যে দেশে একাত্তরে তিরিশ লাখ মানুষ শহীদ হলো, সেখানে এখন পাকিস্তানের পতাকা কীভাবে ওড়ে? – ইউ এস বাংলা নিউজ




ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আপডেটঃ ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৫
     ১২:২৬ পূর্বাহ্ণ

যে দেশে একাত্তরে তিরিশ লাখ মানুষ শহীদ হলো, সেখানে এখন পাকিস্তানের পতাকা কীভাবে ওড়ে?

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ | ১২:২৬ 1 ভিউ
২০১৩ সালে শাহবাগ মঞ্চে লাখো তরুণ দাঁড়িয়ে ছিল যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দাবিতে। সেই একই দেশে ২০২৪ সালে তরুণদের একটা বিশাল অংশ পাকিস্তানের পতাকা হাতে নিয়ে মিছিল করছে। মাত্র এগারো বছরে একটা জাতির চেতনায় এত বড় ধস নামল কীভাবে? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গেলে আপনাকে দেখতে হবে কারা এই এক দশক ধরে পরিকল্পিতভাবে একটা পুরো প্রজন্মের মাথায় বিষ ঢেলেছে। আর সেই তালিকার একদম উপরে আছে দুটো নাম – মুহাম্মদ ইউনুস আর তার বিদেশী প্রভুরা। ইউনুস সাহেবের নোবেল পুরস্কার নিয়ে যত কথা হয়, তার মাইক্রোক্রেডিট মডেলের আসল চেহারা নিয়ে ততটা আলোচনা হয় না। গ্রামীণ ব্যাংকের নামে তিনি দরিদ্র মানুষদের কাছে যে সুদের হারে টাকা

ধার দিয়েছেন, সেটা কোনো সাধারণ বাণিজ্যিক ব্যাংকও করে না। বিশ শতাংশের উপরে সুদ। একজন দরিদ্র মহিলা যিনি হয়তো একটা গরু কিনতে দশ হাজার টাকা নিয়েছেন, তাকে ফেরত দিতে হয়েছে বারো হাজার। সেই মহিলার গরু মরে গেলেও তার ঋণ মাফ হয় না। সাপ্তাহিক কিস্তি চলতেই থাকে। এই যে নির্মম শোষণ, এটাই হলো ইউনুসের আসল পরিচয়। নোবেল পুরস্কার তাকে একজন মহাজন থেকে সন্ত বানাতে পারেনি। এই মানুষটার হাতে যখন একটা বিশাল নেটওয়ার্ক তৈরি হয়ে গেল, তখন তিনি বুঝলেন যে এই নেটওয়ার্ক দিয়ে শুধু টাকা কামানো নয়, রাজনৈতিক ক্ষমতাও দখল করা যায়। গ্রামীণ ব্যাংকের মাধ্যমে তিনি পৌঁছে গেছেন দেশের প্রায় প্রতিটি গ্রামে। হাজার হাজার

কর্মী, লাখো গ্রাহক। এই পুরো অবকাঠামোটাকে তিনি ব্যবহার করলেন একটা আদর্শিক যুদ্ধের জন্য। আর সেই যুদ্ধের টার্গেট ছিল বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা। ২০১৩ সালের পর থেকে দেশে একটা সুক্ষ্ম কিন্তু সুপরিকল্পিত ক্যাম্পেইন শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধকে প্রশ্নবিদ্ধ করার। প্রথমে শুরু হলো ইতিহাস নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানো। সোশ্যাল মিডিয়ায় হঠাৎ করে অনেক পেজ খোলা শুরু হলো যারা বলতে শুরু করল, তিরিশ লাখ শহীদের সংখ্যা বাড়িয়ে বলা হয়েছে। তারা প্রশ্ন তুলল, পাকিস্তানি বাহিনী আসলে ততটা নৃশংস ছিল কিনা। এরপর শুরু হলো মুক্তিযোদ্ধাদের চরিত্র নিয়ে কুৎসা। বলা হতে লাগল, অনেক ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা আছে। এভাবে ধীরে ধীরে মানুষের মনে একটা সন্দেহের বীজ বপন করা হলো। এই ক্যাম্পেইনের পেছনে কারা?

