ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর
ইউনুস সরকারের অধীনে সংখ্যালঘু হওয়া মানেই মৃত্যুর অপেক্ষা।
গুম কমিশনে সাক্ষ্যদাতা জঙ্গিরাই আবার বোমা বানাচ্ছে, যাদের সাক্ষ্যে জঙ্গিবিরোধী পুলিশ কর্মকর্তারা গ্রেপ্তার
বাঙালী নারীদের উপর পাক হানাদারদের বর্বরতার ইতিহাস ও পরবর্তীতে হানাদারদের ক্যাম্প উড়িয়ে দেবার বিরত্ব গাঁথা শোনালেন একাত্তরের বীর মুক্তিযোদ্ধা শিশু মিয়া
যে দুইদিনই বাঁচি দেশটাত যেনো শান্তিতে থাকতে পারি” – বীর মুক্তিযোদ্ধা ফিরোজা বেগম —
ইউনুস সরকারের অধীনে সংখ্যালঘু হওয়া মানেই মৃত্যুর অপেক্ষা।
ইন্ডিয়া যদি আমাদের সাহায্য না করতো, বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধারা পারতো না দেশটা স্বাধীন করতে” –বীর মুক্তিযোদ্ধা
ময়মনসিংহের পর এবার রাজবাড়ী: চাঁদাবাজির অভিযোগে হিন্দু যুবককে পিটিয়ে হত্যা
রাজনীতির বাঁকবদল: শেখ হাসিনার মানবিকতা বনাম ঐতিহাসিক তিক্ততা—একটি বিশ্লেষণধর্মী পর্যালোচনা
নিজস্ব প্রতিবেদক |
বাংলাদেশের রাজনীতির গত চার দশকের ইতিহাসে শেখ হাসিনা এবং বেগম খালেদা জিয়া—এই দুটি নাম সমান্তরালে উচ্চারিত হলেও, তাঁদের পারস্পরিক সম্পর্কের রসায়ন সময়ের সাথে সাথে নাটকীয়ভাবে পরিবর্তিত হয়েছে। মহান মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী সময় থেকে নব্বইয়ের স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন পর্যন্ত তাঁদের যে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক ছিল, তা একবিংশ শতাব্দীর শুরুতে এসে চরম তিক্ততায় রূপ নেয়। সম্প্রতি রাজনৈতিক বিশ্লেষণে উঠে এসেছে এই দুই নেত্রীর সম্পর্কের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট, রাজনৈতিক শিষ্টাচার এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মানবিকতার বিষয়টি।
বিশ্লেষণে দেখা যায়, দুই নেত্রীর সম্পর্কের ফাটল মূলত স্পষ্ট হয় ২০০১ সালে। ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাকালে তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে সেনানিবাসের বাসভবন থেকে
উচ্ছেদ করেনি, বরং সম্মানের সাথেই তাঁকে সেখানে অবস্থান করতে দেওয়া হয়েছিল। তবে ২০০১ সালের নির্বাচনে পট পরিবর্তনের পর চিত্রটি সম্পূর্ণ বদলে যায়। অভিযোগ রয়েছে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা হওয়া সত্ত্বেও শেখ হাসিনাকে গণভবন ত্যাগ করতে বাধ্য করে তৎকালীন বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার। বিশ্লেষকদের মতে, একজন রাষ্ট্রপতির স্ত্রী হিসেবে খালেদা জিয়া যদি সরকারি বাসভবনে থাকার অধিকার পান, তবে স্বাধীনতার স্থপতির কন্যার গণভবনে থাকার অধিকার কেন থাকবে না—এই প্রশ্নের যৌক্তিক কোনো উত্তর বিএনপি বা তাদের অনুসারীরা দিতে পারেননি। ২১ আগস্টের ক্ষত ও রাজনৈতিক প্রতিহিংসা রাজনৈতিক প্রতিহিংসার চরম বহিঃপ্রকাশ হিসেবে ২০০৪ সালের ২১শে আগস্টের গ্রেনেড হামলাকে চিহ্নিত করা হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, তৎকালীন বিএনপি
সরকারের প্রত্যক্ষ মদদে এবং তারেক রহমানের নির্দেশে আওয়ামী লীগকে নেতৃত্বশূন্য করতে এই পৈশাচিক হামলা চালানো হয়। আইভি রহমানসহ ২৪ জন নেতাকর্মী নিহত হলেও শেখ হাসিনা অলৌকিকভাবে বেঁচে যান। বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, সেই ঘটনার বিচার তো দূরের কথা, ‘জজ মিয়া’ নাটক সাজিয়ে ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল, যা আওয়ামী লীগের জন্য আজও এক দগদগে ক্ষত হয়ে আছে। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর প্রতিহিংসার রাজনীতির পথে হাঁটেনি। খালেদা জিয়া দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হওয়ার পরেও কারাগারে তাঁর জন্য ব্যক্তিগত গৃহকর্মী (ফাতেমা) রাখার অনুমতি দেওয়া হয়, যা কারা ইতিহাসে নজিরবিহীন। পরবর্তীতে করোনা মহামারির সময় শেখ হাসিনা তাঁর নির্বাহী ক্ষমতা প্রয়োগ
