ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর
যে দেশে একাত্তরে তিরিশ লাখ মানুষ শহীদ হলো, সেখানে এখন পাকিস্তানের পতাকা কীভাবে ওড়ে?
উগ্রপন্থী ওসমান হাদির কফিনে পতাকা থাকলেও ছিল না সুদানে নিহত সেনাদের কফিনে
প্রেস সচিব শফিকের উস্কানিতে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা চরম সংকটে
মার্কিন পরিকল্পনায় নির্বাচন বানচালের দ্বারপ্রান্তে জামায়াত
যারা লুটপাট, হাত কাটা, পা কাটা, চোখ তোলা, নির্যাতন করে, নারীদের ধর্ষণ করে তারা কি বেহেশতে যাবে?” –জননেত্রী শেখ হাসিনা
হাদির হত্যাকারী ভারতের পালিয়ে গেছে এমন কোনো প্রমাণ নেই।
অবৈধ সরকারের উপদেষ্টা, সমন্বয়ক,রাতারাতি তারা আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ হয়ে কোটিপতি হয়ে গেছে
নজরুল-জয়নুল-কামরুল বনাম ছাপড়ি টোকাই হাদি: এ লজ্জা কোথায় রাখি!
কাজী নজরুল ইসলাম। জয়নুল আবেদিন। কামরুল হাসান। এই তিন নাম বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক ইতিহাসের ভিত্তিস্তম্ভ। একজন বিদ্রোহী কবি যিনি ঔপনিবেশিক শাসনের বিরুদ্ধে লিখেছেন, একজন শিল্পী যিনি দুর্ভিক্ষের ভয়াবহতা তুলে ধরে মানবতার পক্ষে দাঁড়িয়েছেন, আর একজন যার তুলিতে মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্ন রূপ পেয়েছিল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে তাদের সমাধি শুধু একটি স্থাপত্য নয়, এটি বাংলাদেশের আত্মপরিচয়ের ধারক।
আর এই পবিত্র স্থানেই এখন সমাহিত করা হয়েছে শরিফ ওসমান হাদিকে। একজন ছাত্রনেতা, যার রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের ইতিহাস কী? যার সাংস্কৃতিক অবদান কী? যার জাতীয় পর্যায়ের স্বীকৃতি কী? কিছুই নেই। শুধু আছে ২০২৪ সালের জুলাইয়ে সংঘটিত সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণের প্রমাণ, যেখানে একটি নির্বাচিত সরকারকে উৎখাতের চেষ্টায় লিপ্ত হয়েছিল একটি
সুসংগঠিত চক্র। ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অবৈধ সরকার এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে শুধু একটি কবরস্থানের পবিত্রতাই নষ্ট করেনি, তারা বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক ইতিহাসকে ধূলিসাৎ করার প্রকল্পে হাত দিয়েছে। নজরুল যে বাংলাদেশের জাতীয় কবি, সেই সত্যটাই এখন প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়েছে। কারণ যদি যে কেউ, যে কোনো রাজনৈতিক দুর্বৃত্ত, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হয়ে মারা যাওয়ার পর জাতীয় কবির পাশে সমাহিত হতে পারে, তাহলে জাতীয় কবির মর্যাদাটা থাকল কোথায়? হাদির পরিবার এই দাবি তুলেছিল যে তাকে নজরুল মাজারে দাফন করতে হবে। এই দাবির পেছনে কোনো যুক্তি ছিল না, কোনো নৈতিক ভিত্তি ছিল না। ছিল শুধু ক্ষমতার অপব্যবহার আর একটি অবৈধ সরকারের দুর্বলতা। ইউনূস সরকার, যারা সামরিক বাহিনীর সহায়তায় আর
