ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর
অ-সরকারের সতেরো মাস : তিনগুণ খেলাপি ঋণ, শূন্য বিনিয়োগ
ক্ষমতার নেশায় বুঁদ হয়ে যারা দেশকে জিম্মি করে রেখেছে
আলাদিনের প্রদীপ থেকে বেরিয়ে আসা জ্বীনের কবলে যখন খোদ আলাদিনেরাই!
ক্ষমতার দাবার চালে অসুস্থ খালেদা জিয়া: মানবিকতার চেয়ে যখন রাজনৈতিক স্বার্থই মুখ্য!
লাশ নিয়ে টালবাহানা করিও না’—মৃত্যুর আগে সন্তানদের প্রতি রফিকুল্লা আফসারীর আবেগঘন ভিডিও বার্তা
একুশে ফেব্রুয়ারি শহীদ মে দিবস শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ের দিন হিন্দু সম্প্রদায়ের বিশ্বাসমতে জ্ঞান ও বিদ্যার দেবী পূজার ছুটি বাতিল ছুটির এই তালিকা প্রকাশ করেছে
আইনশৃঙ্খলার অজুহাতে আবহমান বাংলার সংস্কৃতির ওপর পরিকল্পিত আঘাত—ফরিদপুরে বন্ধ ঐতিহ্যবাহী ঘুড়ি উৎসব!
বিশ্বাসঘাতকতা ও ইতিহাস অস্বীকারই ড. ইউনুসের কৌশল
রাজনীতিতে দ্বিচারিতা যখন কৌশলে পরিণত হয়, তখন তা আর নেতৃত্ব থাকে না—তা হয়ে ওঠে সুপরিকল্পিত প্রতারণা। ড. ইউনুসের রাজনৈতিক অবস্থান আজ সেই প্রতারণারই প্রতীক।
দেশের ভেতরে ভারতবিরোধী আবেগে আগুন জ্বালানো, আর একই সঙ্গে ভারতের রাষ্ট্র ও প্রভাবশালী প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছ থেকে একের পর এক পুরস্কার-সম্মান কুড়িয়ে নেওয়া—এটি কোনো কূটনৈতিক ভারসাম্য নয়, এটি নীতিহীনতার প্রকাশ। তথ্য নির্মমভাবে কথা বলে। ভারত থেকে পাওয়া ১৮টির বেশি পুরস্কার ও সম্মাননা, তিনটি রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি, গান্ধী শান্তি পুরস্কার, এবং দু’দফা নরেন্দ্র মোদীর হাত থেকে স্বর্ণপদক—এসব কি নিছক কাকতাল? না কি আন্তর্জাতিক বৈধতা কেনার সুস্পষ্ট বিনিয়োগ?
নয়াদিল্লির পার্লামেন্ট হাউসের সেন্ট্রাল হলে বক্তৃতার বিরল সুযোগ, একাধিক সম্মানসূচক উপাধি—সব মিলিয়ে প্রশ্নটি আরও
তীব্র হয়: ভারত যদি শত্রু হয়, তবে এই ঘনিষ্ঠতা কেন? আর যদি ভারত বন্ধু হয়, তবে দেশের মানুষের সামনে এই দ্ব্যর্থক, উসকানিমূলক নাটক কেন? এখানেই ড. ইউনুসের রাজনীতির আসল চরিত্র উন্মোচিত হয়। অভিযোগ উঠছে—একদিকে আন্তর্জাতিক মহলে গ্রহণযোগ্যতা নিশ্চিত করা, অন্যদিকে ঘরোয়া রাজনীতিতে ভারতবিরোধী ভাষা ব্যবহার করে সমর্থন আদায়। এটি আদর্শের রাজনীতি নয়; এটি গোপন সমঝোতার ক্ষমতার খেলা। আরও উদ্বেগজনক হলো তাঁর ঘনিষ্ঠ সমর্থক বলয়ের তৎপরতা। ‘সেভেন সিস্টার্স’ ইস্যুতে উসকানিমূলক বক্তব্য, পাকিস্তানের সঙ্গে সান্নিধ্যের ইঙ্গিত, বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তির প্রতি নীরবতা এবং ভারতবিরোধী মৌলবাদী গোষ্ঠীর উত্থান—সব মিলিয়ে একটি বিপজ্জনক প্রবণতার ছক স্পষ্ট হয়। এসব প্রশ্ন উড়িয়ে দেওয়ার সুযোগ নেই, কারণ এর অভিঘাত রাজনীতির গণ্ডি ছাড়িয়ে রাষ্ট্রীয়
