শহিদ পরিবারকে রাষ্ট্রীয়ভাবে পুনর্বাসন করতে হবে: নূরুল ইসলাম বুলবুল – ইউ এস বাংলা নিউজ




শহিদ পরিবারকে রাষ্ট্রীয়ভাবে পুনর্বাসন করতে হবে: নূরুল ইসলাম বুলবুল

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ | ১১:০৩ 69 ভিউ
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমীর মো. নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেছেন, শহীদ পরিবারের সদস্যদের কষ্ট ও কলিজাছেঁড়া আর্তনাদে আকাশ বাতাস ভারী হয়ে উঠছে। রক্ত সাগর পাড়ি দিয়ে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে যে বিপ্লব সৃষ্টি হয়েছে, তার ফলে আমরা একটি মুক্ত স্বাধীন বাংলাদেশ পেয়েছি, মত প্রকাশের সুযোগ পেয়েছি। রাষ্ট্রীয় সকল শক্তিকে কাজে লাগিয়ে আওয়ামী ফ্যাসিস্ট অপশক্তি ছাত্র জনতার আন্দোলনকে ব্যর্থ করে দিতে চেয়েছিল। ইতিহাস সাক্ষী ৫২ এর ভাষা আন্দোলন, ৬৯ গণঅভ্যুত্থান ছিল ছাত্রদের নেতৃত্বে। ছাত্রদের আন্দোলন কখনও ব্যর্থ হয়নি। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে ব্যর্থ করার সকল রকম অপচেষ্টা করেও এই জুলুমবাজ ফ্যাসিস্ট সরকার পার পায়নি। ৫ আগস্ট লক্ষণ

সেনের মতো পিছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। শুক্রবার রাজধানীর শনির আখড়ায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের যাত্রাবাড়ী অঞ্চলের উদ্যোগে আয়োজিত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় ও আর্থিক অনুদান প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমীর আব্দুস সবুর ফকিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমীর অ্যাডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্য ড. মোবারক হোসাইন, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের মজলিসে শূরা সদস্য আব্দুর রহিম জীবন। আরও উপস্থিত ছিলেন

ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের মজলিসে শূরা সদস্য মাওলানা সাদেক বিল্লাহ, অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ, শাজাহান খান, মীর বাহার আমিররুল ইসলাম, জুনায়েদ ইসলাম, মাওলানা বায়জিদ হাসান, আবুল হোসেন, নওশাদ আলম ফারুক, মিজানুর রহমান মালেক, অ্যাডভোকেট শাফিউল আলম, আহমেদ রাসেল, মির্জা হেলাল, ছাত্রশিবিরের ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সভাপতি আমান উদ্দিন আমিনসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ। নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেন, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার জুলুম নির্যাতন চালিয়ে এ দেশকে বসবাসের অযোগ্য ও ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করেছিল। দুর্নীতি ও অনিয়মের মাধ্যমে সাংবিধানিক সকল প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে দিয়েছিল। বিচারব্যবস্থাকে দলীয়করণ করে বিচারের নামে অবিচার শুরু করেছিল। তারা জুডিশিয়াল কিলিং এর মাধ্যমে জামায়াতের ১১ জন শীর্ষ নেতৃবৃন্দকে হত্যা করেছে।

১৬ বছরের শাসনামলে জামায়াতের ৫০০ জন নেতাকর্মীকে শহীদ করেছে, ২০ হাজার মিথ্যা মামলা দিয়ে লাখ লাখ নেতাকর্মীকে স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে দেয়নি। স্বাধীন বাংলাদেশের সীমানাকে অরক্ষিত করে সীমান্তে ফেলানীর মতো লাশ উপহার দিয়েছে। এমতাবস্থায় দেশ পুনর্গঠন করতে হবে। দেশপ্রেমিক শক্তির মাধ্যমে সাংবিধানিক ও গনতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান গুলোকে ঢেলে সাজাতে হবে। তিনি বলেন, বিপ্লবোত্তর নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। ৫ আগস্ট থেকেই দুর্বৃত্তদের লুটপাট, অগ্নিসংযোগ ও চাঁদাবাজির প্রতিরোধ এবং ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের কোনো উপাসনালায়সহ দেশের মানুষের জান-মালের নিরাপত্তায় জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীরা অতন্দ্র প্রহরীর ভূমিকা পালন করেছে। ষড়যন্ত্রকারীদের উদ্দ্যেশে তিনি বলেন, ছাত্র জনতার এই ঐতিহাসিক বিজয়কে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা

