
ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর

চমকপ্রদ রূপে ফিরছে টাটা ন্যানো, থাকছে দুর্দান্ত সব ফিচার!

যেভাবে প্রশ্ন করা যাবে হোয়াটসঅ্যাপে!

আজ মিলবে বিনামূল্যে ইন্টারনেট, যেভাবে পাবেন

ট্রাই-ফোল্ড স্মার্টফোন আনছে স্যামসাং

ওয়েব ব্রাউজার আনছে ওপেনএআই, চ্যালেঞ্জের মুখে গুগল ক্রোম

চিকিৎসায় বিপ্লব আনছে মাইক্রোসফট, এআই দিয়ে রোগ নির্ণয়ে নতুন দিগন্ত

বিয়ে না করে ৪০ পার, তবুও মা হচ্ছেন অভিনেত্রী
নিষেধাজ্ঞার মধ্যেও চীনে হুয়াওয়ের উত্থান

১৯৮৭ সালে শেনজেনের একটি ছোট অ্যাপার্টমেন্টে কয়েকটি টেলিফোন সুইচ দিয়ে যাত্রা শুরু করেছিল হুয়াওয়ে। উদ্যোক্তা রেন ঝেংফেইর লক্ষ্য ছিল স্বনির্ভরতা। আফ্রিকা, মধ্যপ্রাচ্য, দক্ষিণ আমেরিকা পেরিয়ে প্রতিষ্ঠানটি একসময় ইউরোপের টেলিকম বাজারেও আধিপত্য বিস্তার করে।
এদিকে ২০১৯ সালে হুয়াওয়ে বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী ৫জি নেটওয়ার্ক সরবরাহকারীদের একটি হয়ে ওঠে। সে সময়ই প্রতিষ্ঠানটি স্মার্টফোনের বাজারেও উঠে আসে শীর্ষে। হাইসিলিকন নামে নিজেদের ডিজাইন করা চিপ দিয়ে তারা তৈরি করতে থাকে নিজস্ব ডিভাইস।
২০১৯ সালে যুক্তরাষ্ট্র হুয়াওয়ের বিরুদ্ধে জাতীয় নিরাপত্তার অভিযোগ তুলে কালো তালিকাভুক্ত করে। ফলে মার্কিন প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে হুয়াওয়ের ব্যবসা বন্ধ হয়ে যায়। সবচেয়ে বড় ধাক্কা আসে ২০২০ সালে। সে সময় তাইওয়ানের টিএসএমসির মতো চিপ নির্মাতারাও
তাদের কাছে চিপ বিক্রি বন্ধ করে দেয়। এতে হুয়াওয়ের স্মার্টফোন ব্যবসা বিপর্যস্ত হয়। ২০২১ সালের মধ্যে প্রতিষ্ঠানটির ভোক্তা পণ্যের আয় অর্ধেকে নেমে প্রায় ৩৪ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছায়। কিন্তু এখানেই গল্প শেষ হয়নি। একই সময় হুয়াওয়ে চালু করে ‘অ্যাসেন্ড ৯১০’ নামের এআই চিপ, যা এনভিডিয়ার বিকল্প হিসেবে চীনে দ্রুত গ্রহণযোগ্যতা পায়। পরে আসে এর আরো উন্নত সংস্করণ—৯১০বি ও ৯১০সি। এগুলো ব্যবহার করে প্রতিষ্ঠানটি তৈরি করে ‘ক্লাউডম্যাট্রিক্স ৩৮৪’ নামের বিশাল তথ্যপ্রক্রিয়াকরণ ব্যবস্থা, যেটি ৩৮৪টি চিপ একত্রে ব্যবহার করে। বিশ্লেষকদের মতে, এটি কোনো কোনো ক্ষেত্রে এনভিডিয়ার অত্যাধুনিক জিবি২০০ এনভিএল৭২-এর চেয়েও কার্যকর। একই সঙ্গে হুয়াওয়ে তৈরি করেছে নিজস্ব ‘ক্যান’ সফটওয়্যার, যা এনভিডিয়ার কোডার বিকল্প। যদিও এখনো এ সফটওয়্যার
অন্য প্লাটফর্মের সঙ্গে পুরোপুরি সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। গুগলের জেমিনি বা ওপেনএআইয়ের জিপিটি-৪-এর মতো সাধারণ এআই নয়, হুয়াওয়ের লক্ষ্য নির্দিষ্ট খাতে বাস্তবভিত্তিক ব্যবহার। ২০২৩ সালেই তারা ‘পাংগু’ নামে একটি এআই মডেল চালু করেছে। এটি এরই মধ্যে শিল্প, চিকিৎসা, আর্থিক, সরকারি ও গাড়ি খাতে ব্যবহার হচ্ছে। এখন পর্যন্ত ২০টিরও বেশি খাতে এ প্রযুক্তি বাস্তবায়ন হয়েছে। এক প্রকল্পে হুয়াওয়ে টিম কয়লাখনিতে কয়েক মাস অবস্থান করে, যেখানে তারা চালু করেছে ৫জি ও এআইচালিত ১০০টির বেশি স্বয়ংক্রিয় ট্রাক। এদিকে নিজেদের ‘পাংগু’ মডেল ওপেন সোর্স করার ঘোষণা দিয়েছে হুয়াওয়ে। এর মাধ্যমে অ্যাসেন্ড চিপভিত্তিক এআই ইকোসিস্টেমকে আরো বিস্তৃত করতে চায় প্রতিষ্ঠানটি। হুয়াওয়ের খনিজ ও জ্বালানি বিভাগের শীর্ষ কর্মকর্তা জ্যাক চেন জানিয়েছেন, এ