নিরাপত্তা পর্যন্ত পৌঁছায়। সবচেয়ে গুরুতর বিষয়টি হলো—স্বাধীনতার ইতিহাসকে খাটো করার চেষ্টা। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ভারতের অবদান কোনো মতামত নয়, এটি ঐতিহাসিক সত্য। সেই অবদান অস্বীকার করা মানে ইতিহাসের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করা। সমালোচকদের মতে, এই অস্বীকারও একটি কৌশল—এক শ্রেণির আবেগকে উসকে দিয়ে ক্ষমতার পথে দরজা খোলার কৌশল। বাংলাদেশের ভূরাজনীতিতে ভারত কোনো দূরবর্তী ধারণা নয়—এটি নিকটতম প্রতিবেশী ও কৌশলগত বাস্তবতা। এখানে মুখোশের রাজনীতি, সুবিধাবাদ আর দ্ব্যর্থকতা টেকসই নয়। নেতৃত্ব মানে স্পষ্টতা—বন্ধুত্ব হলে স্পষ্ট বন্ধুত্ব, বিরোধিতা হলে স্পষ্ট বিরোধিতা। মাঝখানে দাঁড়িয়ে সুবিধা নেওয়ার রাজনীতি শেষ পর্যন্ত জনগণের বিশ্বাসই ধ্বংস করে। আজ দেশের মানুষ আবেগে নয়, হিসাব করে প্রশ্ন তোলে। এই পুরস্কারগুলো সম্মান, না কি দরকষাকষির ফল? এই
ভারতবিরোধিতা আদর্শ, না কি ক্ষমতার হাতিয়ার? এটুকুই স্পষ্ট করে বলা জরুরিইতিহাস পদক দেখে নয়, অবস্থান দেখে বিচার করে। আর রাজনীতিতে সবচেয়ে বড় অপরাধ হলো জনগণের সামনে এক মুখ, ক্ষমতার করিডোরে আরেক মুখ।
তীব্র হয়: ভারত যদি শত্রু হয়, তবে এই ঘনিষ্ঠতা কেন? আর যদি ভারত বন্ধু হয়, তবে দেশের মানুষের সামনে এই দ্ব্যর্থক, উসকানিমূলক নাটক কেন? এখানেই ড. ইউনুসের রাজনীতির আসল চরিত্র উন্মোচিত হয়। অভিযোগ উঠছে—একদিকে আন্তর্জাতিক মহলে গ্রহণযোগ্যতা নিশ্চিত করা, অন্যদিকে ঘরোয়া রাজনীতিতে ভারতবিরোধী ভাষা ব্যবহার করে সমর্থন আদায়। এটি আদর্শের রাজনীতি নয়; এটি গোপন সমঝোতার ক্ষমতার খেলা। আরও উদ্বেগজনক হলো তাঁর ঘনিষ্ঠ সমর্থক বলয়ের তৎপরতা। ‘সেভেন সিস্টার্স’ ইস্যুতে উসকানিমূলক বক্তব্য, পাকিস্তানের সঙ্গে সান্নিধ্যের ইঙ্গিত, বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তির প্রতি নীরবতা এবং ভারতবিরোধী মৌলবাদী গোষ্ঠীর উত্থান—সব মিলিয়ে একটি বিপজ্জনক প্রবণতার ছক স্পষ্ট হয়। এসব প্রশ্ন উড়িয়ে দেওয়ার সুযোগ নেই, কারণ এর অভিঘাত রাজনীতির গণ্ডি ছাড়িয়ে রাষ্ট্রীয়
নিরাপত্তা পর্যন্ত পৌঁছায়। সবচেয়ে গুরুতর বিষয়টি হলো—স্বাধীনতার ইতিহাসকে খাটো করার চেষ্টা। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ভারতের অবদান কোনো মতামত নয়, এটি ঐতিহাসিক সত্য। সেই অবদান অস্বীকার করা মানে ইতিহাসের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করা। সমালোচকদের মতে, এই অস্বীকারও একটি কৌশল—এক শ্রেণির আবেগকে উসকে দিয়ে ক্ষমতার পথে দরজা খোলার কৌশল। বাংলাদেশের ভূরাজনীতিতে ভারত কোনো দূরবর্তী ধারণা নয়—এটি নিকটতম প্রতিবেশী ও কৌশলগত বাস্তবতা। এখানে মুখোশের রাজনীতি, সুবিধাবাদ আর দ্ব্যর্থকতা টেকসই নয়। নেতৃত্ব মানে স্পষ্টতা—বন্ধুত্ব হলে স্পষ্ট বন্ধুত্ব, বিরোধিতা হলে স্পষ্ট বিরোধিতা। মাঝখানে দাঁড়িয়ে সুবিধা নেওয়ার রাজনীতি শেষ পর্যন্ত জনগণের বিশ্বাসই ধ্বংস করে। আজ দেশের মানুষ আবেগে নয়, হিসাব করে প্রশ্ন তোলে। এই পুরস্কারগুলো সম্মান, না কি দরকষাকষির ফল? এই
ভারতবিরোধিতা আদর্শ, না কি ক্ষমতার হাতিয়ার? এটুকুই স্পষ্ট করে বলা জরুরিইতিহাস পদক দেখে নয়, অবস্থান দেখে বিচার করে। আর রাজনীতিতে সবচেয়ে বড় অপরাধ হলো জনগণের সামনে এক মুখ, ক্ষমতার করিডোরে আরেক মুখ।



