ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর
আজ গ্যাস থাকবে না যেসব এলাকায়
ডেঙ্গুতে ২৪ ঘণ্টায় ৫ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ১০৩৪
ডেঙ্গুতে আরও ১ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ১০৫২
ডেঙ্গুতে একদিনে হাজারের বেশি আক্রান্ত, মৃত্যু একজনের
সীমান্তে অবৈধ লোক পারাপারে অভিনব কৌশল
এক ঘণ্টার পুলিশ সুপার হলেন রোজা
১১৩ বার পেছাল সাগর-রুনী হত্যার তদন্ত প্রতিবেদন জমার তারিখ
ফরিদপুরে সরকারি রাস্তায় দেয়াল তুলে বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ, অবরুদ্ধ ১২ পরিবার
জেলা পরিষদের অর্থায়নে পিচ ঢালাই করা একটি রাস্তার বেশ কিছু অংশ তুলে ফেলে সেখানে ইটের দেয়াল গেঁথে পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে রাস্তাটি। ফলে চরম বিপাকে পড়েছে অন্তত ১০ থেকে ১২টি পরিবারের মানুষ। এসব পরিবারের লোকজন এখন এক প্রকার অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন।
এ ঘটনা ঘটেছে ফরিদপুর সদর উপজেলার অম্বিকাপুর ইউনিয়নের দুর্গাপুর দিরাজতুল্লাহ মাতুব্বর ডাঙ্গী এলাকায়। ক্ষমতার পালাবদলের পর স্থানীয় প্রভাবশালী কয়েক ব্যক্তির এমন কাণ্ডে এখন তোলপাড় চলছে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি ভুক্তভোগীদের। রাস্তাটি বন্ধ করে দেওয়ার ঘটনায় বিস্ময় প্রকাশ করেছে জেলা পরিষদ।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে ও প্রাপ্ত অভিযোগে জানা গেছে, দুর্গাপুর দিরাজতুল্লাহ ডাঙ্গী এলাকার
মূল সড়কের সঙ্গে সংযুক্ত শাহজাহান শেখের বাগান থেকে একটি রাস্তা করা হয় মো. হাসমত আলী মাস্টারের বাড়ি পর্যন্ত। ১৫০ মিটারের এ রাস্তাটি ২০১৫-১৬ অর্থ বছরে জেলা পরিষদের অর্থায়নে ইটের সলিং বিছিয়ে পিচ ঢালাই করা হয়। এ রাস্তাটি দিয়ে বেশকিছু পরিবারের লোকজন যাতায়াতসহ মুরগীর ফার্মের মালামাল এবং কৃষিপণ্য আনা নেওয়া হতো। সম্প্রতি আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলে এ রাস্তার পাশের জমির মালিক মো. শাহজাহান শেখ তার সহযোগী ফারুক শেখ, মোস্তফা, উজ্জল মোল্লাসহ আরো বেশকিছু ব্যক্তি গত ১৭ আগস্ট দিনের বেলায় ১৫০ মিটার রাস্তাটির মাঝ বরাবর প্রায় ৫০ মিটার জবর দখল করে এবং পিচ ঢালাই রাস্তাটির ইট ও ঢালাই সম্পূর্ণ তুলে ফেলে।
এ সময় তারা রাস্তার শুরুর অংশ এবং মাঝ বরাবর অংশে ইটের দেয়াল তুলে রাস্তাটি সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করে দেয়। রাস্তাটির পিচঢালাই তুলে ফেলার সময় স্থানীয় কয়েক ব্যক্তি বাধা দিলে বিএনপির নাম ব্যবহার করে তাদের সেখান থেকে ভয়ভীতি দেখিয়ে সরিয়ে দেয় শাহজাহান শেখ গংরা। স্থানীয় বাসিন্দা মো. হাসমত আলী মাস্টার, সজিবুল হাসান, শিউলী বেগম, সালমান রহমান পিয়াল, সবদুল মিয়ার অভিযোগ, সরকারি রাস্তার ইট ও পিচ তুলে ফেলে সেখানে ইটের দেয়াল তুলে তাদের চলাচলের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হয়েছে। বিএনপির নাম ব্যবহার করে তারা এমন অপকর্মটি করেছে। সরকারি রাস্তা বন্ধ করা নিয়ে তাদের বাধা দিলে এলাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী, হত্যা, অস্ত্রসহ একাধিক মামলার আসামি মোস্তফা
