নতুন টাকা কীভাবে ছাপা হয়, কোন নোট ছাপাতে কত খরচ? – ইউ এস বাংলা নিউজ




নতুন টাকা কীভাবে ছাপা হয়, কোন নোট ছাপাতে কত খরচ?

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ১৬ মার্চ, ২০২৫ | ১০:৪৩ 60 ভিউ
সাধারণত প্রতি বছর ঈদকে সামনে রেখে বাজারে ছাড়া হয় নতুন টাকা। ঈদের আগে ঈদ সালামির নতুন টাকার জন্য অনেক সাধারণ মানুষ ভিড় করেন বাংলাদেশ ব্যাংকে বা খোলাবাজারে। অনেকে ব্যাংক থেকেও সংগ্রহ করেন নতুন টাকা। তবে এবারের আসন্ন ঈদে নতুন নোট বাজারে আসছে না। গত সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, অনিবার্য কারণে এবার ঈদে নতুন নোট বাজারের ছাড়ার সিদ্ধান্ত স্থগিত করা হয়েছে। রীতি মেনে এবার নতুন নোট বাজারে না ছাড়ায় অনেকে হতাশ হবে। কারণ, ঈদে অনেকেই স্বজন-বন্ধুদের নতুন টাকা উপহার দেন। যদিও এর আগে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছিল, পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে নতুন টাকা পাওয়া যাবে ১৯ মার্চ থেকে। এবার ৫, ২০ ও ৫০

টাকার নতুন নোট দেওয়া হবে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এবার তা থেকে সরে এল বাংলাদেশ ব্যাংক। নতুন টাকা ছাপা কীভাবে হয় এবং তাতে কেমন খরচ হয়, তা জেনে রাখা ভালো। টাকা মুদ্রণ বা ছাপা হয় গাজীপুরের টাঁকশালে। দেশের মানুষের কাছে এটি ‘টাঁকশাল’ নামে পরিচিত হলেও টাকা ছাপানোর এই প্রতিষ্ঠানটির নাম ‘দ্য সিকিউরিটি প্রিন্টিং করপোরেশন (বাংলাদেশ) লিমিটেড’। ১৯৭২ সালের ৪ মার্চ এখানে পাকিস্তানি মুদ্রার পরিবর্তে বাংলাদেশের মুদ্রা হিসেবে টাকার প্রচলন শুরু হয়। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তরা জানান, কাগজ-কালি ছাপাখানা পর্যন্ত পৌঁছানোর পর ১০, ২০ ও ৫০, ১০০ টাকার নোট ছাপা শুরুর দিন থেকে বাজারে দিতে অন্তত ১৭ দিন লাগে। আর ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট

ছাপা শুরুর দিন থেকে বাজারে যাওয়া পর্যন্ত লাগে অন্তত ২৬ দিন। কেননা নোট ছাপানোর পর প্রথমে তা বদ্ধঘরে বিশেষ ব্যবস্থায় শুকানো হয়। শুকাতে তিন থেকে সাতদিন সময় লাগে। শুকানোর পর প্রতিটি নোটের ছাপার মান যাচাই করা হয়। মান ঠিক থাকলে তা কাটিং করে বাইন্ডিং করা হয়। এরপর আবার মান যাচাই করে বাক্সবন্দি করে নানা প্রক্রিয়া অনুসরণ করে ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে বাজারে দেওয়া হয়। কোন নোট ছাপাতে কত খরচ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জাগো নিউজকে বলেন, ১০০০ টাকার নোট ছাপাতে ৫ টাকা ও ৫০০ টাকার নোট ছাপানোয় খরচ পড়ে সাড়ে ৪ টাকা। এছাড়া ২০০ টাকার নোটে তিন টাকার কিছু বেশি, ১০০ টাকার নোটে

৪ টাকা, ১০, ২০, ৫০ টাকার সবগুলো নোটই দেড় টাকা খরচ পড়ে। আর ৫ টাকা, ২ টাকার নোট ছাপাতে খরচ পড়ে প্রায় দেড় টাকা। দেশে কবে কোন নোটের প্রচলন বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভ করে ১৯৭১ সালে। এরপর ১৯৭২ সালের ৪ মার্চ দেশের নিজস্ব কাগুজে মুদ্রা চালু হয়। মানচিত্র খচিত প্রথম নোটটি ছিল এক টাকার। এক টাকার নোটটিতে অর্থসচিব কে এ জামানের স্বাক্ষর ছিল। ১৯৭৩ সালে ৫, ১০ ও ১০০ টাকার নোট ইস্যু করে বাংলাদেশ। এরপর ৫০ ও ৫০০ টাকার নোটের প্রচলন করা হয় ১৯৭৬ সালে। ১৯৭৯ সালে ইস্যু করা হয় ২০ টাকার নোট। দেশে দুই টাকার নোট চালু হয় ১৯৮৮ সালে। ২০০৯ সালের

১৭ জুলাই বাজারে আনা হয় সবচেয়ে বেশি মানের ১০০০ টাকার ব্যাংকনোট। আর ২০২০ সালে সবশেষ বাজারে আসে ২০০ টাকার নোট।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
গাজা সীমান্তে ৪০ হাজার সেনা মোতায়েন করল মিসর মালয়েশিয়ায় শ্রমিক যাবে শূন্য অভিবাসন ব্যয়ে ফজর নামাজের সময় মসজিদে নারকীয় তাণ্ডব, নিহত ২৭ সৌদিগামী যাত্রীদের জন্য সুখবর ‘৫১ লাখ টাকার স্টেডিয়াম ১৪ কোটিতে করার অনুমোদন’, কী ব্যাখ্যা দিলেন সচিব দুপুরের মধ্যে ৭ জেলায় হতে পারে বজ্রবৃষ্টি ১৯ ভোটারে একজন প্রার্থী রাশিয়া শক্তিশালী, এটা মেনে নিতেই হবে : ট্রাম্প ফেব্রুয়ারির কত তারিখে রোজা শুরু হতে পারে রুশ ট্রেনে ইউক্রেনীয় বাহিনীর ভয়াবহ হামলা যুক্তরাজ্য থেকে আসবে ৩ কার্গো এলএনজি এআই ভিডিও দিয়ে অপপ্রচার, দাবি বিএফআইইউর প্রধানের কলিং ভিসায় সাড়ে ২৪ লাখের বেশি কর্মী নেবে মালয়েশিয়া এনবিআরের শীর্ষ ১৭ কর্মকর্তার সম্পদের হিসাব চেয়েছে দুদক আন্তর্জাতিক মানের নির্বাচন আয়োজনে ইসিকে ৪০ লাখ ইউরো দেবে ইইউ বিপিএলের ফিক্সিং নিয়ে যা বললেন তামিম ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে বিজ্ঞাপনে রেকর্ড ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ ৪১ হাজার শিক্ষক নিয়োগের সুপারিশের ফল প্রকাশ, জানা যাবে যেভাবে সাভারে ছাত্র হত্যা মামলার আসামি এখন রাজাপুরের ইউএনও