করলে এর দাঁতভাঙ্গা জবাব দেওয়া হবে। এ দেশের জনগণ এখন সজাগ ও সচেতন রয়েছে কোনো কুচক্রী মহলের আর কোনো দেশবিরোধী এজেন্ডা আর বাস্তবায়ন করতে দেবে না। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, যাদের রক্তের উপর দাঁড়িয়ে দেশপ্রেমিক অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়েছে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সেই সকল শহীদ পরিবারের দায়িত্ব নিয়ে তাদের কর্মসংস্থান এবং আহতদের সুচিকিৎসা ও পঙ্গুত্ববরণকারীদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে হবে। সভাপতির বক্তব্যে আব্দুস সবুর ফকির বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র জনতার সঙ্গে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে এ দেশের সকল মানুষ অংশগ্রহণ করেছেন এবং শহীদ হয়েছেন। মা বোনেরা ঘরে বসে থাকতে পারেনি। তারা আন্দোলনকারীদের খাওয়ার ব্যবস্থা করেছে। সকলের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় দেশে জুলুমতন্ত্রের অবসান হয়েছে। আওয়ামী

গুন্ডা ও আত্মস্বীকৃত পুলিশ অফিসারদেরকে বিচার করতে হবে। সকল খুনিদের বিচার না হওয়া পর্যন্ত এ দেশের মানুষ শান্তি পাবে না। শেখ হাসিনাসহ সকল অপরাধীদের দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের আওতায় আনতে হবে। অ্যাডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন বলেন, এই জাতিকে দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে জুলুম এবং শোষণ করে একটা শ্বাসরুদ্ধকর পরিবেশে রাখা হয়েছিল। মানুষের ভোট দেওয়ার অধিকার ছিল না, জীবনের নিরাপত্তা ছিল না, নিজ ঘরের মধ্যে থাকলেও খুন করা হতো। এমতাবস্থায় ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানের মাধ্যমে আমরা আবার নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি। এখন দেশ বিনির্মাণে সবাইকে ভুমিকা পালন করতে হবে। এ সময় শহীদ পরিবারের সদস্যদের স্মৃতিচারণে এক আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয় ও কান্নার

রোল পড়ে যায়।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
৬৯ কারাগারের ১৭টিই ঝুঁকিপূর্ণ, পলাতক ৭০ জঙ্গিসহ ৭০০ বন্দি দাসত্বের শৃঙ্খল থেকে মুক্তিতে শিক্ষার সংস্কার জরুরি : শিবির সভাপতি সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে সব রাজনৈতিক দলের ঐকমত্য মন ভেঙে গেছে, প্রেম-ভালোবাসা বিশ্বাস করি না : অহনা অস্কারের দৌড়ে এগিয়ে পাকিস্তানের অ্যানিমেশন ফিল্ম ৪০ বছরে বিশ্বের অন্যতম ধনী দেশ ইসরায়েল, মাথাপিছু আয় ৪২ লক্ষ! দেশের স্বার্থে এক শিবির-ছাত্রদলসহ ইবির সংগঠনগুলো শাকিব খানের ‘দরদ’ ভারত-পাকিস্তান এক কাতারে… রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক চলছে ‘বাংলাদেশে আর কোনোদিন ভারত আধিপত্য বিস্তার করতে পারবে না’ ভারতের কলকাতার ‘মিনি বাংলাদেশে’ চলছে হাহাকার পুতিনের নজরে এ বার অন্য প্রতিবেশী! টানাপোড়েন : ঢাকায় আসছেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব পুতিনের নজরে এ বার অন্য প্রতিবেশী! দু-একদিনের মধ্যে সুখবর আসছে: জামায়াতের আমির সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে সব রাজনৈতিক দলের ঐকমত্য ৪০ বছরে বিশ্বের অন্যতম ধনী দেশ ইসরায়েল, মাথাপিছু আয় ৪২ লক্ষ! রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক চলছে ভেসে আসে হাজার টন মরা মাছ! রহস্য অধরা আজও কারামুক্ত হলেন সাবেক এসপি বাবুল আক্তার