জামায়াতে ইসলামীর মতো যুদ্ধাপরাধী সংগঠনের মদদে ক্ষমতায় এসেছে, তারা এই দাবির সামনে নতি স্বীকার করেছে। কারণ তাদের নৈতিক মেরুদণ্ড বলে কিছু নেই। বাংলাদেশের ইতিহাসে জাতীয় প্রতীকের অবমাননার এমন নজির আগে দেখা যায়নি। বঙ্গবন্ধু জাদুঘর ভাঙচুরের সময় ইউনূস সরকার নীরব ছিল। মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভে হামলার সময় তারা নীরব ছিল। আর এখন তারা নজরুল মাজারের পবিত্রতা নষ্ট করতে দিয়েছে। এই সরকার বারবার প্রমাণ করেছে যে তারা বাংলাদেশের ইতিহাস, সংস্কৃতি আর জাতীয় পরিচয়ের শত্রু। কোনো দেশ কি এতটাই দেউলিয়া হতে পারে যে একজন রাজনৈতিক ক্যাডারের মৃত্যুর জন্য রাষ্ট্রীয় শোক দিবস পালন করে? হাদির মৃত্যুতে সরকার শোক দিবস ঘোষণা করেছিল। এই সিদ্ধান্ত কী বার্তা দিচ্ছে? এই বার্তা
দিচ্ছে যে বাংলাদেশে এখন আর কোনো মানদণ্ড নেই। যে কেউ, যে কোনো উপায়ে, যে কোনো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হয়ে মারা গেলেই জাতীয় বীরের মর্যাদা পাবে। জয়নুল আবেদিন দুর্ভিক্ষের ছবি এঁকেছিলেন। তার শিল্পকর্ম মানুষের যন্ত্রণাকে তুলে ধরেছিল, মানবতার পক্ষে দাঁড়িয়েছিল। কামরুল হাসান মুক্তিযুদ্ধের সময় তার পোস্টারের মাধ্যমে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন। তার শিল্পকর্ম ছিল মুক্তিযুদ্ধের অস্ত্র। নজরুল তো আরও বড় পরিচয়, তার লেখা ছিল সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে সবচেয়ে তীব্র আঘাত। আর হাদি? তার কী অবদান? সে কি কোনো কবিতা লিখেছে যা মানুষের হৃদয় ছুঁয়েছে? সে কি কোনো ছবি এঁকেছে যা ইতিহাসে স্থান পেয়েছে? না। তার একমাত্র পরিচয় হলো ২০২৪ সালের জুলাইয়ে সংঘটিত সহিংস দাঙ্গায় অংশগ্রহণ।
যে দাঙ্গায় সংবাদপত্রের অফিস, সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান, সংগীত শিক্ষাকেন্দ্রে হামলা হয়েছিল। যে দাঙ্গার উদ্দেশ্য ছিল বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করা, একটি নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করা। ইউনূস সরকার বলতে পারে যে হাদি একজন শহীদ। কিন্তু শহীদ কারা? যারা দেশের জন্য প্রাণ দেয়, তারা শহীদ। যারা জনগণের অধিকারের জন্য লড়াই করে, তারা শহীদ। কিন্তু যারা বিদেশি অর্থায়নে, জঙ্গি সংগঠনের মদদে, সামরিক বাহিনীর সহায়তায় একটি নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করার চেষ্টা করে, তারা শহীদ নয়। তারা অপরাধী। হাদিকে নজরুল মাজারে সমাহিত করার মাধ্যমে ইউনূস সরকার একটি বার্তা পাঠিয়েছে। সেই বার্তা হলো, বাংলাদেশে এখন আর কোনো নীতি নেই, কোনো মূল্যবোধ নেই। যার যত বেশি ক্ষমতা, সে যা খুশি তাই করতে
