বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচন ঘিরে রাজনীতির মাঠে যে অস্থিরতা তৈরি হচ্ছে, তা আর বিচ্ছিন্ন কোন ঘটনাপ্রবাহ নয় – ইউ এস বাংলা নিউজ




ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আপডেটঃ ১০ ডিসেম্বর, ২০২৫
     ১১:৩৫ অপরাহ্ণ

আরও খবর

ড. ইউনুসের নেতৃত্বে বিএনপি, জামায়াত ,এনসিপির দখলদার শাসন চলছে দেশের নিরাপত্তা অর্থনীতি আজ বিপন্ন

সংস্কারের ধোঁয়াশায় স্থবির উন্নয়ন: ড. ইউনূসের শাসনে শুধুই লাশের মিছিল আর মব-রাজত্ব

আইএএনএস-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে খালেদা জিয়ার অসুস্থতা নিয়ে শেখ হাসিনা বলেন,

‘বিজয়ের মাসে পশুটির কথা শুনলে মনে হয় ওকে টিক্কা খান জন্ম দিয়েছে’—সাংবাদিক ইলিয়াসকে নিয়ে গোলাম মাওলা রনির বিস্ফোরক মন্তব্য

কুষ্টিয়ায় মুক্তিযোদ্ধাদের বিজয় অগ্রযাত্রা, তরুণদের স্বেচ্ছাসেবী দলে যোগদানের ঢল

রেলপথ যখন মাদকের ‘নিরাপদ’ করিডর: নেপথ্যে এসপি শাকিলা ও তার সিন্ডিকেট

‘আওয়ামী লীগ’ ট্যাগ দিয়ে ব্ল্যাকমেইল: ২০ লাখ টাকা চাঁদা নিতে এসে ভুয়া সাংবাদিক গ্রেপ্তার

বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচন ঘিরে রাজনীতির মাঠে যে অস্থিরতা তৈরি হচ্ছে, তা আর বিচ্ছিন্ন কোন ঘটনাপ্রবাহ নয়

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ১০ ডিসেম্বর, ২০২৫ | ১১:৩৫ 11 ভিউ
বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচন ঘিরে রাজনীতির মাঠে যে অস্থিরতা তৈরি হচ্ছে, তা আর বিচ্ছিন্ন কোন ঘটনাপ্রবাহ নয়। ধারাবাহিক কিছু সিদ্ধান্ত, আন্দোলন, প্রশাসনিক কঠোরতা ও বদলির প্যাটার্ন বিশ্লেষণ করলে স্পষ্টভাবে একটি পরিকল্পিত রাজনৈতিক কৌশলের ইঙ্গিত পাওয়া যায়। এই পরিকল্পনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে ইউনুস–জামাত জোট, যাদের মূল লক্ষ্য নির্বাচনের অনুকূল পরিবেশ নষ্ট করে সেটিকে বিলম্বিত করা। বাংলাদেশে এমপিওভুক্ত ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং বিভিন্ন স্তরের সরকারি কর্মচারীর সংখ্যা প্রায় সাত লাখ। এই বিশাল জনগোষ্ঠীই মূলত নির্বাচনের প্রিজাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার এবং পোলিং অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। অর্থাৎ, নির্বাচন বাস্তবায়নের প্রশাসনিক ভিত্তিটাই দাঁড়িয়ে আছে এই শ্রেণির ওপর। তাদের মধ্যে যদি ব্যাপক অসন্তোষ, ধর্মঘট এবং

কর্মবিরতি তৈরি করা যায়, তাহলে নির্বাচন আয়োজন কার্যত অচল হয়ে পড়বে—এই বাস্তবতাই ইউনুস–জামাত জোটের মূল হিসাব। সাম্প্রতিক প্রাথমিক শিক্ষক আন্দোলন, এমপিওভুক্ত মাধ্যমিক শিক্ষকদের আন্দোলন, তার ওপর পুলিশি দমন, এরপর গণহারে বদলি—এই সবকিছু বিচ্ছিন্ন কিছু নয়। অতীতে বহু সরকারই শিক্ষক আন্দোলনের সম্মুখীন হয়েছে, কিন্তু আলোচনা ও সমঝোতার মাধ্যমেই সেসব আন্দোলনের সমাধান হয়েছে। এবার ব্যতিক্রম দেখা যাচ্ছে। অস্বাভাবিক কঠোরতা, দমন-পীড়ন এবং প্রশাসনিক প্রতিহিংসা এই প্রশ্নই তোলে—এর পেছনে কী শুধুই প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত কাজ করছে, নাকি আছে দীর্ঘমেয়াদি রাজনৈতিক হিসাব? এই প্রেক্ষাপটেই পে-স্কেল ইস্যুটি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। প্রথম ধাপে সরকারি কর্মচারীদের আশ্বাস দেওয়া হলো যে নতুন পে-স্কেল বাস্তবায়ন করা হবে। এতে কর্মচারীদের আন্দোলন স্তিমিত হলো, সরকার