করে খালেদা জিয়াকে জেল থেকে মুক্তি দিয়ে বাসায় থাকার সুযোগ করে দেন। সম্প্রতি একটি মহল খালেদা জিয়ার অসুস্থতাকে কেন্দ্র করে ‘স্লো পয়জনিং’-এর অভিযোগ তুলছে। তবে বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, যাকে হত্যার ইচ্ছা থাকত, তাকে মহামারির মতো ঝুঁকিপূর্ণ সময়ে নির্বাহী আদেশে মুক্তি দিয়ে বাসায় পাঠানো হতো না। এই ‘স্লো পয়জনিং’ তত্ত্বকে মিথ্যাচার হিসেবে উল্লেখ করে বলা হয়েছে, খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. জাহিদের নীরবতা এক্ষেত্রে রহস্যজনক। সত্য প্রকাশে তাঁর সুস্পষ্ট বিবৃতি প্রয়োজন। রাজনৈতিক মতভেদ ও তিক্ততা সত্ত্বেও একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেশের প্রতি বেগম খালেদা জিয়ার অবদান অনস্বীকার্য। প্রদত্ত তথ্যানুযায়ী, বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে রাজনৈতিক বৈরিতা ভুলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর পুত্র সজীব
ওয়াজেদ জয় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। বিশ্লেষণে উল্লেখ করা হয়েছে, শেখ হাসিনার এই শোক প্রকাশ মানবিকতার এক অনন্য দৃষ্টান্ত। পরিশেষে, এই পর্যালোচনার মূল সুর হলো—প্রতিহিংসার রাজনীতির অবসান ঘটিয়ে সত্য ও মানবতার রাজনীতি প্রতিষ্ঠা করা। বেগম খালেদা জিয়ার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনার মধ্য দিয়ে প্রতিবেদনের ইতি টানা হয়েছে।
উচ্ছেদ করেনি, বরং সম্মানের সাথেই তাঁকে সেখানে অবস্থান করতে দেওয়া হয়েছিল। তবে ২০০১ সালের নির্বাচনে পট পরিবর্তনের পর চিত্রটি সম্পূর্ণ বদলে যায়। অভিযোগ রয়েছে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা হওয়া সত্ত্বেও শেখ হাসিনাকে গণভবন ত্যাগ করতে বাধ্য করে তৎকালীন বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার। বিশ্লেষকদের মতে, একজন রাষ্ট্রপতির স্ত্রী হিসেবে খালেদা জিয়া যদি সরকারি বাসভবনে থাকার অধিকার পান, তবে স্বাধীনতার স্থপতির কন্যার গণভবনে থাকার অধিকার কেন থাকবে না—এই প্রশ্নের যৌক্তিক কোনো উত্তর বিএনপি বা তাদের অনুসারীরা দিতে পারেননি। ২১ আগস্টের ক্ষত ও রাজনৈতিক প্রতিহিংসা রাজনৈতিক প্রতিহিংসার চরম বহিঃপ্রকাশ হিসেবে ২০০৪ সালের ২১শে আগস্টের গ্রেনেড হামলাকে চিহ্নিত করা হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, তৎকালীন বিএনপি
সরকারের প্রত্যক্ষ মদদে এবং তারেক রহমানের নির্দেশে আওয়ামী লীগকে নেতৃত্বশূন্য করতে এই পৈশাচিক হামলা চালানো হয়। আইভি রহমানসহ ২৪ জন নেতাকর্মী নিহত হলেও শেখ হাসিনা অলৌকিকভাবে বেঁচে যান। বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, সেই ঘটনার বিচার তো দূরের কথা, ‘জজ মিয়া’ নাটক সাজিয়ে ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল, যা আওয়ামী লীগের জন্য আজও এক দগদগে ক্ষত হয়ে আছে। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর প্রতিহিংসার রাজনীতির পথে হাঁটেনি। খালেদা জিয়া দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হওয়ার পরেও কারাগারে তাঁর জন্য ব্যক্তিগত গৃহকর্মী (ফাতেমা) রাখার অনুমতি দেওয়া হয়, যা কারা ইতিহাসে নজিরবিহীন। পরবর্তীতে করোনা মহামারির সময় শেখ হাসিনা তাঁর নির্বাহী ক্ষমতা প্রয়োগ
করে খালেদা জিয়াকে জেল থেকে মুক্তি দিয়ে বাসায় থাকার সুযোগ করে দেন। সম্প্রতি একটি মহল খালেদা জিয়ার অসুস্থতাকে কেন্দ্র করে ‘স্লো পয়জনিং’-এর অভিযোগ তুলছে। তবে বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, যাকে হত্যার ইচ্ছা থাকত, তাকে মহামারির মতো ঝুঁকিপূর্ণ সময়ে নির্বাহী আদেশে মুক্তি দিয়ে বাসায় পাঠানো হতো না। এই ‘স্লো পয়জনিং’ তত্ত্বকে মিথ্যাচার হিসেবে উল্লেখ করে বলা হয়েছে, খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. জাহিদের নীরবতা এক্ষেত্রে রহস্যজনক। সত্য প্রকাশে তাঁর সুস্পষ্ট বিবৃতি প্রয়োজন। রাজনৈতিক মতভেদ ও তিক্ততা সত্ত্বেও একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেশের প্রতি বেগম খালেদা জিয়ার অবদান অনস্বীকার্য। প্রদত্ত তথ্যানুযায়ী, বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে রাজনৈতিক বৈরিতা ভুলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর পুত্র সজীব
ওয়াজেদ জয় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। বিশ্লেষণে উল্লেখ করা হয়েছে, শেখ হাসিনার এই শোক প্রকাশ মানবিকতার এক অনন্য দৃষ্টান্ত। পরিশেষে, এই পর্যালোচনার মূল সুর হলো—প্রতিহিংসার রাজনীতির অবসান ঘটিয়ে সত্য ও মানবতার রাজনীতি প্রতিষ্ঠা করা। বেগম খালেদা জিয়ার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনার মধ্য দিয়ে প্রতিবেদনের ইতি টানা হয়েছে।