প্রযুক্তি শুধু চীন নয়, আফ্রিকা, দক্ষিণ এশিয়া ও লাতিন আমেরিকায়ও বাস্তবায়নযোগ্য। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নিষেধাজ্ঞা কিংবা প্রতিযোগিতা কিছুই থামাতে পারেনি হুয়াওয়েকে। বরং আমেরিকার কড়াকড়িই যেন প্রতিষ্ঠানটিকে নিজেদের প্রযুক্তিতে স্বনির্ভর হয়ে উঠতে বাধ্য করেছে। প্রযুক্তি বিশ্লেষক পল ট্রিওলো বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞাই হুয়াওয়ের এআই খাতে নতুন করে ভিত্তি তৈরি করে দিয়েছে।বিশ্বের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক প্রযুক্তির দৌড়ে এখন আর শুধু আমেরিকা আর ইউরোপ নেই। চীনের হুয়াওয়ে সে যাত্রায় নিজের জায়গা ঠিকই করে নিচ্ছে।’ —সিএনবিসি অবলম্বনে
তাদের কাছে চিপ বিক্রি বন্ধ করে দেয়। এতে হুয়াওয়ের স্মার্টফোন ব্যবসা বিপর্যস্ত হয়। ২০২১ সালের মধ্যে প্রতিষ্ঠানটির ভোক্তা পণ্যের আয় অর্ধেকে নেমে প্রায় ৩৪ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছায়। কিন্তু এখানেই গল্প শেষ হয়নি। একই সময় হুয়াওয়ে চালু করে ‘অ্যাসেন্ড ৯১০’ নামের এআই চিপ, যা এনভিডিয়ার বিকল্প হিসেবে চীনে দ্রুত গ্রহণযোগ্যতা পায়। পরে আসে এর আরো উন্নত সংস্করণ—৯১০বি ও ৯১০সি। এগুলো ব্যবহার করে প্রতিষ্ঠানটি তৈরি করে ‘ক্লাউডম্যাট্রিক্স ৩৮৪’ নামের বিশাল তথ্যপ্রক্রিয়াকরণ ব্যবস্থা, যেটি ৩৮৪টি চিপ একত্রে ব্যবহার করে। বিশ্লেষকদের মতে, এটি কোনো কোনো ক্ষেত্রে এনভিডিয়ার অত্যাধুনিক জিবি২০০ এনভিএল৭২-এর চেয়েও কার্যকর। একই সঙ্গে হুয়াওয়ে তৈরি করেছে নিজস্ব ‘ক্যান’ সফটওয়্যার, যা এনভিডিয়ার কোডার বিকল্প। যদিও এখনো এ সফটওয়্যার
অন্য প্লাটফর্মের সঙ্গে পুরোপুরি সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। গুগলের জেমিনি বা ওপেনএআইয়ের জিপিটি-৪-এর মতো সাধারণ এআই নয়, হুয়াওয়ের লক্ষ্য নির্দিষ্ট খাতে বাস্তবভিত্তিক ব্যবহার। ২০২৩ সালেই তারা ‘পাংগু’ নামে একটি এআই মডেল চালু করেছে। এটি এরই মধ্যে শিল্প, চিকিৎসা, আর্থিক, সরকারি ও গাড়ি খাতে ব্যবহার হচ্ছে। এখন পর্যন্ত ২০টিরও বেশি খাতে এ প্রযুক্তি বাস্তবায়ন হয়েছে। এক প্রকল্পে হুয়াওয়ে টিম কয়লাখনিতে কয়েক মাস অবস্থান করে, যেখানে তারা চালু করেছে ৫জি ও এআইচালিত ১০০টির বেশি স্বয়ংক্রিয় ট্রাক। এদিকে নিজেদের ‘পাংগু’ মডেল ওপেন সোর্স করার ঘোষণা দিয়েছে হুয়াওয়ে। এর মাধ্যমে অ্যাসেন্ড চিপভিত্তিক এআই ইকোসিস্টেমকে আরো বিস্তৃত করতে চায় প্রতিষ্ঠানটি। হুয়াওয়ের খনিজ ও জ্বালানি বিভাগের শীর্ষ কর্মকর্তা জ্যাক চেন জানিয়েছেন, এ
প্রযুক্তি শুধু চীন নয়, আফ্রিকা, দক্ষিণ এশিয়া ও লাতিন আমেরিকায়ও বাস্তবায়নযোগ্য। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নিষেধাজ্ঞা কিংবা প্রতিযোগিতা কিছুই থামাতে পারেনি হুয়াওয়েকে। বরং আমেরিকার কড়াকড়িই যেন প্রতিষ্ঠানটিকে নিজেদের প্রযুক্তিতে স্বনির্ভর হয়ে উঠতে বাধ্য করেছে। প্রযুক্তি বিশ্লেষক পল ট্রিওলো বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞাই হুয়াওয়ের এআই খাতে নতুন করে ভিত্তি তৈরি করে দিয়েছে।বিশ্বের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক প্রযুক্তির দৌড়ে এখন আর শুধু আমেরিকা আর ইউরোপ নেই। চীনের হুয়াওয়ে সে যাত্রায় নিজের জায়গা ঠিকই করে নিচ্ছে।’ —সিএনবিসি অবলম্বনে