ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর
ওসমান হাদিকে গুলি : সন্দেহভাজন ফয়সলের স্ত্রীসহ আটক ৩
খুলনায় দুর্বৃত্তদের গুলিতে যুবক নিহত
শান্তিরক্ষী মিশনে সুদানে ড্রোন হামলায় আহত ঘিওরের চুমকি
সেন্টমার্টিন যাত্রায় সক্রিয় জালিয়াতি চক্র, টিকিট যেন সোনার হরিণ
ময়মনসিংহে হেলে পড়েছে ৫ তলা ভবন
নয়া বন্দোবস্তঃ মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী পুরনো ষড়যন্ত্র
খুলনায় জামায়াত প্রার্থী কৃষ্ণ নন্দীর ভারতীয় ভিসা আবেদন প্রত্যাখ্যান: নথিপত্রে অসংগতি ও সন্দেহের জেরে বিভ্রাট
ভোলায় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতার ছোট ভাইকে ‘ হত্যার উদ্দেশ্যে’ ছাত্রদল-শিবিরের হামলার অভিযোগ
ভোলার দৌলতখান উপজেলায় পরীক্ষা শেষে বাড়ি ফেরার পথে দশম শ্রেণির এক কিশোর শিক্ষার্থীর ওপর অতর্কিত সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে। ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থীর নাম হাফেজ হুজ্জাতুল ইসলাম অংকন (১৬)। তিনি দৌলতখান সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র এবং বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের উপ-সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বিষয়ক সম্পাদক হামজা রহমান অন্তরের আপন ছোট ভাই।
গত বুধবার (১০ ডিসেম্বর) এসএসএসি পরীক্ষার প্রস্তুতিমূলক চূড়ান্ত মূল্যায়ন পরীক্ষা শেষে বাড়ি ফেরার পথে এই হামলার শিকার হন তিনি। পরিবারের অভিযোগ, হত্যা করার উদ্দেশ্যেই স্থানীয় জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল ও ইসলামি ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীরা এই হামলা চালিয়েছে।
ভুক্তভোগীর পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সূত্রে জানা যায়, পরীক্ষা শেষে ফেরার পথে দৌলতখান উপজেলার বিভিন্ন কমিটির
অধীনে সক্রিয় ছাত্রদল ও শিবিরের একদল নেতাকর্মী অংকনকে ঘিরে ধরে এবং এলোপাতাড়ি মারধর করে। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। পরে তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় মেডিকেল সেন্টারে চিকিৎসা দেওয়া হয়। হামলার পরদিনও অংকনকে ডেকে নিয়ে পুনরায় হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে তার পরিবার। পরিবারের দাবি, অংকনের বড় ভাই হামজা রহমান অন্তর ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতা এবং জনপ্রিয় অনলাইন এক্টিভিস্ট। তিনি দীর্ঘদিন ধরে ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কর্মকাণ্ড ও জামায়াত-বিএনপির রাজনীতির বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরব রয়েছেন। রাজনৈতিক এই প্রতিহিংসা ও পূর্বশত্রুতার জের ধরেই তার নিরপরাধ ছোট ভাইয়ের ওপর এই পরিকল্পিত হামলা চালানো হয়েছে। হামলার ঘটনায় প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত থাকার অভিযোগে বেশ
কয়েকজনের নাম উল্লেখ করেছে ভুক্তভোগীর পরিবার। অভিযুক্তরা হলেন— ছাত্রদল কর্মী ও কথিত গুপ্ত শিবির সদস্য আবির হাসান (২৫), দৌলতখান পৌর ছাত্রদলের আহ্বায়ক মো. রায়হান (২৮), উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব সোহান হাওলাদার (৩০), যুবদল নেতা ফরাজি শহিদুল ইসলাম এ্যানি (৩৬), যুবদল নেতা ফরাজি রাশেদ (৩৫), ছাত্রদল কর্মী মাহি ভূইয়া (২৩) এবং উমেদ হোসেন তামিম (২৬)। এলাকাবাসীর মতে, অভিযুক্তরা স্থানীয়ভাবে ছাত্রদল ও শিবিরের ক্যাডার হিসেবে পরিচিত। হামলার আগে অভিযুক্ত সোহান হাওলাদার ও মো. রায়হান সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হুমকি দিচ্ছিলেন এবং অন্যরা অংকনের বড় ভাইকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করছিলেন। অভিযোগ রয়েছে, হামলায় জড়িতরা এর আগেও সহিংস কর্মকাণ্ডে যুক্ত ছিলেন। এর মধ্যে আবির হাসানের বিরুদ্ধে ২০২৪
সালের ৫ আগস্ট গণভবনে লুটপাট এবং ঢাকায় হামজা রহমান অন্তরের বাসায় জঙ্গি কায়দায় হামলার অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া আরেক অভিযুক্ত উমেদ হোসেন তামিমকে ২০২৫ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় উল্লাস করতে দেখা গেছে বলে অভিযোগ রয়েছে। হামজা রহমান অন্তর বর্তমানে রাজনৈতিক কারণে যুক্তরাজ্যের লন্ডনে নির্বাসিত জীবন যাপন করছেন। এর আগে ২০২৪ সালের জুলাই ও আগস্ট মাসে তার ওপর দুই দফা হামলার ঘটনা ঘটেছিল। ছোট ভাইয়ের ওপর হামলার বিষয়ে লন্ডন থেকে তিনি বলেন, “জামায়াত-বিএনপির রাজত্বে ছাত্রলীগ নেতার ছোট ভাই হওয়ার অপরাধে অংকনের ওপর হামলা করা হলো। অংকন একজন হাফেজে কোরআন এবং নিরীহ ছাত্র। নিশ্চয়ই এসব
