বিএনপি’র সন্ত্রাস আর ড. ইউনূসের সন্ত্রাস জামাতকে ক্ষমতায় বসার সুযোগ তৈরি করে দিচ্ছে। – ইউ এস বাংলা নিউজ




ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আপডেটঃ ১৬ অক্টোবর, ২০২৫
     ১১:০৭ অপরাহ্ণ

বিএনপি’র সন্ত্রাস আর ড. ইউনূসের সন্ত্রাস জামাতকে ক্ষমতায় বসার সুযোগ তৈরি করে দিচ্ছে।

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ১৬ অক্টোবর, ২০২৫ | ১১:০৭ 23 ভিউ
বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস সৃষ্টি করে বিএনপি'র জন্ম দিয়েছে স্বৈরশাসক জিয়াউর রহমান। একটি স্বাধীন দেশকে ধ্বংস করে দিয়ে বাংলাদেশকে পাকিস্তান বানানোর অপরাধে জিয়া অভিযুক্ত, জিয়া ছিলেন পাকিস্তানি গোয়েন্দাদের এজেন্ট - ধীরে ধীরে ক্ষমতায় থেকে এই দেশকে পাকিস্তান বানানোর সব প্রক্রিয়া স¤পূর্ণ করে ফেলেছিলেন, কিন্তু শেষ পর্যন্ত তার শেষ রক্ষা হয়নি - ১৯৮১ সালের ৩০ শে মে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে সেই অপরাধের মাসুল দিয়ে তাকে চির বিদায় নিতে হয়েছে খুব নিষ্ঠুর ভাবে, তার লাশও খুঁজে পাওয়া যায়নি। দীর্ঘ পথ পরিক্রমায় হুবহু জিয়ার মত রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস সৃষ্টি করে জঙ্গি - মৌলবাদী, সন্ত্রাসী গুন্ডাবাহিনী, সেনাবাহিনী, পুলিশ মিলেমিশে দেশের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে। দেশে প্রথমে

সন্ত্রাস সৃষ্টি করে জনমনে আতঙ্ক তৈরি করে - এরপর রাষ্ট্রীয় সব স্থাপনা ধ্বংস করে দেয়, জঙ্গি সন্ত্রাসীদের হাতে অস্ত্র তুলে দিয়ে নির্বিচারে মানুষ হত্যা শুরু করে দিয়ে দেশের নির্বাচিত এবং সবচেয়ে দীর্ঘতম সময় ক্ষমতায় থাকা প্রধানমন্ত্রীকে ক্ষমতাচ্যুত করে ক্ষমতা দখল করে ড. ইউনূস। ক্ষমতা দখল করে আবারো নতুন করে নতুন মাত্রায় সন্ত্রাস সৃষ্টি করে ড. ইউনূস। এখানে উল্লেখ্য যে - জিয়া ছিল পাকিস্তানের তৈরি করা সন্ত্রাসী, আর ড. ইউনূস মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তথা বাইডেনের তৈরি করা সন্ত্রাসী। ড. ইউনূসকে বাংলাদেশে সন্ত্রাস সৃষ্টির জন্য ২৯ মিলিয়ন ডলার দিয়েছিল বাইডেন, ক্ষমতা দখলের আগে ড. ইউনূস এবং কিছু জঙ্গি সন্ত্রাসীদের আমেরিকায় এনে প্রশিক্ষণ দিয়েছিল

বাইডেন প্রশাসন, ড. ইউনূস এ কথা স্বীকার করেছিল জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে এসে বক্তব্য দেয়ার সময়। তার এক উপদেষ্টা কে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়, বলা হয় - "হি ইজ দা মাস্টারমাইন্ড" - কে সে? সে হলো জঙ্গি সন্ত্রাসী মাহফুজ - যিনি এখন তথ্য উপদেষ্টা, সে কত বড় ভয়ংকর সন্ত্রাসী ছিল অনেকে হয়তো জানেনা। শেখ হাসিনা সরকারের সময় গুলশান ২ হলি আরটিজোন বেকারি তে জঙ্গি হামলাকারী মাহফুজ তার সাঙ্গ পাঙ্গোদের নিয়ে হামলা চালিয়ে ১২ জন বিদেশি কে হত্যা করেছিল এবং একজন পুলিশ কর্মকর্তাকেও হত্যা করেছিল ওই জঙ্গি গ্রুপ। তাদের হামলার উদ্দেশ্য ছিল - বাংলাদেশের উন্নয়ন সহযোগী জাপানের দাতা সংস্থা জাইকা, জাইকার কর্মকর্তাদের

