ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর
এনসিপি নেতা আশরাফ মাহদীর বিরুদ্ধে বলাৎকারের অভিযোগ
নোয়াখালীতে কবরস্থান থেকে ৫টি রাইফেল ও ১টি এলজি উদ্ধার
মাগুরায় পেট্রোল বোমায় পুড়ল সাব-রেজিস্ট্রি ও ভূমি অফিস
দুই পা কেটে কৃষক হত্যা, ছুরিকাঘাতে যুবক খুন
কারাগারে ৭ম শ্রেণির ছেলে, পুলিশ হেফাজতে বাবার মৃত্যু: হ্নীলায় এক পরিবারের করুণ ট্র্যাজেডি
ঘরে ঢুকে মুক্তিযোদ্ধা দম্পতিকে গলা কেটে হত্যা
যুবলীগ নেতার শিশুকন্যার কবর ভাঙচুরের অভিযোগ স্থানীয় যুবদলের বিরুদ্ধে
বরিশালে তোপের মুখে ব্যারিস্টার ফুয়াদ
বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলায় আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদকে লাঞ্ছিত করা হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, বক্তব্যে চাঁদাবাজির অভিযোগ করায় তাঁর ওপর হামলার চেষ্টা করেন বিএনপির একদল নেতাকর্মী। তাঁকে রক্ষা করতে গিয়ে এবি পার্টির কয়েক নেতাকর্মী মারধরের শিকার হয়েছেন। রোববার দুপুরে মীরগঞ্জ ফেরিঘাটে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, এদিন বরিশালের রহমতপুর-বাবুগঞ্জ-মুলাদী-হিজলা সড়কের আড়িয়াল খাঁ নদীর ওপর মীরগঞ্জ সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠান ছিল। এতে উপস্থিত ছিলেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান এবং নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. এম সাখাওয়াত হোসেন। তারা চলে যাওয়ার পর বিএনপির কর্মীরা ফুয়াদের ওপর চড়াও হন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ভিত্তিপ্রস্তর অনুষ্ঠান শেষে
ফুয়াদ উপস্থিত গণমাধ্যমকর্মীদের বক্তব্য দেন। তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক ছদ্মাবরণে সেতু নির্মাণের ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান চায়না ব্রিজ কনস্ট্রাকশন কোম্পানির কাছে চাঁদা চাওয়া হচ্ছে। পাথর-বালু, রড-সিমেন্ট সরবরাহ কাজ পেতে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে চাপ দেওয়া হয়। এটা অব্যাহত থাকলে নির্মাণকাজে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হবে।’ বক্তব্য দেওয়ার পরই বিএনপি নেতাকর্মীরা তাঁকে ঘিরে ধরেন। বক্তব্য ‘মিথ্যা ও উদ্দেশ্যেপ্রণোদিত’ অভিযোগ তুলে তাঁর কাছে কৈফিয়ত চাওয়া হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন রহমতপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রাজন সিকদার, কেদারপুর ইউনিয়নের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক হাসানুজ্জামান খোকন ও উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক আতিকুর রহমান আল আমিনসহ অনেকে। তখন এবি পার্টির নেতাকর্মীদের সঙ্গে তাদের ধাক্কাধাক্কি ও হাতাহাতি হয়। পরিস্থিতি প্রতিকূলে বুঝতে পেরে ফুয়াদ হেঁটে তাঁর
গাড়ির দিকে রওনা হন। তখন বিএনপি নেতাকর্মীরা ‘ভুয়া ভুয়া’সহ তাঁকে উদ্দেশ করে স্লোগান দিয়ে পিছু পিছু যান। ফুয়াদ চলে যাওয়ার পর ওই এলাকায় বিক্ষোভ করেন বিএনপি নেতাকর্মীরা। এবি পার্টির বরিশাল মহানগরের সদস্য সচিব প্রকৌশলী জি এম রাব্বি বলেন, ‘পরিকল্পিতভাবে ইস্যু সৃষ্টি করে ফুয়াদের ওপর সন্ত্রাসী হামলা চালানো হয়েছে। ফুয়াদ যে অভিযোগ করেছেন তা সঠিক। চাঁদা ও সরবরাহ কাজ না পেলে সেতু নির্মাণ কাজ বন্ধের হুমকি দেওয়া হয়েছে। হামলায় তিনিসহ এবি পার্টির কয়েকজন আহত হয়েছেন।’ উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক আতিকুর রহমান বলেন, ‘মীরগঞ্জ সেতু আমাদের বহু বছরের প্রাণের দাবি ছিল। সেটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন হয়েছে। এখনও ঠিকাদার চূড়ান্ত হয়নি। তার আগেই ব্যারিস্টার ফুয়াদ চাঁদাবাজির অভিযোগ
