ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর
কুষ্টিয়া নির্বাচন অফিসে দুর্বৃত্তদের আগুন, পুড়ল গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র
সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে: ভলকার তুর্ক
ভালুকায় যুবককে পিটিয়ে ও পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় মামলা
রহস্যজনক মৃত্যু ঘিরে তদন্ত অব্যাহত হাজারীবাগে এনসিপি নেত্রী জান্নাত আরা রুমির মরদেহ উদ্ধার
‘দেখামাত্র গ্রেপ্তার’ নির্দেশ: ইউনুস সরকারের নগ্ন ফ্যাসিবাদ
মায়ের বয়সী নারীকে ধানমন্ডি ৩২ এর রাস্তায় হে/নঃস্তা করা এনসিপি নেত্রী রুমির ঝু/ল/ন্ত ম/র/দেঃহ উদ্ধার:
ফেনী সদর: শর্শদি বাজার শাখায় গ্রামীণ ব্যাংকে অগ্নিসংযোগ, তিন মোটরসাইকেল পুড়ে ছাই
ভিডিও প্রমাণ: ময়মনসিংহে গণপিটুনিতে নিহত হিন্দু যুবক পুলিশের হেফাজতেই ছিলেন, কারখানা থেকে ছিনিয়ে নেওয়া হয়নি
গত ১৯ ডিসেম্বর ময়মনসিংহের ভালুকায় ধর্ম অবমাননার অভিযোগে দীপু চন্দ্র দাস (২৭) নামের এক হিন্দু যুবককে পিটিয়ে ও জ্যান্ত পুড়িয়ে মারার ঘটনায় চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এসেছে। পুলিশ ও র্যাব দাবি করেছে যে উত্তেজিত জনতা ওই যুবককে একটি পোশাক কারখানা থেকে ছিনিয়ে নিয়েছিল। তবে ঘটনার ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, নির্মম হত্যাকাণ্ডের ঠিক আগে দীপু চন্দ্র দাস পুলিশ হেফাজতে অর্থাৎ ভালুকা থানার ওসির (অফিসার ইনচার্জ) কক্ষেই উপস্থিত ছিলেন।
‘নর্থইস্ট নিউজ’-এর অনুসন্ধানে উঠে এসেছে যে, ঘটনার তদন্তভার র্যাব-১৪ গ্রহণ করার আগেই একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিওতে দেখা যায়, নীল শার্ট পরিহিত দীপু ভালুকা থানার ওসি হুমায়ুন কবিরের কক্ষে বসে পুলিশ
কর্মকর্তাদের কাছে নিজেকে নির্দোষ প্রমাণের জন্য অনুনয়-বিনয় করছেন। ঠিক সেই সময়েই থানার বাইরে উত্তেজিত জনতা তার শাস্তির দাবিতে স্লোগান দিচ্ছিল। ঘটনার পর গত ২০ ডিসেম্বর র্যাব-১৪ এর পরিচালক নাইমুল হাসান এবং ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) নজরুল ইসলাম দাবি করেন, ‘ফিনিক্স নিটিং লিমিটেড’ নামক কারখানার ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ দীপুকে উত্তেজিত জনতার হাতে তুলে দিয়েছিল। এরপর জনতা তাকে টেনেহিঁচড়ে ভালুকা স্কয়ারে নিয়ে যায়, খুঁটির সাথে বাঁধে এবং পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ ঘটনায় কারখানার মালিকসহ মোট সাতজনকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে। কিন্তু ভিডিও প্রমাণ বলছে ভিন্ন কথা। ভিডিওতে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে, কারখানায় শ্রমিকদের হামলার পর দীপু কোনোমতে পালিয়ে থানায় আশ্রয়
নিয়েছিলেন। পুলিশের ওসির কক্ষে তিনি নিরাপত্তা চেয়েছিলেন। প্রশ্ন উঠেছে, পুলিশের হেফাজত বা ওসির কক্ষ থেকে কীভাবে তাকে জনতা ছিনিয়ে নিল অথবা পুলিশ তাকে জনতার হাতে তুলে দিল কি না, তা নিয়ে ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয়েছে। এ বিষয়ে ওসির সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। ঘটনার প্রেক্ষাপট গত ১৯ ডিসেম্বর সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালে উগ্রবাদী সংগঠন ‘ইনকিলাব মঞ্চ’-এর আহ্বায়ক শরীফ ওসমান হাদী (যার প্রকৃত নাম ওসমান গনি) মারা যান। গত ১২ ডিসেম্বর, যেদিন বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন ২০২৬ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করে, সেদিনই ঢাকার পুরানা পল্টন এলাকায় মোটরসাইকেলে আসা দুর্বৃত্তরা গনিকে খুব কাছ থেকে গুলি করে। গনির মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার
