবাগ।
আলেমদের। ওই সময়ে বিচারপতি ও জাতীয় রাজবন্দিদের হত্যার আদেশ দেওয়া সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা নিজে স্বীকারোক্তি দিয়েছিলেন যে, মামলাগুলো ভুয়া ছিল। যদি রাজবন্দিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের কোনো প্রমাণ থেকেই থাকে, তাহলে আপনারা সুষ্ঠু বিচার করুন। কিন্তু সবার আগে স্বীকৃতি দিন যে, মিথ্যা মামলায় ও ভুয়া বিচারে তাদের হত্যা করা হয়েছে- তারা মজলুম। এটা বেয়ার মিনিমাম। ট্রাইব্যুনাল হত্যাযজ্ঞের বিরোধিতা শুধু জামায়াত নয়, বেগম খালেদা জিয়াও করেছেন। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর করেছেন। টিক্কা-ভুট্টো চক্র নিজেদের অপরাধের দায় বাংলাদেশের রাজবন্দিদের ওপর চাপিয়ে দিতে চেয়েছে। দেশের আপামর ছাত্র-জনতা এই চক্রান্তের প্রতিবাদ করেছে নিজেদের রক্ত ও জীবন দিয়ে। আমরা আধিপত্যবাদবিরোধী শহিদ নেতৃবৃন্দকে ভুলে যাব না। স্রেফ রাজনৈতিক
স্বার্থে শহিদদের ওপর অপবাদ দেওয়া মেনে নেব না। আজকে যদি রাজনৈতিক কারণে আমাদের কোনো সাবেক সাথীও আধিপত্যবাদের শিকার শহিদ নেতৃবৃন্দকে যুদ্ধাপরাধের সহযোগী বলে, কালকে নতুন কেউ জুলাইয়ের শহিদদেরও রাজনৈতিক কারণে ‘জুলাই ষড়যন্ত্রকারী’ সম্বোধন করবার যথেষ্ট আশঙ্কা থেকে যায়। শহিদরা আমাদের শ্রেষ্ঠ সম্পদ। আমাদের মাথার তাজ। শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি শহিদ সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে, আজ তার জন্মদিন। হ্যাঁ, শাহবাগি মবে কেউ কেউ ভুল বুঝে গিয়েছেন, না বুঝে গিয়েছেন। শাহবাগি প্রোপাগান্ডায় না বুঝেই শহিদদের ভিলেন ভেবেছেন। বোধোদয় হওয়া এসব মানুষ আমাদের দীর্ঘদিনজুড়ে ফ্যাসিবাদীবিরোধী লড়াইয়ের সাথি। তাদেরকে আমরা ভালোভাবেই চিনি। তাদের প্রতি আমাদের কোনো অভিযোগ-অনুযোগ নাই। কিন্তু তাই বলে শাহবাগের বিচারের দাবি বন্ধ হবে না। শহিদদের রক্ত হালাল
হয়ে যাবে না। একাত্তরের যুদ্ধাপরাধের বিচার হতে হবে। সব ধরনের গণহত্যার বিচার হতে হবে। কিন্তু বিচারের নামে নিরপরাধ মানুষকে হত্যা আমরা মেনে নেই নাই, নিচ্ছি না, নেব না। ২৮ ফেব্রুয়ারি সাঈদী হত্যাদেশ পরবর্তী গণহত্যা, শাপলা গণহত্যা, মোদিবিরোধীদের গণহত্যা, জুলাই গণহত্যা, অজস্র গুম-খুন-ক্রসফায়ার, জেল-জুলুম, আবরার ফাহাদ, ক্যাম্পাসগুলিতে টর্চার সেল, জঙ্গি নাটক, গণতন্ত্র হত্যা, ইসলামবিদ্বেষ, সামাজিক পোলারাইজেশন সবকিছুর মূলে শাহবাগ। ভারতীয় আধিপত্যবাদবিরোধী কয়েকজন রাজবন্দিকে হত্যা করার খায়েশ থেকে দেশের আপামর জনতার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ছিল এ শাহবাগ।