প্রশাসন গোছানোর সময় পেল, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান নিয়ন্ত্রণে এলো, এবং রাজনৈতিকভাবে সুবিধাজনক অবস্থান তৈরি হলো। কিন্তু ঠিক যখন সেই সুবিধাজনক অবস্থান নিশ্চিত হলো, তখনই জানানো হলো—নতুন পে-স্কেল পরবর্তী সরকার বাস্তবায়ন করবে। ফলাফল স্বাভাবিকভাবেই হলো নতুন করে শিক্ষক ও কর্মচারী আন্দোলন। এই আন্দোলনগুলোকে আরও উস্কে দিতে এবার যোগ হলো ব্যাপক বদলি, শাস্তিমূলক ব্যবস্থা এবং প্রশাসনিক হয়রানি। এতে আন্দোলনের তীব্রতা বৃদ্ধি পেল। লক্ষণীয় বিষয় হলো, এই আন্দোলনগুলোর শীর্ষ নেতৃত্বে জামাতপন্থী সংগঠনের আধিপত্য স্পষ্ট। অর্থাৎ পরিকল্পনা ইউনুসের, মাঠ বাস্তবায়ন জামাতের মাধ্যমে। এই কৌশলের চূড়ান্ত লক্ষ্য হলো নির্বাচনের ঠিক আগ মুহূর্তে শিক্ষক, সরকারি কর্মচারী এবং বিভিন্ন পেশাজীবী গোষ্ঠীর সম্মিলিত ধর্মঘট সৃষ্টি করা। তখন ‘আইনশৃঙ্খলা রক্ষা’ ও ‘নির্বাচনের

অনুকূল পরিবেশ নেই’—এই যুক্তিতে নির্বাচন পেছানোর নাটক মঞ্চস্থ করা হবে। সেই মুহূর্তে বিএনপির সামনে বাস্তবে কোন বিকল্পই থাকবে না, চাপের মুখে নির্বাচন পেছানোর সিদ্ধান্তে সম্মতি দেওয়া ছাড়া। ডিসেম্বর ও জানুয়ারিকে কেন্দ্র করে যে আন্দোলনগুলোর পূর্বাভাস দেওয়া যায়, সেগুলো হচ্ছে— এমপিওভুক্ত মাধ্যমিক শিক্ষকদের ধর্মঘট, প্রাথমিক শিক্ষকদের বৃহত্তর আন্দোলন, সরকারি তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের আন্দোলন, ব্যাংক কর্মকর্তাদের প্রমোশন বঞ্চনা নিয়ে কর্মসূচি, গার্মেন্টস ও শিল্পকারখানায় মজুরি আন্দোলন, জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোকে কেন্দ্র করে পরিবহন ধর্মঘট, সারের দাম নিয়ে কৃষক আন্দোলন, এবং সর্বশেষ পর্যায়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে শিবির-নিয়ন্ত্রিত ছাত্র আন্দোলন। এই দীর্ঘ তালিকা কোনো অনুমাননির্ভর কল্পনা নয়; বরং চলমান পরিস্থিতির ধারাবাহিকতা থেকেই এর যৌক্তিকতা তৈরি হয়। এই পুরো নাটকে বিএনপি কার্যত ‘মুলা ঝোলানো’ অবস্থায় রয়েছে। একদিকে

