যুক্তরাষ্ট্রে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভ করে বহিষ্কারের মুখে শিক্ষার্থী – ইউ এস বাংলা নিউজ




ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আপডেটঃ ১২ এপ্রিল, ২০২৫
     ৭:২১ অপরাহ্ণ

যুক্তরাষ্ট্রে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভ করে বহিষ্কারের মুখে শিক্ষার্থী

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ১২ এপ্রিল, ২০২৫ | ৭:২১ 57 ভিউ
যুক্তরাষ্ট্রে সম্প্রতি ফিলিস্তিনপন্থি একটি বিক্ষোভে অংশ নেওয়ার কারণে কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মাহমুদ খলিলকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বহিষ্কারে সম্মতি দিয়েছে মার্কিন একটি আদালত। তাকে একমাস আগেই আটক করা হয়েছিল। ৩০ বছর বয়সি মাহমুদ খলিল যদিও যুক্তরাষ্ট্রের স্থায়ী বাসিন্দা, অর্থাৎ তিনি আমেরিকার গ্রিন কার্ডধারী এবং তার বিরুদ্ধে এর আগের কোনও অপরাধের অভিযোগ নেই। কারাগার থেকে এক চিঠিতে তিনি লিখেছেন, ফিলিস্তিনিদের অধিকারের পক্ষে কথা বলার কারণেই তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র ও সোভিয়েত ইউনিয়নের মধ্যে স্নায়ুযুদ্ধের সময়কার একটি অভিবাসন আইনে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে, যেখানে বলা হয়েছে, খলিলের উপস্থিতি আমেরিকার পররাষ্ট্র নীতিগত স্বার্থের বিরুদ্ধে। তবে আদালতের রায়ের অর্থ এই নয় যে তাকে তাৎক্ষণিকভাবে দেশ থেকে

বিতাড়ন করা হবে। বিচারক মাহমুদ খলিলের আইনজীবীদেরকে আদালতের দেওয়া আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করার জন্য আগামী ২৩শে এপ্রিল পর্যন্ত সময় দিয়েছেন। মাহমুদ খলিল গত আটই মার্চ থেকে লুইজিয়ানা ডিটেনশন সেন্টারে আটক রয়েছেন। তারপর থেকে তার মুক্তির দাবিতে যুক্তরাষ্ট্রে বিক্ষোভ, মিছিল, সমাবেশ সবকিছুই হয়েছে। গ্রেফতারের দিন অভিবাসন কর্মকর্তারা তাকে বলেছিলেন যে ফিলিস্তিনের পক্ষে আয়োজিত বিক্ষোভে অংশগ্রহণ করার জন্যই তাকে দেশ থেকে বহিষ্কার করা হচ্ছে। কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে গাজা যুদ্ধবিরোধী বিক্ষোভের অন্যতম পরিচিত মুখ খলিল। ট্রাম্প প্রশাসন ১৯৫২ সালের যে আইনে তাকে আটক করেছে, সেই আইনে সরকারকে ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে, আমেরিকায় কোন ব্যক্তির উপস্থিতি যদি দেশটির পররাষ্ট্রনীতির সঙ্গে বিরোধপূর্ণ হয়, তাহলে সরকার তাকে আমেরিকা ছেড়ে যাওয়ার আদেশ দিতে

পারবে। বিচারক জানিয়েছেন, মাহমুদ খলিলের উপস্থিতি যুক্তরাষ্ট্রের বৈদেশিক নীতিতে বিরূপ প্রভাব ফেলার বিষয়ে ট্রাম্প প্রশাসন যে কারণ দেখিয়েছে, তা যুক্তিসংগত। ফলে মাহমুদ খলিলকে বহিষ্কারের পথে হাঁটতে ট্রাম্প প্রশাসনের কোনও বাধা নেই। আদালতের রায়ের পর এতদিন ধরে নীরব থেকে আসা মাহমুদ খলিল বলেন, আপনি নিজেই আগের শুনানিতে বলেছিলেন, এই আদালতের কাছে মৌলিক সুবিচার ও ন্যায়পরায়ণতার চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কিছু নেই। ‘কিন্তু আজকে আমরা যা দেখলাম, তাতে স্পষ্টতই এই নীতিগুলির কোনওটিই আজ ছিল না। এমনকি, এই পুরো প্রক্রিয়ার কোথাও এগুলো নেই।’ ‘ঠিক এই কারণেই ট্রাম্প প্রশাসন আমাকে আমার পরিবার থেকে এক হাজার মাইল দূরের এই আদালতে পাঠিয়েছে,’ যোগ করেন মাহমুদ খলিল। মানবাধিকার সংগঠন ‘আমেরিকান সিভিল লিবার্টিজ ইউনিয়ন’ (এসিএলইউ) আদালতের

এ সিদ্ধান্তকে ‘পূর্বনির্ধারিত’ বলে মন্তব্য করেছে। মানবাধিকার সংস্থাগুলো বলছে, ‘প্রমাণ’ হিসেবে আদালতে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের একটি নথি জমা দেওয়ার ৪৮ ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যে এ রায় আসল। অথচ সেখানে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও’র পাঠানো একটি চিঠি ছাড়া আর কিছু ছিল না। এটাই পরিষ্কার করে দিচ্ছে যে, খলিল কোনও অপরাধ করেননি, বরং তার বক্তব্যের কারণেই এককভাবে তাকে নিশানা করা হয়েছে। সরকার, বিশেষ করে রুবিও’র তরফ থেকে বলা হয়েছে, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অধ্যয়নরত ইহুদি শিক্ষার্থীদের হয়রানি ও সহিংসতা থেকে রক্ষা করার জন্য’ এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে— যদিও মাহমুদ খলিলের কর্মকাণ্ড ‘আইনসম্মত’ ছিল। যুক্তরাষ্ট্রের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগের মন্ত্রী ক্রিস্টি নোয়েম শুক্রবার আদালতের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন। তিনি তার সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন,

