ভন্ড পীরকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ – ইউ এস বাংলা নিউজ




ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আপডেটঃ ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫
     ৯:০০ পূর্বাহ্ণ

ভন্ড পীরকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ | ৯:০০ 167 ভিউ
গাজীপুরের শ্রীপুরে মনির শাহ নামে এক ভন্ড পীরকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশের সোপর্দ করেছেন স্থানীয় তৌহিদী জনতা। মনির শাহকে পুলিশি হেফাজতে আছেন বলে বিষয়টি পুলিশের পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে। রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরের দিকে তাকে পুলিশে তুলে দেওয়া হয়। মনির শাহ (৪১) সিরাজগঞ্জ জেলার কামারখন্দ উপজেলার জামতৈল গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে। তিনি ২০০২ সালে গাজীপুরের শ্রীপুরের বারতোপা গ্রামে শালবনের ভেতর বিশ্ব মানব ধর্ম মেলা নামে আস্তানা গড়ে তুলেছিলেন। ‌ সেখানে আস্তানা গড়তে তিনি ধ্বংস করেছেন বনভূমির বিশাল অংশ। সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে গত ২০১৭ সালে তাকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। এরপর আধ্যাত্মিক সাধনার নামে বিতর্কিত কর্মকান্ডে সম্প্রতি আলোচনায় আসেন তিনি। স্থানীয় লোকজন, পুলিশ ও তৌহিদী

জনতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বেশ কয়েক বছর আগে মাওনা হেরাবনে অস্থায়ী আস্তানা গারে মনির শাহ। সেসময় ধর্মীয় বিতর্কিত কান্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে তাঁকে সেখান থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়।পূনরায় সেখানে ফিরলে সম্প্রতি আলোচনায় থাকা মনির শাহ ও তার অবৈধ আস্থানা ঘিরে কয়েক দিন ধরেই শোরগোল চলছিল। এক পর্যায়ে রোববার সকালে এ ধরনের কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদে সমাবেশের ডাক দেয় স্থানীয় তৌহিদী জনতা। তারা সমাবেশ শুরুর আগেই মনির শাহ শ্রীপুরের মাওনা চৌরাস্তার জামিয়া ইসলামিয়া কওমি মাদ্রাসায় আসেন। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে তার আস্তানায় অনুষ্ঠিতব্য ওরশের দাওয়াত দিতে এসেছিলেন তিনি। তার উপস্থিতি মাদ্রাসা ও আশপাশের স্থানীয় জনগণের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি করে। কিছুক্ষণের মধ্যেই সেখানে

বিভিন্ন মাদ্রাসার শিক্ষক, শিক্ষার্থী, ওলামা মাশায়েক ও স্থানীয় জনতা জড়ো হতে থাকেন। এক পর্যায়ে মনির শাহ এর উপর চড়াও হন তারা। খবর পেয়ে ওই মাদ্রাসার মুহতামিম মুফতি জামাল উদ্দিন সহ গণ্যমান্য তৌহিদি জনতা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে মনির শাহ এর নিরাপত্তা দেন। পরে শ্রীপুর থানা পুলিশকে খবর দিয়ে মনির শাহকে তাদের হাতে তুলে দেন। স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন, পুলিশ মনির শাহ কে হেফাজতে নেওয়ার পর তাকে গাড়িতে তোলার সময় তৌহিদী জনতা তার উপর হামলা চালায়। গণধোলাই দেওয়া হয় তাকে। এ সময় পুলিশ যথা সম্ভব নিরাপত্তা দিয়ে তাকে গাড়িতে তুলে নিয়ে চলে যায়। জামিয়া ইসলামিয়া কওমি মাদ্রাসার মুহতামিম মুফতি জামাল উদ্দিন বলেন, বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে জড়িত

থাকায় স্থানীয় ছাত্র জনতা, তৌহিদী জনতা সহ সবাই মনির শাহ এর উপর ক্ষুব্ধ। তাকে দেখতে পেয়ে উত্তেজিত হয়ে মারধরও করার চেষ্টা করা হয়েছে। আমরা তার নিরাপত্তা দিয়ে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছি।' শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জয়নাল আবেদীন মণ্ডল বলেন, স্থানীয় লোকজন মনির শাহ নাম একজনকে আটক করে আমাদের কাছে হস্তান্তর করেছে। আমরা এই ঘটনায় পরবর্তী আইনি কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি।'

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
বোরখা পরে পার্লামেন্টে আসা সেই সিনেটরের পদ স্থগিত কড়াইল বস্তিতে ভয়াবহ আগুন মেট্রোর অনলাইন রিচার্জে ধস, ৪ ঘণ্টায় ৭ লাখ হিট তানজিন তিশার ভয়েস রেকর্ড রুপাজয়ী খই খইয়ের স্বপ্ন এখন অলিম্পিক মেট্রোরেলের ভাড়া কার্ডে প্রথম দিনই অনলাইন রিচার্জে বাধা যুক্তরাজ্যে ভিসা জালিয়াতি প্রমাণিত হলে যে শাস্তি টি-টোয়েন্টিতে মালয়েশিয়ার অলরাউন্ডারের বিরল কীর্তি বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম বাড়ল বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমলো, কারণ কী অধ্যাপক আলী রিয়াজের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভন ও জোরপূর্বক গর্ভপাতের গুরুতর অভিযোগ ফ্যাসিস্ট ইউনুসের প্রশাসনিক মব সন্ত্রাসের শিকার বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা – কর্মীরা। আমাদের সংগ্রাম চলবেই। “কোন প্রকার উন্নয়নের বাস্তবায়ন দেখছি না, কোন সংস্কার দেখছি না; আরও চুরি-ডাকাতি বাড়ছে” “বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ দল আওয়ামী লীগ, একটা সর্ববৃহৎ দল যদি নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করে তাহলে এটা কতটুকু ফলপ্রসূ হবে- তা আমি জানিনা” মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ সংশোধিত গেজেট (৩রা আগস্ট ২০২৫ প্রকাশিত) অনুযায়ী মোট ৮৩৬ জনকে ‘জুলাই শহীদ’ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে “আওয়ামী লীগের সময় সায়দাবাদে রাত ৩ টার সময় ৩ লক্ষ টাকা নিয়ে দাঁড়ায় থাকতে ভয় পাইতো না মানুষ; আর এখন রাত ১০ টার পরে ৩ হাজার টাকা নিয়ে থাকতেও ভয় পায়” পবিত্র কাবার সামনে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশের জন্য দোয়া চাইলেন সাকিব আল হাসান টেলিযোগাযোগ প্রকৌশলী আবু হেনার বিরুদ্ধে হিজবুত তাহরীর সংশ্লিষ্টতার গুরুতর অভিযোগ রাজধানীর বসুন্ধরায় লাকসাম উপজেলা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক আল আমিনের রহস্যজনক মৃত্যু: হত্যার অভিযোগ ইউনূস চরম পুরুষতান্ত্রিক, হাপিস করে দিয়েছেন নোবেলের সঙ্গিনী তসলিমা বেগমকে: তসলিমা নাসরিন