বলা হচ্ছে নির্বাচন হবেই, আবার অন্যদিকে প্রশাসন ও কর্মচারী মহলে এমন অস্থিরতা তৈরি করা হচ্ছে, যা নির্বাচন বাস্তবায়নকে অসম্ভব করে তোলে। মনোনয়ন বাণিজ্যের মাধ্যমে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের অর্থনৈতিক স্বার্থ ইতোমধ্যে সুরক্ষিত হওয়ায় নির্বাচন পেছালেও তাদের তেমন ক্ষতি নেই। বরং আবার মনোনয়ন বাণিজ্যের সুযোগ তৈরি হবে। আওয়ামী লীগের ক্ষেত্রে পরিস্থিতি ভিন্ন। নির্বাচন পেছালে রাজনৈতিকভাবে আপাতত তারাই লাভবান হবে। তবে এই আন্দোলনের নেতৃত্ব জামাতের হাতেই থাকলে দীর্ঘমেয়াদে এর সুফল তাদেরই ঘরে যাবে। ফলে আওয়ামী লীগের সামনে কৌশলগত সুযোগ রয়েছে আন্দোলনের মাঠে প্রভাব বিস্তারের। সব মিলিয়ে বলা যায়, দেশে যে পরিস্থিতি তৈরি করা হচ্ছে, তা কোন হঠাৎ বিশৃঙ্খলা নয়। এটি একটি ধাপে ধাপে বাস্তবায়িত রাজনৈতিক

নকশা। এই নকশার শেষ পরিণতি নির্বাচন পেছানো এবং ক্ষমতার ভারসাম্য নতুনভাবে বিন্যাস করা। পরবর্তী পর্বে এই প্রশ্নই সামনে আসবে—ইউনুসের অধীনে যদি আদৌ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়, তাহলে সেই নির্বাচনের চরিত্র কেমন হবে, এবং ফলাফল কোন দিকে গড়াতে পারে। লেখক মিঃ চৌধুরী

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
ড. ইউনুসের নেতৃত্বে বিএনপি, জামায়াত ,এনসিপির দখলদার শাসন চলছে দেশের নিরাপত্তা অর্থনীতি আজ বিপন্ন বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচন ঘিরে রাজনীতির মাঠে যে অস্থিরতা তৈরি হচ্ছে, তা আর বিচ্ছিন্ন কোন ঘটনাপ্রবাহ নয় সংস্কারের ধোঁয়াশায় স্থবির উন্নয়ন: ড. ইউনূসের শাসনে শুধুই লাশের মিছিল আর মব-রাজত্ব আইএএনএস-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে খালেদা জিয়ার অসুস্থতা নিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, দেশের প্রশংসনীয় অগ্রগতি রাষ্ট্র পরিচালনায় শেখ হাসিনার যোগ্য নেতৃত্বের ফল’: মাহফুজ আনাম ‘বিজয়ের মাসে পশুটির কথা শুনলে মনে হয় ওকে টিক্কা খান জন্ম দিয়েছে’—সাংবাদিক ইলিয়াসকে নিয়ে গোলাম মাওলা রনির বিস্ফোরক মন্তব্য কুষ্টিয়ায় মুক্তিযোদ্ধাদের বিজয় অগ্রযাত্রা, তরুণদের স্বেচ্ছাসেবী দলে যোগদানের ঢল রেলপথ যখন মাদকের ‘নিরাপদ’ করিডর: নেপথ্যে এসপি শাকিলা ও তার সিন্ডিকেট ‘আওয়ামী লীগ’ ট্যাগ দিয়ে ব্ল্যাকমেইল: ২০ লাখ টাকা চাঁদা নিতে এসে ভুয়া সাংবাদিক গ্রেপ্তার জামায়াত নেতার ‘সুপারিশে’ গ্রেপ্তার আ.লীগ নেতার স্ত্রী! থানায় কথা বলতে গিয়েই হাতে হাতকড়া রাজধানীতে সিআইডির ট্রেনিং স্কুল থেকে এসআইয়ের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার কাশিমপুর কারাগারে সাংবাদিকদের ওপর চলছে ‘মধ্যযুগীয় বর্বরতা’: সিপিজের লোমহর্ষক রিপোর্ট পানামা পেপার্স খ্যাত আলিয়েভ কন্যাদের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক: গ্রামীণ টেলিকমের ৩০ হাজার কোটি টাকা পাচারের ছক অনির্দিষ্টকালের জন্য ঢাকা কলেজের বাস চলাচল বন্ধ গুলশানের একটি সড়কের নতুন নাম ‘ফেলানী এভিনিউ’ বাজারের অবিক্রীত মোবাইল ফোন নিয়ে বিশেষ বার্তা বিটিআরসির ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি নিয়ে ত্রিমুখী সংকট একাধিক চাকরি করলে শিক্ষকদের এমপিও বাতিল পোস্টাল ব্যালটে থাকছে না ৪ দলের প্রতীক পুলিশে বড় রদবদল