‘যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস ও পড়াশুনার করার জন্য ভিসা বা গ্রিন কার্ড পাওয়া একপ্রকার সৌভাগ্য। কিন্তু যখন আপনি সহিংসতাকে উস্কে দিবেন, সন্ত্রাসীদের প্রশংসা ও সমর্থন করবেন বা ইহুদিদের হয়রানির মুখে ফেলবেন— তখন আপনার আর এখানে থাকার কোনও অধিকার নেই। বিদায়!’ মাহমুদ খলিলের আইনজীবীরা বারবার বলছেন যে আদালতে মাহমুদ খলিলের বিরুদ্ধে ধর্মবিদ্বেষ বা সহিংসতা বিষয়ক কোনও প্রমাণ এখনও উপস্থাপন করা হয়নি। তার আইনজীবী মার্ক ভ্যান ডের হাউট এ সিদ্ধান্তের নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এই মুহূর্তে যা চলছে, সেগুলোর বিরুদ্ধে কথা বলার জন্য মাহমুদ খলিলের অধিকারের পক্ষে তারা লড়াই চালিয়ে যাবে। এই মামলাটির আবারও শুনানি হবে বলে তারা আশা করছেন। আইনজীবী জনি সিনোডিস বলেন, শুনানির পর

তার সঙ্গে আমার দীর্ঘসময় কথা হয়েছে। তিনি আত্মবিশ্বাসী এবং তিনি জানেন যে তার সমর্থনে অনেকেই আছে। মাহমুদ খলিল নিউ জার্সির একটি ফেডারেল আদালতে তার গ্রেফতারকে সংবিধানবিরোধী বলে চ্যালেঞ্জ করে আরেকটি মামলা করেছেন। ওই মামলায় জিতলে যুক্তরাষ্ট্র থেকে তার বহিষ্কারকে ঠেকানো যেতে পারে। এদিকে ট্রাম্প প্রশাসন দাবি করেছে যে খলিল তার গ্রিন কার্ডের আবেদনে কয়েকটি তথ্য গোপন করেছিলেন। যেমন, বৈরুতের ব্রিটিশ দূতাবাস এবং ফিলিস্তিনি অভিবাসী ও শরণার্থীদের নিয়ে কাজ করা জাতিসংঘের একটি সংস্থায় চাকরির বিষয়টি। যদিও এ বিষয়ক আর কোনও নতুন প্রমাণ সরকার আদালতে উপস্থাপন করেনি। হোয়াইট হাউজের সহকারী প্রেস সেক্রেটারি টেইলর রজার্স এক বিবৃতিতে বলেন, আমাদের অভিবাসন আইন বাস্তবায়নের বিষয়ে ট্রাম্প প্রশাসন দৃঢ়প্রতিজ্ঞ এবং যারা

যুক্তরাষ্ট্রের জন্য বৈদেশিক নীতির দিক থেকে ক্ষতিকর—তাদেরকে দ্রুত সরিয়ে দেওয়া হবে।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
অবৈধ আইসিটি ট্রাইব্যুনালের প্রহসনমূলক বিচারের রায় প্রত্যাখ্যান করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কর্মসূচি ১৮ নভেম্বর : সারা দেশে সর্বাত্মক শাটডাউন The political Lens By RP Station মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ক্যাঙ্গারু কোর্টের রায় প্রত্যাখ্যান ও দখলদার ফ্যাসিস্ট ইউনূস সরকারের পদত্যাগ অবধি দুর্বার আন্দোলনের ঘোষণা স্বেচ্ছাসেবক লীগের। শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও প্রহসনমূলক মামলার সাজানো রায় প্রত্যাখ্যান করেছে বাংলাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০০১ প্রগতিশীল শিক্ষকবৃন্দ আইসিটির দেওয়া রায় প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিবৃতি অবৈধ ট্রাইব্যুনালকে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ ঘৃণাভরে তীব্রভাবে প্রত্যাখ্যান করছে। ওয়ার্কার্স পার্টির কার্যালয় দখলের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিবৃতি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক নেতৃবৃন্দের বিবৃতি তথাকথিত বেআইনি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল (আইসিটি) কর্তৃক প্রদত্ত রায় প্রত্যাখ্যান করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিবৃতি শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ‘প্রহসনমূলক’ বিচার : বিদেশে অবস্থানরত মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের চিকিৎসকদের তীব্র নিন্দা ১০২ জন সাংবাদিকের যৌথ বিবৃতি প্রেস বিজ্ঞপ্তি বাংলাদেশের বৈধ প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে চলমান প্রহসনমূলক বিচার এর প্রেক্ষিতে দেশে বিদেশে অবস্থানরত মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের ১০০ জন চিকিৎসকের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ ইউনুসের পুলিশের হাতে খুন হলেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা নতুন বাংলাদেশের অসহায় বাস্তবতা রাতেও ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বিক্ষোভ ধানমন্ডি ২৭-এ পরপর দুটি ককটেল বিস্ফোরণ শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায়: মিষ্টি বিতরণ নিয়ে বরিশালে ছাত্রদলের দুপক্ষের সংঘর্ষ, নিহত ১ শেখ হাসিনার প্রহসনমূলক বিচারের প্রেক্ষিতে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের ১০১ প্রকৌশলীর প্রতিবাদ রায় প্রত্যাখ্যান করল আওয়ামী লীগ, সারা দেশে শাটডাউনের ডাক শেখ হাসিনার প্রহসনমূলক বিচারের প্রেক্ষিতে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের ১০০ জন চিকিৎসকের প্রতিবাদ