পারবে। জাতীয় প্রতীক, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য, ইতিহাসের মর্যাদা, সবকিছু এখন বিক্রয়যোগ্য পণ্য। এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে নজরুল মাজারের যে নকশা ছিল, যে পবিত্রতা ছিল, সেটা চিরতরে নষ্ট হয়ে গেছে। এখন এটা আর একটি সাংস্কৃতিক স্থাপনা নয়। এটা হয়ে গেছে রাজনৈতিক দুর্বৃত্তদের স্মৃতিসৌধ। আগামী প্রজন্ম যখন এখানে আসবে, তারা কী ভাববে? তারা ভাববে যে বাংলাদেশ এমন একটা দেশ যেখানে কবি আর সন্ত্রাসীর মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। জামায়াতে ইসলামী আর তাদের সহযোগী শক্তিগুলো এই সিদ্ধান্তে খুশি হবে। কারণ তারা চায় বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা মুছে যাক। তারা চায় নজরুলের মতো ধর্মনিরপেক্ষ কবির মর্যাদা নষ্ট হোক। তারা চায় বাংলাদেশ হয়ে উঠুক একটি ধর্মীয় মৌলবাদী রাষ্ট্র। আর ইউনূস সরকার
তাদের সেই স্বপ্ন পূরণে সাহায্য করছে। হাদিকে মর্যাদার সঙ্গে দাফন করা যেত। তার জন্য একটি আলাদা কবরস্থানে জায়গা দেওয়া যেত। কিন্তু না, তাকে জোর করে নজরুল মাজারে ঢোকানো হয়েছে। কেন? কারণ এই সরকার জানে যে তারা বেশিদিন টিকবে না। তারা চায় তাদের ক্ষমতার সময়ে যতটা সম্ভব ক্ষতি করে যেতে। তারা চায় বাংলাদেশের ইতিহাস পুনর্লিখন করতে। বাংলাদেশ এখন এমন এক অবস্থায় দাঁড়িয়েছে যেখানে জাতীয় পরিচয় বলে আর কিছু নেই। ২০২৪ সালের জুলাই থেকে শুরু করে ২০২৫ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত এই দেড় বছরে ইউনূস সরকার বাংলাদেশকে যেখানে নামিয়েছে, সেখান থেকে ফিরে আসতে প্রজন্মের পর প্রজন্ম লাগবে। নজরুল মাজার এখন একটি ক্ষতবিক্ষত প্রতীক। একসময় যেটা ছিল গর্বের, এখন সেটা লজ্জার। একসময় যেখানে তরুণরা কবিতা পড়তে যেত, এখন সেখানে তারা যাবে কী করে? কীভাবে তারা নজরুলকে শ্রদ্ধা জানাবে যখন তার পাশেই শুয়ে আছে একজন রাজনৈতিক ক্যাডার? ইতিহাস এই অপরাধ ভুলবে না। ইউনূস সরকার, জামায়াতে ইসলামী, আর যারা এই সিদ্ধান্তে সমর্থন দিয়েছে, তাদের নাম ইতিহাসের কালো অধ্যায়ে লেখা থাকবে। তারা প্রমাণ করেছে যে তারা বাংলাদেশের শত্রু, বাংলাদেশের সংস্কৃতির শত্রু, বাংলাদেশের ভবিষ্যতের শত্রু। আর যে ছাত্রনেতারা এই দাবি তুলেছিল, তারাও সমান অপরাধী। তারা ভেবেছিল একটি কবরের মাধ্যমে তারা রাজনৈতিক ক্ষমতা প্রদর্শন করবে। কিন্তু তারা যা করেছে তা হলো বাংলাদেশের সবচেয়ে পবিত্র সাংস্কৃতিক স্থানকে কলুষিত করা। তারা নিজেদের ছোট রাজনৈতিক লাভের জন্য একটি জাতির আত্মপরিচয়ের সঙ্গে খেলা করেছে। বাংলাদেশ কি আর কখনো এই ক্ষত থেকে সুস্থ হবে? হয়তো হবে, হয়তো হবে না। কিন্তু একটা জিনিস নিশ্চিত, নজরুল মাজার আর কখনো আগের মতো হবে না। এটা এখন চিরতরে কলঙ্কিত। আর সেই কলঙ্কের দায় ইউনূস সরকার, জামায়াতে ইসলামী, আর তাদের সহযোগীদের ঘাড়ে।
সুসংগঠিত চক্র। ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অবৈধ সরকার এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে শুধু একটি কবরস্থানের পবিত্রতাই নষ্ট করেনি, তারা বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক ইতিহাসকে ধূলিসাৎ করার প্রকল্পে হাত দিয়েছে। নজরুল যে বাংলাদেশের জাতীয় কবি, সেই সত্যটাই এখন প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়েছে। কারণ যদি যে কেউ, যে কোনো রাজনৈতিক