অর্থায়ন কোথা থেকে? এই প্রশ্নের উত্তর পেতে খুব বেশি দূর যাওয়ার দরকার নেই। মধ্যপ্রাচ্যের কিছু দেশ এবং পাকিস্তানের আইএসআই দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশে একটা অস্থিতিশীলতা তৈরি করতে চেয়েছে। তারা জানে যে বাংলাদেশ যদি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা থেকে সরে যায়, তাহলে দেশটাকে ইসলামিক জঙ্গিবাদের দিকে ঠেলে দেওয়া সহজ হবে। আর ইউনুস সেই টাকার একটা বড় অংশ তার নেটওয়ার্কে চ্যানেল করেছেন। এটা কোনো ষড়যন্ত্র তত্ত্ব নয়, এটা একটা সত্য যা দেশের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো জানে কিন্তু রাজনৈতিক কারণে প্রকাশ করতে পারে না। ইউনুস একা এই কাজ করতে পারতেন না। তার দরকার ছিল রাষ্ট্রযন্ত্রের ভেতর থেকে সমর্থন। আর সেখানেই আসে ওয়াকার উজ জামানের ভূমিকা। একজন সেনাপ্রধান যার

প্রধান দায়িত্ব হলো দেশের সংবিধান রক্ষা করা, তিনি নিজেই সংবিধান ভেঙে একটা অবৈধ ক্যুতে অংশ নিলেন। জুলাই মাসে যে তথাকথিত আন্দোলন হলো, সেটা কোনো স্বতঃস্ফূর্ত ঘটনা ছিল না। সেটা ছিল একটা সুপরিকল্পিত অভ্যুত্থান। আর সেই অভ্যুত্থানে সেনাবাহিনীর একটা অংশ প্রত্যক্ষ ভূমিকা রেখেছে। ওয়াকার জানতেন তিনি কী করছেন। তিনি জানতেন যে একটা নির্বাচিত সরকারকে ফেলে দেওয়া মানে গণতন্ত্রকে হত্যা করা। কিন্তু তবুও তিনি এটা করলেন। কেন? উত্তর সহজ। ক্ষমতার লোভ। ইউনুস তাকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে নতুন সরকারে তার ভূমিকা থাকবে। আর একজন সেনা কর্মকর্তা যখন রাজনৈতিক ক্ষমতার স্বাদ পান, তখন তার শপথ, তার দায়িত্ব সবকিছু তুচ্ছ হয়ে যায়। জুলাই দাঙ্গার সময় রাস্তায় যে

তরুণরা নেমেছিল, তাদের বেশিরভাগই জানত না তারা আসলে কী করছে। তারা ভাবছিল তারা একটা অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়াচ্ছে। কিন্তু বাস্তবে তাদের ব্যবহার করা হয়েছে। পর্দার পেছন থেকে জামাত-শিবির এবং অন্যান্য জঙ্গি সংগঠনগুলো এই আন্দোলনকে হাইজ্যাক করে নিয়েছিল। আর যখন পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে গেল, তখন সেনাবাহিনী এসে ক্ষমতা দখল করল। পুরো ঘটনাটা ছিল একটা সাজানো নাটক। এই নাটকের সবচেয়ে ভয়াবহ দিক হলো, এটা শুধু একটা সরকার পতনই ছিল না। এটা ছিল একটা জাতির চেতনায় আঘাত। যে তরুণরা পাকিস্তানের পতাকা নিয়ে রাস্তায় নেমেছিল, তাদের মনে এই ধারণা ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে যে পাকিস্তান আসলে খারাপ ছিল না। তাদের বোঝানো হয়েছে যে একাত্তরে যা ঘটেছিল

