ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর
বিয়ের প্রলোভনে ব্র্যাক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ: এবি পার্টি নেতা ব্যারিস্টার ফুয়াদের বিরুদ্ধে মামলার নির্দেশে জনমনে তীব্র ক্ষোভ
‘শীতের রাতে বৃদ্ধ বাবা-মা ও নারীদের বিরক্ত না করলেও পারতেন’: জাকির
টেবিলের দাঁড়িয়ে মুফতি আমির হামজার বক্তব্য, তুমুল সমালোচনা
“বিএনপি নমিনেশন দেয়নি, তার ক্ষোভ গাড়ি ভেঙে কেন?” — ভুক্তভোগী
টিউলিপ সিদ্দিকের রায় নিয়ে যা বলছে লেবার পার্টি
কোন দেশের নাগরিক হয়ে মঙ্গলবার দেশে ফিরছেন তারেক রহমান
ফেসবুকে ভাইরাল গুলি ছোড়া যুবক জামায়াতের কর্মী : পুলিশ
ব্রিটিশ কোম্পানি হাউজের নথিতে তারেক রহমানের নাগরিকত্ব ‘ব্রিটিশ’: দ্বৈত নাগরিকত্ব ও নির্বাচনে যোগ্যতা নিয়ে নতুন বিতর্ক
যুক্তরাজ্যের কোম্পানি হাউজের (Companies House) নথিপত্রকে কেন্দ্র করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নাগরিকত্ব ও আগামী জাতীয় নির্বাচনে তার অংশগ্রহণ নিয়ে নতুন করে আইনি ও রাজনৈতিক বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। সম্প্রতি প্রকাশ্যে আসা ২০১৫ সালের একটি কোম্পানি নিবন্ধনের দলিলে তারেক রহমানকে ‘ব্রিটিশ’ নাগরিক হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
নথিপত্রে যা পাওয়া গেছে
যুক্তরাজ্যের সরকারি কোম্পানি নিবন্ধন দপ্তরের নথিতে দেখা যায়, ২০১৫ সালের ১লা জুলাই ‘হোয়াইট অ্যান্ড ব্লু কনসালটেন্টস লিমিটেড’ (White and Blue Consultants Limited) নামে একটি প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি খোলেন তারেক রহমান। কোম্পানিটির রেজিস্ট্রেশন নম্বর ৯৬৬৫৭৫০।
কোম্পানির পরিচালক হিসেবে ‘মিস্টার তারেক রহমান’-এর নাম উল্লেখ করা হয়েছে, যেখানে তার জন্ম তারিখ ২০ নভেম্বর ১৯৬৭। নথির ‘Nationality’
বা জাতীয়তা অংশে স্পষ্ট করে লেখা রয়েছে— 'BRITISH'। তার আবাসের ঠিকানা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে কিংস্টন আপন টেমস, ইংল্যান্ড। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, সরকারি নথিতে নিজেকে ব্রিটিশ নাগরিক হিসেবে পরিচয় দেওয়ার অর্থ হলো, তিনি আইনত যুক্তরাজ্যের নাগরিকত্ব গ্রহণ করেছেন এবং ব্রিটিশ পাসপোর্টধারী। নির্বাচনে অযোগ্যতার আইনি প্রশ্ন বাংলাদেশের সংবিধান ও বিদ্যমান নির্বাচনী আইন অনুযায়ী, কোনো ব্যক্তি যদি বিদেশি রাষ্ট্রের নাগরিকত্ব গ্রহণ করেন কিংবা কোনো বিদেশি রাষ্ট্রের প্রতি আনুগত্য স্বীকার করেন, তবে তিনি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার অযোগ্য বলে বিবেচিত হবেন। সংবিধানের ৬৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, দ্বৈত নাগরিকত্বধারীরা সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচনের অযোগ্য। যেহেতু যুক্তরাজ্যের কোম্পানি হাউজের নথিতে তারেক রহমানের জাতীয়তা ‘ব্রিটিশ’ হিসেবে লিপিবদ্ধ আছে, তাই আইনজ্ঞরা