দুর্বৃত্ত, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হয়ে মারা যাওয়ার পর জাতীয় কবির পাশে সমাহিত হতে পারে, তাহলে জাতীয় কবির মর্যাদাটা থাকল কোথায়? হাদির পরিবার এই দাবি তুলেছিল যে তাকে নজরুল মাজারে দাফন করতে হবে। এই দাবির পেছনে কোনো যুক্তি ছিল না, কোনো নৈতিক ভিত্তি ছিল না। ছিল শুধু ক্ষমতার অপব্যবহার আর একটি অবৈধ সরকারের দুর্বলতা। ইউনূস সরকার, যারা সামরিক বাহিনীর সহায়তায় আর
জামায়াতে ইসলামীর মতো যুদ্ধাপরাধী সংগঠনের মদদে ক্ষমতায় এসেছে, তারা এই দাবির সামনে নতি স্বীকার করেছে। কারণ তাদের নৈতিক মেরুদণ্ড বলে কিছু নেই। বাংলাদেশের ইতিহাসে জাতীয় প্রতীকের অবমাননার এমন নজির আগে দেখা যায়নি। বঙ্গবন্ধু জাদুঘর ভাঙচুরের সময় ইউনূস সরকার নীরব ছিল। মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভে হামলার সময় তারা নীরব ছিল। আর এখন তারা নজরুল মাজারের পবিত্রতা নষ্ট করতে দিয়েছে। এই সরকার বারবার প্রমাণ করেছে যে তারা বাংলাদেশের ইতিহাস, সংস্কৃতি আর জাতীয় পরিচয়ের শত্রু। কোনো দেশ কি এতটাই দেউলিয়া হতে পারে যে একজন রাজনৈতিক ক্যাডারের মৃত্যুর জন্য রাষ্ট্রীয় শোক দিবস পালন করে? হাদির মৃত্যুতে সরকার শোক দিবস ঘোষণা করেছিল। এই সিদ্ধান্ত কী বার্তা দিচ্ছে? এই বার্তা
দিচ্ছে যে বাংলাদেশে এখন আর কোনো মানদণ্ড নেই। যে কেউ, যে কোনো উপায়ে, যে কোনো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হয়ে মারা গেলেই জাতীয় বীরের মর্যাদা পাবে। জয়নুল আবেদিন দুর্ভিক্ষের ছবি এঁকেছিলেন। তার শিল্পকর্ম মানুষের যন্ত্রণাকে তুলে ধরেছিল, মানবতার পক্ষে দাঁড়িয়েছিল। কামরুল হাসান মুক্তিযুদ্ধের সময় তার পোস্টারের মাধ্যমে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন। তার শিল্পকর্ম ছিল মুক্তিযুদ্ধের অস্ত্র। নজরুল তো আরও বড় পরিচয়, তার লেখা ছিল সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে সবচেয়ে তীব্র আঘাত। আর হাদি? তার কী অবদান? সে কি কোনো কবিতা লিখেছে যা মানুষের হৃদয় ছুঁয়েছে? সে কি কোনো ছবি এঁকেছে যা ইতিহাসে স্থান পেয়েছে? না। তার একমাত্র পরিচয় হলো ২০২৪ সালের জুলাইয়ে সংঘটিত সহিংস দাঙ্গায় অংশগ্রহণ।
যে দাঙ্গায় সংবাদপত্রের অফিস, সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান, সংগীত শিক্ষাকেন্দ্রে হামলা হয়েছিল। যে দাঙ্গার উদ্দেশ্য ছিল বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করা, একটি নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করা। ইউনূস সরকার বলতে পারে যে হাদি একজন শহীদ। কিন্তু শহীদ কারা? যারা দেশের জন্য প্রাণ দেয়, তারা শহীদ। যারা জনগণের অধিকারের জন্য লড়াই করে, তারা শহীদ। কিন্তু যারা বিদেশি অর্থায়নে, জঙ্গি সংগঠনের মদদে, সামরিক বাহিনীর সহায়তায় একটি নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করার চেষ্টা করে, তারা শহীদ নয়। তারা অপরাধী। হাদিকে নজরুল মাজারে সমাহিত করার মাধ্যমে ইউনূস সরকার একটি বার্তা পাঠিয়েছে। সেই বার্তা হলো, বাংলাদেশে এখন আর কোনো নীতি নেই, কোনো মূল্যবোধ নেই। যার যত বেশি ক্ষমতা, সে যা খুশি তাই করতে