অস্ত্র দেখিয়ে আমাদের ভয় দেখায়। তাদের কাজে বাঁধা দিলে আমাদের লাশ ফেলে দেওয়া হবে বলে হুমকি দেয়। স্থানীয় কয়েকজন জানান, সরকারি রাস্তার পিচ ঢালাই তুলে ফেলে সেখানে দেয়াল দিয়ে রাস্তাটি দখল করা হয়েছে। ফলে বেশকিছু পরিবার এখন অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে। সরকারি রাস্তার ক্ষতিসাধন করার বিষয়টিতে স্থানীয় চেয়ারম্যান মো. নুরুল ইসলাম নুরুর যোগসাজশ রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়রা একাধিকবার বিষয়টি নিয়ে চেয়ারম্যানকে বললেও তিনি কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে উপরন্তু শাহজাহান গংদের পক্ষ নেন। রাস্তা দখল করার বিষয়ে যার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে সেই শাহজাহান শেখের ভাই ফারুক শেখ বলেন, এ রাস্তার জমিটি আমাদের। বিগত দিনে আওয়ামী লীগের ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে জায়গা
দখল করে রাস্তা করা হয়। সেই দিন আমরা কোনো বাধা দিতে পারিনি। এখন আমাদের ক্ষমতা আছে আমরা জমিটি উদ্ধার করেছি। সরকারি রাস্তার ইটও পিচ ঢালাই তুলে ফেলা যায় কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে ফারুক শেখ বলেন, যখন তারা জায়গা দখল করে রাস্তা করলো তখন আপনারা কোথায় ছিলেন? তারা যেভাবে ক্ষমতা দেখিয়ে রাস্তা তৈরি করেছে, তেমনি আমরাও রাস্তার ইট ও পিচ তুলে ইটের দেয়াল তুলে তা বন্ধ করে দিয়েছি। এ বিষয়ে অম্বিকাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. নুরুল ইসলাম নুরু বলেন, আমার নাম ব্যবহার করে যে কথাটি বলা হয়েছে তা সঠিক নয়। আমি কাউকে রাস্তা বন্ধ করার কথা বলিনি। ফরিদপুর জেলা পরিষদের প্রকৌশলী শহিদুল
ইসলাম জানান, সরকারি রাস্তা কেউ ইচ্ছে করলেই তুলে ফেলতে পারে না। বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখব। প্রয়োজনে দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মূল সড়কের সঙ্গে সংযুক্ত শাহজাহান শেখের বাগান থেকে একটি রাস্তা করা হয় মো. হাসমত আলী মাস্টারের বাড়ি পর্যন্ত। ১৫০ মিটারের এ রাস্তাটি ২০১৫-১৬ অর্থ বছরে জেলা পরিষদের অর্থায়নে ইটের সলিং বিছিয়ে পিচ ঢালাই করা হয়। এ রাস্তাটি দিয়ে বেশকিছু পরিবারের লোকজন যাতায়াতসহ মুরগীর ফার্মের মালামাল এবং কৃষিপণ্য আনা নেওয়া হতো। সম্প্রতি আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলে এ রাস্তার পাশের জমির মালিক মো. শাহজাহান শেখ তার সহযোগী ফারুক শেখ, মোস্তফা, উজ্জল মোল্লাসহ আরো বেশকিছু ব্যক্তি গত ১৭ আগস্ট দিনের বেলায় ১৫০ মিটার রাস্তাটির মাঝ বরাবর প্রায় ৫০ মিটার জবর দখল করে এবং পিচ ঢালাই রাস্তাটির ইট ও ঢালাই সম্পূর্ণ তুলে ফেলে।