সেটা একটা গৃহযুদ্ধ ছিল, গণহত্যা নয়। তাদের বলা হয়েছে যে শেখ মুজিব ভারতের দালাল ছিলেন, পাকিস্তান ভাঙার ষড়যন্ত্র করেছিলেন। এই ধরনের বিকৃত ইতিহাস পড়ানোর জন্য একটা পুরো ইকোসিস্টেম তৈরি করা হয়েছে। মাদ্রাসাগুলোতে এমন শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে যারা পাকিস্তানপন্থী। স্কুল-কলেজে এমন বই ঢুকিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে যেখানে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস নেই। সোশ্যাল মিডিয়ায় হাজারো ফেক আইডি তৈরি করে একটা বিভ্রান্তিকর ন্যারেটিভ ছড়ানো হচ্ছে। এবং সবচেয়ে ভয়ের বিষয় হলো, এই কাজে সরকারি কিছু প্রতিষ্ঠানও জড়িত। পাকিস্তানের প্রতি এই অযৌক্তিক আবেগ তৈরির পেছনে একটা ধর্মীয় কৌশলও কাজ করছে। তরুণদের বলা হচ্ছে যে পাকিস্তান একটা মুসলিম দেশ, আর বাংলাদেশ ভারতের প্রভাবে পড়ে ইসলাম থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। এই যুক্তিটা একদম হাস্যকর। বাংলাদেশের নব্বই শতাংশ মানুষ মুসলিম। দেশের সংবিধানে ইসলাম রাষ্ট্রধর্ম। তারপরও এই মিথ্যা প্রচার চলছে কারণ ধর্মকে ব্যবহার করে মানুষকে বিভ্রান্ত করা সবচেয়ে সহজ। আর পাকিস্তানের দিকে তাকান। সেই দেশে এখন কী অবস্থা? অর্থনীতি ধ্বংসপ্রায়। আইএমএফের কাছে হাত পেতে আছে। মুদ্রাস্ফীতি আকাশছোঁয়া। বেলুচিস্তানে চলছে নির্মম নিপীড়ন এবং স্বাধীনতা সংগ্রাম। খাইবার পাখতুনখোয়ায় তালেবানের দাপট। করাচিতে দাঙ্গা-হাঙ্গামা নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার। সামরিক বাহিনী সেখানে আসল ক্ষমতা, নির্বাচিত সরকার শুধু সাজসজ্জা। এমন একটা দেশের প্রতি কেন আবেগ? কারণ একটাই – দীর্ঘমেয়াদী মগজধোলাই। বাংলাদেশ আজ দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতি। আমাদের পোশাক শিল্প বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম। আমাদের মাথাপিছু আয় পাকিস্তানকে ছাড়িয়ে গেছে। নারী ক্ষমতায়নে আমরা অনেক এগিয়ে। শিশু মৃত্যুহার কমেছে। গড় আয়ু বেড়েছে। এই সবকিছু অর্জন সম্ভব হয়েছে কারণ ১৯৭১ সালে আমরা পাকিস্তান থেকে আলাদা হয়ে স্বাধীন দেশ প্রতিষ্ঠা করেছিলাম। আর এখন সেই পাকিস্তানের পতাকা হাতে নিয়ে রাস্তায় নামা মানে সেই শহীদদের অপমান করা। ইউনুস এবং ওয়াকারের এই ষড়যন্ত্র কেবল রাজনৈতিক নয়, এটা সাংস্কৃতিক এবং আদর্শিক। তারা চায় বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের চেতনা থেকে সরে গিয়ে একটা ধর্মভিত্তিক রাষ্ট্রে পরিণত হোক, যেখানে পাকিস্তানের মতো সামরিক শাসন এবং মৌলবাদী শক্তির দাপট থাকবে। তারা চায় দেশটা আবার সেই পুরনো সামন্ততান্ত্রিক এবং গোঁড়া চিন্তাধারায় ফিরে যাক যেখান থেকে আমরা ১৯৭১ সালে বের হয়ে এসেছিলাম। এই ষড়যন্ত্রের আরেকটা মাত্রা আছে যেটা নিয়ে কেউ কথা বলছে না। ইউনুস এবং তার সহযোগীরা দীর্ঘদিন ধরে একটা আন্তর্জাতিক