পরই দেশের বিভিন্ন স্থানে উত্তেজনা দেখা দেয়। এরই জের ধরে ভালুকায় দীপু চন্দ্র দাসের বিরুদ্ধে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তোলা হয়। প্রথমে কারখানার ভেতরেই তাকে মারধর করা হয়, সেখান থেকে পালিয়ে তিনি থানায় গেলেও শেষ রক্ষা হয়নি। অভিযোগ রয়েছে, যখন তাকে পুড়িয়ে মারা হচ্ছিল, তখনো তার শরীরে প্রাণ ছিল এবং জনতা উল্লাস করছিল। পুলিশের দাবি, ওসমান গনির হত্যাকারীরা ভারতে পালিয়ে গেছে বলে তাদের কাছে তথ্য রয়েছে। তবে দীপু চন্দ্র দাসের হত্যাকাণ্ড এবং পুলিশ হেফাজতে তার উপস্থিতির ভিডিও প্রমাণ নিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বক্তব্যে বড় ধরনের অসঙ্গতি দেখা দিয়েছে।
কর্মকর্তাদের কাছে নিজেকে নির্দোষ প্রমাণের জন্য অনুনয়-বিনয় করছেন। ঠিক সেই সময়েই থানার বাইরে উত্তেজিত জনতা তার শাস্তির দাবিতে স্লোগান দিচ্ছিল। ঘটনার পর গত ২০ ডিসেম্বর র্যাব-১৪ এর পরিচালক নাইমুল হাসান এবং ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) নজরুল ইসলাম দাবি করেন, ‘ফিনিক্স নিটিং লিমিটেড’ নামক কারখানার ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ দীপুকে উত্তেজিত জনতার হাতে তুলে দিয়েছিল। এরপর জনতা তাকে টেনেহিঁচড়ে ভালুকা স্কয়ারে নিয়ে যায়, খুঁটির সাথে বাঁধে এবং পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ ঘটনায় কারখানার মালিকসহ মোট সাতজনকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে। কিন্তু ভিডিও প্রমাণ বলছে ভিন্ন কথা। ভিডিওতে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে, কারখানায় শ্রমিকদের হামলার পর দীপু কোনোমতে পালিয়ে থানায় আশ্রয়
নিয়েছিলেন। পুলিশের ওসির কক্ষে তিনি নিরাপত্তা চেয়েছিলেন। প্রশ্ন উঠেছে, পুলিশের হেফাজত বা ওসির কক্ষ থেকে কীভাবে তাকে জনতা ছিনিয়ে নিল অথবা পুলিশ তাকে জনতার হাতে তুলে দিল কি না, তা নিয়ে ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয়েছে। এ বিষয়ে ওসির সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। ঘটনার প্রেক্ষাপট গত ১৯ ডিসেম্বর সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালে উগ্রবাদী সংগঠন ‘ইনকিলাব মঞ্চ’-এর আহ্বায়ক শরীফ ওসমান হাদী (যার প্রকৃত নাম ওসমান গনি) মারা যান। গত ১২ ডিসেম্বর, যেদিন বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন ২০২৬ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করে, সেদিনই ঢাকার পুরানা পল্টন এলাকায় মোটরসাইকেলে আসা দুর্বৃত্তরা গনিকে খুব কাছ থেকে গুলি করে। গনির মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার
পরই দেশের বিভিন্ন স্থানে উত্তেজনা দেখা দেয়। এরই জের ধরে ভালুকায় দীপু চন্দ্র দাসের বিরুদ্ধে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তোলা হয়। প্রথমে কারখানার ভেতরেই তাকে মারধর করা হয়, সেখান থেকে পালিয়ে তিনি থানায় গেলেও শেষ রক্ষা হয়নি। অভিযোগ রয়েছে, যখন তাকে পুড়িয়ে মারা হচ্ছিল, তখনো তার শরীরে প্রাণ ছিল এবং জনতা উল্লাস করছিল। পুলিশের দাবি, ওসমান গনির হত্যাকারীরা ভারতে পালিয়ে গেছে বলে তাদের কাছে তথ্য রয়েছে। তবে দীপু চন্দ্র দাসের হত্যাকাণ্ড এবং পুলিশ হেফাজতে তার উপস্থিতির ভিডিও প্রমাণ নিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বক্তব্যে বড় ধরনের অসঙ্গতি দেখা দিয়েছে।