হত্যা করা, তাদের হত্যা করতে পারলে জাপান বাংলাদেশের থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে আর কোন উন্নয়নে অর্থায়ন করবে না জাপান - আর সেই কারণে মাহফুজের নেতৃত্বে এই হত্যাকান্ড করা হয়। এই খুনি জঙ্গিকে ড. ইউনূস তার উপদেষ্টা পরিষদে তথ্য উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ দেয়। ড. ইউনূস বাংলাদেশকে পাকিস্তান বানানোর জন্য বাংলাদেশে জঙ্গি হামলা শুরু কওে, জঙ্গিদের তার উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ দেয় এবং পুরা রাষ্ট্রের প্রশাসন তাদের নিয়ন্ত্রণে চলে যায়। ড. ইউনূস ক্ষমতার শীর্ষে বসে প্রশাসনকে নিয়ন্ত্রণ করে রেখেছে। আর জঙ্গি সন্ত্রাসী গুন্ডাবাহিনী কে এদেশের মানুষের বিরুদ্ধে লেলিয়ে দিয়েছে, জঙ্গি সন্ত্রাসীদের সাথে যুক্ত হয়েছে জিয়ার সৃষ্ট বিএনপি'র গুন্ডা সন্ত্রাসীরা। জিয়ার আদর্শের সন্ত্রাসী, জামাতি

সন্ত্রাসী, এনসিপি এর সন্ত্রাসীরা গোটা দেশটাকে একযোগে আক্রমণ করেছে - সারাদেশে একযোগে লুটপাট, হত্যা, ধর্ষণ, চাঁদাবাজি, ঘরবাড়ি দখল, ঘরবাড়িতে অগ্নিসংযোগ, মা-মেয়েকে একসাথে ধর্ষণ, স্বামীকে গাছের সাথে বেঁধে স্ত্রী ও মেয়েকে তার চোখের সামনে ধর্ষণ করেছে ইউনূসের গুন্ডাবাহিনী, একদিকে ধর্ষণ অপরদিকে লুটপাট মানুষ হত্যা চলছে সমানতালে। এর সাথে সুপরিকল্পিতভাবে সারাদেশে প্রাইমারি স্কুল শিক্ষক থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মারধর নির্যাতন, কাপড় খুলে উলঙ্গ করা, তাদেরকে রশি দিয়ে হাত-পা বেঁধে পিটানো এবং চাকরীচ্যুত করা ছিল প্রথম এজেন্ডা। এরপর দেশের বুদ্ধিজীবী, বীর মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তচিন্তার মানুষ - যারা স্বাধীনতার চেতনা ধারণ করে এই দেশটাকে ভালোবেসে নিজেদের একটা সম্মানের জায়গা তৈরি করেছিল সেইসব সম্মানিত মানুষদের

উপর আক্রমণ শুরু করা হয়। ইউনূস তার গুন্ডাবাহিনী লেলিয়ে দেয় দেশের সেরা সন্তানদের উপর, হাত-পা বেঁধে লাঠি দিয়ে পিটানো, গালে থাপ্পড় মারা, কিল - ঘুসি লাথি মারা, গলায় জুতার মালা পরানো, জুতা দিয়ে পিটিয়ে অপমান করে জেলে ঢুকানো। এভাবে অসভ্য বর্বর ইউনূস স্বাধীন বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে এই দেশকে পাকিস্তান বানানোর পথে হাঁটছে। ক্ষমতা দখল করে ইউনূস পাকিস্তানি মন্ত্রী - আমলা - সেনাবাহিনী কে বাংলাদেশে আসার সুযোগ করে দেয়, ঢাকাতে পাকিস্তানি জাতির পিতা জিন্নাহ এর মৃত্যু দিবস পালন করার সুযোগ করে দেয়া হয় - আর সেই সভায় বাংলাদেশের কিছু বিরোধীদলীয় নেতারা উর্দুতে বক্তৃতা দিয়ে জিন্নাহকে স্মরণ করে। ইউনূস ইতোমধ্যে আওয়ামীলীগকে