এ সময় তারা রাস্তার শুরুর অংশ এবং মাঝ বরাবর অংশে ইটের দেয়াল তুলে রাস্তাটি সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করে দেয়। রাস্তাটির পিচঢালাই তুলে ফেলার সময় স্থানীয় কয়েক ব্যক্তি বাধা দিলে বিএনপির নাম ব্যবহার করে তাদের সেখান থেকে ভয়ভীতি দেখিয়ে সরিয়ে দেয় শাহজাহান শেখ গংরা। স্থানীয় বাসিন্দা মো. হাসমত আলী মাস্টার, সজিবুল হাসান, শিউলী বেগম, সালমান রহমান পিয়াল, সবদুল মিয়ার অভিযোগ, সরকারি রাস্তার ইট ও পিচ তুলে ফেলে সেখানে ইটের দেয়াল তুলে তাদের চলাচলের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হয়েছে। বিএনপির নাম ব্যবহার করে তারা এমন অপকর্মটি করেছে। সরকারি রাস্তা বন্ধ করা নিয়ে তাদের বাধা দিলে এলাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী, হত্যা, অস্ত্রসহ একাধিক মামলার আসামি মোস্তফা
অস্ত্র দেখিয়ে আমাদের ভয় দেখায়। তাদের কাজে বাঁধা দিলে আমাদের লাশ ফেলে দেওয়া হবে বলে হুমকি দেয়। স্থানীয় কয়েকজন জানান, সরকারি রাস্তার পিচ ঢালাই তুলে ফেলে সেখানে দেয়াল দিয়ে রাস্তাটি দখল করা হয়েছে। ফলে বেশকিছু পরিবার এখন অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে। সরকারি রাস্তার ক্ষতিসাধন করার বিষয়টিতে স্থানীয় চেয়ারম্যান মো. নুরুল ইসলাম নুরুর যোগসাজশ রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়রা একাধিকবার বিষয়টি নিয়ে চেয়ারম্যানকে বললেও তিনি কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে উপরন্তু শাহজাহান গংদের পক্ষ নেন। রাস্তা দখল করার বিষয়ে যার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে সেই শাহজাহান শেখের ভাই ফারুক শেখ বলেন, এ রাস্তার জমিটি আমাদের। বিগত দিনে আওয়ামী লীগের ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে জায়গা
দখল করে রাস্তা করা হয়। সেই দিন আমরা কোনো বাধা দিতে পারিনি। এখন আমাদের ক্ষমতা আছে আমরা জমিটি উদ্ধার করেছি। সরকারি রাস্তার ইটও পিচ ঢালাই তুলে ফেলা যায় কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে ফারুক শেখ বলেন, যখন তারা জায়গা দখল করে রাস্তা করলো তখন আপনারা কোথায় ছিলেন? তারা যেভাবে ক্ষমতা দেখিয়ে রাস্তা তৈরি করেছে, তেমনি আমরাও রাস্তার ইট ও পিচ তুলে ইটের দেয়াল তুলে তা বন্ধ করে দিয়েছি। এ বিষয়ে অম্বিকাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. নুরুল ইসলাম নুরু বলেন, আমার নাম ব্যবহার করে যে কথাটি বলা হয়েছে তা সঠিক নয়। আমি কাউকে রাস্তা বন্ধ করার কথা বলিনি। ফরিদপুর জেলা পরিষদের প্রকৌশলী শহিদুল
ইসলাম জানান, সরকারি রাস্তা কেউ ইচ্ছে করলেই তুলে ফেলতে পারে না। বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখব। প্রয়োজনে দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।