পারবে। জাতীয় প্রতীক, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য, ইতিহাসের মর্যাদা, সবকিছু এখন বিক্রয়যোগ্য পণ্য। এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে নজরুল মাজারের যে নকশা ছিল, যে পবিত্রতা ছিল, সেটা চিরতরে নষ্ট হয়ে গেছে। এখন এটা আর একটি সাংস্কৃতিক স্থাপনা নয়। এটা হয়ে গেছে রাজনৈতিক দুর্বৃত্তদের স্মৃতিসৌধ। আগামী প্রজন্ম যখন এখানে আসবে, তারা কী ভাববে? তারা ভাববে যে বাংলাদেশ এমন একটা দেশ যেখানে কবি আর সন্ত্রাসীর মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। জামায়াতে ইসলামী আর তাদের সহযোগী শক্তিগুলো এই সিদ্ধান্তে খুশি হবে। কারণ তারা চায় বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা মুছে যাক। তারা চায় নজরুলের মতো ধর্মনিরপেক্ষ কবির মর্যাদা নষ্ট হোক। তারা চায় বাংলাদেশ হয়ে উঠুক একটি ধর্মীয় মৌলবাদী রাষ্ট্র। আর ইউনূস সরকার
তাদের সেই স্বপ্ন পূরণে সাহায্য করছে। হাদিকে মর্যাদার সঙ্গে দাফন করা যেত। তার জন্য একটি আলাদা কবরস্থানে জায়গা দেওয়া যেত। কিন্তু না, তাকে জোর করে নজরুল মাজারে ঢোকানো হয়েছে। কেন? কারণ এই সরকার জানে যে তারা বেশিদিন টিকবে না। তারা চায় তাদের ক্ষমতার সময়ে যতটা সম্ভব ক্ষতি করে যেতে। তারা চায় বাংলাদেশের ইতিহাস পুনর্লিখন করতে। বাংলাদেশ এখন এমন এক অবস্থায় দাঁড়িয়েছে যেখানে জাতীয় পরিচয় বলে আর কিছু নেই। ২০২৪ সালের জুলাই থেকে শুরু করে ২০২৫ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত এই দেড় বছরে ইউনূস সরকার বাংলাদেশকে যেখানে নামিয়েছে, সেখান থেকে ফিরে আসতে প্রজন্মের পর প্রজন্ম লাগবে। নজরুল মাজার এখন একটি ক্ষতবিক্ষত প্রতীক। একসময় যেটা ছিল গর্বের, এখন সেটা লজ্জার। একসময় যেখানে তরুণরা কবিতা পড়তে যেত, এখন সেখানে তারা যাবে কী করে? কীভাবে তারা নজরুলকে শ্রদ্ধা জানাবে যখন তার পাশেই শুয়ে আছে একজন রাজনৈতিক ক্যাডার? ইতিহাস এই অপরাধ ভুলবে না। ইউনূস সরকার, জামায়াতে ইসলামী, আর যারা এই সিদ্ধান্তে সমর্থন দিয়েছে, তাদের নাম ইতিহাসের কালো অধ্যায়ে লেখা থাকবে। তারা প্রমাণ করেছে যে তারা বাংলাদেশের শত্রু, বাংলাদেশের সংস্কৃতির শত্রু, বাংলাদেশের ভবিষ্যতের শত্রু। আর যে ছাত্রনেতারা এই দাবি তুলেছিল, তারাও সমান অপরাধী। তারা ভেবেছিল একটি কবরের মাধ্যমে তারা রাজনৈতিক ক্ষমতা প্রদর্শন করবে। কিন্তু তারা যা করেছে তা হলো বাংলাদেশের সবচেয়ে পবিত্র সাংস্কৃতিক স্থানকে কলুষিত করা। তারা নিজেদের ছোট রাজনৈতিক লাভের জন্য একটি জাতির আত্মপরিচয়ের সঙ্গে খেলা করেছে। বাংলাদেশ কি আর কখনো এই ক্ষত থেকে সুস্থ হবে? হয়তো হবে, হয়তো হবে না। কিন্তু একটা জিনিস নিশ্চিত, নজরুল মাজার আর কখনো আগের মতো হবে না। এটা এখন চিরতরে কলঙ্কিত। আর সেই কলঙ্কের দায় ইউনূস সরকার, জামায়াতে ইসলামী, আর তাদের সহযোগীদের ঘাড়ে।