নিষিদ্ধ করে দেয়, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নামে মামলা দিয়ে তাদের জেলে ভরে শারীরিক নির্যাতন করছে। দলের সিনিয়র নেতাদের জেলে ভরে নির্যাতন করছে, তাদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে না, ধীরে ধীরে তাদের মৃত্যুর পথে ঠেলে দিচ্ছে। এবার ড. ইউনূস স্বাধীন বাংলাদেশের সেনাবাহিনীকে ধ্বংস করার জন্য নীল নকশা তৈরি করেছে - সেনাবাহিনীর যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও স্বাধীন বাংলাদেশকে লালন করে তাদেরকে সেনাবাহিনীতে আর না রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পাকিস্তানের গোয়েন্দাদের সরাসরি নির্দেশে যে সমস্ত কর্মকর্তা গত ১৫-১৬ বছর প্রজাতন্ত্রের কল্যাণে কাজ করেছে - দেশের উন্নয়নে সমৃদ্ধিতে ভূমিকা রেখেছে - দেশে জঙ্গিদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে ছিল - বিভিন্ন সময় জঙ্গি সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় এনে নিয়ন্ত্রণ করেছে। সারাদেশে স্থাপিত জঙ্গি আস্তানায় আঘাত হেনে জঙ্গি হামলা নির্মূল করেছে - এমনকি বাংলাদেশ জঙ্গি আস্তানা স্থাপিত হওয়ায় দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশ সমূহে যে অস্থিরতার জায়গা তৈরি হয়েছিল আমাদের সেনা গোয়েন্দারা কঠোর হস্তে নির্মূল করে বাংলাদেশ সহ এই অঞ্চলের শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়েছে। এমনকি আমাদের সেনাবাহিনী জাতিসংঘের অধীনে শান্তি মিশনে কাজ করে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নিজেদের দক্ষতা ও পেশাদারিত্বের সফলতার প্রমাণ রেখেছে। আজ সেই দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনী কে ধ্বংস করার জন্য ইউনূস পাকিস্তানের প্ররোচনায় আর জামাতের সরাসরি নির্দেশে তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা ষড়যন্ত্রমূলক মামলা দিয়ে তাদের বিচারের মুখোমুখি করছে। জামাতি রাজাকার চিপ প্রসিকিউটর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল আদালত দখল করে নিজের মতো করে আইনের ব্যাখ্যা দেয় - যার উদ্দেশ্য সেনাবাহিনীর হাই প্রোফাইল কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা ভুয়া অভিযোগ প্রমাণ করে তাদের মৃত্যুদন্ড দেওয়া। ঠিক একই কায়দায় জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধা সেনা অফিসারদের হত্যা করেছে। তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তৈরি করে কোর্ট মার্শাল-ল নামক ক্যাঙ্গারু কোর্ট বসিয়ে এক মিনিটের মধ্যে ফাঁসির আদেশ দিয়ে সেই রায় কার্যকর করে প্রায় ৪৫০০ সেনা কর্মকর্তাকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মেরেছিল। এই জিয়াই ৭৫ এর ১৫ ই আগস্ট এর খুনিদের সর্বাত্মক সহযোগিতা দিয়েছিল জাতির পিতা কে খুন করার জন্য। এমনকি খুনিদের বিদেশে পালিয়ে যেতে সাহায্য করেছিল, দূতাবাসে চাকরি দিয়ে পুরস্কৃত করেছিল ৭৫ এর খুনিদের। আজকে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের দালাল ইউনূস বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ, ৭২ এর সংবিধান, আমাদের স্বাধীনতার চেতনাকে ধ্বংস করে দেয়ার জন্য সারাদেশে মুক্তিযোদ্ধাদের ধরে ধরে পিটাচ্ছে, তাদের অপমান করছে এমনকি জুতার মালা ঝুলিয়ে দিয়ে তাদের অপমান করছে। এই কুখ্যাত অত্যাচারী ইউনূসের মৃত্যু আরো ভয়াবহ হবে, তার লাশও খুঁজে পাওয়া যাবে না। বিএনপি'র লাগামহীন সন্ত্রাস চাঁদাবাজি গুন্ডামি আর ইউনূসের লেলিয়ে দেয়া সন্ত্রাসের কারণে যুদ্ধাপরাধী জামাত খুব সহজে বাংলাদেশ দখল করে এ দেশকে পাকিস্তান বানাবে। সামছুদ্দীন আজাদ, সহ-সভাপতি যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
অকার্যকর হওয়া পাঁচ ব্যাংকের গ্রাহকদের যে আশ্বাস দিলেন গভর্নর দুর্বল ৫ ব্যাংককে অকার্যকর ঘোষণা, বসছে প্রশাসক যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন কি মামদানি? শব্দের চেয়ে তিনগুণ গতির পারমাণবিক মিসাইল তৈরির ঘোষণা পুতিনের গণহত্যার ছায়ায় শাহরুখ খানের বিলিয়নিয়ার হয়ে ওঠার গল্প বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম বাড়ল শাড়ি নিয়ে প্রতারণা, গ্রেফতার হতে পারেন তানজিন তিশা অধিনায়ক হয়েই দুঃসংবাদ পেলেন আফ্রিদি আপনার পুরো সপ্তাহের পরিকল্পনা করে দেবে গুগলের ‘এআই মোড’ আট মাসে মালয়েশিয়া ভ্রমণ করেছেন ২ লাখেরও বেশি বাংলাদেশি বাড়িতেই বানিয়ে ফেলুন চিকেন পপকর্ন ভারতে দেবমূর্তির সাড়ে চার কেজি সোনা চুরি, পুরোহিতসহ গ্রেপ্তার ৩ যুদ্ধবিরতি থাকা সত্ত্বেও গাজায় ত্রাণ পৌঁছাতে বাধা, ক্ষুধা-দুর্ভোগে কাতর ফিলিস্তিনিরা মার্কিন তিন নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটদের বিপুল জয়, প্রথম পরীক্ষায় ব্যর্থ ট্রাম্প পেঁপে খাওয়ার সঠিক উপায়: কাঁচা না পাকা—কোনটা বেশি উপকারী? বছরের সবচেয়ে বড় সুপারমুন দেখা যাবে আজ লন্ডনের মেয়র সাদিক খান অভিনন্দন জানালেন মামদানিকে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে লন্ডভন্ড ফিলিপাইনের মধ্যাঞ্চল, ৬৬ জনের মৃত্যু মোহাম্মদপুরে আবাসিক ভবনের আগুন নিয়ন্ত্রণে পাঁচ শরিয়াহ ব্যাংককে অকার্যকর ঘোষণা করলো কেন্দ্রীয় ব্যাংক