করেছেন। আমরা এর প্রতিবাদ জানিয়েছি। কোনো হামলা হয়নি। মিথ্যা বক্তব্যের জন্য ক্ষমা না চাইলে ফুয়াদকে বাবুগঞ্জে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হবে।’ রহমতপুর ইউনিয়ন বিএনপি সাধারণ সম্পাদক রাজন সিকদার বলেন, ‘ফুয়াদকে সুনির্দিষ্ট করে বলতে হবে কে বা কারা চাঁদা চেয়েছে। ঢালাওভাবে অভিযোগ করলে এলাকাবাসী মেনে নেবে না। আজ জনতা সেটাই প্রমাণ করেছে। তাঁকে ভুয়া বানিয়ে মীরগঞ্জ থেকে বিতাড়িত করেছে।’ এ বিষয়ে বাবুগঞ্জ থানার ওসি জহিরুল আলম বলেন, ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন শেষে দুই উপদেষ্টা চলে যাওয়ার পর এবি পার্টি ও বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে সামান্য হাতাহাতি হয়। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছে।
ফুয়াদ উপস্থিত গণমাধ্যমকর্মীদের বক্তব্য দেন। তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক ছদ্মাবরণে সেতু নির্মাণের ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান চায়না ব্রিজ কনস্ট্রাকশন কোম্পানির কাছে চাঁদা চাওয়া হচ্ছে। পাথর-বালু, রড-সিমেন্ট সরবরাহ কাজ পেতে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে চাপ দেওয়া হয়। এটা অব্যাহত থাকলে নির্মাণকাজে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হবে।’ বক্তব্য দেওয়ার পরই বিএনপি নেতাকর্মীরা তাঁকে ঘিরে ধরেন। বক্তব্য ‘মিথ্যা ও উদ্দেশ্যেপ্রণোদিত’ অভিযোগ তুলে তাঁর কাছে কৈফিয়ত চাওয়া হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন রহমতপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রাজন সিকদার, কেদারপুর ইউনিয়নের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক হাসানুজ্জামান খোকন ও উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক আতিকুর রহমান আল আমিনসহ অনেকে। তখন এবি পার্টির নেতাকর্মীদের সঙ্গে তাদের ধাক্কাধাক্কি ও হাতাহাতি হয়। পরিস্থিতি প্রতিকূলে বুঝতে পেরে ফুয়াদ হেঁটে তাঁর
গাড়ির দিকে রওনা হন। তখন বিএনপি নেতাকর্মীরা ‘ভুয়া ভুয়া’সহ তাঁকে উদ্দেশ করে স্লোগান দিয়ে পিছু পিছু যান। ফুয়াদ চলে যাওয়ার পর ওই এলাকায় বিক্ষোভ করেন বিএনপি নেতাকর্মীরা। এবি পার্টির বরিশাল মহানগরের সদস্য সচিব প্রকৌশলী জি এম রাব্বি বলেন, ‘পরিকল্পিতভাবে ইস্যু সৃষ্টি করে ফুয়াদের ওপর সন্ত্রাসী হামলা চালানো হয়েছে। ফুয়াদ যে অভিযোগ করেছেন তা সঠিক। চাঁদা ও সরবরাহ কাজ না পেলে সেতু নির্মাণ কাজ বন্ধের হুমকি দেওয়া হয়েছে। হামলায় তিনিসহ এবি পার্টির কয়েকজন আহত হয়েছেন।’ উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক আতিকুর রহমান বলেন, ‘মীরগঞ্জ সেতু আমাদের বহু বছরের প্রাণের দাবি ছিল। সেটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন হয়েছে। এখনও ঠিকাদার চূড়ান্ত হয়নি। তার আগেই ব্যারিস্টার ফুয়াদ চাঁদাবাজির অভিযোগ
করেছেন। আমরা এর প্রতিবাদ জানিয়েছি। কোনো হামলা হয়নি। মিথ্যা বক্তব্যের জন্য ক্ষমা না চাইলে ফুয়াদকে বাবুগঞ্জে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হবে।’ রহমতপুর ইউনিয়ন বিএনপি সাধারণ সম্পাদক রাজন সিকদার বলেন, ‘ফুয়াদকে সুনির্দিষ্ট করে বলতে হবে কে বা কারা চাঁদা চেয়েছে। ঢালাওভাবে অভিযোগ করলে এলাকাবাসী মেনে নেবে না। আজ জনতা সেটাই প্রমাণ করেছে। তাঁকে ভুয়া বানিয়ে মীরগঞ্জ থেকে বিতাড়িত করেছে।’ এ বিষয়ে বাবুগঞ্জ থানার ওসি জহিরুল আলম বলেন, ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন শেষে দুই উপদেষ্টা চলে যাওয়ার পর এবি পার্টি ও বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে সামান্য হাতাহাতি হয়। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছে।



