নতুন টাকা কীভাবে ছাপা হয়, কোন নোট ছাপাতে কত খরচ? – ইউ এস বাংলা নিউজ




নতুন টাকা কীভাবে ছাপা হয়, কোন নোট ছাপাতে কত খরচ?

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ১৬ মার্চ, ২০২৫ | ১০:৪৩ 36 ভিউ
সাধারণত প্রতি বছর ঈদকে সামনে রেখে বাজারে ছাড়া হয় নতুন টাকা। ঈদের আগে ঈদ সালামির নতুন টাকার জন্য অনেক সাধারণ মানুষ ভিড় করেন বাংলাদেশ ব্যাংকে বা খোলাবাজারে। অনেকে ব্যাংক থেকেও সংগ্রহ করেন নতুন টাকা। তবে এবারের আসন্ন ঈদে নতুন নোট বাজারে আসছে না। গত সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, অনিবার্য কারণে এবার ঈদে নতুন নোট বাজারের ছাড়ার সিদ্ধান্ত স্থগিত করা হয়েছে। রীতি মেনে এবার নতুন নোট বাজারে না ছাড়ায় অনেকে হতাশ হবে। কারণ, ঈদে অনেকেই স্বজন-বন্ধুদের নতুন টাকা উপহার দেন। যদিও এর আগে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছিল, পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে নতুন টাকা পাওয়া যাবে ১৯ মার্চ থেকে। এবার ৫, ২০ ও ৫০

টাকার নতুন নোট দেওয়া হবে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এবার তা থেকে সরে এল বাংলাদেশ ব্যাংক। নতুন টাকা ছাপা কীভাবে হয় এবং তাতে কেমন খরচ হয়, তা জেনে রাখা ভালো। টাকা মুদ্রণ বা ছাপা হয় গাজীপুরের টাঁকশালে। দেশের মানুষের কাছে এটি ‘টাঁকশাল’ নামে পরিচিত হলেও টাকা ছাপানোর এই প্রতিষ্ঠানটির নাম ‘দ্য সিকিউরিটি প্রিন্টিং করপোরেশন (বাংলাদেশ) লিমিটেড’। ১৯৭২ সালের ৪ মার্চ এখানে পাকিস্তানি মুদ্রার পরিবর্তে বাংলাদেশের মুদ্রা হিসেবে টাকার প্রচলন শুরু হয়। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তরা জানান, কাগজ-কালি ছাপাখানা পর্যন্ত পৌঁছানোর পর ১০, ২০ ও ৫০, ১০০ টাকার নোট ছাপা শুরুর দিন থেকে বাজারে দিতে অন্তত ১৭ দিন লাগে। আর ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট

ছাপা শুরুর দিন থেকে বাজারে যাওয়া পর্যন্ত লাগে অন্তত ২৬ দিন। কেননা নোট ছাপানোর পর প্রথমে তা বদ্ধঘরে বিশেষ ব্যবস্থায় শুকানো হয়। শুকাতে তিন থেকে সাতদিন সময় লাগে। শুকানোর পর প্রতিটি নোটের ছাপার মান যাচাই করা হয়। মান ঠিক থাকলে তা কাটিং করে বাইন্ডিং করা হয়। এরপর আবার মান যাচাই করে বাক্সবন্দি করে নানা প্রক্রিয়া অনুসরণ করে ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে বাজারে দেওয়া হয়। কোন নোট ছাপাতে কত খরচ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জাগো নিউজকে বলেন, ১০০০ টাকার নোট ছাপাতে ৫ টাকা ও ৫০০ টাকার নোট ছাপানোয় খরচ পড়ে সাড়ে ৪ টাকা। এছাড়া ২০০ টাকার নোটে তিন টাকার কিছু বেশি, ১০০ টাকার নোটে

৪ টাকা, ১০, ২০, ৫০ টাকার সবগুলো নোটই দেড় টাকা খরচ পড়ে। আর ৫ টাকা, ২ টাকার নোট ছাপাতে খরচ পড়ে প্রায় দেড় টাকা। দেশে কবে কোন নোটের প্রচলন বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভ করে ১৯৭১ সালে। এরপর ১৯৭২ সালের ৪ মার্চ দেশের নিজস্ব কাগুজে মুদ্রা চালু হয়। মানচিত্র খচিত প্রথম নোটটি ছিল এক টাকার। এক টাকার নোটটিতে অর্থসচিব কে এ জামানের স্বাক্ষর ছিল। ১৯৭৩ সালে ৫, ১০ ও ১০০ টাকার নোট ইস্যু করে বাংলাদেশ। এরপর ৫০ ও ৫০০ টাকার নোটের প্রচলন করা হয় ১৯৭৬ সালে। ১৯৭৯ সালে ইস্যু করা হয় ২০ টাকার নোট। দেশে দুই টাকার নোট চালু হয় ১৯৮৮ সালে। ২০০৯ সালের

১৭ জুলাই বাজারে আনা হয় সবচেয়ে বেশি মানের ১০০০ টাকার ব্যাংকনোট। আর ২০২০ সালে সবশেষ বাজারে আসে ২০০ টাকার নোট।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
সবাই সবকিছু জানে তবু তদন্ত কমিটি নারায়ণগঞ্জের সাবেক মেয়র আইভী গ্রেফতার পিএসএলের বাকি অংশ হবে আরব আমিরাতে পিএসএলের বাকি অংশ হবে আরব আমিরাতে ঈদুল আজহায় ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি ২১ মে ক্যাপস্টোন কোর্স নেতৃত্ব বিকাশে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করবে: সেনাপ্রধান চীনের তৈরি জে-১০ দিয়ে ভারতের দুটি বিমান ধ্বংস করেছে পাকিস্তান: রয়টার্স ভারতের ২৪টি বিমানবন্দর বেসামরিক সেবার জন্য বন্ধ ঘোষণা আমরা যখন আঘাত করব, পুরো বিশ্ব জানবে: পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ৪০ থেকে ৫০ জন ভারতীয় সেনা নিহত: পাকিস্তানের মন্ত্রী ক্যাথলিক চার্চের নতুন পোপ যুক্তরাষ্ট্রের রবার্ট প্রিভোস্ট ভারতকে ‘সিনেমা’ থেকে ‘বাস্তবে’ ফিরে আসতে বলল পাকিস্তান সাবেক রাষ্ট্রপতিকে ইন্টারপোলের মাধ্যমে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা শিলাইদহ কুঠিবাড়িতে তিনদিনব্যাপী জাতীয় আয়োজনের উদ্বোধন নতুন বাংলাদেশে লালন ফকির ও হাসন রাজার অনুষ্ঠান জাতীয়ভাবে পালন করা উচিৎ ঃ মোস্তফা সরয়ার ফারুকী পুতিন কি ইউক্রেন ইস্যুতে ট্রাম্পকে নিয়ে খেলছেন? বেনজীরের মেয়ে তাহসিনের দুবাইয়ের ফ্ল্যাট জব্দ, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট অবরুদ্ধ চট্টগ্রামে হচ্ছে মুক্ত বাণিজ্য অঞ্চল, এটি দেশের অর্থনীতির ‘গেম চেঞ্জার’ দ্রুত নির্বাচন দিলে দেশ রক্ষা পাবে: দুদু কী অভিমানে বাবা আমাকে ছেড়ে চলে গেল: এএসপি পলাশের মায়ের আহাজারি মূল্যস্ফীতি ৪-৫ শতাংশে নামানো যাবে কিভাবে, জানালেন গভর্নর