মনে করছেন, বর্তমান অবস্থায় তার বাংলাদেশের সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার আইনি সুযোগ নেই। দেশে ফেরা ও আইনি জটিলতা তারেক রহমানের দেশে ফেরা নিয়েও রয়েছে আইনি ও প্রক্রিয়াগত জটিলতা। যদি তিনি ব্রিটিশ নাগরিকত্ব ধারণ করে থাকেন, তবে বাংলাদেশের রাজনীতিতে সক্রিয় হতে বা নির্বাচনে অংশ নিতে হলে তাকে প্রথমে ব্রিটিশ পাসপোর্ট ও নাগরিকত্ব পরিত্যাগ করতে হবে। কূটনৈতিক ও আইনি প্রক্রিয়ার সাথে সংশ্লিষ্টরা জানাচ্ছেন, ব্রিটিশ নাগরিকত্ব সারেন্ডার বা পরিত্যাগ করা একটি সময়সাপেক্ষ প্রক্রিয়া। চাইলেই তাৎক্ষণিকভাবে পাসপোর্ট জমা দিয়ে নাগরিকত্ব বাতিল করা যায় না। এর জন্য নির্দিষ্ট আইনি ধাপ পার হতে হয়, যা বেশ সময়ের ব্যাপার। এমতাবস্থায়, তারেক রহমান কবে নাগাদ ব্রিটিশ নাগরিকত্ব (যদি থেকে থাকে) ত্যাগ করে
বাংলাদেশে ফিরবেন এবং আগামী নির্বাচনে অংশ নেওয়ার যোগ্যতা অর্জন করবেন কি না—তা নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে চলছে জোর জল্পনা-কল্পনা।
বা জাতীয়তা অংশে স্পষ্ট করে লেখা রয়েছে— 'BRITISH'। তার আবাসের ঠিকানা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে কিংস্টন আপন টেমস, ইংল্যান্ড। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, সরকারি নথিতে নিজেকে ব্রিটিশ নাগরিক হিসেবে পরিচয় দেওয়ার অর্থ হলো, তিনি আইনত যুক্তরাজ্যের নাগরিকত্ব গ্রহণ করেছেন এবং ব্রিটিশ পাসপোর্টধারী। নির্বাচনে অযোগ্যতার আইনি প্রশ্ন বাংলাদেশের সংবিধান ও বিদ্যমান নির্বাচনী আইন অনুযায়ী, কোনো ব্যক্তি যদি বিদেশি রাষ্ট্রের নাগরিকত্ব গ্রহণ করেন কিংবা কোনো বিদেশি রাষ্ট্রের প্রতি আনুগত্য স্বীকার করেন, তবে তিনি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার অযোগ্য বলে বিবেচিত হবেন। সংবিধানের ৬৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, দ্বৈত নাগরিকত্বধারীরা সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচনের অযোগ্য। যেহেতু যুক্তরাজ্যের কোম্পানি হাউজের নথিতে তারেক রহমানের জাতীয়তা ‘ব্রিটিশ’ হিসেবে লিপিবদ্ধ আছে, তাই আইনজ্ঞরা
মনে করছেন, বর্তমান অবস্থায় তার বাংলাদেশের সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার আইনি সুযোগ নেই। দেশে ফেরা ও আইনি জটিলতা তারেক রহমানের দেশে ফেরা নিয়েও রয়েছে আইনি ও প্রক্রিয়াগত জটিলতা। যদি তিনি ব্রিটিশ নাগরিকত্ব ধারণ করে থাকেন, তবে বাংলাদেশের রাজনীতিতে সক্রিয় হতে বা নির্বাচনে অংশ নিতে হলে তাকে প্রথমে ব্রিটিশ পাসপোর্ট ও নাগরিকত্ব পরিত্যাগ করতে হবে। কূটনৈতিক ও আইনি প্রক্রিয়ার সাথে সংশ্লিষ্টরা জানাচ্ছেন, ব্রিটিশ নাগরিকত্ব সারেন্ডার বা পরিত্যাগ করা একটি সময়সাপেক্ষ প্রক্রিয়া। চাইলেই তাৎক্ষণিকভাবে পাসপোর্ট জমা দিয়ে নাগরিকত্ব বাতিল করা যায় না। এর জন্য নির্দিষ্ট আইনি ধাপ পার হতে হয়, যা বেশ সময়ের ব্যাপার। এমতাবস্থায়, তারেক রহমান কবে নাগাদ ব্রিটিশ নাগরিকত্ব (যদি থেকে থাকে) ত্যাগ করে
বাংলাদেশে ফিরবেন এবং আগামী নির্বাচনে অংশ নেওয়ার যোগ্যতা অর্জন করবেন কি না—তা নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে চলছে জোর জল্পনা-কল্পনা।