লবি তৈরি করেছেন। পশ্চিমা দেশগুলোতে তারা নিজেদের একজন গণতন্ত্রকামী এবং মানবাধিকারকর্মী হিসেবে উপস্থাপন করেছেন। কিন্তু বাস্তবে তারা বাংলাদেশে যে কাজ করছেন সেটা গণতন্ত্রের সম্পূর্ণ বিপরীত। তারা একটা নির্বাচিত সরকারকে অবৈধভাবে ফেলে দিয়ে একটা অগণতান্ত্রিক শাসন প্রতিষ্ঠা করেছেন। জঙ্গি সংগঠনগুলোর ভূমিকাও এখানে স্পষ্ট। জামাত-শিবির তো আছেই, তার সাথে যুক্ত হয়েছে হিজবুত তাহরীর, আনসারুল্লাহ এবং আরও কিছু নতুন সংগঠন যারা খুবই গোপনে কাজ করে। এই সংগঠনগুলো তৃণমূলে গিয়ে তরুণদের রিক্রুট করছে। তাদের মগজধোলাই করছে। তাদের বোঝাচ্ছে যে জিহাদের নামে পাকিস্তানের সাথে সম্পর্ক রাখা ধর্মীয় দায়িত্ব। আর এই কাজে ইউনুসের গ্রামীণ নেটওয়ার্ক একটা পারফেক্ট কভার দিচ্ছে। সবচেয়ে দুঃখজনক ব্যাপার হলো, বাংলাদেশের বুদ্ধিজীবী সমাজ এই বিপদ দেখেও চুপ করে আছে। কেউ কেউ হয়তো ভয়ে, কেউ কেউ স্বার্থের কারণে, আবার কেউ কেউ হয়তো সত্যিই বুঝতে পারছে না যে কী ঘটছে। কিন্তু এই চুপ থাকাটা অপরাধ। যখন একটা পুরো প্রজন্ম ভুল পথে যাচ্ছে, তখন বুদ্ধিজীবীদের দায়িত্ব হলো সত্য বলা, যতই কঠিন হোক। এই সমস্যার সমাধান সহজ নয়। একটা পুরো জেনারেশনের মাথা থেকে বিষ বের করতে দীর্ঘ সময় লাগবে। কিন্তু শুরু করতে হবে এখনই। প্রথমত, ইউনুস এবং ওয়াকারকে তাদের অপরাধের জন্য জবাবদিহি করতে হবে। তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ, ষড়যন্ত্র এবং সাংবিধানিক পদ ভঙ্গের মামলা করতে হবে। তাদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করতে হবে। তাদের নেটওয়ার্ক ভেঙে দিতে হবে। দ্বিতীয়ত, শিক্ষা ব্যবস্থায় জরুরি সংস্কার দরকার। মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস পড়াতে হবে। পাকিস্তানি বাহিনীর নৃশংসতার ছবি, ভিডিও, সাক্ষ্য তরুণদের সামনে তুলে ধরতে হবে। তাদের দেখাতে হবে রমনা কালীবাড়ীতে কী হয়েছিল, জগন্নাথ হলে কী হয়েছিল, রায়েরবাজার বধ্যভূমিতে কী হয়েছিল। তৃতীয়ত, বিদেশি তহবিলের প্রবাহ বন্ধ করতে হবে। যেসব এনজিও পাকিস্তানপন্থী প্রোপাগান্ডা চালাচ্ছে তাদের লাইসেন্স বাতিল করতে হবে। ব্যাংকিং চ্যানেল মনিটর করতে হবে। সন্দেহজনক লেনদেন খুঁজে বের করতে হবে। চতুর্থত, সোশ্যাল মিডিয়ায় যারা বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়াচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। সাইবার ক্রাইম ইউনিটকে শক্তিশালী করতে হবে। ফেক নিউজের উৎস খুঁজে বের করতে হবে। পঞ্চমত, সেনাবাহিনীকে রাজনীতিমুক্ত করতে হবে। যেসব অফিসার রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রে জড়িত তাদের চিহ্নিত করে শাস্তি দিতে হবে। সামরিক আদালতে তাদের বিচার করতে হবে। সেনাবাহিনীর পবিত্রতা রক্ষা করতে হবে। কিন্তু সবচেয়ে জরুরি হলো একটা সাংস্কৃতিক প্রতিরোধ গড়ে তোলা। সিনেমা, গান, নাটক, সাহিত্য সবকিছুতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ছড়িয়ে দিতে হবে। তরুণদের বোঝাতে হবে যে বাংলাদেশের স্বাধীনতা কোনো দুর্ঘটনা ছিল না, এটা ছিল একটা প্রয়োজনীয়তা। পাকিস্তান নামক রাষ্ট্রটা ছিল একটা কৃত্রিম সৃষ্টি যেটা টিকতে পারেনি কারণ সেটা ছিল শোষণ আর বৈষম্যের উপর প্রতিষ্ঠিত। ইউনুস আর ওয়াকার বুড়ো হয়ে যাবে, মরেও যাবে। কিন্তু তারা যে বিষ ছড়িয়ে গেছে সেটা থেকে যাবে যদি আমরা এখনই কিছু না করি। এই মুহূর্তে বাংলাদেশ একটা ক্রসরোডে দাঁড়িয়ে আছে। হয় আমরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ফিরে যাব, নয়তো পাকিস্তানি মানসিকতার অন্ধকারে হারিয়ে যাব। আর এই সিদ্ধান্ত নিতে হবে এখনই, এই মুহূর্তে।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
যে দেশে একাত্তরে তিরিশ লাখ মানুষ শহীদ হলো, সেখানে এখন পাকিস্তানের পতাকা কীভাবে ওড়ে? উগ্রপন্থী ওসমান হাদির কফিনে পতাকা থাকলেও ছিল না সুদানে নিহত সেনাদের কফিনে নজরুল-জয়নুল-কামরুল বনাম ছাপড়ি টোকাই হাদি: এ লজ্জা কোথায় রাখি! প্রেস সচিব শফিকের উস্কানিতে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা চরম সংকটে মার্কিন পরিকল্পনায় নির্বাচন বানচালের দ্বারপ্রান্তে জামায়াত আওয়ামী লীগ মাঠে নামলে আমরা রিকশাওয়ালারাও নামবো” — রিকশাচালক যারা লুটপাট, হাত কাটা, পা কাটা, চোখ তোলা, নির্যাতন করে, নারীদের ধর্ষণ করে তারা কি বেহেশতে যাবে?” –জননেত্রী শেখ হাসিনা ভোট আওয়ামী লীগকেই দিবো, আর কাকে দিবো? শেখ হাসিনাকে আবারো চাই” –জনমত হাদির হত্যাকারী ভারতের পালিয়ে গেছে এমন কোনো প্রমাণ নেই। অবৈধ সরকারের উপদেষ্টা, সমন্বয়ক,রাতারাতি তারা আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ হয়ে কোটিপতি হয়ে গেছে বাংলাদেশের সংস্কৃতির মেরুদণ্ড ভাঙার এক নির্লজ্জ প্রচেষ্টা সরকার আসবে এবং যাবে, কিন্তু বাংলাদেশকে আমরা ‘দুর্বৃত্ত রাষ্ট্রে’ (Rogue Nation) পরিণত হতে দেব না বাংলাদেশে হিংসার নেপথ্যে পাকিস্তানের ‘ঢাকা সেল’? ভারতের গোয়েন্দা রিপোর্টে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য কারা হেফাজতে ফের মৃত্যু: বিনা চিকিৎসায় আ.লীগ নেতাকে ‘পরিকল্পিত হত্যার’ অভিযোগ গণমাধ্যমের বর্তমান ভূমিকা ও দেশের পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তুললেন শেখ হাসিনা: ‘আমার সময়ে সমালোচনার পূর্ণ স্বাধীনতা ছিল’ বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগের মাঝেই বড় পদক্ষেপ! ৭১-এর যুদ্ধে লড়া ব্যাটেলিয়ন মোতায়েন ত্রিপুরায় ধর্ম অবমাননা’র গুজবে সংখ্যালঘু নিধন: বিচারহীনতার সংস্কৃতি ও মব জাস্টিসের ভয়াবহ বিস্তার ছাত্রনেতার মুখোশে গুন্ডামি: রাকসু জিএসের ‘সন্ত্রাসী’ আস্ফালন খুলনায় এনসিপির বিভাগীয় প্রধান মোতালেব শিকদার গুলিবিদ্ধ ‘মৌলবাদীরা ভারত-বিদ্বেষ উসকে দেওয়ার চেষ্টা করছে’: টাইমস অফ ইন্ডিয়াকে রোকেয়া প্রাচী