অন্যায়ের একদিন বিচার হবে। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ আবারও জনগণের সমর্থন নিয়ে সরকার গঠন করে দেশে সুশাসন ফিরিয়ে আনবে।” এ বিষয়ে অভিযুক্তদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। দৌলতখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি সাড়া দেননি। এদিকে, একজন স্কুলছাত্র ও হাফেজে কোরআনের ওপর এমন বর্বরোচিত হামলার ঘটনায় স্থানীয় সাধারণ মানুষ ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। ভুক্তভোগীর পরিবার দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে।
অধীনে সক্রিয় ছাত্রদল ও শিবিরের একদল নেতাকর্মী অংকনকে ঘিরে ধরে এবং এলোপাতাড়ি মারধর করে। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। পরে তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় মেডিকেল সেন্টারে চিকিৎসা দেওয়া হয়। হামলার পরদিনও অংকনকে ডেকে নিয়ে পুনরায় হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে তার পরিবার। পরিবারের দাবি, অংকনের বড় ভাই হামজা রহমান অন্তর ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতা এবং জনপ্রিয় অনলাইন এক্টিভিস্ট। তিনি দীর্ঘদিন ধরে ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কর্মকাণ্ড ও জামায়াত-বিএনপির রাজনীতির বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরব রয়েছেন। রাজনৈতিক এই প্রতিহিংসা ও পূর্বশত্রুতার জের ধরেই তার নিরপরাধ ছোট ভাইয়ের ওপর এই পরিকল্পিত হামলা চালানো হয়েছে। হামলার ঘটনায় প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত থাকার অভিযোগে বেশ
কয়েকজনের নাম উল্লেখ করেছে ভুক্তভোগীর পরিবার। অভিযুক্তরা হলেন— ছাত্রদল কর্মী ও কথিত গুপ্ত শিবির সদস্য আবির হাসান (২৫), দৌলতখান পৌর ছাত্রদলের আহ্বায়ক মো. রায়হান (২৮), উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব সোহান হাওলাদার (৩০), যুবদল নেতা ফরাজি শহিদুল ইসলাম এ্যানি (৩৬), যুবদল নেতা ফরাজি রাশেদ (৩৫), ছাত্রদল কর্মী মাহি ভূইয়া (২৩) এবং উমেদ হোসেন তামিম (২৬)। এলাকাবাসীর মতে, অভিযুক্তরা স্থানীয়ভাবে ছাত্রদল ও শিবিরের ক্যাডার হিসেবে পরিচিত। হামলার আগে অভিযুক্ত সোহান হাওলাদার ও মো. রায়হান সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হুমকি দিচ্ছিলেন এবং অন্যরা অংকনের বড় ভাইকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করছিলেন। অভিযোগ রয়েছে, হামলায় জড়িতরা এর আগেও সহিংস কর্মকাণ্ডে যুক্ত ছিলেন। এর মধ্যে আবির হাসানের বিরুদ্ধে ২০২৪
সালের ৫ আগস্ট গণভবনে লুটপাট এবং ঢাকায় হামজা রহমান অন্তরের বাসায় জঙ্গি কায়দায় হামলার অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া আরেক অভিযুক্ত উমেদ হোসেন তামিমকে ২০২৫ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় উল্লাস করতে দেখা গেছে বলে অভিযোগ রয়েছে। হামজা রহমান অন্তর বর্তমানে রাজনৈতিক কারণে যুক্তরাজ্যের লন্ডনে নির্বাসিত জীবন যাপন করছেন। এর আগে ২০২৪ সালের জুলাই ও আগস্ট মাসে তার ওপর দুই দফা হামলার ঘটনা ঘটেছিল। ছোট ভাইয়ের ওপর হামলার বিষয়ে লন্ডন থেকে তিনি বলেন, “জামায়াত-বিএনপির রাজত্বে ছাত্রলীগ নেতার ছোট ভাই হওয়ার অপরাধে অংকনের ওপর হামলা করা হলো। অংকন একজন হাফেজে কোরআন এবং নিরীহ ছাত্র। নিশ্চয়ই এসব
অন্যায়ের একদিন বিচার হবে। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ আবারও জনগণের সমর্থন নিয়ে সরকার গঠন করে দেশে সুশাসন ফিরিয়ে আনবে।” এ বিষয়ে অভিযুক্তদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। দৌলতখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি সাড়া দেননি। এদিকে, একজন স্কুলছাত্র ও হাফেজে কোরআনের ওপর এমন বর্বরোচিত হামলার ঘটনায় স্থানীয় সাধারণ মানুষ ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। ভুক্তভোগীর পরিবার দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে।



